করিম বেনজেমা
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ‘ব্যালন ডি’অর’ প্রথমবারের মতো ওঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার হাতে।করিম মোস্তফা বেনজেমা হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।আগে ২০০৮ ও ২০২১ সালের মধ্যে ব্যালন ডি’অরের জন্য ১০ বার মনোনীত হলেও কখনো হাতে ওঠেনি ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার এ পুরস্কারটি। তবে এবার তিনি পারফরম্যান্স নৈপুণ্যে আদায় করে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি’অর।করিম বেনজেমা এবারের ব্যালন ডি’অর জিতবেনই। কেবল জিতবেন না, বিশাল ব্যবধানেই জিতবেন। আর যদি সেটি না হয়, তবে ব্যালন ডি’অরের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন চিরকালই থাকবে।’- ফুটবল ভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল.কমের একটা আর্টিকেলে এভাবেই বেনজেমার ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে লেখা ছিল।
২০১৫ সালের পর থেকেই ফ্রান্সের জাতীয় দলে নিষিদ্ধ ছিলেন করিম বেনজেমা। বছরের পর বছর ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত খেললেও জাতীয় দলে তাকে নেয়নি ফরাসি ফুটবলের নিয়ন্ত্রকরা। অবশেষে ২০২১ সালে বেনজেমা জাতীয় দলে ডাক পান।
গত সিজনে জাতীয় দল এবং লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে শুরু করে লা লিগা, উয়েফা ন্যাশন্স লিগ এবং সুপারকোপা জিতেছেন বেনজেমা।
কেবল শিরোপা জেতা নয় বেনজেমা গত সিজনে ছিলেন অসাধারণ, অতিমানবীয়। ২০২১-২২ সিজনে ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে ৪৮ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরও ১৫টি। রিয়ালকে বলা চলে একাই জিতিয়েছেন ইউরোপ সেরার শিরোপা।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে ১২ ম্যাচে করেছেন ১৫ গোল। এরমধ্যে শেষ ষোলোতে মেসির পিএসজিকে হারানো ম্যাচে করেছিলেন হ্যাট্রিক। এরপর চেলসির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও হ্যাট্রিক করে দলকে এগিয়ে রেখেছিলেন। ব্লুজদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে করেছেন ৪ গোল।
এমনকি ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালের দুই লেগেও ৩৪ বছর বয়সী এই ফরাসির পা থেকে এসেছে ৩ গোল। কেবল গোল নয়, পিছিয়ে পড়েও রিয়ালকে জিতিয়ে একের পর এক রুপকথার গল্পই যেন লিখেছেন। লা লিগায়ও শিরোপা জেতার পথে করেছিলেন ২৭ গোল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের দুদিন আগে বেনজেমা বলেছিলেন, রোজা রেখেই রমজান মাসে ফুটবল খেলবেন তিনি। রোজা রেখে ম্যাচ খেলতে তার কষ্ট হয় না, বরং রোজা তাকে আলাদা শক্তি দেয়।নিজের কথা রেখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের দিনও রোজা রেখেছিলেন বেনজেমা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ আগে ইফতার করে রোজা শেষ করেছিলেন এই ফরাসি কিংবদন্তি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন