ক্ষমতা ও পদের জন্য লালায়িত ছিলেন না। ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে

 

উমাইয়ারা তাদের বিচারক হওয়ার জন্য ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং দশ দিন জেলে কাটিয়েছিলেন। প্রতিদিন দশবার বেত্রাঘাত করা হয়েছিল তাকে। উমাইয়াদের পতনের পর ৭৬৩ সালে দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মনসুর আবু হানিফাকে মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে থাকার জন্য তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। খলিফা ও ইমাম আবু হানিফার মধ্যে নিম্নোক্ত আলোচনা হয়:
খলিফা: আমি চাই তুমি আমার প্রধান বিচারক হও।
ইমাম আবু হানিফা: সত্য কথা হলো আমি উক্ত পদের জন্য যোগ্য নই।
খলিফা: মিথ্যাবাদী! আপনি দেশের সবচেয়ে যোগ্যতম একজন!
ইমাম আবু হানিফা: আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে আমি যোগ্য নই।
খলিফা: আরে আমি কখন বললাম, আপনি যোগ্য নন?
ইমাম আবু হানিফা: এইমাত্র। আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযুক্ত করলেন। এই অভিযোগের ব্যাখ্যায় আবু হানিফা বলেন, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই তাহলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করার ব্যাপারে আমার মতামত সঠিক, কারণ কিভাবে আপনি প্রধান বিচারপতির পদে একজন মিথ্যাবাদীকে বসাবেন।” এই ব্যাখ্যা শুনে আল-মনসুর আবু হানিফাকে গ্রেফতার করেন ও তাঁকে নির্যাতন করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। এমনকি বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিতেন কে তাঁর সাথে দেখা করতে পারবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল