সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অতি আবেগী মুসলিম হইয়েন না বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করুন

মো.আবু রায়হান: সারাবিশ্বকরোনা ভাইরাসে ভীত সন্ত্রস্ত, দিশেহারা। একটার পর একটা জনপদ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য মতে বিশ্ব জুড়ে  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩.০৯০জন। জেনে রাখা ভালো, ইতালিতে করোনা সনাক্ত হওয়ার ৪৫ দিন পর মহামারি রুপ ধারণ করে। স্পেনে ৪৯ দিন পর আর যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ দিন পর করোনা মাহামারি আকার ধারণ করে।বাংলাদেশে প্রথম  করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সেহিসেবে ২৫ /২৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আমেরিকায় ২৩ তম দিনে রোগী ছিলো মাত্র ১১ জন। বাংলাদেশে যারা  করোনা ভাইরাস থাকলে এতদিনে কিছু একটা হতো বলে ফুরফুরে মেজাজে আছেন। এমন ধারণা পোষণকারীদের বলছি সাবধান। বাংলাদেশের ১০টি জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত  ৬২ জন।তাই বলছি এখনো সময় আছে আর একটু সতর্ক হোন। অন্যথায় আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে।বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ  এখানে অতি আবেগী কিছু মুসলিমের তাকদিরের ওপর বিশ্বাস ও ঈমানী জোশ দেখে সত্যিই বিস্মিত ও একই সাথে তাদের মুর্খুমি দেখ বিরক্ত।ঈমানী জোশ, তাকদিরের ওপর বিশ্বাস দোষের কিছু নয়। একজন মুসলিম হিসেবে এসবে শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি থাকতে হবে অকৃত্রিম ভক্তি ও ভালোবাসা।  কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের পর একশ্রেণীর মুসলিমের কথাবার্তা যেন ধর্মীয় নীতি আদর্শের পরিপন্থী মনে হয়েছে। প্রথমত: এই শ্রেণীর মুসলিমদের করোনা মহামারির কারণে জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হলে তাদের জবাব  তাকদিরে আল্লাহ যা লিখে রাখছেন তাই হবে। দ্বিতীয়ত:তাদের বক্তব্য। মহামারিতে মুসলিমরা মরবে না ইহুদি নাসারারা মরবে। তৃতীয়তঃ তাদের মাস্ক পরতে বললে তারা বলে কিছুই হবে না আল্লাহ ভরসা। এ কথাগুলো এক শ্রেণীর গোঁড়া আহম্মক টাইপের মুসলিমরা অবলীলায় বলে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার অনুশীলন কি আছে? আমিও বলি মুসলিমদের তাকদিরে বিশ্বাস ও আল্লাহর ওপর ভরসার কোনো বিকল্প নেই। তারপরও সচেতনতা, সতর্কতা, সাবধানতা বলতে তো কথা আছে। আর এসব তো ইসলাম বিরোধী কোনো কথা নয়। ইসলাম তার শিক্ষার প্রত্যেকটি ধারায় মধ্যাবস্থার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। আকিদা-বিশ্বাস, ইবাদত-বন্দেগী, আখলাক-চরিত্র, আচার-আচরণ, আয়-ব্যয়, লেনদেন সবকিছুতেই  এই বৈশিষ্ট্যে উদ্ভাসিত। সুতরাং ইসলামের প্রকৃত অনুসারীরা তাদের জীবনের সকল অঙ্গনে হবে মধ্যপন্থারই প্রতিচ্ছবি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'এভাবেই আমি তোমাদেরকে বানিয়েছি মধ্যপন্থী উম্মত, যাতে তোমরা (কিয়ামতের দিন) মানুষ সম্পর্কে সাক্ষী হতে পারো।' (সুরা বাকারা আয়াত-১৪৩)।হাদিসে এসেছে, তোমরা আমলে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, বাড়াবাড়ি করো না। সকাল-সন্ধ্যায় (ইবাদতের জন্য) বের হয়ে পড় এবং রজনীর কিছু অংশেও। তোমরা অবশ্যই পরিমিতি রক্ষা করো। তাহলে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।’ (সহীহ বুখারী )তাহলে বর্তমানে অতি উৎসাহী আহ্লাদিত মুসলিমরা এসব অমোঘ বাণী থেকে গাফেল কেন ?আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর নিজের জীবন ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের ভালোবাসেন।' (সুরা বাকারা, আয়াত - ১৯৫)।

