‘তোমার সন্তান আমার গর্ভে’ চিরকুট লেখে তরুণীর আত্মহত্যা।




এরপরও থেকে যাবে অনৈতিক সম্পর্ক। চলবে সামাজিক অবক্ষয়। কিছু সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে। আবার কিছু সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে এই তরুণ কিংবা তরুণী ঝুলিয়ে যাবে নিষ্পাপ, নিরীহ কারো কাঁধে। কোনো সম্পর্কে না জড়িয়েও এই সমাজে অনেক কে ঠকতে হয়।
আমাদের সন্তানেরা কোথায় যায়, কী করে, কার সাথে সময় কাটায় তা নিয়ে কী আমরা আদৌ চিন্তিত? এছাড়া আমাদের সন্তানরা আজ ইন্টারনেটের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, মনে হয় ইন্টারনেটই তার কাছে সব কিছু।
সন্তানরা যেন ইন্টারনেটের অপব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়েও পিতামাতাকে নজর রাখতে হবে।
আমরা যদি আমাদের সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই উত্তমভাবে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম তাহলে কি আজ এ ধরনের জঘন্য কাজে জড়িয়ে পরার সুযোগ পেত?
অবশ্যই না। আজ আমরা আধুনিকতার নামে সন্তানদের প্রতি কোন খেয়ালই রাখি না। আমরা আমাদের সন্তানদের উত্তম তরবিয়তের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা আমরা কী করে করতে পারি।
এজন্যই ইসলাম সন্তান জন্ম দেয়ার পরই তাকে উত্তম শিক্ষায় গড়ে তোলার আদেশ প্রদান করেছে। সন্তান যেন উত্তম গুণের অধিকারী হয় সেজন্য পিতা-মাতাকে সব সময় দোয়াও করতে হয়।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানব সন্তান ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। কিন্তু পরে তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদি অথবা নাসারায় পরিণত করে।’ (বোখারি)
এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সন্তান খারাপ হওয়ার পেছনে পিতা-মাতাও দায়ী রয়েছেন। আমাদের সবার উচিত, আমাদের সন্তানদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল