পোস্টগুলি

ভাস্কো দা গামার জলপথে ভারতে আসার পথ প্রদর্শক ছিলেন একজন মুসলিম

ছবি
মো.আবু রায়হান : ১৪৯৮ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত। কেননা এই বছর ইউরোপীয়দের মধ্যে নাবিক ভাস্কো দা গামা জলপথে প্রথম ভারতে আসেন।গামা  একজন পর্তুগীজ অনুসন্ধানকারী, পর্যটক ও  প্ৰথম ইউরোপীয় ব্যক্তি যিনি সম্পূৰ্ণ সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসে উপস্থিত হন। ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করে ইউরোপের বেনিয়াদের যেমন দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আসার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন তেমনি এ অঞ্চলে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের যাত্রাও শুরু হয়েছিল এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ইউরোপীয় জাতিসমুহ প্রধানত, পর্তুগিজ, ডাচ, বৃটিশ ও স্প্যানিশ এ অঞ্চল সমুহে এসে বানিজ্য করেছে, ধর্ম প্রচার করেছে, দস্যুতা করেছে, হত্যা করেছে, সাম্রাজ্য স্থাপন করেছে অতঃপর, বিশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায় তারা বিতাড়িত হয়েছে৷  ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ৪টি জাহাজ এবং ১৭০জনের এক নাবিকদল নিয়ে ভাস্কো দা গামা লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন। আফ্রিকা থেকে ভারত এবং আবার ফিরে আসার দূরত্ব বিষুবরেখার চারপাশের দূরত্ব থেকে ও বেশি ছিল। নাবিক হিসেবে তার সাথে ছিল পর্তুগালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেরো দি আলেনকুয়ের,পেড্ৰো ইস্কোবার,জোয়াও

আকাশে প্রথম উড়ার কৃতিত্ব ও বিমানের স্বপ্নদ্রষ্টা একজন মুসলিম

ছবি
মো.আবু রায়হান : আকাশে পাখি উড়তে দেখে মানুষেরও ইচ্ছে করেছিল আকাশে উড়তে। একদিন তা সম্ভবও হলো। গ্রিক উপকথায় ইকারাসের আকাশে ওড়ার কাহিনী হয়তো কম-বেশি অনেকের জানা। আমরা বিমান আবিষ্কারের এক্কেবারে গোড়ার ইতিহাসের দিকে ফিরে যাব। মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই যে মানুষের আকাশে উড়াল দেবার স্বপ্নের বীজ মনোজগতে অঙ্কুরিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেটির যে রূপায়ণ ঘটেছে তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না তারপরও যেহেতু এই ইতিহাস অনেকেরই অজানা তাই তা আলোকপাত করা উচিত বলে মনে করি। কুরআনে বলা হয়েছে, "আর তোমাদের আরোহনের জন্য এবং শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন অনেক কিছু, যা তোমরা জান না।"( সুরা নাহল আয়াত -৮)।এই আয়াতের তাফসীরে বলা যায় ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে মহান আল্লাহ অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়, যা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তাঁরই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরী করেছে। যেমন বাস, ট্টেন, রেলগাড়ি, জলজাহাজ ও বিমানসহ অসংখ্য

আবাবিল কোনো পাখির নাম নয় বরং এক ঝাঁক পাখি

ছবি
মো.আবু রায়হান : মহানবি (সা.)'র জন্ম বৎসরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাসে একটি বিখ্যাত ঘটনা সংঘটিত হয়।ঘটনাটি ইতিহাসে হস্তী বর্ষ বা হস্তিবর্ষ , আরবিতে আমুল ফিল, ইংরেজিতে  The Year of the Elephant নামে পরিচিত।ইয়েমেনের শাসক আবরাহা কাবা ঘর ধবংস করতে মক্কায় আসে। যে ঘটনাটি কুরআনের সুরা ফিলে বর্ণিত হয়েছে। আবরাহার কাবা ঘর আক্রমণের প্রাক্কালে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল নামে পাখি এসে তার দলের ওপর কংকর নিক্ষেপ করে ফলে আবরাহা র কাবা ধ্বংসের অভিলাষ নসাৎ হয়ে যায়। এ ঘটনাটি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু যাকে আমরা আবাবিল পাখি বলে অভিহিত করি সেটি কি আসলেই পাখির নাম? চলুন আগে ঘটনাটি আরেকবার জেনে নিই।তারপর না হয়....  হাবশার বাদশাহর পক্ষ থেকে ইয়ামেনে আবরাহা গভর্নর ছিল। সানায় আল কালীস বা আল কুলীস অথবা আল কুল্লাইস নামে একটি বিশাল গীর্জা নির্মাণ করল। আর চেষ্টা করল, যাতে লোকেরা কা’বাগৃহ ত্যাগ করে ইবাদত ও হজ্জ-উমরাহর জন্য এখানে আসে। এ কাজ মক্কাবাসী তথা অন্যান্য আরব গোত্রের জন্য অপছন্দনীয় ছিল। অতএব তাদের মধ্যে একজন আবরাহার নির্মাণকৃত উপাসনালয়ে পায়খানা করে নোংরা করে দিল। আবরাহার নিকট খবর পৌঁছল যে, গির্জাকে কেউ নোংরা ও অপবি

বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন অনুবাদক আমির উদ্দীন বসুনিয়া

ছবি
মো.আবু রায়হান : বিশ্ব মানবতার হেদায়েতের উৎস আল কুরআন। কুরআন আরবি ভাষায় নাযিলকৃত।আল্লাহ তায়ালা বলেন, "নিশ্চয়ই আমি এটিকে কোরআন রূপে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা হুদ, আয়াত - ২)।কিন্তু  বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের মাতৃভাষায় বোঝার সুবিধার্থে কুরআন তাদের নিজস্ব ভাষা অনুবাদ করা হয়েছে।কুরআন এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ভাষা অনূদিত হয়েছে। ইংরেজী ভাষায় পবিত্র আল কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন আলেকজান্ডার বস ১৬৪৮ সালে। ইটালিয়ান ভাষায় প্রথম অনুবাদ করেন আন্দ্রে এ্যারি ত্যারিনি ১৫৪৭ সালে। জার্মানি ভাষায়  প্রথম অনুবাদ করেন সলেমন স্কেইজারী ১৫৪৭ সালে। আন্দ্রে ডুরিৎয়ার ফরাসী ভাষায় কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন ১৬৪৭ সালে। পিত্তটর ডি পোষ্টানিকড ১৭১৬ সালে রাশিয়ান ভাষায়  কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন। উর্দু ভাষায় কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন  আব্দুস সালাম মোহাম্মদ ১৮২৮ সালে। বিশ্ব নবীর জীবদ্দশায় কুরআন বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত না হলেও তাঁর ওফাতের পর কুরআন প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ভাষা অনূদিত হয়েছে।মক্কায় ইসলাম প্রচারে যখন রাসূল (দ.) তীব্র বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তখন সেখানে একজন

রোজ কিয়ামত কত দূর ?

ছবি
মো.আবু রায়হান : কুরআনে বিভিন্ন সুরাতে কিয়ামত কথা আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে কিয়ামতের আলোচনা করা হয়েছে। আজকাল কথায় কথায় কেয়ামত সন্নিকটে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়। এই দলে বক্তা থেকে কিছু ইউটিউবার পর্যন্ত যুক্ত আছেন। দাজ্জাল কখন আসবে, ইয়াজুজ মাজুজ কখন গেট ভেঙ্গে আসবে, ইমাম মাহদী নাকি ইতোমধ্যে এসেছেন ইত্যাদি সস্তা কথা বলে জমজমাট ব্যবসা করছে ইউটিউবাররা। এসব শোনে কিছু জাহেল মুসলমান জড়োসড়ো হয়ে হাত পা ছেড়ে দিয়ে কিয়ামতের দুশ্চিন্তায় অস্থির। অথচ কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সন তারিখ কুরআন ও হাদিসের কোথাও নেই।এই প্রসঙ্গে কোরআন-হাদিসে নির্দিষ্ট কোন তারিখ উল্লেখ না থাকলেও কিয়ামতের  আলামত বা নিদর্শন সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘তারা কি শুধু এই অপেক্ষায় রয়েছে যে কিয়ামত তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুত কিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই পড়েছে। সুতরাং এসে পড়লে তারা কীভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত - ১৮)। অপর আয়াতে বলা হয়েছে, তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত কখন হবে? আপনি বলে দিন, এর খবর তো আপনার পালনকর

জগদীশচন্দ্র বসুর ১৩৫০ বছর আগে আল কুরআনে গাছের প্রাণের স্বীকৃতি

ছবি
মো.আবু রায়হান : আজ থেকে ১০০ বছর আগের মানুষেরা গাছের যে প্রাণ আছে তা জানতো না। বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু গাছের যে প্রাণ আছে তা আবিষ্কার করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দেন। সর্বপ্রথম তার উদ্ভিদের প্রাণ থাকার ঘোষণায় বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। জগদীশ চন্দ্র বসু তিনি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের কাছে জে. সি. বোস নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সমকালীন বাঙালী বিজ্ঞানীদের মধ্যে পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চায় ছিলেন অগ্রগণ্য। বিজ্ঞানে তার অবদানের মধ্যে এক বিরাট অংশ জুড়ে আছে জৈবপদার্থবিদ্যা বা বায়োফিজিক্স।বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র ১৯০২ সালে রচনা করলেন ‘Responses in the living and non living’| ১৯০৬ সালে প্রকাশিত তার দুটি গ্রন্থের মধ্যে তিনি প্রমাণ করলেন উদ্ভিদ বা প্রাণীকে কোনভাবে উত্তেজিত করলে তা থেকে একইরকম সাড়া মেলে। তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন যে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মানব জীবনের ন্যায় উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি আছে। গাছের বৃদ্ধি মাপার জন্য তিনি একটি সূক্ষ্ম যন্ত্র তৈরি করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল  এটির বাংলা নাম দেবেন ‘বৃদ্ধিমান’, কিন্তু ইংরেজ সাহেবদের বিকৃত উ

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

ছবি
মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে। ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে গোপন করার চেষ্টা করবে। কেননা সে

যারা সরাসরি কুরআন, হাদিস মেনে চলার পক্ষে, আলেম/ইমাম অনুসরণের প্রয়োজন নেই বলে ফতোয়া দেন!

ছবি
ইসলাম শুধু ধর্ম নয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাও। ইসলামের সুমহান বাণী জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে আল্লাহ পাক এই ধরাধামে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন। তাদের মূল কাজ ছিল মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদ তথা তাওহিদের প্রতি আহবান ও পাপাচারের জীবন ত্যাগ করে আল্লাহ মুখী করা। আল কুরআনে নবি-রাসুলদের (আ.) মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।’ (সুরা জুমুআ, আয়াত - ২)হযরত আদম (আ.)থেকে নবুওয়াতের যে মিশনের সূচনা হয়েছি তা শেষ হয়েছিল আমাদের প্রিয় নবী (সা.) আগমন ও তিরোধানের মধ্য দিয়ে।কেননা তাঁর ওফাতের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে নবী রাসুল আসার সিলসিলা সমাপ্ত হয়ে গেছে। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত নতুন করে কোনো নবী রাসুলের আবির্ভাব ঘটবে না।  এজন্য আমাদের রাসুল (সা.) কে খাতামুল আম্বিয়া বলা হয়।  নবী-রাসুলদের দায়িত্ব আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়া কিন্তু নবী রাসুলদের অবর্তমানে কারা এই দায়িত্ব পালন করবেন?আম্বিয়াদের রেখে যাওয়া মত ও পথে কারা কান্ডারির ভূমিকায় অ

করোনা পরিস্থিতিতে বেকার জীবন প্রলম্বিত

ছবি
মো.আবু রায়হান :চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্ষতবিক্ষত মানববতা। মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ,পারমাণবিক বোমা,চন্দ্র অভিযান, মঙ্গলগ্রহ জয় সবই অসার প্রয়োজনবিহীন মনে হচ্ছে। যেখানে মানবতা রাস্তা ঘাটে, ঘরে দম বন্ধ হয়ে মরছে সেখানে এসব প্রযুক্তি অভিযান কি কাজে লাগবে?  সামান্য একটি ভাইরাস মানুষকে নাস্তানাবুদ করে চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। কপালে ফেলেছে চিন্তার ছাপ। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী আজ অবধি সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছে ৯৫ হাজার মানুষ। একইসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যাও ১৬ লাখ ছুঁয়েছে। করোনায় আক্রান্ত  সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৪৮০ জন। বিশ্বের আকাশে বাতাসে দম বন্ধ আর্তনাদ, প্রকৃতি যেন নীরবে সিরিয়াল কিলার হয়ে মানুষ খুন করছে। পৃথিবী নামক গ্রহে বসবাসে যেমন আমাদের অন্য দেশসমূহের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগী হয়ে চলতে হয় তেমনি দুর্যোগ দুর্ঘটনা সবাইকে স্পর্শ করে। বৈশ্বিক এই পরিবর্তনের ঢেউ আমাদের গায়ে তথা বাংলাদেশও লাগছে।গত আট মার্চ বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হবার পর করোনা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। সতর্ক পদক

মসজিদ বন্ধ না খোলা!

ছবি
  মো.আবু রায়হান : করোনা ভাইরাসের কারণে মসজিদ বন্ধ করা হয়নি,মসজিদ খোলা কিন্তু মুসল্লি সমাগম কমা‌নোর কথা বলা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।এই ঘোষণার পর একদল আলেম মসজিদ খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে অন্যদিকে আল্লামা শফীসহ একদল আলেম সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।যারা মসজিদে জনসমাগমের পক্ষের তারা চরম প্রতিবাদ করেছেন।তারা আল্লাহর গজব থেকে বাঁচতে বেশি বেশি মসজিদে আগমনের কথা বলেন। কিন্তু অপরপক্ষ বলছেন মসজিদে আসা একমাত্র ইবাদত নয়। আরও বহু নেক আমল আছে। মসজিদে মুসল্লি সীমিত করার বিরুদ্ধে যারা তারা এমন ভাবখানা দেখাচ্ছেন যে ইহুদি নাসারা মসজিদ চিরতরের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে!  আর খোলা হবে না।ইমান চলে গেল। সব ইহুদী নাসারা হয়ে গেছে ইত্যাদি। অথচ মসজিদ খোলা রয়েছে তা বারবার বলা হচ্ছে!করোনা সংক্রমিত হবার আশংকায় ও জীবন হানি ঠেকাতে  মসজিদে মুসল্লি সমাগম শ

যুগেযুগে বিভিন্ন পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর যত গজব

ছবি
মো.আবু রায়হান : আল্লাহ তায়ালা বড়ই দয়ালু ও মেহেরমান। তিনি তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতি অত্যন্ত সদাশয় ও ন্যায়নিষ্ঠ। আল্লাহ  তাঁর বান্দাদের হাজারো গুনাহ ক্ষমা করে দেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে যারা নাফরমানী করে, অবাধ্য হয়ে যায়, পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সীমা লংঘন করে তাদের তিনি গজবের  দ্বারা পাকড়াও করে সমূলে ধবংস করে দেন। মানুষের পাপে যখন সর্বত্র ছেয়ে যায় তখন আল্লাহর পক্ষ হতে শাস্তি অনিবার্য হয়ে যায়। কুরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘আর তোমাদের কৃতকর্মের কারণই তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে। অথচ তিনি অনেক কিছুই উপেক্ষা করে থাকেন’ (সুরা আশ শুরা আয়াত- ৩০)। আল্লাহ পাক আরো এরশাদ করেন,‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছেয়ে গেছে। এর পরিণামে তিনি তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তির স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে’ (সুরা আর রূম আয়াত - ৪১)।আল্লাহর অবাধ্যতা, সীমালঙ্ঘন ও অবাধ পাপাচারের জন্য আল্লাহ অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি,ঝড়, ভূকম্পন, আকাশের গর্জন ও প্লাবন দিয়ে অতীতে অনেক জাতি ও সম্প্রদায়কে ধবংস করেছেন। আল্লাহ বলেন,'......... তাদের প্রত্যেকেই তার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছিলোম। তাদের কারো