এক
তাকদিরের উপর ভরসা ও ঈমান আনয়ন করা  ঈমানেরই অঙ্গ।তাকদিরে বিশ্বাস করবেন না ঈমান থাকবে না।আপনি সেই তাকদিরের ওপর ভরসা করবেন কেন?যেই তাকদিরের উপর ভরসা করেই ভারতে তাবলিগ জামাত  মারকাজে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ইতোমধ্যে তাবলিগের প্রায় ৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরও কয়েক শত মুসল্লির পরীক্ষায় শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বিপদের কথা তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাসে চড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। যেখানে মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববি মুসল্লিদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেখানে মানুষের সুরক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। শুধু এবার নয় আগেও প্রায় ৪০ বার বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে পবিত্র কাবা শরীফ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে  মওলানা সাদ এর কার্যক্রম কতটুকু যৌক্তিক ছিল। এতে কি ইসলামের সম্মান খুব বেশি বাড়ল ? মওলানা সাদ সাহেব এখন হোম কোয়ারেন্টিনে। সেখান থেকে অডিও বার্তা দিচ্ছেন। তাকদিরে যারা  বিশ্বাসী তাদের বলছি তাকদিরের ওপর ভরসা করে আপনার গরুটা ছেড়ে দিবেন। নিশ্চয়ই গরু কারও ফসলের ক্ষতি করবে না।তাকদিরের  ওপর এরকম বিশ্বাসের অর্থ তাকদিরের সঙ্গে স্পষ্টত  তামাশার শামিল। হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক সাহাবি আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমরা যে ঝাড়ফুঁক করে থাকি, চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহার করে থাকি কিংবা আত্মরক্ষার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে থাকি, তা কি তাকদিরের কোনো কিছুকে পরিবর্তন করতে পারে? প্রত্যুত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের এসব চেষ্টাও তাকদিরের অন্তর্ভুক্ত। (বায়হাকি)।আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (সা.) মানুষকে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন, তাকদিরের ওপর ভরসা করে ঘরে বসে থাকতে বলেননি। 

দুই

দুই যুগ আগের কথা। ১৯৯৬ সালের ঘটনা। তখন পবিত্র মক্কায় হজ্জ চলছিল। হজ্জ চলার সময় মিনা এলাকায় হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডেের ঘটনা ঘটে। ধীরে ধীরে আগুনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশ হাজিদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকে।কিন্তু একজন হাজি পুলিশের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি হাজিদের উদ্দেশ্যে চিৎকার চেঁচামেচি করে বলতে থাকেন, ‘ভাইসব, আমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে মিনায় উপস্থিত হয়েছি। আপনারা আল্লাহর মেহমান। আপনারা দোয়া ইউনুস পড়ুন। দেখবেন, আগুন আপনাদের কোনোই ক্ষতি করতে পারবে না।কিন্তু এরপর আগুনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে মানুষ তাঁবু ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু সেই হাজি আবার বলতে শুরু করেন, আপনারা কেউ স্থান ত্যাগ করবেন না। আপনারা আল্লাহর মেহমান। আগুন আপনাদের কিছুই করতে পারবে না।পরের দিন ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সেই আগুনে প্রায় সব তাঁবু পুড়ে ছাই। সেই হাজির কথা শুনে সেখানে অবস্থান করলে- কী ঘটতো অনুমান করতে পারছেন তো ?সেই হাজির কথা শুনে মনে হচ্ছে নমরুদ যেন হযরত ইবরাহিম (আ.)কে আগুনে নিক্ষেপ করছে আগুন কিছুই করবে না। নির্বোধ, আহম্মক মুসলিম কারে বলে। সাবধানের মাইর নাই এটাই তো ইসলামের শিক্ষা। তুমি কি ইচ্ছে করে আগুনে ঝাপ দেবে আর বলবে আমার কিছুই হবে না। আজ সেই আগুনের জায়গায় করোনাকে কল্পনা করুন আর চিন্তা করুন সেই হাজির মতো আগুন নামের এই করোনাকে আলিঙ্গন করবেন? না এর ভয়ঙ্কর থাবা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করবেন।হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: “জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল,হে আল্লাহর রাসুল (সা.) উটটিকে বাঁধার পর আল্লাহর উপর ভরসা করব? নাকি আল্লাহর উপর ভরসা করে (না বেঁধেই) ছেড়ে দেব? তিনি  বললেন, 'আগে তা বেঁধে দাও,তারপর আল্লাহর উপর ভরসা কর।' (তিরমিযী)।
এক্ষেত্রে একদল লোক বিভ্রান্তিতে পড়ে প্রয়োজনীয় উপায় উপকরণ অবলম্বন না করে, কাজ না করে,পরিশ্রম না করে নিজেদের অপারগতাকে ভরসা ভেবেছে, আর তাকেই ওজর বা ছুতো হিসেবে গ্রহণ করেছে। ফলে নিজের, পরিবারের এবং সমাজের জন্য সমূহ ক্ষতি সাধন করেছে।ইসলামের সারাবিশ্বে যে ছড়িয়ে পড়া এটি সম্ভব হয়েছে ইসলামের উদারতা ও সৌন্দর্যের কারণে। গোঁড়ামি অন্ধবিশ্বাস ও খামখেয়ালিপনার স্থান ইসলামে নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামের মূল শিক্ষা  ও আবেগহীন উদ্দীপনায় দিতে পারে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা।রক্ষা  পেতে পারি প্রাণঘাতী  করোনাভাইরাসের বিধ্বংসী আচরণ থেকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...