অপ্রিয় কথন

কিছু বিজ্ঞ মানুষের মতামত ফ্রান্সের পণ্য বয়কট না করে পাসপোর্ট বর্জন করেন। আবার বলেন, এখনই ফ্রান্সের ভিসা পেলে তারা নাকি লুফে নেবেন। এরকমই একটি পোস্ট দেখলাম ঢাবির একজন শিক্ষকের। এমন বলদ মার্কা পোস্ট দেয়া একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন কিভাবে? সমাজে রাষ্ট্রে যারা নির্যাতন নিপীড়ন চালান তারা দানবীয় শক্তির অধিকারী তাদের তুলনায় শক্তিহীন নিপীড়িত মানুষের প্রতিরোধ প্রতিশোধের অবলম্বন অতি তুচ্ছ। তাদের অবলম্বন চোখের জল, ঘৃণা, আর ছোটখাটো বিষয়ে অসহযোগিতা করে তাদের বিব্রত করা।যারা ফ্রান্সের পণ্য বয়কট নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করছে তারা হয়তো ভারতের ইতিহাসে সংঘটিত স্বদেশী আন্দোলন ও ব্রিটিশ পণ্য বর্জন আন্দোলনের কথা শোনেননি। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করায় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ফরাসি পণ্য মহাসংকটে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স সরকার তাদের পণ্য বয়কট না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। দেখুন পণ্য বয়কট কতটা সফল হতে পারে। এক্ষেত্রে ফরাসি মুসলিম জনগোষ্ঠী হয়তো ফরাসি সরকারের রোষানল হতে কিছুটা রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ ছোট হোক বড় হোক, নিজস্ব অবস্থান থেকে তুলে ধরলে একদিন যালিমের মসনদে অবশ্যই কম্পন ধরবে।

আজ যদি শক্তিমানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার মতো অবস্থান কারো থাকতো তাহলে পণ্য বয়কট না করে সরাসরি মোকাবেলায় করত। মুসলিমদের কখনো লোভ গিলে ফেলতে পারে না। ফ্রান্সে অবস্থানরত ১০% মুসলিমদের প্রতিবাদ করার অধিকার যেমন আছে, তেমনি সারা বিশ্বের মুসলিমদেরও শান্তিপূর্ণভাবে ফ্রান্স সরকারের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার সংরক্ষিত। একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা প্রতিবাদের প্লাটফর্মকে হেয় করা মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসীর সাজে না। যদিও এটি প্রতীকী প্রতিবাদ তারপরও এর গুরুত্ব ও কার্যকারিতা অস্বীকার করা যায় না। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা আসলেই সাম্রাজ্যবাদি ও যালিমদের দোসর, মুসলমানদের শত্রু।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল