সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ৫৬৯ তম বার্ষিকী



১৪৫৩ সালের ২৯ মে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচিত হয়েছিল । এ দিনই মুসলিম বাহিনীর হাতে বিজিত হয় তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে নয়নাভিরাম শহর বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল।কনস্টান্টিনোপল তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মর্মরা অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত একটি প্রদেশ। উত্তরে কৃষ্ণ সাগর এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরে ঘেরা এ নগরীকে বসফরাস প্রণালি দু’ভাগ করে রেখেছে।পশ্চিম দিক এশিয়ায় অবস্থিত। আর পূর্ব দিক ইউরোপে।পশ্চিমে তাগিরদাগ প্রদেশ এবং পূর্বে স্কোরিয়া ও কোগলি প্রদেশ অবস্থিত।
৩২৪ সালে সম্রাট কনস্টান্টাইন বাইজেন্টিয়াম দখলের পর নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে জায়গাটির নাম দেন ‘কনস্টান্টিনোপল’। এবং ৩৩০ সাল থেকে কনস্টান্টিনোপল রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তী ১১ শতাব্দী যাবত শহরটি বেশ কয়েকবার অবরোধ সম্মুখীন হলেও ১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ছাড়া এটি কেউ দখল করতে পারেনি।
ইতিহাসে কনস্টান্টিনোপল নগরী বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। বাইজান্টাইন, কুসতুনতিনিয়া, আসতানা ও ইসলাম্বুল নামসহ আরো অনেক নামেই বিখ্যাত এ নগরী পরিচিত ছিল।
আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুসতুনতিনিয়া বলা হয়। মুসলিম বিজয়ের পরে এ জায়গার নাম বদলে হয় ইস্তানবুল (বর্তমান তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর)।
রাসূলুল্লাহ সা: এই শহর সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন : “লাতাফতাহুন্নাল কুসতুনতিনিয়াতা, ফালা নে’মাল আমীরূ আমীরূহা ওয়ালানে’মা জাকাল জাইশু।” অর্থাৎ নিশ্চিতরূপে তোমরা কুসতুনতিনিয়া জয় করবে। সুতরাং তার শাসক কতই না উত্তম হবে এবং তার জয় লাভকারী সৈন্যরাও কতই না উত্তম হবে! ’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬)।
পৃথিবীর দিকে দিকে যখন ইসলামের বিজয়গাথা ছড়িয়ে পড়ছিল, সে সময় প্রায় প্রত্যেক শাসকই রাসুলুল্লাহ (সা.) বর্ণিত সেই সৌভাগ্যবান সেনানায়ক হওয়ার চিন্তা করেছেন।কুসতুনতিনিয়া বিজয়ের সৌভাগ্য অর্জনের লক্ষ্যে খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল থেকে অভিযান পরিচালনার স্বপ্ন দেখা হলেও হিজরী ৪৯/৬৬৯ সালে সর্বপ্রথম হযরত আমীর মোয়াবিয়া (রা:) কুসতুনতিনিয়ায় অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে অন্যান্য প্রসিদ্ধ সেনাপতি ছাড়াও বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা: ) অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেন। হযরত মোয়াবিয়া-তনয় ইয়াজিদও এই অভিযানে একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
শহর অবরোধকালে হযরত আনসারী (রা:) অসুস্থ হয়ে পড়লে ইয়াজিদ তার খেদমতে উপস্থিত হয়ে কোনো উপদেশ আছে কি না জিজ্ঞেস করেন। আনসারী রা: বলেন : ‘আমাকে দুশমনের ভূখন্ডের যতটুকু সম্ভব অগ্রভাগে নিয়ে যাবে এবং মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন করবে।’ এই অছিয়ত (উপদেশ) বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এবং ইন্তেকালের পর হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা:)-কে কুসতুনতিনিয়ার প্রাচীরের নিকট দাফন করা হয়। অতঃপর রোমানদেরকে সাবধান করে দেয়া হয়, যদি তাঁর কবরের কোনো ক্ষতি সাধন করা হয়, তাহলে আরবের কোনো গির্জায় কখনও ঘণ্টা ধ্বনিত হবে না।
দ্বিতীয় মুহাম্মদ (৩০ মার্চ ১৪৩২ – ৩ মে ১৪৮১) ছিলেন ৭ম উসমানীয় সুলতান। তিনি মুহাম্মাদ ফাতিহ অর্থাৎ বিজয়ী মুহাম্মাদ নামে পরিচিত। ১৪৪৪ সালের আগস্ট থেকে ১৪৪৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তিনি সুলতান ছিলেন। এরপর ১৪৫১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় মসনদে অসেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি ১৪৮১ সালের মে পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ও তার শায়খ আকশামসউদ্দিন কনস্টান্টিনোপল এর কাছে প্রথম কনস্টান্টিনোপল যুদ্ধের সময় সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারির কবর খুঁজে পান ও পরবর্তীতে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৪৫৩ সালে দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহের আগেও অন্তত ২৮ বার কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় মুহাম্মদ ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত কনস্টান্টিনোপল
অবরোধের করে রাখেন। এসময় তাঁর বাহিনীতে সেনা সংখ্যা ছিল ৮০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ এবং জাহাজ ছিল ৩২০টি। এপ্রিলের শুরুর দিকে শহর অবরোধ করা হয়। অবরোধের সময় উসমানীয়রা উরবানের নির্মিত প্রকান্ড কামান থেকে গোলাবর্ষণ করে। গোল্ডেন হর্নের প্রবেশপথে বিশালাকার শেকল স্থাপনের ফলে সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে তুর্কিরা বাধার সম্মুখীন হয়। মুহাম্মদ তার জাহাজগুলিকে মাটির উপর দিয়ে টেনে গোল্ডেন হর্নে নিয়ে আসেন। ২৯ মে শহরের পতন হয়, এবং রাসূলের কনস্টান্টিনোপল ভবিষ্যদ্বাণী রূপ লাভ করে।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীর ভবিষদ্বাণীর বাস্তব প্রয়োগ দেখালেন পবিত্র মুহাম্মদ নামেরই একজন ব্যক্তির দ্বারা! তিনি কতই না উত্তম এবং সৌভাগ্যবান মানুষ; যাঁর ব্যাপারে প্রায় ৮০০ বছর আগেই বলা হয়েছিল! তার মাধ্যমেই সোয়া ১১০০ বছর আগে রোমান সম্রাট প্রথম কনসস্টাইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শহরটি মুসলিমদের পদানত হলো।দ্বিতীয় মুহাম্মদের পুর্বে মহান সেলজুক সুলতান আলপ আরসালানও শহরটি জয় করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি।
বিজয়ের পর মুহাম্মদ এরদিন থেকে রাজধানী সরিয়ে কনস্টান্টিনোপলে নিয়ে আসেন। যেহেতু ৩৩০ সাল থেকে কনস্টান্টিনোপল রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এবং শহরের অধিকারী সাম্রাজ্যের শাসক হতেন। একারণে কনস্টান্টিনোপল জয়ের পর মুহাম্মদ রোমান সম্রাটদের মত কাইসার-ই রুম বা সিজার উপাধি ধারণ করেন।সমসাময়িক পণ্ডিত জর্জ অব ট্রেবিজন্ড এক্ষেত্রে সুলতানকে সমর্থন করেছিলেন।ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ এই ঘোষণা মেনে নিলেও ক্যাথলিক চার্চ এবং পশ্চিম ইউরোপ তা মেনে নেয়নি। গেন্নাডিয়াস স্কলারিয়াসকে সুলতান কনস্টান্টিনোপলের পেট্রিয়ার্ক মনোনীত করেন।আয়া সোফিয়া ৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ আল ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে তা ক্রয় করেন। এরপর তা ৪৮১ বছর পর্যন্ত মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১০ জুলাই তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার আদেশ বাতিল করে। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুলাই ৮৬ বছর পর তাতে সর্বপ্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিস্টানদের জন্য এই শোচনীয় পতন ছিল অকল্পনীয়। মুহাম্মদ আনাতোলিয়া, আলবেনিয়া, বসনিয়া, ক্রিমিয়া, ইতালি পর্যন্ত ইউরোপ অভিযান অব্যাহত রাখেন। আধুনিক তুরস্ক ও মুসলিম বিশ্বে সুলতান মুহাম্মদ একজন বীর হিসেবে সম্মানিত হন। তার স্মরণে ইস্তানবুলের ফাতিহ জেলা, ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ সেতু ও ফাতিহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মুহাম্মদকে নিয়ে চলচ্চিত্র। ফাতিহ ১৪৫৩ বা The conquest 1453 হল একটি বীরত্বগাঁথাসূচক ঐতিহাসিক ঘটনাভিত্তিক একশনধর্মী তুর্কী চলচ্চিত্র যা ২০১২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। এর পটভূমি ও কাহিনী পঞ্চদশ শতাব্দীর উসমানীয় সম্রাট দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান) অর্থাৎ মুহাম্মদ ফাতিহ বা বিজয়ী সম্রাট এর রাজত্বকালে উসমানীয়দের দ্বারা কন্সটান্টিনোপল বিজয়ের ঘটনাসমুহের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এতে সম্রাট দ্বিতীয় মুহাম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেন খ্যাতিমান তুর্কী অভিনেতা দাভরিম এভিন। ছবিটি মুক্তি দেয়ার আঠারো দিনের মাথায় এটি তুরস্কের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে। বর্তমানে এটি তুর্কী ভাষার সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...