আজ মহিমান্বিত শবেবরাত ফজিলত ও আমল

ছবি
সারা মুসলিম দুনিয়ায় আজি এসেছে নামিয়া শবে-বরাত, রুজি-রোজগার-জান-সালামৎ বণ্টন-করা পুণ্য রাত।                                                 - শবেবরাত, কবি গোলাম মোস্তফা হিজরি পঞ্জিকার অষ্টম মাস তথা শাবান মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়ে থাকে। হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে পালিত মুসলিমদের একটি পূণ্যময় মহিমান্বিত রজনী শবেবরাত।শবেবরাতের  আরবি হলো লাইলাতুল বরাত। ফারসি শব আর আরবি লাইলাতুন অর্থ রজনী, রাত। বরাত অর্থ হলো মুক্তি, পরিত্রাণ, ভাগ্য। তাহলে সমন্বিত অর্থ দাঁড়ায় পরিত্রাণের রজনী। এই রাতে আল্লাহ মুসলমানদের মাগফিরাত বা গুনাহ থেকে পরিত্রাণ দেন, তাই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল বরাত বা শবেবরাত। কুরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও বিভিন্ন গ্রন্থে শবেবরাতের বর্ণনা আছে ভিন্ন নামে, ভিন্ন শব্দে ও আলাদা পরিভাষায়।কতিপয় আলেমদের অভিমত কুরআনের পরিভাষায় শবেবরাতকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ বলা হয়েছে। হাদিসের পরিভাষায় এটাকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান (মধ্য শাবানের রজনী) বলা হয়। তাফসির, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিকহের গ্রন্থসমূহে শবেবরাতের আরো কিছ

ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন!

মো. আবু রায়হান :ভাগ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে না, মানুষই ভাগ্য নিয়ে প্রতারণা করে। - পিলপে চেষ্টা চালানো হয় না, ভাগ্যের চাকা ঘুরানোতে যতসব কৃপনতা, ভাল কাজে সময় গড়িয়ে যায় নষ্টে কষ্টে আজে-বাজে তবুও দোষ দেই না আমার, দোষ দেই ভাগ্যের।। ১৮৮৩ সাল, হেনরি জিগল্যান্ড তখন তাগড়া যুবক। কিন্তু সেই বয়সেই মস্ত বড় একটা ভুল করে ফেলেছিলেন, তবে ভাবতে পারেননি সেই ঘটনা তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে এতগুলো বছর পরও! নিজের প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করায় তাঁর প্রেমিকা অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করে বসেন। ফলে ঐ প্রেমিকার বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ধেয়ে আসেন হেনরিকে খুন করবেন বলে, খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত গুলিও করেন তাঁকে। এরপর হেনরিকে মৃত ভেবে নিজের মাথায়ও বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হেনরি, গুলিটা তাঁর মুখ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়, বিদ্ধ হয় পেছনেরই একটি গাছে। নিশ্চিতভাবেই ভাবলেন, “বড্ড ভাগ্যবান আমি, খুবজোর বেঁচে গেছি!” কিন্তু বিধাতার খেয়াল হয়তো ছিলো অন্যরকম। অনেকগুলো বছর কেটে গেছে এরপর, হেনরিও ততদিনে যৌবনকাল পিছনে ফেলে এসেছেন। একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, বাড়ির সামনের বিশালকায় গাছটি কেটে ফেলবেন। ততদিন

করোনার দোয়া এবং বিবিধ প্রসঙ্গ

মো.আবু রায়হান :ফেরাউন যখন লোহিত সাগরে ডুবে মরছিল তখন বলছিল আহাদ, আহাদ, আহাদ অর্থ আল্লাহ অদ্বিতীয়, তার কোনো অংশীদার নেই। আল্লাহর কঠিন আজাব দেখে সেদিন ফেরাউন তাওবা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার তাওবা গৃহীত হয়নি। আল্লাহ তাআলা তাকে সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেন। শুধু তাই নয় আল্লাহ তায়ালা বললেন,  ‘আজ আমি তোমার (ফেরাউন) দেহ রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। অবশ্যই মানুষের মধ্যে অনেকে আমার নিদর্শন সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : ইউনুুস, আয়াত : ৯২)।এতে বোঝা গেল,  তওবার দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে না।কেননা  আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।'(সুরা আল জুমার,আয়াত-৫৪)।হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, হযরত আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আশয়ারী (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ পশ্চিম (আকাশ) দিক থেকে সূর্যোদয় (কেয়ামত) না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে তার ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করতে থাকেন। যাতে রাতে গুনাহগার তওবা করে। (মুসলিম)।উপরিউক্ত কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওলা

এক টুকরো কিয়ামতের মাঠ

  মো.আবু রায়হান : আজ ইতালিতে সবাই কাঁদছে,অসহায় ডাক্তার কাঁদছে, জনগণ কাঁদছে।নিরুপায় সবাই। শোকে বিহ্বল ইতালিবাসি। চারিদিকে শত শত লাশের সারি। শহরে কবর দেওয়ার জায়গা নেই।  সেনাবাহিনী ট্রাকে করে মৃতদেহ শহরের বাইরে নিয়ে কবর দিচ্ছে। লাশ সৎকারের সময় পরিবারের কাউকে যেতে দিচ্ছে না সংক্রমণের ভয়ে। কেউ কেউ ভয়ে মৃত আত্মীয় স্বজনের পাশেই ভিড়ছে না। সবাই নিজেদের নিয়ে চিন্তিত।বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অস্থির।বিশ্বের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানে  উন্নত একটি রাষ্ট্র ইতালি।আজ সেই ইতালি অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাস্ত ও বড্ড অসহায়। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় চীনকে ছাড়িয়ে ইতালি এখন শীর্ষে। এক করোনায় যেন ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে গোটা ইতালি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় গতকাল আরো ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪৭৬ জনে।দেশটিতে প্রতি দুই মিনিটে একজন করে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ব্রিটিশ ডেইলি মিররের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। জাতির উদ্দেশ্যে  ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন, 'আমরা মহামারীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীর

ভেজালের ভিড়ে আসল

বাঙালিদের জোচ্চুরি আর বদ স্বভাবের কারণে বাংলা কিছু শব্দের পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য কিছু শব্দ প্রয়োগ না করলে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা থাকে না নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আগের দিনে মধু বিক্রেতাকে মধু বিক্রয় করতে বলতে হতো না জনাব নেন খাঁটি মধু। এখন মধু দুধ এরকম ভালো কিছু জিনিস বিক্রয় করতে গেলে বলতে হয় নেন খাঁটি দুধ, খাটি মধু, খাটি সোনা, খাঁটি হীরা। এটা বলতে হয় এখন বাঙালিদের চরিত্রের অবক্ষয় ও চৌর্যবৃত্তির কারনে ও বিশ্বাস নামক বস্তুর তিরোধানের কারণে। আগের দিনে শাসন বললে ভালো কিছুই বোঝাত সেখানে কুশাসনের মাত্রা কম থাকত। এখন শাসন মানেই কুশাসনের লেশ আছে এজন্য শাসনকে জাতে আনার জন্য সুশাসন ব্যবহার করা হয়। আগে নীতি মানে পজিটিভ কিছু বোঝাত। এখন নীতির সাথে সুনীতি লাগে। নচেৎ বিশ্বাস নড়বড়ে ও হালকা হয়ে যায়। বাঙালীদের চরিত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে বাংলা শব্দের বিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে। ভালো জিনিসের নকল তৈরি হয়। খারাপ জিনিসের হয়না। রাজাকার মানেই খারাপ এর আগে ভালো শব্দ যোগ করলেও রাজাকার ভালো হবেনা। আবার কেউ এর আগে ভুয়া শব্দ যোগ করে বলবে না ভুয়া রাজাকার, ভুয়া ডাকাত। কিন্তু ভালো একটা জিনিস মুক্তিযোদ্ধা এ সম্মানিত শব্দের পূর্বে