পোস্টগুলি

সালাউদ্দীন আইয়ুবী কেন আলেমদের হত্যা করেছিলেন?

ছবি
৬৪৮ সালে আমিরুল মুমিনিন হজরত উমর (রা.)-এর খেলাফতকালে মুসলমানরা ফিলিস্তিন জয় করেন। ১০৯৬ সালে খ্রিস্টানরা তা পুনর্দখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে সিপাহশালার সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী আবার জেরুজালেম শহর জয় করেন।সালাউদ্দিন আইয়ুবী বাইতুল মুকাদ্দাস জয় করার পরে সবাই যখন বিজয় উৎসব পালনে ব্যাস্ত, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী গভীর চিন্তায় নিমগ্ন।তার চিন্তার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন যে, বাইতুল মুকাদ্দাস জয় হয়েছে কিন্তু এখনও এমন শত্রু আমাদের মাঝে রয়ে গেছে যাদেরকে খুঁজে বের করতে না পারলে বাইতুল মুকাদ্দাস আমরা বেশিদিন আমাদের কাছে রাখতে পারবোনা। তার কথার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না। সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনাদের নিয়ে খুবই গোপনে নতুন একটি গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করলেন। যাদেরকে আটককৃত ইহুদীদের গোয়েন্দা বিভাগের সেনাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে ট্রেনিং দিলেন। ফিলিস্তিনে এক ইমামের প্রশংসায় ভরপুর। ইসলামী স্কলার, শায়েখ এবং অত্যন্ত আমলদার ও পরহেজগার হিসেবে তার সুখ্যাতি পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে। একদিন তিনি তাফসীরের আলোচনা করছিলেন তার মসজিদে। এ সময় দুইজন অপরিচিত আগন্তুক আসলো। তারাও খুব গভীর মনোযোগ দিয়

লোকসান ওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে

ছবি
  প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের রেল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের।যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৩৯৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেনগুলো পরিচালনায় ব্যয় হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির। দেশে ১০৪টি আন্তঃনগর এবং ২৫৪টি মেল, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩৫৮টি ট্রেনে সিটবিহীন টিকিট বিক্রি হয় ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।টিকিট কালোবাজারি কিংবা টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা নিয়মিতভাবেই ঘটছে। এসব কাজে রেলওয়েরই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে টিকিট পরিদর্শকসহ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বিরুদ্ধে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগও পুরনো।বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির একাধিক খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খাতগুলো হলো সম্পত্তি ইজারা ও হস্তান্তর, অবৈধ স্থাপনা তৈরি, কেনাকাটা, ভূমি অধিগ্রহণ, যন্ত্রাংশ নিলাম, টিকিট বিক্রি, ট্রেন ইজারা, ক্যাটারিং ইত্যাদি।রেলে বর্তমানে প্রায় ৭৭ শতাংশ ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ শতাংশ বগি মেয়াদোর্ত্তীণ-আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে

মক্কা ও মদিনায় কেন অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

ছবি
"হে ঈমানদারগন! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল -হারামের নিকট না আসে.....( সুরা তওবা আয়াত -২৮) কোন কোন মুফাসসির বলেন, কাফেরগণ ব্যহ্যিক ও আত্মিক সর্ব দিক থেকেই অপবিত্র। (কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর) তবে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এখানে নাপাক বলতে তাদের দেহ সত্তা বুঝানো হয়নি, বরং দ্বীনী বিষয়াদিতে তাদের অপবিত্রতা বোঝানো হয়েছে। সে হিসেবে এর অর্থ, তাদের আকীদাহ-বিশ্বাস, আখলাক-চরিত্র, আমল ও কাজ, তাদের জীবন — এসবই নাপাক। (ইবন কাসীর; সা’দী) আর এ সবের নাপাকির কারণেই হারাম শরীফের চৌহদ্দির মধ্যে তাদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।পবিত্র মক্কা নগরী রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মস্থান।এখানে ইসলামের অনেক পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন নিদর্শনাবলী রয়েছে।এখানে রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর যা মুসলমানদের কিবলা(যে দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা হয়)।ইসলাম ধর্ম মতে কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়।কাবাকে ঘিরে রয়েছে মসজিদুল হারাম। কাবাঘরের চারপাশের প্রায় ২ বর্গমাইল এলাকা হারাম হিসেবে সাব্যস্ত। পরবর্তীতে শাসকরা সতর্কতা হিসেবে তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে মক্কা গেইট পর্যন্ত নিয়ে যান। উপরিউক্ত আয়াতের প্রথম অংশ

ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর

ছবি
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরীন আবু আকলেহ। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর পরনে ইংরেজিতে বড় করে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। ওই সময় শিবিরটিতে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা।সাংবাদিক শিরীনকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ‘সম্ভবত’ অস্ত্রধারী ফিলিস্তিনিদের গুলি শিরীনের শরীরে লেগেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বলেছেন, ঘটনাস্থলে কোন ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী ছিল না।ঘটনার পর আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় আলজাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধিকে সকালে (গতকাল) সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে নির্মমভাবে খুন করেছে।’সাহসী সাংবাদিক শিরীন আরব বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শিরীন আবু আকলেহে কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে আর তাদের কণ্ঠকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন। আল জাজিরার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরীনকে বলা হতো ফিলিস্তিনের নির্

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রমজানের প্রস্তুতি

  রজব মাস থেকেই রাসূল (সা.) রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। সব ব্যস্ততা কমিয়ে আনতেন একে একে। রমজানের পুরো সময়টাই ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দিতেন নির্বিঘ্নে। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রধানত তিনটি কাজের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। ১. দোয়া করা : রমজানের দুই মাস আগ থেকে রমজান লাভের দোয়া করতেন।হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন পশ্চিম আকাশে রজবের বাঁকা চাঁদ দেখা যেত, তখন রাসূল (সা.) দরদমাখা কণ্ঠে মহান প্রভুর কাছে বারবার এ দোয়া করতেন-‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান। ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ (‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের হায়াত রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস - ১৩৬৯) ২. রোজা রাখা : আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস - ১৮৬৮)অন্য বর্ণনায় আয়শা (রা.) বলেন-‘রমজান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) পুরো মাস রোজা রাখতেন না। শাবান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) এত বেশি রোজা রাখতেন না।’ (মুসলিম।

মসজিদে মানুষ ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া!

  জুমার নামাজে শেষে এসে অন্যকে টপকে সামনের কাতারে যাওয়ার মতো কাজটি ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) এ বিষয়টি হারাম বলেছেন। একজন সাহাবি পরে এসে অন্যকে যখন টপকে সামনের কাতারে বসেন, তখন রাসুল (সা.) বলেছেন, তুমি পরে এসেছো, আবার মানুষকে কষ্টও দিয়েছো। কোনো ব্যক্তি যদি এ কাজ করেন তিনি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি যে কারণে জুমার নামাজ পড়তে যাবেন, যে ফজিলতের জন্য যাবেন, সে ফজিলতই পাবেন না। জুমার দিনে সালাত আদায় করতে গিয়ে সওয়াবের বদলে গুনাহ নিয়ে আসবেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কাজও তিনি করলেন। সেটার জন্য শাস্তি পাবেন। সুতরাং এটি কোনোভাবেই করা উচিত নয়। এটি করা হারাম। এতে তিনি জুমা থেকে কোনো ফজিলত পাবেন না।হাদিসে এসেছে- হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না (যেখানে জায়গা পায় সেখানেই অবস্থান করে) এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ সালাত আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন

টাইম্‌স স্কয়ার ও তারাবিহ

ছবি
  টাইম্‌স স্কয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে ম্যানহাটানে অবস্থিত একটি সড়ক চত্বর এবং নিউইয়র্ক শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একে 'পৃথিবীর সড়ক সংযোগস্থল' বলা হয়। টাইম্‌স স্কয়ার বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পথচারী সংযোগস্থল এবং বিশ্ব বিনোদন শিল্পের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। জায়গাটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদৃষ্ট পর্যটন স্থল। প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ টাইমস স্কয়ার দিয়ে যাতায়াত করে। এই এলাকাটি রঙ-বেরঙের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জ্বা ও প্রোজ্জ্বল সাইনবোর্ডের কারণে বিখ্যাত। প্রতিবছর এখানে জাঁকজমকের সাথে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। প্রথম বারের মতো টাইমস স্কয়ারে ইফতার বিতরণ ও তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রমজানের প্রথম দিন শনিবার (২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ইফতার ও তারাবির নামাজে হাজারের বেশি ‍ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এ ইভেন্টের আয়োজকরা উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে ১৫ শ ইফতার খাবার বিতরণ করেন। টাইমস স্কয়ারের স্মরণীয় এ ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ছাড়াও কানাডার মন্ট্রিল থেকেও মুসল্লিরা আসেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং রমজান মাসের ত

লেবানন দেউলিয়া, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হবার পথে

  রাষ্ট্র হিসেবে লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-সামি এ ঘোষণা দেন।২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে লেবানন একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানি ও চিকিৎসাসেবা ঘাটতি।জনগণের খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ মৌলিক পণ্য গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।ঋণের কারণে লেবানন এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির মুদ্রা তার ৯০ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার দেশটিকে আরো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে চালিত করছে। অথচ একসময় দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। সামগ্রিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় ও কর কর্তনের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ কমে যাওয়া, চীনের কাছ থেকে নেওয়া বড় অংকের ঋণ এবং কয়েক দশকের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি ঋণ ও বিদেশি বন্ডের টাকা শোধ করতে সরকার যেভাবে টাকা ছাপিয়েছে তার ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শ্রীলঙ্কান রুপির বৈদেশিক মান কিছুদিন আগেও ছিল ১ ডলারে ১৯০ রুপি

কাবা শরিফের ইমাম

ছবি
  মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক পবিত্র কাবা শরিফ। কাবা ঘরকে ঘিরে অবস্থিত মসজিদে হারাম। প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ের বাসনা থাকে স্বচক্ষে পবিত্র কাবা দেখার। মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করার। আর সেই কাবা চত্বরে পবিত্র কাবাকে সামনে রেখে ৩৯ বছর ধরে ইমামতির দায়িত্বে হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আস সুদাইস।৪ এপ্রিল কাবার ইমাম হিসেবে দীর্ঘ ৩৯ বছর পার করেছেন এই ইসলামি ব্যক্তিত্ব। ১৪০৪ হিজরির ২২ শাবান (১৯৮৪) শায়খ সুদাইসের সঙ্গে একই দিন শায়েখ সালেহ আল হুমাইদকে মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ এর রাজকীয় আদেশে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ২২ বছর বয়সী সুদর্শন ও সুকণ্ঠী আলেম আবদুর রহমান আস-সুদাইস। আসরের নামাজের ইমামতির মধ্য দিয়ে তিনি কাবা প্রাঙ্গণে ইমামতির দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনিই আজকের বিশ্বখ্যাত কারি শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস। শুধু ইমাম-খতিব হিসেবে নয়, এখন তিনি মক্কা-মদিনার পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট।২০১২ সালে উভয় পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করায় মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়।২০১৪ সালে মসজিদে নববীতে প

পুতিনের হাতে নস্যাৎ চেচেন মুসলিমদের স্বাধীনতার স্বপ্ন

ছবি
মো. আবু রায়হান: পুতিনের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে প্রচণ্ড দারিদ্র্য ও বন্ধুদের উপহাস-তাচ্ছিল্যের মধ্যে। পুতিনের বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন এবং তাঁর দাদা ছিলেন একজন বাবুর্চি। তার সেই জীবনই তাকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ার শক্তি দিয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন ইস্পাত-দৃঢ় ব্যক্তি হিসেবে। সম্প্রতি তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন। সেই সময় নিজের খরচ মেটাতে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসাবেও কাজ করেছেন। ১৯৯৭ সালে বরিস ইয়েলেৎসিন যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তখন ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনে আসেন এবং তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা করা হয়।কেজিবির পরবর্তী সময়ে এ সংস্থাটি গঠন করা হয়েছিল।১৯৯৯ সালে নতুন বছরের প্রাক্কালে মি: ইয়েলেৎসিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন।২০০০ সালের মার্চ মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মি: পুতিন অনায়াসে জয়লাভ করেন। দুই যুগ হতে চলল রাশিয়ার শাসনক্ষমতায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর রাশিয়া নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুতিনের নেতৃত্বে। রাশি

