সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভাস্কো দা গামার জলপথে ভারতে আসার পথ প্রদর্শক ছিলেন একজন মুসলিম


মো.আবু রায়হান :১৪৯৮ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত। কেননা এই বছর ইউরোপীয়দের মধ্যে নাবিক ভাস্কো দা গামা জলপথে প্রথম ভারতে আসেন।গামা  একজন পর্তুগীজ অনুসন্ধানকারী, পর্যটক ও  প্ৰথম ইউরোপীয় ব্যক্তি যিনি সম্পূৰ্ণ সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসে উপস্থিত হন। ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করে ইউরোপের বেনিয়াদের যেমন দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আসার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন তেমনি এ অঞ্চলে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের যাত্রাও শুরু হয়েছিল এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ইউরোপীয় জাতিসমুহ প্রধানত, পর্তুগিজ, ডাচ, বৃটিশ ও স্প্যানিশ এ অঞ্চল সমুহে এসে বানিজ্য করেছে, ধর্ম প্রচার করেছে, দস্যুতা করেছে, হত্যা করেছে, সাম্রাজ্য স্থাপন করেছে অতঃপর, বিশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায় তারা বিতাড়িত হয়েছে৷ ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ৪টি জাহাজ এবং ১৭০জনের এক নাবিকদল নিয়ে ভাস্কো দা গামা লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন। আফ্রিকা থেকে ভারত এবং আবার ফিরে আসার দূরত্ব বিষুবরেখার চারপাশের দূরত্ব থেকে ও বেশি ছিল। নাবিক হিসেবে তার সাথে ছিল পর্তুগালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেরো দি আলেনকুয়ের,পেড্ৰো ইস্কোবার,জোয়াও দি কইম্ব্রা, এবং আফন্সো গনকালেভস। বার্থালোমিয় ডায়াজ কর্তৃক ১৪৮৭ সালে আবিষ্কৃত উত্তমাশা অন্তরীপ প্রদক্ষিণ করে সামা ৪ নভেম্বর আফ্রিকা উপকূলে অবতরণ করেছিল। অতঃপর ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ সালের ২রা মার্চ থেকে ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত মোজাম্বিক দ্বীপের নিকটে সময় অতিবাহিত করেন৷ ভারত মহাসাগরে বাণিজ্যিক অঞ্চলের একটি অংশ ছিল পূর্ব আফ্রিকার উপকূলবর্তী আরব অধ্যুষিত এই অঞ্চল।আধুনিক কেনিয়ার কাছে, সমুদ্রযাত্রায় তারা জলদস্যুতার পথ অবলম্বন করত এবং কোন রকম ভারি কামান ছাড়া নিরীহ নিরস্ত্র আরব বাণিজ্যিক জাহাজে লুটপাট করত। 
পর্তুগীজরা হচ্ছে প্ৰথম ইউরোপীয় যারা ১৪৯৮ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল এর মধ্যে মোম্বাসা বন্দরের পরিচয় পায়৷ কিন্তু তারা স্থানীয় লোকের প্রতিশোধের বলি হয়ে পলায়ন করে।ভাস্কো দা গামা উত্তরে যাত্রা অব্যাহত রেখে ১৪৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল মালিন্দী বন্দরে এসে উপস্থিত হন।মালিন্দী পর্যন্ত তাদের পথ চেনা ছিল এরপর তাদের কাছে বিশাল সাগরের বুক চিড়ে সামনে এগিয়ে চলা পথ ছিল অচেনা। এমতাবস্থায় গামা এবং তার সহযোগীরা সেখানে একজন নৌপরিচালক খোঁজে। এসময় নৌপরিচালক হিসেবে আরবের মহান নাবিক ইবনে মজিদকে খুঁজে পায়। যার ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূল, কালিকটে যাবার জন্য অনুকূল মৌসুমী বায়ু সম্বন্ধে জ্ঞান ছিল।। ১৪৯৮ সালের ২৪এপ্রিল দা গামা দলবলসমেত মালিন্দী থেকে ভারত অভিমুখে রাওনা হন।১৪৯৮ সালের ২০ মে ভাস্কো দা গামা নৌবহরসহ কালিকটের নিকটবর্তী কাপ্পাডুতে এসে উপস্থিত হন। লোকমুখ বা ইতিহাসের পাতায় সর্বত্র ভাস্কো দা গামাকে ভারতে আসার জলপথের আবিষ্কারক বলা হলেও আরব বনিকরা এ পথে যাতায়াত ও বানিজ্য করতেন প্রায় প্রাচীন কাল হতে। আরব বন্দরসমুহ থেকে দক্ষিণে মোজাম্বিক, আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া, কেনিয়ার বন্দর সমুহ ও পূর্ব দিকে ভারত, চাঁটগাও, জাভা, মালয়েশিয়া, চীনের ক্যান্টনে আরব বণিকরা ছড়িয়ে পড়েছিলেন পৃথিবীর সর্বত্র।এবার আসি নাবিক ইবনে মজিদের কথায় যিনি মালিন্দী বন্দর থেকে গামাকে কালিকট বন্দরে নিয়ে আসেন। আহমদ ইবনে মজিদ ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর, পারস্য উপসাগর, পশ্চিম চীন সাগর এবং মালয় দ্বীপপুঞ্জের পানিসীমা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং এ সম্পর্কে গ্রন্থ রচনা করেন। তার এ সমুদ্র পথ বিষয়ে জ্ঞান কাজে লাগায় ইউরোপীয় নাবিকগণ। 
মূলকথা ভাস্কো দা গামা যখন মালিন্দি পৌছেন তখন আহমদ ইবনে মজিদের খোঁজ পান এবং তাঁর সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন। আহমদ ইবনে মজিদ সে প্রস্তাবে সায় দিয়ে, পথ দেখিয়ে ভাস্কো দা গামাকে ভারত উপকুলে নিয়ে আসেন। ইউরোপীয় নাবিকরা যখন ভারত ও আমেরিকা যাওয়ার পানিপথ আবিষ্কারে ব্যস্ত তখন যে তথ্য ও অভিজ্ঞতা তারা ইবনে মজিদ থেকে পেয়েছিলেন, তার ঋণ অপ্রতিশোধ্য। মুসলমানদের তৈরি কম্পাস, মানচিত্র এবং গ্রন্থাদির প্রত্যক্ষ সাহায্য নিয়ে তারা অগ্রসর হয়েছিলেন। এছাড়া ঐ সময় ইউরোপীয়দের বিকল্প কোন রাস্তা ছিল না।শিহাব আল-দীন আহম্মদ ইবনে মজিদ আল নজদি ছিলেন তখনকার সময়ের জগদ্বিখ্যাত নাবিক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী। ইবনে মজিদের পিতা ছিলেন একজন অভিজ্ঞ নাবিক।বলা হয়, Ibn Majid was the son of a navigator. In 1498 he piloted the ships of Vasco da Gama from the eastern seacoast of Africa to Calicut.
সমুদ্র বিদ্যায় পিতার কাছ থেকে তিনি মূল্যবান জ্ঞান ও তথ্য লাভ করেন বলে নিজেই উল্লেখ করেছেন।ইবনে মজিদের জন্ম তারিখ সঠিক জানা যায় না। তবে তার রচিত গ্রন্থাদির রচনা-সাল পরীক্ষা করে ধারণা করা হয় ১৪৩৩ থেকে ১৪৪১ খৃষ্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন। কারো মতে Ahmad ibn Majid was born in Oman, probably in 1432.তবে অন্য মতে Ahmad ibn Majid was born in an Arab Muslim sea-faring family in 1432 in Sharjah, now in U.A.E., which was then a part of Oman.উইকিপিডিয়া মতে  He was an Arabian navigator and cartographer born c. 1432 in Julfar, present-day Ras Al Khaimah, United Arab Emirates.মূলকথা তিনি আরব পরিবারের সন্তান।সতেরো বছর বয়সে তার সাগর অভিযানের অভিষেক হয়েছিল।   বংশানুক্রমে তিনি ছিলেন নাবিক ও এ সম্পৰ্কীয় তথ্যাদির রচয়িতা। তার পিতাকে বলা হতো ‘দুই উপকূলের নৌ-পরিচালক’ আর তাকে স্মরণ করা হয় সমুদ্রের সিংহ হিসেবে।উইকিপিডিয়া মতে Ahmad ibn Mājid also known as "the Lion of the Sea." 
ইবনে মজিদ নৌ-চলাচল বিষয়ক ৩০টি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ১৪৮০-৯০ সালে লিখিত ‘কিতাবুন ফাওয়াহিদ কী উসুল ইলমুল বহর ওয়াল কাওয়ায়ীদ’ তার অতি মূল্যবান রচনা। এতে তিনি নৌ-পরিচালনা, চৌম্বক কম্পাসের পৌরানিক উৎস, চান্দ্রগতি পথের ২৮টি অংশ, ভারত মহাসাগরের সমুদ্রপথ, পশ্চিম চীন সমুদ্রের বিভিন্ন বন্দরের দ্রাঘিমাংশ, দশটি বিখ্যাত বড় দ্বীপ ও লোহিত সাগরের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন।

আহমদ ইবনে মজিদের নাম এতটাই বিখ্যাত ছিল যে তাঁর মারা যাওয়ার ৩৫০ বছর পরেও স্যার রিচার্ড বার্টন যখন ১৮৫৪ সালে এডেন বন্দর থেকে রওনা দেন সেই সময় জেলেদেরকে তাঁর নামে প্রার্থনা করতে দেখেছেন। James Preincep এর মতে, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ও ভারত এবং মালদ্বীপের লোকেরা ইবনে মজিদকে স্মরণ করতো।Encyclopedia of Islam এ উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪৯৮ সালের ২৪ এপ্রিল ইবনে মজিদ ভাস্কো দা গামাকে নিয়ে আফ্রিকা ঘুরে পানিপথে ভারত যাত্রা করেন। তার অভিজ্ঞতা, যন্ত্রপাতির নিখুঁত ব্যবহার এবং দক্ষতার কারণে ভাস্কো দা গামা ইতিপূর্বে ইবনে মজিদের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। তাই প্রকৃত পক্ষে ভারত যাত্রার জলপথ আবিষ্কারে ইউরোপের নাম বেচা কেনার বলি হয়েছেন ইবনে মজিদ। কলম্বাসের অনেক আগেই যেমন মুসলমানরা সেখানে পৌছে গিয়েছিলেন, তেমনি সমসাময়িক ভাস্কো দা গামার অভিযানের পূর্বেই তার ইউরোপ থেকে ভারত আসার পানিপথের খবর রাখতেন। 
সত্য অনুসন্ধান ও তা পরিস্ফুঠিত করাই ইতিহাসের কাজ।ইবনে মজিদ একজন বাস্তব হিরো, যিনি আফ্রিকা উপকূল থেকে ভারত উপকূলে আসার জলপথ আবিষ্কারে ভাস্কো দা গামাকে পথনির্দেশ করেছেন।উইকিপিডিয়া মতে,"He became famous in the West as the navigator who helped Vasco da Gama find his way from Africa to India." তিনি ইতিহাসে অবহেলিত হলেও সমুদ্রে যোগাযোগ ও এ সংক্রান্ত কাজে যারা জড়িত তারা এখনো তাঁকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। He was so famous that he was known as the first Arab seaman.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...