ভারতের রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু হলে?


বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। কারা কি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে তা বলতে চাচ্ছি না। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকায় মুসলিম নামধারী কথিত প্রগতিশীলদের কাছেও তা অবোধগম্য। তারা প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চান, আবার ভারতের ধর্মনিরপেক্ষদের পক্ষে কথা বলেন এটি দ্বিমুখি আচরণ হয়ে গেল না? আসলে ধর্মনিরপেক্ষকতা কী? অল্প কথায় রাষ্ট্রীয় কাজ-কর্মে ধর্মের বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে চলার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা।বহুভাষা, বহুধর্মের দেশ ভারত ১৯৭৬ সালে, ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি যুক্ত হয়। ভারতের সংবিধান কেন ধর্মনিরপেক্ষ জানেন? আশা করি উত্তর পেয়ে আপনার মনের তৃষ্ণা ও কথিত নামধারী মুসলিম প্রগতিশীল হবার খায়েশ তিরোহিত হবে। ইসলাম একটি রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকদের অবাধ ধর্মীয় স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ব্যবসা বাণিজ্য ও মুসলিমদের পরধর্মে সহিষ্ণু হবার শিক্ষা দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে মুসলমানদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারির কথা বলা হয়েছে। এখন আপনাকে বলছি হিন্দুধর্ম কি এভাবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সদয় হবার শিক্ষা দেয়? ভারত ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে বর্তমানে ধর্মের দোহাই দিয়ে গোরক্ষক সমিতি দিয়ে যেভাবে মানুষ পিটিয়ে মারছে, মসজিদ দখল করে মন্দির তৈরী করছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে মুসলিম হত্যা করছে, তাহলে রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু হলে আপনি কি করবেন সেটা তো এখানেই পরিষ্কার।বন্দুকের লাইসেন্স পাবার আগেই আপনি যতটা বেপরোয়া, লাইসেন্স পেলে কি করবেন তা তো বোঝায় যাচ্ছে। Morning shows the day, যেসব ধর্মে অন্য ধর্মের প্রতি কেমন আচরণ করতে হয় এ শিক্ষা নেই, মূলত তাদের জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বেশি জরুরি। ইসলামে এই ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো স্থান নেই। কারণ ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান, অন্যে ধর্মের প্রতি সহনশীল। তবে ভারতের রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু না হলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দুত্ববাদের উত্থান ও বিকাশে তারা ঠিকই ভূমিকা রাখছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল