পোস্টগুলি

খালিস্তান ও ক্রিকেটার আর্শদীপ সিং

ছবি
পাঞ্জাব অঞ্চল শিখদের ঐতিহ্যগত মাতৃভূমি। ইংরেজ দ্বারা অধিকৃত হবার আগে পাঞ্জাব শিখদের দ্বারা ৮২ বছর শাসিত হয়; ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র পাঞ্জাব শিখ মিসল (সার্বভৌম শিখ রাষ্ট্র) সমূহের অধীন ছিল, তারপর মহারাজা রণজিৎ সিং শিখ মৈত্রী সঙ্ঘকে শিখ সাম্রাজ্যের মাঝে একীভূত করেন। তবে সেখানে শিখদের পাশাপাশি অনেক হিন্দু ও মুসলিমও বসবাস করত, এবং ১৯৪৭ সালের আগে শিখরা ব্রিটিশ অখণ্ড পাঞ্জাব রাজ্যের শুধুমাত্র লুধিয়ানা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতে ভারত বিভাজিত করলে শিখ সম্প্রদায়ের কোন স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পাঞ্জাব অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামক একটি ধর্মরাষ্ট্র সৃষ্টির ধারণা পেশ করেন।পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মির ও রাজস্থানের অংশ বিশেষ নিয়ে প্রস্তাবিত এই স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে শিখদের পছন্দ চন্দ্রিগড় শহর। খালিস্তান হলো পাঞ্জাবি শব্দ যার অর্থ হলো বিশুদ্ধ ভূমি। পাঞ্জাবের শিখরা পাঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবা

ইহুদিদের রক্ষায় সুলতান বায়েজিদের জাহাজ প্রেরণ

  ১৪৯২ সালে নৃশংস স্প্যানিশ ইনকুইজিশনের সময়, খ্রিস্টানরা খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকারকারী মুসলিম ও ইহুদিদের নির্যাতন, হত্যা এবং বহিষ্কার করেছিল। ওই সময় প্রায় ১৩ হাজার ইহুদিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিল তৎকালীন স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ। এ স্প্যানিশ ইহুদিরা তখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের স্পেনের ইনকুইজিশন কোর্টের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো। ওই কোর্ট বা আদালতের রায় ছিলো নিপীড়নমূলক। এটাকে ইহুদি ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যয়মূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। ওই সময় আল-হামরা ডিক্রি বা আদেশ অনুসারে ইহুদিদের স্পেন থেকে চলে যেতে বলা হয়। তাদের আরও বলা হয় যে তারা যেন আর কখনও স্পেনে ফিরে না আসেন।১৪৯২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে স্বাক্ষরিত ডিক্রিটি ছিলো ১৪৯২ সালের ২ আগস্টের মধ্যে স্পেন থেকে প্রত্যেক ইহুদিকে বহিষ্কারের একটি আদেশ। উসমানীয় সুলতান বায়েজিদ যখন এই কথা শুনলেন, তখন তিনি ইহুদিদের উদ্ধার করে মুসলিম ভূমিতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পুরো উসমানীয় নৌবাহিনীকে স্পেনে পাঠান। তারপর তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল, এবং ভালোবাসা ও সম্মানের সাথে আচরণ করা হয়েছিল।হাজার হাজার ইহুদি উসমানীয় অ

শায়খ উসমান ত্বহা

ছবি
শায়খ উসমান ত্বহা হলেন বিখ্যাত সিরিয়ান ক্যালিগ্রাফার। তিনি হাতে কোরআন লেখার জন্য সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর হাতে লেখা কোরআনের পান্ডুলিপি ২০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিশ্বব্যাপী বিতরণ করা হয়েছে। উসমান ত্বহা ৩৬ বছরের মধ্যে ১২ বার পুরো কোরআন লিখেছেন - এবং কেউ একটি পৃষ্ঠায় ভুল খুঁজে পায়নি। প্রতিটি পৃষ্ঠা সারা বিশ্বের একদল বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ দল তাকে বলেছিল, 'এই মহৎ কাজের জন্য আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন যেন তুমি কুরআনের খেদমত করতে পারো। শায়খ একদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি একবার কোরআন লিখতে অফিসে এসেছিলেন। কলম তুলে নেন কিন্তু লেখা যাচ্ছিল না। তিনি তার সাথে অফিসে থাকা শায়খকে ডাকলেন এবং তারা সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ করে আবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কলমটি তখনও সরেনি বা লিখতে পারেনি। শায়খ বললেন, 'তখন আমি বুঝতে পারলাম যে আমি ফজরের নামাজ পড়ার পর নতুন করে ওজু করিনি। তাই আমি আমার ওজু নতুন করে করলাম, কলম তুলে নিলাম এবং লিখতে শুরু করলাম।" উসমান ত্বহা বলেন, 'আমাকে বিভিন্ন দেশে শিল্প আঁকার জন্য লক্ষাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি তা প্রত্যা

বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ দিনগুলো

ছবি
বাহাদুর শাহ জাফর স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো শেষ মুঘল সম্রাট।মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট জহিরুদ্দীন বাবরের ১৯তম উত্তরসূরী এবং শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন তিনি। বাহাদুর শাহ তাঁর ক্ষমতাকালে জড়িয়ে গিয়েছিলেন 'সিপাহী বিদ্রোহের' সঙ্গে। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে বিশাল অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।ওই অভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হওয়ার পর সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার দায়ে মামলা করা হয়, তাঁকে বন্দী করা হয় ও ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন বর্তমানের মিয়ানমারে তাঁকে নির্বাসন দেওয়া হয়।১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর ৮৩ বছরের বৃদ্ধ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর, সম্রাজ্ঞী জিনাত মহল, দুই শাহজাদা, শাহজাদী এবং অন্য আত্মীয় ও ভৃত্যদের নিয়ে ইংরেজ গোলন্দাজ ও অশ্বারোহী বাহিনী দিল্লি ত্যাগ করে। ৯ ডিসেম্বর জাহাজ রেঙ্গুনে পৌঁছে। ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন নেলসন ডেভিসের বাসভবনের ছোট গ্যারেজে সম্রাট ও তার পরিবার-পরিজনের বন্দিজীবন শুরু হয়। সম্রাটকে শুতে দেয়া হয় একটা পাটের দড়ির খাটিয়ায়। ভারতের প্রিয় মাতৃভূমি থেকে বহু দূরে রেঙ্গুনের মাটিতে সম্রাটের

৩০ বছর পানিতে ডুবে থাকা মসজিদ এখন দৃশ্যমান

ছবি
ভারতের বিহার রাজ্যের নওদা জেলার একটি নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রাচীন মসজিদের দেখা মিলেছে। মসজিদটি ৩০ বছর আগে একটি বাঁধ নির্মাণের কারণে নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর মসজিদটিকে এখনো তার পূর্বের অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। যা দেখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। মসজিদটি প্রায় ৩০ ফুট উঁচু এবং উপরে অলঙ্কৃত গম্বুজ রয়েছে। এলাকার প্রবীণ মানুষেরা মসজিদটিকে নূরী মসজিদ হিসাবে স্মরণ করছে। অনেকে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ঐতিহাসিক মসজিদটি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় দেখে অবাক হচ্ছেন। সবাই এটা দেখে বিস্মিত যে তিন দশক ধরে পানিতে ডুবে থাকার পরেও মসজিদটির সুন্দর কাঠামোর সামান্যতম কোনো ক্ষতি হয়নি।

ক্ষমতা ও পদের জন্য লালায়িত ছিলেন না। ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে

  উমাইয়ারা তাদের বিচারক হওয়ার জন্য ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং দশ দিন জেলে কাটিয়েছিলেন। প্রতিদিন দশবার বেত্রাঘাত করা হয়েছিল তাকে। উমাইয়াদের পতনের পর ৭৬৩ সালে দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মনসুর আবু হানিফাকে মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে থাকার জন্য তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। খলিফা ও ইমাম আবু হানিফার মধ্যে নিম্নোক্ত আলোচনা হয়: খলিফা: আমি চাই তুমি আমার প্রধান বিচারক হও। ইমাম আবু হানিফা: সত্য কথা হলো আমি উক্ত পদের জন্য যোগ্য নই। খলিফা: মিথ্যাবাদী! আপনি দেশের সবচেয়ে যোগ্যতম একজন! ইমাম আবু হানিফা: আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে আমি যোগ্য নই। খলিফা: আরে আমি কখন বললাম, আপনি যোগ্য নন? ইমাম আবু হানিফা: এইমাত্র। আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযুক্ত করলেন। এই অভিযোগের ব্যাখ্যায় আবু হানিফা বলেন, “আমি যদি মিথ্যাবাদী হই তাহলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করার ব্যাপারে আমার মতামত সঠিক, কারণ কিভাবে আপনি প্রধান বিচারপতির পদে একজন মিথ্যাবাদীকে বসাবেন।” এই ব্যাখ্যা শুনে আল-মনসুর আবু হানিফাকে গ্রেফতার করেন

R I P সবার জন্য নয়

মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও বিশ্বাসীদের জন্য সঙ্গত নয়; যদিও তারা আত্মীয়ই হোক না কেন, তাদের কাছে একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। ( সুরা তাওবা, আয়াত -১১৩) এই আয়াতের তফসীর সহীহ বুখারীতে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন নবী (সাঃ)-এর চাচা আবু তালেবের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এল, তখন নবী (সাঃ) তার নিকট গেলেন। তার নিকট আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ বিন আবী উমাইয়্যাহ বসেছিল। নবী (সাঃ) বললেন, ‘‘চাচাজান! ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে নিন, যাতে আমি আল্লাহর নিকট আপনার জন্য প্রমাণ পেশ করতে পারি। আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ বিন আবী উমাইয়্যাহ বলল, ‘‘হে আবু তালেব! (মৃত্যুর) সময় আব্দুল মুত্তালিবের ধর্ম ত্যাগ করবে?’’ (শেষে ঐ অবস্থাতেই তার মৃত্যু হল।) নবী (সাঃ) বললেন, ‘‘যতক্ষণ আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাকে নিষেধ না করা হবে, ততক্ষণ আমি আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকব।’’ তখন উক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হল, যাতে মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী)

ঔপনিবেশ শাসন মুক্ত হলেও মানসিক দাসত্বের মোচন হয়নি

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না' – এই প্রবচনের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। প্রবচনটি যে কেবল আলঙ্কারিক অর্থে ব্যবহৃত হতো সেরকম নয়। বাস্তবিকই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভৌগোলিকভাবে এতটাই বিস্তৃত ছিল যে, সাম্রাজ্যের এক অংশে সূর্যাস্ত হয়ে গেলেও আরেক অংশের আকাশে সূর্য ঠিকই অবস্থান করত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল মানব ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য, এবং পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশ জুড়ে এই সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। ১৯১৩ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩% ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনাধীনে ছিল। ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৪৫ কোটি ৮০ লাখ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট আয়তন ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ বর্গ কি.মি., অর্থাৎপৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় এক চতুর্থাংশ। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেন ছিল বিশ্বের প্রধান সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসন শুরু হয়। ঠিক এক শতাব্দীর মধ্যে ১৮৫৮ সালে ভারতে আজাদি আন্দোলন ব্যর্থ হবার পর ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

সুফি সাধক জুনায়েদ আল-বাগদাদি

সুফি সাধক জুনায়েদ আল-বাগদাদি প্রাথমিক জীবনে একজন রাজার অধীনে রাজকীয় কুস্তিগীর ছিলেন। তিনি শক্তিশালী এবং বিখ্যাত কুস্তিগীর হওয়ায় লোকেরা তাকে প্রচুর অর্থের জন্য চ্যালেঞ্জ করত এবং রাজা সহ বিশাল দর্শকদের সামনে তিনি কুস্তি করতেন। এমনই এক অনুষ্ঠানে, একজন অত্যন্ত দুর্বল চেহারার এক লোক রাজাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি জুনায়েদ আল-বাগদাদীকে চ্যালেঞ্জ করতে চান। রাজা প্রথমে লোকটির প্রস্তাব গ্রহণ করতে নারাজ কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে লোকটি জুনায়েদকে কোন চ্যালেঞ্জ করবে না। তবে কিছুক্ষণ পর রাজা মেনে নিলেন এবং শুরু হল কুস্তি। উভয় কুস্তিগীর অপেক্ষারত বিশাল জনতার সামনে ওয়ার্ম আপ করতে শুরু করেন। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে লোকটি শায়খ জুনায়েদকে বললেন: "আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। তুমি আর আমি দুজনেই জানি আমি তোমাকে হারাতে পারব না। আমার আপনাকে চ্যালেঞ্জ করার কারণ হল আমি একজন সাইয়্যেদ (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধর)। আমি এবং আমার পরিবার দারিদ্র্যের কবলে পড়েছি এবং আমরা অনেক দিন ধরে খাইনি। আমরা আর ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আমার বংশকে সম্মান করুন এবং আমাকে এই ম

সুলতান সুলাইমান

ছবি
সুলতান সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ট সাম্রাজ্যাধিপতি হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় খেলাফতের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। তিনি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত প্রভাবশালী সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন।সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী পূর্ণ রোমান সাম্রাজ্য এবং সুবিশাল হাঙ্গেরির পতন ঘটায়। সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভি রাজবংশের শাহ প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া ও লিবিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো দখল করেন। তার শাসনামলে তার অধীনস্থ কাপুদান পাশা (নৌ-সেনাপতি) খিজির খাইরুদ্দিন বারবারোসা, স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে দোরিয়ার নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এই নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে।এছাড়াও তার নৌ-বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নর

ডেনমার্ক ও হিজাব

ছবি
হিজাব হলো নারীর অধিকার। ডেনমার্কের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করার নতুন সুপারিশে ডেনমার্ক জুড়ে বিতর্ক ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম ধনী ও আধুনিক রাষ্ট্র ডেনমার্ক ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এটি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ। অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপভূমি নিয়ে গঠিত ডেনমার্কের মোট আয়তন ৪২ হাজার ৯৪৩ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬৮ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত। যা দেশটিকে জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেছে। কোপেনহেগেন ডেনমার্কের রাজধানী ও প্রধান শহর। মুসলিমরা ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা দুই লাখ ৫৬ হাজার, যা মোট জনসংখ্যার ৪.৪ শতাংশ। অক্টোবর ২০১৯ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ডেনমার্কে বসবাসরত মুসলিমদের সংখ্যা তিন লাখ ১৩ হাজার ৭১৩ জন এবং ডেনিস জনগণের ৫.৪০ শতাংশ মুসলিম। গত কয়েক দশকে ডেনমার্কে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৮০ সালে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার, যা ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৬ শতাংশ। বর্তমানে তা তিন লাখে উন্নীত হয়েছে। ডেনমার্কে বসবাসরত মুসলিমদের ৭০ শতাংশ

ইয়ারমুকের যুদ্ধ

ছবি
৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের আজকের দিনে ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।ইয়ারমুক সিরিয়ার এক নদীর নাম। বর্তমানে এই নদী সিরিয়া, জর্দান এবং ইসরাইলের মধ্যে প্রবাহিত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী এবং খুলাফায়ে রাশেদুনের বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ। হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা:-এর খেলাফতের শেষ এবং হজরত ওমর রা:-এর খেলাফতের শুরুতে। রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের পর ইয়ারমুকের যুদ্ধই ছিল মুসলমানদের জন্য বড় বিজয়। এই যুদ্ধে মুসলমানদের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং বাইজেন্টাইনদের পক্ষে সম্রাট হেরাক্লিয়াস। আনুমানিক ২৪,০০০-৪০,০০০ সৈন্য নিয়ে খালিদ ইয়ারমুকের প্রান্তরে হাজির হন।প্রাথমিক মুসলিম সূত্রানুযায়ী, বাইজান্টাইন সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লাখ। প্রাথমিক রোমান সূত্রানুযায়ী সেই সংখ্যা প্রায় ১,৪০,০০০ জন। কিন্তু আধুনিক হিসাব অনুযায়ী বাইজান্টাইনরা প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ইয়ারমুক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সে যা-ই হোক, বাইজান্টাইনদের সৈন্যসংখ্যা মুসলিম বাহিনীর থেকে যে অনেক বেশি ছিল তাতে সকল সূত্রই একমত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক যুদ্ধ। ছয় দিনের এই

নও মুসলিম তাকাজাওয়া

ছবি
তাকাজাওয়া আপনি কি জানেন যে ইসলাম অন্যান্য দেশের মত জাপানেও দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম? জাপানে গত এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে মসজিদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানে ইসলাম সব থেকে দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করার খেতাবপ্রাপ্ত। জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির টানাডা হিরোফুমির এক জরিপ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষের দিকে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৩০ হাজারে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাকাজাওয়া, তিনি জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্যাটু শিল্পীদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং শীর্ষ অভিনেতা, সেলিব্রিটি এবং এমনকি জাপানি ইয়াকুজা মাফিয়ার কর্তাদের সাথে কাজ করছিলেন। ২০০৬ সালে, টোকিওর একটি রাস্তায় হাঁটার সময়, শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিমের সাথে তাঁর দেখা হয়। যিনি ওসমানীয় সুলতান 'আব্দুল হামিদ' এর যুগের পণ্ডিতদের অধীনে অধ্যয়ন করেছিলেন। সেই সময় শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিম তাঁকে ইসলাম ধর্মে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পত্র দেন। তাকাজাওয়া পত

মানবদেহ ৩৬০টি অস্থিসন্ধি

ছবি
১৯৯৫ সালের পূর্বে বৈজ্ঞানিক মহলে চিন্তা করা হত, মানবদেহ মোট ৩৪০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু ১৯৯৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রমাণ করে, মানুষের উভয় কানের প্রতিটিতেই দশটি করে অস্থিসন্ধি রয়েছে। এর মাধ্যমে পূর্বের ৩৪০টি অস্থিসন্ধির ধারণার সাথে আরো বিশটি অস্থিসন্ধি যুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, মানবদেহ মোট ৩৬০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল (সা.) নির্ভুলভাবে মানুষের শরীরের অস্থিসন্ধির সংখ্যার বিবরণ দিয়েছেন। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক আদম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থি বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সংখ্যা পরিমাণ আল্লা-হু আকবার বলবে, আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলবে, সুবহা-নাল্ল-হ’ বলবে, আসতাগফিরুল্ল-হ’ বলবে, মানুষের চলার পথ থেকে একটি পাথর বা একটি কাটা বা একটি হাড় সরাবে, সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে চলাফেরা করবে যে, সে নিজেকে ৩৬০ (গ্রন্থি) সংখ্যা পরিমাণ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে অর্থা

জাপানে মুসলিম

ছবি
  এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জাপান সাগর, পূর্ব চীন সাগর, চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার পূর্ব দিকে উত্তরে ও খোত্স্ক সাগর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান পর্যন্ত প্রসারিত। যে কাঞ্জি অনুসারে জাপানের নামটি এসেছে, সেটির অর্থ ‘সূর্য উৎস। জাপানকে প্রায়ই ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়।জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুশু ও শিকোকু। এই চারটি দ্বীপ জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা নিয়ে গঠিত। জাপানের জনসংখ্যা ১২৬ মিলিয়ন। জনসংখ্যার হিসেবে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯.১ মিলিয়ন। জাপানের প্রধান দুইটি ধর্ম হলো শিন্তো ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম।অষ্টম শতকে চীনা মুসলিমদের সংস্পর্শে জাপানিরা সর্বপ্রথম ইসলামে দীক্ষিত হন। মেইজি শাসনামলে (১৮৬৮-১৮৯০) জাপানিরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর থেকে মুসলিমরা জাপানে যাতায়াত করেন এবং জাপানিরা ইসলামের সান্নিধ্যে আসতে শুরু করেন।রুশ বিপ্লবের পর রাশিয়া থেকে কয়েকশ তুর্কি মুসলিম অভিবাসী ১৯২০-র দশকে জাপানে পাড়ি জমায়। ১৯৩০ সালে

হযরত আবু বকরের (রা.) ওফাত

ছবি
রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের পর আবু বকর ( রা) ৬৩২ সালে প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন।তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন বিভিন্ন গোত্র ইসলামি আদর্শ থেকে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই বিদ্রোহগুলো ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। হযরত আবু বকর বিদ্রোহকে প্রজ্ঞা ও কোমলতার সাথে দমন করেন এবং এভাবে মুসলিম সংহতি ও বন্ধন সুদূর করেন। তিনি বিদ্রোহীদের সামরিকভাবে মোকাবিলা করেছিলেন এবং যারা ফিরে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিশোধ নেননি। আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। ভন্ডনবি দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন তাঁর শাসনামলের শেষ মাসগুলোতে সিরিয়া ও পারস্যেও অভিযান পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর, এই অভিযানগুলো তাঁর উত্তরসূরিদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, বিশেষ করে দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব, যার শাসনামলে মুসলিম বাহিনী যথাক্রমে কাদেসিয়া এবং ইয়ারমুকের যুদ্ধে শক্তিশালী পারসিক এবং বাইজেন্টাইনদের পরাজিত করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় ক

বিসমিল্লায় গলদ

হরহামেশাই আমরা 'বিসমিল্লায় গলদ’ বাগধারাটি ব্যবহার করে থাকি। যার অর্থ হচ্ছে, শুরুতেই ভুল, সূচনাতে গন্ডগোল। বাগধারাটির অর্থ যাই হোক, পাঠক বা পাঠিকা একটু ভাবুনতো, আপনি কী বলছেন? আপনি বলছেন বিসমিল্লায় গলদ। ইসলামে বিসমিল্লাহর গুরুত্ব কতো গভীর অর্থবহ ও বরকতময় তা প্রত্যেক মুমিন জানেন। পবিত্র কোরআনে একটি মাত্র সূরা ছাড়া প্রত্যেক সূরার শুরুতে স্বয়ং আল্লাহপাক বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেছেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনে যতো কাজ করেছেন, সব কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেছেন। বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করলে আল্লাহ সে কাজে বরকত দেন। কাজের জটিলতা দূর করে দেন। এই বরকতময় বিসমিল্লাহতে কেমন করে গলদ থাকতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিসমিল্লাহতে যদি গলদ থাকে তাহলে শুদ্ধ কোথায় পাওয়া যাবে? ‘বিসমিল্লায় গলদ’ বাগধারাটির বিকল্প বাগধারা হলো গোড়ায় গলদ। জাহেলি যুগে লোকদের অভ্যাস ছিল সব কাজ তাদের দেব-দেবীর নামে শুরু করা। এ চেতনা রহিত করার জন্যই ‘বিসমিল্লাহ’ চালু হয়। ইসলামের সূচনাকালে প্রিয় নবী (সা.) সব কাজ ‘বি-ইসমিকা আল্লাহুম্মা’ বলে শুরু করতেন এবং লেখাতেন। কিন্তু ‘বিসমিল্লাহ’ নাজিল হওয়ায় সব কা

হযরত খুবাইব ইবনে আদি (রা.)

ছবি
  মক্কার মুশরিকদের অত্যাচার যখন বেড়েই চলেছিল তখন আল্লাহ তা'আলার নির্দেশে নবীজী (সাঃ) মদীনায় হিজরত করেন। দুনিয়া থেকে ইসলামকে চিরতরে মুছে দিতে মক্কার মুশরিকরা সব ধরনের পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়। তাদের এ প্রচেষ্টা হিজরতের পরেও চলমান ছিল। দ্বিতীয় হিজরীতে ইতিহাসের এক নজিরবিহীন অসম যুদ্ধের অবতারণা হয় বদরের প্রান্তরে। গুটিকয়েক মুসলমানদের একটি বাহিনীর হাতে নাস্তানাবুদ হয় মুশরিকদের বিশাল বাহিনী। উহুদের যুদ্ধেও তেমন সুবিধা করতে না পেরে এবার তারা চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম মক্কার উপকণ্ঠে একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করলেন মুশরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম দশ বা বরোজনেরজনের একটি দল অনুসন্ধানের জন্য তৈরি করলেন। তাদের নেতৃত্বের ভার অর্পিত হয় আসেম ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর উপর। তাদের মধ্যেই একজন খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু আনহু। তারা মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কার উপকণ্ঠে রাজি নামক একটি ঝর্ণার কাছে পৌঁছানো। এমন সময়ই কিছু লোক তাদের দেখে ফেলে এবং গোপনে হুজাইন গোত্রের একটি শাখা বনু লেহি

মানজিকার্টের যুদ্ধে বন্দি বাইজেন্টাইন সম্রাট

ছবি
২৬ আগস্ট ১০৭১ খ্রিস্টাব্দ, সেলজুক সুলতান আলপ আরসালান মানজিকার্টের যুদ্ধে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করান বাইজেন্টাইন সম্রাট রোমানোসকে। Alp Arslan defeated Eastern Roman Empire in battle of Manzikert 1071 and opened Anatolia for Sunni Turks. He is also the only Muslim commander in the entire history who was not only able to defeat but also imprison a Roman Emperor . সুলতান মুহাম্মদ বিন দাউদ, ইতিহাসে যিনি পরিচিত আলপ আরসালান। তিনি সেলজুক রাজবংশের তৃতীয় সুলতান এবং সেলজুকের প্রপৌত্র। তার সময় থেকেই সেলজুক বংশ রাজবংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার সামরিক দক্ষতা, বীরত্ব এবং লড়াইয়ে পারদর্শিতার জন্য তিনি আলপ আরসালান উপাধি লাভ করেন। বাইজেন্টাইন সম্রাট ৪র্থ রোমানোস ডিয়োজেনেস ১০৭১ সালে বিশাল এক বাহিনী নিয়ে আরসালানের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।যুদ্ধে সেলজুক বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল বাইজান্টাইনদের তুলনায় খুবই নগণ্য। বাইজান্টাইন বাহিনীতে ছিল ফ্রেঞ্চ, গ্রীক, রাশানসহ বিভিন্ন জাতির ২ লক্ষাধিক সেনা, ওদিকে সেলজুক বাহিনীতে সৈন্যসংখা মাত্র ১৫ হাজারের কাছাকাছি।ভন লেকের উত্তর দিকের মুরাট নদীর তীরবর্তী মানযিকার্টে আলপ

হযরত ওমর (রা) এর চারটি কারামত

ছবি
ক. পানি যখন মিশর বিজয় সম্পন্ন হলো, তখন মিশরের বাসিন্দারা আমর ইবনুল আসের কাছে এসে বলল, আমাদের এ নীলনদে প্রতি বছর এক সুন্দরী কন্যাকে উৎসর্গ করতে হয়। অন্যথায় নদীতে পানি আসে না। ফলে আমাদের শহর ও এলাকাগুলোতে শস্য হানিজনিত আকাল দেখা দেয়। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা.)-কে তিনি তখন ব্যাপারটি পত্র লিখে অবহিত করলেন। আমরের পত্র পেয়ে খলিফা ওমর রা. নীল নদকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লেখেন। “আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমরের পক্ষ থেকে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ থেকে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ থেকে আর প্রবাহিত হওয়া থেতে বিরত থাক। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর নির্দেশে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”। আমর ইবনুল আস নীল নদের তীরে গিয়ে হযরত ওমরের পত্রটি নদীতে নিক্ষেপ করেন। পরদিন শনিবার। জেগে উঠে নীল নদ। সকালে মিশরবাসী অবাক নয়নে দেখেন, আল্লাহ তায়ালা এক রাতে নীল নদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠে নীল নদ