পোস্টগুলি

ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র

ছবি
  ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র। তারা আপনাকে স্কুলে এটি শেখাবে না। তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে আমাদের গন্তব্য ঠিকঠাক খুঁজে বের করার জন্য যেমন গুগল ম্যাপ বা জিপিএস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, তেমনি আগের দিনেও জাহাজ পরিচালনা, মরুভূমিতে পথ চলা, যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি কাজে মানচিত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হতো। তৎকালীন ভূগোলবিদরা সেসব মানচিত্র তৈরি করে দিতেন। তখনকার একজন নামকরা মুসলিম ভূগোলবিদ হলেন আল ইদ্রিস। ১১০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহামনীষী শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন। ব্যাপক ভ্রমণের ফলে তিনি সমসাময়িক পৃথিবী সম্পর্কে এত ব্যাপক জ্ঞানার্জন করেছিলেন যে সিসিলের রাজা দ্বিতীয় রজার্স পৃথিবীর নিখুঁত মানচিত্র অঙ্কনের জন্য আল ইদ্রিসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের অক্লান্ত অধ্যবসায়ের দ্বারা তিনি ‘আল কিতাব আল রজারী’ নামের একটি নির্ভুল ভূ-চিত্র সংবলিত গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন। এই পুস্তকে তিনি বিভিন্ন স্থানের ৭০টি মানচিত্র এবং দুই হাজার ৫৫৮টি প্রসিদ্ধ ভৌগোলিক স্থানের বিবরণ তুলে ধরেছিলেন। তাতে মরুভূমি, বন, সম

আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ

ছবি
হাজার বছর আগের একজন আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ। যিনি ছিলেন প্রাণচঞ্চল বাগদাদ নগরীর শাসনকর্তা। তাঁর শাসনকালেই বাগদাদ নগরী ঐশ্বর্যের চরমে পৌঁছায়। বাগদাদ নগরী জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সংস্কৃতিচর্চার শিখরে পৌঁছেছিল বলে সে সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়।হারুন ছিলেন তৃতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মাহদি এবং তার স্ত্রী খায়জুরান যিনি ইয়েমেনের একজন প্রাক্তন দাসের তৃতীয় সন্তান। খলিফা হওয়ার আগে, হারুন ৭৮২ খ্রিস্টাব্দে তার পিতার শাসনামলে বসফরাসে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে তার সুনাম অর্জন করেন। এই উজ্জ্বল সাফল্য তার পুত্র হারুনের প্রতি আল-মাহদীর স্নেহকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে তিনি তাকে মুসা আল-হাদির পরে উত্তরাধিকারী-নিযুক্ত করেন এবং তার নাম রাখেন আল-রশিদ (সঠিক নির্দেশিত)। এইভাবে ১৬ বছর বয়সে তিনি ক্রাউন প্রিন্স হন। হারুনের পিতা আল-মাহদি ৭৮৫ সালে মারা যান এবং তার ভাই আল-হাদি সিংহাসনে আরোহণ করেন। আল-হাদি অবশ্য ৭৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তাঁর মৃত্যু দরবারে ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের ফল বলে বলা হয়। ফলস্বরূপ, হারুন অবশেষে ৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে ৫ম আব্বাসীয় খলিফা হন। তখন তা

রাজতন্ত্রে কম্পন

  রানি এলিজাবেথ ছিলেন ১৪ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর বেশিরভাগ দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর পরও ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথই ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অনেক দেশই ঔপনিবেশিক শাসন ও রাজতন্ত্রের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় এবং রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন নির্বাচিত ব্যক্তিকে গ্রহণ করে। উপমহাদেশে ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলেও প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৫০ সালে, পাকিস্তান হয় ১৯৫৬ সালে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৯৭০-এর দশকে গায়ানা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং ডমিনিকা তাদের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানিকে সরিয়ে দেয়। এছাড়া ফিজি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৮৭ সালে, আর মরিশাস ১৯৯২ সালে।তবে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এমন অনেক দেশই প্রজাতন্ত্রে পরিণত হবার পরও কমনওয়েলথ জোট গঠনের মাধ্যমে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। গত বছরের নভেম্বর মাস রানিকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে পুরোপুরি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় বার্বাডোস। আরও অনেক দেশেই এরকম দাবি উঠেছে। ক্যারিবিয়ান দেশগ

আলহামদুলিল্লাহ

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে নিষ্পাপ করে দেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে- মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আমার মুমিন বান্দাকে রোগাক্রান্ত করি, আর বান্দা সে অবস্থায় আমার প্রশংসা করে- ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে; তবে সে বিছানা থেকে এমনভাবে ওঠে দাঁড়ায়; যেন তার মা তাকে ভূমিষ্টকালে যেমন জন্মদান করেছিল।’ (হাদিসে কুদসি) রাসুলুল্লাহ সা যখন কষ্টের মধ্যে থাকতেন তখন “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” বলতেন। “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” এর অর্থ – “সর্ব অবস্থায় আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি”। আল হামদুলিল্লাহ এর ফজিলত অনেক বেশি। একবার আল হামদুলিল্লাহ বললে কিয়ামতের দিন মিজানের পাল্লা ভারি হবে। যেন হাদিসে এসেছে, রাসুল সা. বলেন। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিজানের পাল্লাকে ভারি করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। (তিরমিজি)। আল হামদুলিল্লাহ” কখন বলতে হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো। যখন খুশির সংবাদ শুনা হয় তখন আল হামদুলিল্লাহ বলতে হয়। যখন কেউ আপনাকে কেমন আছেন বলবে? তখন আল হামদুলিল্লাহ ভালো আছি বলবেন। তাছাড়া হাচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। বক্তব্য দেওয়ার আগে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুরু করত

মরুর সিংহ ওমর মুখতার

ছবি
মরুর সিংহ নামে পরিচিত ওমর মুখতার তাঁর জীবনের শেষ ২০ বছর তার দেশের দখলদার ইতালীর বিরুদ্ধে লড়াই করে কাটিয়েছেন। উপনিবেশিক ইতালীয়দের মধ্যে ওমর মনিফার মাতারি নামে পরিচিত লিবিয়ার সিরেনিকায় জানযুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইতালীয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে মুখতারের প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনেক চেষ্টার পর তার গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। তাকে গ্রেপ্তারে সাহায্য করায় স্থানীয় নেতাদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তার দৃঢ়তা জেলারের উপর প্রভাব ফেলে। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই মুখতারের বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল না। শেষ কথা জানতে চাওয়া হলে মুখতার কুরআনের আয়াত “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব) পাঠ করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুলুকের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তার অনুসারীদের সামনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুকা

সাবরা ও শাতিলা গণহত্যা

ছবি
বর্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের হাতে সাবরা ও শাতিলা নামক ফিলিস্তিনিদের দু’টি শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার ৪০ তম বার্ষিকী ছিল গতকাল।১৯৮২ সালের ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেবাননের দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক গণহত্যা অভিযানে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।সাবেক ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ওই সময় ইসরাইলের ভারপ্রাপ্ত যুদ্ধমন্ত্রী ও লেবাননে মোতায়েন ইহুদিবাদী বাহিনীর কমান্ডার ছিল। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিল। সে সময় ওই দুই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২০ হাজার অধিবাসী ছিল । পরপর তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তারা শিবিরের শরনার্থীদের নির্বিচার হত্যা , পরিবারের সামনে নারীদের ধর্ষণ ও গর্ভবতী মহিলাদের লাঞ্ছিত করে। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিল। ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাব

খালিস্তান ও ক্রিকেটার আর্শদীপ সিং

ছবি
পাঞ্জাব অঞ্চল শিখদের ঐতিহ্যগত মাতৃভূমি। ইংরেজ দ্বারা অধিকৃত হবার আগে পাঞ্জাব শিখদের দ্বারা ৮২ বছর শাসিত হয়; ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র পাঞ্জাব শিখ মিসল (সার্বভৌম শিখ রাষ্ট্র) সমূহের অধীন ছিল, তারপর মহারাজা রণজিৎ সিং শিখ মৈত্রী সঙ্ঘকে শিখ সাম্রাজ্যের মাঝে একীভূত করেন। তবে সেখানে শিখদের পাশাপাশি অনেক হিন্দু ও মুসলিমও বসবাস করত, এবং ১৯৪৭ সালের আগে শিখরা ব্রিটিশ অখণ্ড পাঞ্জাব রাজ্যের শুধুমাত্র লুধিয়ানা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতে ভারত বিভাজিত করলে শিখ সম্প্রদায়ের কোন স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পাঞ্জাব অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামক একটি ধর্মরাষ্ট্র সৃষ্টির ধারণা পেশ করেন।পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মির ও রাজস্থানের অংশ বিশেষ নিয়ে প্রস্তাবিত এই স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে শিখদের পছন্দ চন্দ্রিগড় শহর। খালিস্তান হলো পাঞ্জাবি শব্দ যার অর্থ হলো বিশুদ্ধ ভূমি। পাঞ্জাবের শিখরা পাঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবা

ইহুদিদের রক্ষায় সুলতান বায়েজিদের জাহাজ প্রেরণ

  ১৪৯২ সালে নৃশংস স্প্যানিশ ইনকুইজিশনের সময়, খ্রিস্টানরা খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকারকারী মুসলিম ও ইহুদিদের নির্যাতন, হত্যা এবং বহিষ্কার করেছিল। ওই সময় প্রায় ১৩ হাজার ইহুদিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিল তৎকালীন স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ। এ স্প্যানিশ ইহুদিরা তখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের স্পেনের ইনকুইজিশন কোর্টের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো। ওই কোর্ট বা আদালতের রায় ছিলো নিপীড়নমূলক। এটাকে ইহুদি ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যয়মূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। ওই সময় আল-হামরা ডিক্রি বা আদেশ অনুসারে ইহুদিদের স্পেন থেকে চলে যেতে বলা হয়। তাদের আরও বলা হয় যে তারা যেন আর কখনও স্পেনে ফিরে না আসেন।১৪৯২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে স্বাক্ষরিত ডিক্রিটি ছিলো ১৪৯২ সালের ২ আগস্টের মধ্যে স্পেন থেকে প্রত্যেক ইহুদিকে বহিষ্কারের একটি আদেশ। উসমানীয় সুলতান বায়েজিদ যখন এই কথা শুনলেন, তখন তিনি ইহুদিদের উদ্ধার করে মুসলিম ভূমিতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পুরো উসমানীয় নৌবাহিনীকে স্পেনে পাঠান। তারপর তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল, এবং ভালোবাসা ও সম্মানের সাথে আচরণ করা হয়েছিল।হাজার হাজার ইহুদি উসমানীয় অ

শায়খ উসমান ত্বহা

ছবি
শায়খ উসমান ত্বহা হলেন বিখ্যাত সিরিয়ান ক্যালিগ্রাফার। তিনি হাতে কোরআন লেখার জন্য সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর হাতে লেখা কোরআনের পান্ডুলিপি ২০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিশ্বব্যাপী বিতরণ করা হয়েছে। উসমান ত্বহা ৩৬ বছরের মধ্যে ১২ বার পুরো কোরআন লিখেছেন - এবং কেউ একটি পৃষ্ঠায় ভুল খুঁজে পায়নি। প্রতিটি পৃষ্ঠা সারা বিশ্বের একদল বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ দল তাকে বলেছিল, 'এই মহৎ কাজের জন্য আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন যেন তুমি কুরআনের খেদমত করতে পারো। শায়খ একদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি একবার কোরআন লিখতে অফিসে এসেছিলেন। কলম তুলে নেন কিন্তু লেখা যাচ্ছিল না। তিনি তার সাথে অফিসে থাকা শায়খকে ডাকলেন এবং তারা সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ করে আবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কলমটি তখনও সরেনি বা লিখতে পারেনি। শায়খ বললেন, 'তখন আমি বুঝতে পারলাম যে আমি ফজরের নামাজ পড়ার পর নতুন করে ওজু করিনি। তাই আমি আমার ওজু নতুন করে করলাম, কলম তুলে নিলাম এবং লিখতে শুরু করলাম।" উসমান ত্বহা বলেন, 'আমাকে বিভিন্ন দেশে শিল্প আঁকার জন্য লক্ষাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি তা প্রত্যা

বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ দিনগুলো

ছবি
বাহাদুর শাহ জাফর স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো শেষ মুঘল সম্রাট।মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট জহিরুদ্দীন বাবরের ১৯তম উত্তরসূরী এবং শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন তিনি। বাহাদুর শাহ তাঁর ক্ষমতাকালে জড়িয়ে গিয়েছিলেন 'সিপাহী বিদ্রোহের' সঙ্গে। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে বিশাল অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।ওই অভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হওয়ার পর সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার দায়ে মামলা করা হয়, তাঁকে বন্দী করা হয় ও ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন বর্তমানের মিয়ানমারে তাঁকে নির্বাসন দেওয়া হয়।১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর ৮৩ বছরের বৃদ্ধ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, সম্রাজ্ঞী জিনাত মহল, দুই শাহজাদা, শাহজাদী এবং অন্য আত্মীয় ও ভৃত্যদের নিয়ে ইংরেজ গোলন্দাজ ও অশ্বারোহী বাহিনী দিল্লি ত্যাগ করে। ৯ ডিসেম্বর জাহাজ রেঙ্গুনে পৌঁছে। ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন নেলসন ডেভিসের বাসভবনের ছোট গ্যারেজে সম্রাট ও তার পরিবার-পরিজনের বন্দিজীবন শুরু হয়। সম্রাটকে শুতে দেয়া হয় একটা পাটের দড়ির খাটিয়ায়। ভারতের প্রিয় মাতৃভূমি থেকে বহু দূরে রেঙ্গুনের মাটিতে সম্রাটের

৩০ বছর পানিতে ডুবে থাকা মসজিদ এখন দৃশ্যমান

ছবি
ভারতের বিহার রাজ্যের নওদা জেলার একটি নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রাচীন মসজিদের দেখা মিলেছে। মসজিদটি ৩০ বছর আগে একটি বাঁধ নির্মাণের কারণে নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর মসজিদটিকে এখনো তার পূর্বের অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। যা দেখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। মসজিদটি প্রায় ৩০ ফুট উঁচু এবং উপরে অলঙ্কৃত গম্বুজ রয়েছে। এলাকার প্রবীণ মানুষেরা মসজিদটিকে নূরী মসজিদ হিসাবে স্মরণ করছে। অনেকে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ঐতিহাসিক মসজিদটি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় দেখে অবাক হচ্ছেন। সবাই এটা দেখে বিস্মিত যে তিন দশক ধরে পানিতে ডুবে থাকার পরেও মসজিদটির সুন্দর কাঠামোর সামান্যতম কোনো ক্ষতি হয়নি।

ক্ষমতা ও পদের জন্য লালায়িত ছিলেন না। ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে

  উমাইয়ারা তাদের বিচারক হওয়ার জন্য ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং দশ দিন জেলে কাটিয়েছিলেন। প্রতিদিন দশবার বেত্রাঘাত করা হয়েছিল তাকে। উমাইয়াদের পতনের পর ৭৬৩ সালে দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মনসুর আবু হানিফাকে মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে থাকার জন্য তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। খলিফা ও ইমাম আবু হানিফার মধ্যে নিম্নোক্ত আলোচনা হয়: খলিফা: আমি চাই তুমি আমার প্রধান বিচারক হও। ইমাম আবু হানিফা: সত্য কথা হলো আমি উক্ত পদের জন্য যোগ্য নই। খলিফা: মিথ্যাবাদী! আপনি দেশের সবচেয়ে যোগ্যতম একজন! ইমাম আবু হানিফা: আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে আমি যোগ্য নই। খলিফা: আরে আমি কখন বললাম, আপনি যোগ্য নন? ইমাম আবু হানিফা: এইমাত্র। আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযুক্ত করলেন। এই অভিযোগের ব্যাখ্যায় আবু হানিফা বলেন, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই তাহলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করার ব্যাপারে আমার মতামত সঠিক, কারণ কিভাবে আপনি প্রধান বিচারপতির পদে একজন মিথ্যাবাদীকে বসাবেন।” এই ব্যাখ্যা শুনে আল-মনসুর আবু হানিফাকে গ্রেফতার করেন

R I P সবার জন্য নয়

মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও বিশ্বাসীদের জন্য সঙ্গত নয়; যদিও তারা আত্মীয়ই হোক না কেন, তাদের কাছে একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। ( সুরা তাওবা, আয়াত -১১৩) এই আয়াতের তফসীর সহীহ বুখারীতে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন নবী (সাঃ)-এর চাচা আবু তালেবের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এল, তখন নবী (সাঃ) তার নিকট গেলেন। তার নিকট আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ বিন আবী উমাইয়্যাহ বসেছিল। নবী (সাঃ) বললেন, ‘‘চাচাজান! ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে নিন, যাতে আমি আল্লাহর নিকট আপনার জন্য প্রমাণ পেশ করতে পারি। আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ বিন আবী উমাইয়্যাহ বলল, ‘‘হে আবু তালেব! (মৃত্যুর) সময় আব্দুল মুত্তালিবের ধর্ম ত্যাগ করবে?’’ (শেষে ঐ অবস্থাতেই তার মৃত্যু হল।) নবী (সাঃ) বললেন, ‘‘যতক্ষণ আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাকে নিষেধ না করা হবে, ততক্ষণ আমি আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকব।’’ তখন উক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হল, যাতে মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী)

ঔপনিবেশ শাসন মুক্ত হলেও মানসিক দাসত্বের মোচন হয়নি

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না' – এই প্রবচনের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। প্রবচনটি যে কেবল আলঙ্কারিক অর্থে ব্যবহৃত হতো সেরকম নয়। বাস্তবিকই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভৌগোলিকভাবে এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, সাম্রাজ্যের এক অংশে সূর্যাস্ত হয়ে গেলেও আরেক অংশের আকাশে সূর্য ঠিকই অবস্থান করত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল মানব ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য, এবং পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশ জুড়ে এই সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। ১৯১৩ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩% ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনাধীনে ছিল। ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৪৫ কোটি ৮০ লাখ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট আয়তন ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ বর্গ কি.মি., অর্থাৎপৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় এক চতুর্থাংশ। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেন ছিল বিশ্বের প্রধান সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসন শুরু হয়। ঠিক এক শতাব্দীর মধ্যে ১৮৫৮ সালে ভারতে আজাদি আন্দোলন ব্যর্থ হবার পর ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

সুফি সাধক জুনায়েদ আল-বাগদাদি

সুফি সাধক জুনায়েদ আল-বাগদাদি প্রাথমিক জীবনে একজন রাজার অধীনে রাজকীয় কুস্তিগীর ছিলেন। তিনি শক্তিশালী এবং বিখ্যাত কুস্তিগীর হওয়ায় লোকেরা তাকে প্রচুর অর্থের জন্য চ্যালেঞ্জ করত এবং রাজা সহ বিশাল দর্শকদের সামনে তিনি কুস্তি করতেন। এমনই এক অনুষ্ঠানে, একজন অত্যন্ত দুর্বল চেহারার এক লোক রাজাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি জুনায়েদ আল-বাগদাদীকে চ্যালেঞ্জ করতে চান। রাজা প্রথমে লোকটির প্রস্তাব গ্রহণ করতে নারাজ কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে লোকটি জুনায়েদকে কোন চ্যালেঞ্জ করবে না। তবে কিছুক্ষণ পর রাজা মেনে নিলেন এবং শুরু হল কুস্তি। উভয় কুস্তিগীর অপেক্ষারত বিশাল জনতার সামনে ওয়ার্ম আপ করতে শুরু করেন। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে লোকটি শায়খ জুনায়েদকে বললেন: "আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। তুমি আর আমি দুজনেই জানি আমি তোমাকে হারাতে পারব না। আমার আপনাকে চ্যালেঞ্জ করার কারণ হল আমি একজন সাইয়্যেদ (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধর)। আমি এবং আমার পরিবার দারিদ্র্যের কবলে পড়েছি এবং আমরা অনেক দিন ধরে খাইনি। আমরা আর ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আমার বংশকে সম্মান করুন এবং আমাকে এই ম

সুলতান সুলাইমান

ছবি
সুলতান সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ট সাম্রাজ্যাধিপতি হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় খেলাফতের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। তিনি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত প্রভাবশালী সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন।সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী পূর্ণ রোমান সাম্রাজ্য এবং সুবিশাল হাঙ্গেরির পতন ঘটায়। সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভি রাজবংশের শাহ প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া ও লিবিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো দখল করেন। তার শাসনামলে তার অধীনস্থ কাপুদান পাশা (নৌ-সেনাপতি) খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসা, স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে দোরিয়ার নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এই নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে।এছাড়াও তার নৌ-বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নর

ডেনমার্ক ও হিজাব

ছবি
হিজাব হলো নারীর অধিকার। ডেনমার্কের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করার নতুন সুপারিশে ডেনমার্ক জুড়ে বিতর্ক ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম ধনী ও আধুনিক রাষ্ট্র ডেনমার্ক ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এটি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ। অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপভূমি নিয়ে গঠিত ডেনমার্কের মোট আয়তন ৪২ হাজার ৯৪৩ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬৮ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত। যা দেশটিকে জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেছে। কোপেনহেগেন ডেনমার্কের রাজধানী ও প্রধান শহর। মুসলিমরা ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা দুই লাখ ৫৬ হাজার, যা মোট জনসংখ্যার ৪.৪ শতাংশ। অক্টোবর ২০১৯ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ডেনমার্কে বসবাসরত মুসলিমদের সংখ্যা তিন লাখ ১৩ হাজার ৭১৩ জন এবং ডেনিস জনগণের ৫.৪০ শতাংশ মুসলিম। গত কয়েক দশকে ডেনমার্কে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৮০ সালে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার, যা ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৬ শতাংশ। বর্তমানে তা তিন লাখে উন্নীত হয়েছে। ডেনমার্কে বসবাসরত মুসলিমদের ৭০ শতাংশ

ইয়ারমুকের যুদ্ধ

ছবি
৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের আজকের দিনে ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।ইয়ারমুক সিরিয়ার এক নদীর নাম। বর্তমানে এই নদী সিরিয়া, জর্দান এবং ইসরাইলের মধ্যে প্রবাহিত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী এবং খুলাফায়ে রাশেদুনের বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ। হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা:-এর খেলাফতের শেষ এবং হজরত ওমর রা:-এর খেলাফতের শুরুতে। রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের পর ইয়ারমুকের যুদ্ধই ছিল মুসলমানদের জন্য বড় বিজয়। এই যুদ্ধে মুসলমানদের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং বাইজেন্টাইনদের পক্ষে সম্রাট হেরাক্লিয়াস। আনুমানিক ২৪,০০০-৪০,০০০ সৈন্য নিয়ে খালিদ ইয়ারমুকের প্রান্তরে হাজির হন।প্রাথমিক মুসলিম সূত্রানুযায়ী, বাইজান্টাইন সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লাখ। প্রাথমিক রোমান সূত্রানুযায়ী সেই সংখ্যা প্রায় ১,৪০,০০০ জন। কিন্তু আধুনিক হিসাব অনুযায়ী বাইজান্টাইনরা প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ইয়ারমুক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সে যা-ই হোক, বাইজান্টাইনদের সৈন্যসংখ্যা মুসলিম বাহিনীর থেকে যে অনেক বেশি ছিল তাতে সকল সূত্রই একমত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক যুদ্ধ। ছয় দিনের এই

নও মুসলিম তাকাজাওয়া

ছবি
তাকাজাওয়া আপনি কি জানেন যে ইসলাম অন্যান্য দেশের মত জাপানেও দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম? জাপানে গত এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে মসজিদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানে ইসলাম সব থেকে দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করার খেতাবপ্রাপ্ত। জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির টানাডা হিরোফুমির এক জরিপ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষের দিকে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৩০ হাজারে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাকাজাওয়া, তিনি জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্যাটু শিল্পীদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং শীর্ষ অভিনেতা, সেলিব্রিটি এবং এমনকি জাপানি ইয়াকুজা মাফিয়ার কর্তাদের সাথে কাজ করছিলেন। ২০০৬ সালে, টোকিওর একটি রাস্তায় হাঁটার সময়, শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিমের সাথে তাঁর দেখা হয়। যিনি ওসমানীয় সুলতান 'আব্দুল হামিদ' এর যুগের পণ্ডিতদের অধীনে অধ্যয়ন করেছিলেন। সেই সময় শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিম তাঁকে ইসলাম ধর্মে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পত্র দেন। তাকাজাওয়া পত

মানবদেহ ৩৬০টি অস্থিসন্ধি

ছবি
১৯৯৫ সালের পূর্বে বৈজ্ঞানিক মহলে চিন্তা করা হত, মানবদেহ মোট ৩৪০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু ১৯৯৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রমাণ করে, মানুষের উভয় কানের প্রতিটিতেই দশটি করে অস্থিসন্ধি রয়েছে। এর মাধ্যমে পূর্বের ৩৪০টি অস্থিসন্ধির ধারণার সাথে আরো বিশটি অস্থিসন্ধি যুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, মানবদেহ মোট ৩৬০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল (সা.) নির্ভুলভাবে মানুষের শরীরের অস্থিসন্ধির সংখ্যার বিবরণ দিয়েছেন। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক আদম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থি বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সংখ্যা পরিমাণ আল্লা-হু আকবার বলবে, আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলবে, সুবহা-নাল্ল-হ’ বলবে, আসতাগফিরুল্ল-হ’ বলবে, মানুষের চলার পথ থেকে একটি পাথর বা একটি কাটা বা একটি হাড় সরাবে, সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে চলাফেরা করবে যে, সে নিজেকে ৩৬০ (গ্রন্থি) সংখ্যা পরিমাণ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে অর্থা