ইউক্রেনে মুসলিম

ছবি
  মো. আবু রায়হান: ইউক্রেন পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। রাশিয়ার পরে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র।আয়তন ছয় লাখ তিন হাজার ৬২৮ বর্গমাইল। ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়া ও মলদোভা, দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর। নবম শতক থেকে ইউক্রেনের উত্তর অংশ কিয়েভান রুশের অংশ ছিল। কিয়েভান রুশ ছিল প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব স্লাভীয় রাষ্ট্র। ১৩শ শতকে মোঙ্গল আক্রমণে এটির পতন ঘটে। এর পর বহু শতাব্দী ধরে ইউক্রেন বিভিন্ন বিদেশী শক্তির পদানত ছিল। এদের মধ্যে আছে পোলান্ড ও রুশ সাম্রাজ্য। ১৯১৮ সালে ইউক্রেনে একটি বলশেভিক সাম্যবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের চারটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম প্রজাতন্ত্র হিসেবে ইউক্রেন আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১লা ডিসেম্বর এক গণভোটে এটির প্রতি ইউক্রেনের জনগণ সমর্থন দেয়। ইউক্রেনের এই ঘোষণা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে একটি বড় ভূমিকা রাখে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৪৩ মিলিয়ন। এদের বেশির ভাগ মানুষ খ্রিস্টান। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ইউক্রেনে ২,৪৮,১৯৩ জন ক্রিমীয় তাতার, ৭৩,৩০৪ ভলগা তাত

আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান

  আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান ( ৬৪৬ – ৮ অক্টোবর ৭০৫) ছিলেন ৫ম উমাইয়া খলিফা। তিনি ৬৪৬ খৃস্টাব্দে হেজাজের মদিনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মারওয়ান বিন হাকাম তাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নির্বাচিত করে যাওয়ায় তিনি উমাইয়া বংশের পঞ্চম খলিফা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান তার বিচক্ষণতা ও কঠোরতার মাধ্যমে উমাইয়া সাম্রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দৃঢ় রূপ প্রদান করেছিলেন। আসন্ন বিপদকে নস্যাৎ করে উমাইয়া বংশের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করায় তাকে রাজেন্দ্র (Father of Kings) বলা হয়ে থাকে। আব্দুল মালিক ৬৪৬ খৃস্টাব্দে মদিনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মারওয়ান বিন হাকাম তাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নির্বাচিত করে যাওয়ায় তিনি ৬৮৫ সালে উমাইয়া বংশের পঞ্চম খলিফা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। পি. কে. হিট্টি আবদুল মালিকের রাজত্বকাল সম্পর্কে বলেন,"আব্দুল মালিকের সময় দামেস্কের এই রাজবংশ শৌর্যবীর্য ও গৌরবের চরম শিখরে আরোহণ করে।" সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবার পর আব্দুল মালিক বিভিন্ন বিদ্রোহ দমনের মাধ্যমে সাম্রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ৬৮৭ সালে আল মুখতারের বিদ্রোহ দমনের মাধ্যমে অনারব মুসলমান ও ইরাকবাসী আরব

