সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সাম্প্রতিক বিতর্ক ও হযরত আয়েশা (রা.)

 










আগেও মহানবী (সা) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে নানারকম বিতর্কিত মন্তব্য করা হলেও এমন গর্হিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়নি। কি সেই বাক্য? অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিন্তু একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে সেই শব্দ মুখে আনা অসম্ভব। তাই আপনাদের সামনে সেই বাক্য উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। সম্ভবত এ জন্যই সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফুঁসছে। এর ঢেউ লেগেছে সারা দুনিয়ায়। কয়েকদিন এটা টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা। কি সেই মন্তব্য! এটা এতটাই নিকৃষ্ট, অশালীন এবং অশ্লীল যে তা উচ্চারণ করা বা পাঠকদের সামনে পেশ করা সম্ভব নয়।
কথা হলো হযরত আবু বকার (রা) তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা)'র সাথে এতে তার কোনো ব্যথা নাই যন্ত্রণা নাই। আয়েশা (রা) কোনদিন আল্লাহর রাসূলের সাথে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে অস্বস্তি প্রকাশ করেনি ৷ ১৪০০ বছর পরে বিজেপির নেতা - নেত্রীদের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ৷ তাদের অন্তরে খুব জ্বালা। মুসলমানদের নবী নাকি চরিত্রহীন ছিলো। শিশু কন্যা আয়েশা (রা) কে নাকি জোর করে বিবাহ করেছেন,,অর্থের লোভ দিয়ে নাকি নিজের লিপ্সা পুরণ করেছেন,, আয়েশা (রা) কে নাকি যৌন হয়রানি করেছেন,, নাউজুবিল্লাহ। আসলে এটা রাসুল (সা) এর ও ইসলামের মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা ও তার মহত্বকে খাটো করার এক নোংরা চেষ্টা।
সুষ্পষ্ট ভাবে বলি আজ যারা মহানবী (সা.) ও আয়েশা (রা.)-এর বিয়ে নিয়ে আপত্তি করেন, তারা কিন্তু রাম আর সীতার বিয়ে নিয়ে টুঁশব্দও করেন না। কারণ কী?
আপনি জানেন কী? হিন্দুদের সমাজ জীবন নিয়ন্ত্রিত হয়েছে প্রধানত মনুর বিধান অনুসারে। মনুসংহিতায় বলা হয়েছে, মেয়েদেরে আট বছর বয়সের মধ্যেই বিয়ে দিতে হবে। মনুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘কালেহদাতা পিতা বাচ্যো বাচ্যশ্চানুপযন্ পতিঃ।/মৃতে ভর্তরি পুত্রস্তু বাচ্যো মাতুররক্ষিতা।’ অর্থাৎ বিবাহযোগ্য সময়ে (ঋতুদর্শনের আগে) পিতা যদি কন্যাকে পাত্রস্থ না করেন, তাহলে তিনি মানুষের কাছে নিন্দনীয় হন। স্বামী যদি ঋতুকালে পত্নীর সঙ্গে সঙ্গম না করেন, তবে তিনি লোকসমাজে নিন্দার ভাজন হন। স্বামী মারা গেলে পুত্ররা যদি তাদের মাতার রক্ষণাবেক্ষণ না করে, তাহলে তারাও অত্যন্ত নিন্দাভাজন হয়। (মনুসংহিতা : ৯/৪) বাল্মিকী রামায়ণের তৃতীয় খণ্ডের ৪৭ শ অধ্যায়ে সীতার বিবৃতি থেকে আমরা জানতে পারি যে সীতা অষ্টাদশ বছর বয়ঃক্রমকালে বিবাহের ত্রয়োদশ বছরে রামের বনগমনকালে তাঁর সঙ্গে অযোধ্যা ত্যাগ করেছিলেন। পাটিগণিতের সহজ হিসাব মতে, বিবাহের সময় সীতার বয়স পাঁচ-ছয় বছর ছিল। (মোহাম্মদ মতিয়র রহমান, প্রাচীন ভারতে বাল্যবিয়ে)।
পরিসংখ্যান কী বলছে জানেন?বিশ্বের ৪০ শতাংশ কন্যাশিশুর বিয়ে হয় ভারতে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে বাল্যবিয়ের সংখ্যা দুই কোটি ৩০ লাখের মতো, যা বিশ্বের মোট বাল্যবিয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ। (ভয়েচে ভেলে)
হযরত আয়েশা (রা) কে চিনেন? হযরত আয়েশা (রা.) ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)- এর সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী। তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আব বকর (রা.)- এর কন্যা। তাঁর মায়ের নাম উম্মে বুম্মান। তাঁর উপাধি ছিল সিদ্দিকা ও হুমায়রা। আর তাঁর উপনাম হলো-উম্মুল মমিনিন ও উম্ম আব্দুল্লাহ।হযরত আয়েশা (রা.)-রাসুল (স.)-এর অতি আদরের সহধর্মিণী ছিলেন। তিনি মহানবি (স.)- এর অন্য স্ত্রীদের থেকে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। হিশাম ইবনে উরওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী করিম (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের তিন বছর আগে খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়। তারপর দুই বছর বা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেন। তখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর ৯ বছর বয়সে বাসর যাপন করেন।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৬)
আয়েশা (রা.)-এর মাতা-পিতা স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। সে সময়ের কোনো মুসলিম কিংবা অমুসলিম এ বিয়ের প্রতিবাদ করেনি। কারণ সে সময় মেয়েদের এ বয়সেই সাধারণত বিয়ে দেওয়া হতো। এর কারণ হলো, সে সময় আরবের মানুষদের আয়ু ছিল কম। মানুষ ৪০-৬০ বছর বয়সেই সাধারণত মারা যেত। তাই প্রাকৃতিকভাবে ৯ বা ১০ বছরের মেয়েকে বিয়ে করাই ছিল সে সময়ের স্বাভাবিক ঘটনা। মহানবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে প্রধানত তিনটি কারণে বিয়ে করেছিলেন। এক. আবু বকর (রা.)-এর সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার বাঁধনে আবদ্ধ করা।
দুই. সব ইতিহাসবিদ এ ব্যাপারে একমত যে আয়েশা (রা.) ছিলেন তৎকালীন আরবের অন্যতম মেধাবী নারী। তাই মহানবী (সা.) তাঁর মাধ্যমে ইসলামের বিধিবিধান, বিশেষ করে নারীদের একান্ত বিষয়াদি উম্মতকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। তিন. মহানবী (সা.) তাঁকে বিয়ে করেছেন ওহির নির্দেশ অনুসরণ করে। ওহির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিয়ে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) তাঁকে বলেছেন, দুইবার তোমার চেহারা আমাকে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমি কাপড়ে আবৃতা এবং (জিবরাইল)
আমাকে বলছেন, ইনি আপনার স্ত্রী, আমি ঘোমটাটা সরিয়ে দেখলাম। দেখি ওই নারী তো তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন। (বুখারি, হাদিস নং : ৩৮৯৫, ৫০৭৮, ৫১২৫, ৭০১১; মুসলিম, হাদিস নং : ২৪৩৮)
আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পূর্ণতা অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পূর্ণতা অর্জন করেছেন কেবল মারইয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। আর সব খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন, তেমনি সব নারীদের মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪১১) সারিদ হলো আরবের শ্রেষ্ট খাদ্য, যা রুটি, গোশত ও ঝোলের সমন্বয়ে তৈরি হয়। রাসূল (স.) আরও বলেন “আয়েশা(রা.) -হলেন-মহিলাদের সাহায্যকারিনী।” (কানযুল উম্মাল)
আয়েশা (রা.) নারী সাহাবিদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। এ ছাড়া বিচক্ষণতা ও সাহসিকতায়ও অনন্যা ছিলেন তিনি। মুসতাদরাকে হাকেম গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়, ‘আয়েশা (রা.) থেকে শরিয়তের এক-চতুর্থাংশ বিধি-বিধান বর্ণিত আছে। বড় বড় সাহাবিরা যেকোনো সমাধানের জন্য আয়েশা (রা.)-এর কাছে আসতেন।’
আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলের সাহাবিরা কোনো হাদিস নিয়ে সমস্যায় পড়লে আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করতাম। তাঁর কাছ থেকে তখন নতুন জ্ঞান লাভ করতাম।অনেক সাহাবী ও তাবেয়ী তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২২১০ টি। তারমধ্যে ১১৪ টি হাদিস ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম যৌথভাবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারি ৫৪ টি হাদিস এবং ইমাম মুসলিম ৬৯ টি হাদিস এককভাবে তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
ইবনে শিহাব জহুরী বলেন, তিনি (আয়েশা) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী ছিলেন। (তাহজিবুত তাহজিব)
আল্লামা জাহাবি আয়েশা (রা.) থেকে বলেন, ‘আমাকে ৯ বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, মারইয়াম বিনতে ইমরান ছাড়া আর কোনো নারীকে তা দেওয়া হয়নি। আমার রূপ ধারণ করে জিবরাঈল (আ.) রাসুল (সা.)-এর কাছে আসেন এবং পরবর্তীতে রাসুল (সা.) আমাকে বিয়ে করেন। রাসুল (সা.) আমাকে ছাড়া কাউকে কুমারী অবস্থায় বিয়ে করেননি। মৃত্যুকালে রাসুলের মাথা আমার ঊরুর ওপর ছিল। আমার ঘরে তাঁকে দাফন করা হয়। ফেরেশতারা আমার ঘর বেষ্টন করে। রাসুলের সঙ্গে কম্বলের নিচে থাকা অবস্থায় ওহি অবতীর্ণ হয়। আমি রাসুলের বন্ধু ও খলিফার মেয়ে। আসমান থেকে আমার পবিত্রতার ঘোষণা আসে। উত্তম মানুষের কাছে আমি উত্তম হয়ে গড়ে উঠেছি। আমাকে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিকের আশ্বাস দেওয়া হয়।’

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...