একে-৪৭ যে আবিষ্কারে অনুতপ্ত কালাশনিকভ

ছবি
মিখাইল কালাশনিকভ হলেন বিশ্বের সব চাইতে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একে-৪৭ রাইফেলটির জনক। তবে বিপদজনক এই অস্ত্রটি আবিষ্কারের জন্য তিনি শেষকালে প্রচন্ড অনুতপ্ত ছিলেন নিজের প্রতি।২০১৩ সালে মৃত্যুর আগেও তিনি জানতেন, তিনি এমন এক মারণাস্ত্র আবিষ্কার করে গেলেন যা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানির কারণ। কালাশনিকভ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১৯ সালের ১০ নভেম্বর, পশ্চিম সাইবেরিয়ায়। জন্মেছিলেন একেবারে সাধারণ কৃষক পরিবারে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই নিত্যনতুন উদ্ভাবনের দিকে ঝোঁক ছিল তাঁর। কিশোর বয়সেই প্রতিভার ছাপ রেখেছিলেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে। ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে সেনাবাহিনীতে তরুণ উদ্ভাবকের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন। ১৯৪১ সালে যুদ্ধে আহত হন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি এমন একটি অটোমেটিক রাইফেলের নকশা করেছিলেন, যা সব পরিস্থিতিতে টেকসই হবে এবং আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে হবে বিধ্বংসী। প্রায় সাত বছরের পরিশ্রমে তিনি তৈরি করেন একে-৪৭। কালাশনিকভের সেই নকশা করা আগ্নেয়াস্ত্রটিই গত অর্ধশতাব্দীতে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়ে আছে। রাইফেলটি যখন বানিয়েছিলেন তখন তিনি ভাবতেও পারেননি যে এই নির্দিষ্ট রাইফেলটিই হবে পু

ইংরেজি নববর্ষের ইতিহাস

  আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হয় নতুন বছর। ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের ধারণাটি আসে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে।আবার অনেকের মতে, রোমে নতুন বছর পালনের প্রচলন শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩ সালে। পরে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন করেন। এটিই জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। রোমে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের অন্তর্গত বছরের প্রথম দিনটি জানুস দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। জানুস হলেন প্রবেশপথ বা সূচনার দেবতা। তার নাম অনুসারেই বছরের প্রথম মাসের নাম জানুয়ারি নামকরণ করা হয়। আমরা যাকে ইংরজি ক্যালেন্ডার বলি আদতে এর নাম গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে রোমের পোপ এয়োদশ গ্রেগরি প্রাচীন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির সংস্কার সাধন করেন। এই গ্রেগরির নামে এই ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত হয়। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ লেখার শেষে যে AD (Anno Domini)লেখা হয় তা লাতিন অ্যানো ডোমিনি -এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই অ্যানো ডোমিনির অর্থ আমাদের প্রভুর বছরে(in the year of the Lord) অর্থাৎ খ্রিষ্টাব্দ। ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিষ্টান

হিজরি সনের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া

ইসলামি শরিয়তে হিজরি সনের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া ও প্রিয় নবি (সা) এবং সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাহ। তাই মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকেরই উচিত, হিজরি সনের হিসাব রাখা।তারিখ পদ্ধতির গুরুত্ব আছে বলেই দুনিয়া সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মাস-বছরের হিসাব সম্পর্কে কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ ঘোষনা দেন, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর (কাছে) গণনায় মাসের সংখ্যা বারটি; যা আল্লাহর কিতাব (লাওহে মাহফুজ) অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে, যেদিন আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস (রজব, জিলকদ,জিলহজ ও মহররম) মর্যাদাপূর্ণ। এটাই দীনের সহজ-সরল (দাবী)। সুরা তাওবাহ আয়াত - ৩৬) ইসলামি শরিয়তের অনেক বিধানাবলী পালন হিজরি সন ও চন্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল; তাই গুরুত্বপূর্ণ এসব ইবাদত-বন্দেগির জন্য হিজরি সনের আলোকে চন্দ্র মাসের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী হিজরি সনের হিসাব রাখা সুন্নাতের অনুসরণ এবং অনুকরণও বটে। রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশনাও এমনই। এ কারণেই মুমিন মুসলমানের জন্য হিজরি সনের গুরুত্ব অনেক বেশি। হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের অনেক ইবাদত-আমলের সংশ্লিষ্ট রয়েছে। যা হিসাব না রাখলে ঐ ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন

শিক্ষায় হাজি মহসীনের অবদান

ছবি
  ৩ জানুয়ারি কিংবদন্তীতুল্য দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিনের ২৮৯ তম জন্ম-বার্ষিকী।উপমহাদেশের ইতিহাসের এ বিখ্যাত দানবীর মুহাম্মদ মহসিন ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন।১৮১২ সালে এ ধার্মিক দানবীর হুগলিতে ইন্তেকাল করেন। তাকে হুগলির ইমামবাড়ায় দাফন করা হয়।অঢেল সম্পত্তির মালিক ছিলেন হাজী মহসিন। এসব সম্পদ তিনি দুহাতে অকাতরে বিলিয়ে গেছেন। মহসিনের পূর্ব পুরুষরা অত্যন্ত ধনী ছিলেন। ইরান থেকে বাংলায় আসা তার বাবা হাজী ফয়জুল্লাহ ছিলেন একজন ধনী জায়গিরদার।মাতা জয়নব খানমেরও হুগলি, যশোর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় বিস্তর জমি ছিল। তার বোন মন্নুজানের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে মহসিন বোনের সম্পত্তির মালিক হন।এতো সম্পদের মালিক হয়েও মহসিন ছিলেন খুব ধার্মিক ও নিরহঙ্কারী। তিনি সর্বদা সহজ সরল জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন চিরকুমার। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ইমাম বাড়া প্রাসাদে বাস করতেন না। ইমাম বাড়ির পাশে একটি ছোট কুটিরে বাস করতেন।আর কুরআন শরীফ নকল করে যা পেতেন তা দিয়েই চলতেন। নিজ হাতে রান্না করে অধিনস্তদের নিয়ে বসে খেতেন। ১৭৬৯-৭০ সালের সরকারি দলিল অনুযায়ী তৎকালীন দুর্ভিক্ষের সময় হাজি

পরকীয়া ও পরিসংখ্যান

  পরকীয়া একটি সমাজ বিধ্বংসী বিকৃত মানসিকতা। পরকীয়ার জেরে স্বামী স্ত্রীকে খুন করছে। স্ত্রী স্বামীকে খুন করে খাটের নিচের মেঝেতে পুঁতে রাখছে। পরকীয়ার মোহে খুন হচ্ছে সন্তান। এমনকি পরকীয়ায় লিপ্ত মসজিদের ইমাম সাহেব খুন করে এসে ফজরের নামাজে ইমামতি করছেন।তারপরও এ সমস্যাকে যদি আপনারা শুধুই পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর খবর মনে করে এড়িয়ে যান তবে এ বিপদ আমাদের সবার জন্যই অপেক্ষা করছে। আর যদি এটাকে আমরা বড় সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন, তবে এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় আমাদের ব্যক্তি জীবনে ধর্মীয় তথা ইসলামিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। সূরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পুরুষদের দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর ৩১ নম্বর আয়াতে নারীদের তাদের দৃষ্টি সংযত রাখার পাশাপাশি পরপুরুষের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। স্ত্রীর সৌন্দর্য স্বামীকে তার প্রতি আনুরাগী করলে সংসারের শান্তিই বাড়বে। পক্ষান্তরে নারীর সৌন্দর্য তার স্বামী ছাড়া অন্যকে আকর্ষণ করলে তা কেবল অশান্তিই বাড়াবে। ইসলামে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্ক থেকে নারী-পুরুষকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো নারীর পরপুরুষের সঙ্

হজ্জ কোটা

ছবি
  হজ্জ মুসলিম উম্মাহর জন্য বার্ষিক বিশ্ব সম্মেলন ও ইসলামী ঐক্যের প্রতীক। এ ধরনের বিশ্ব সম্মেলন অন্য কোনো ধর্ম বা জাতির মধ্যে দেখা যায় না। একমাত্র ইসলামের তৌহিদবাদী মুসলমানরাই পৃথিবীর দিক-দিগন্ত থেকে ছুটে আসে কাবার দিকে।গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন। হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা। এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ্জ সেরে নেন অনেকে।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি'র একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ্জের একটা কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে এক হাজার জন হজ্জে যেতে পারবেন।বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেহেতু ১৮ কোটি, সেজন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এক লাখ আশি হাজার মানুষের হজ পালনে যাওয়ার কথা। কিন্তু ধর্মভিত্তিক জনশুমারি না থাকায় বাংলাদেশকে তাদের প্রাপ্য কোটা থেকে কমেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। বিগত তিন বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্জ পালনের সুযোগ পেয়ে আসছেন।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৭ সালের হিসাব মতে বাংলাদ