পোস্টগুলি

পম্পেই নগরী

ছবি
পম্পেই নগরী হল একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান ছোট নগর বা শহর; ইতালির কাম্পানিয়া অঞ্চলের আধুনিক নেপলসের (নাপোলি) কাছে পম্পেই ইউনিয়নে এর অবস্থান। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১) সেই সব অনুল্লিখিত জাতি ও জনপদের একটি ইতালির পম্পেই নগরী। পৃথিবীর প্রাচীনতম অভিজাত জনপদগুলোর একটি ছিল এই পম্পেই নগরী। সে সময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি ছিল নগরটি। এটি ছিল দুই হাজার বছরের পুরনো একটি অভিজাত শহর। ইতালির তৎকালীন রাজা ওসকান খ্রিস্টপূর্ব ছয় থেকে সাত শতাব্দীর দিকে এই শহরের গোড়াপত্তন করেন। এরপর ইউরোপে সংঘটিত বিভিন্ন পর্যায়ের যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে খ্রিস্টপূর্ব ৮০ শতাব্দীর দিকে এই শহরটিতে রোমান সাম্রাজ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। আর সেখানে গড়ে ওঠে রোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম শিল্পবন্দর। তখন থেকেই রোমানরা সেখানে বসবাস শুরু করে। ক্রমান্বয়ে সেটি হয়ে ওঠে সমকালীন

শুধু বাঙালিরা কী হুজুগে?

ছবি
আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন এবং আগে পরে ঘটে গেল অদ্ভুদ সব কান্ড। এসব ঘটনা ঘটাতে আমরাই কী শুধু হুজুগে? হুজুগের চেয়ে এখানে আমাদের আবেগ ছিল প্রবল ও কল্পনাতীত। ছবিতে দেখছেন গোল্ডেন গেট ব্রিজ যা সোনালি দুয়ার হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় বস্তু। এই ব্রিজকে সানফ্রান্সিস্কোতে একতা আইকন প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটা তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত লোকজন বিশ্বাস করত না যে এরকম ব্রিজ হবে। ১৯১৬ সালে ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে এই সেতুটির প্রতি মনোযোগ দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেতুটি নির্মাণের অনুমতি দেয়। নানারকম সমস্যা কাটিয়ে প্রায় বাইশ বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলে। সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২৭ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৩৭ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভল্টে উদ্বোধন করেন। ২৭ মে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনের দিন জনগণের উপচে পড়া ভিড়। দ্বিতীয় ছবিতে ব্রিজের ৫০ বছর পূর্তিতেও ছিল হুজুগে আমেরিকানরা। আসুন কানে কানে একটা খ

আলোকবিজ্ঞানের জনক ইবনে আল হাইথাম

ছবি
আবু আলি আল হাসান ইবনে আল হাসান ইবনে আল হাইথাম বা সংক্ষেপে ইবনে আল হাইথাম, ৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বসরা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।তাকে পশ্চিমারা ‘আল হাজেন’ বলে ডাকে। আবার তার জন্মভূমির নাম বসরা অনুসারে তাকে কখনো ‘আল বসরি’ নামেও ডাকা হয়। এছাড়াও আল-হায়থামকে ফরাসি ইতিহাসবিদ আবু'ল-হাসান বায়হাকি দ্বিতীয় টলেমি এবং জন পেকহ্যামের দ্য ফিজিসিস্ট নামে অভিহিত করেন। তাকে বলা হয় আলোকবিজ্ঞানের জনক। ইবনে আল-হায়থাম ছিলেন যিনি দর্শনানুভূতির ব্যাখ্যার সর্বপ্রথম প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে 'আলো কোন বস্তু হইতে প্রতিফলিত হয়ে চোখে আসে বলেই সেই বস্তুটি দৃশ্যমান হয়'।এছাড়াও তিনিই প্রথম যিনি এটাও দেখিয়ে ছিলেন, দর্শনানুভূতির কেন্দ্র চোখে নয়, বরং মস্তিষ্কে। এর বাইরেও তার ছোট-বড় অবদান রয়েছে অ্যানাটমি বা অঙ্গব্যবচ্ছেদবিজ্ঞান, জোতির্বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন এবং সর্বোপরি বৈজ্ঞানিক গবেষণার পদ্ধতিগত উন্নয়নে। ইবনে আল হাইথাম পিনহোল ক্যামেরা নামে একটি ক্যামেরা তৈরি করেছিলেন, যাকে পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি ছিল আলো নি

সম্রাট হুমায়ুন ও তাঁর লাইব্রেরি

ছবি
ছবির ঘরটি সম্রাট হুমায়ুন লাইব্রেরি এটি ছিল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার। শত বছর পেরিয়েও আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই গ্রন্থাগার। বলা হয়ে থাকে এটি সম্রাট হুমায়ুনের জ্ঞান চর্চার বাতিঘর। ভারতে এটি হুমায়ুন লাইব্রেরি হিসেবে পরিচিত। লাইব্রেরির নির্মাণ ও স্থাপত্যশৈলী অনেক দৃষ্টিনন্দন। এটি অষ্টভুজাকৃতির নির্মাণ শিল্প। দিন শেষে অস্তমিত যাওয়া সূর্যের রোদ লাল বেলেপাথর থেকে খুব সুন্দরভাবে অবলোকন করা যায়। ভারতের দিল্লির পুরান কেল্লার ভেতরে এই লাইব্রেরির অবস্থান। সম্রাট হুমায়ুন না থাকলেও আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার জ্ঞান চর্চার বাতিঘর হুমায়ুন লাইব্রেরি। যদিও এর নির্মাণ আদেশ সম্রাট বাবরের সময় হয়েছিলো, কিন্তু হঠাৎ মৃত্যুর জন্য সম্রাট বাবরের জীবদ্দশায় এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সম্রাট হুমায়ুন শের শাহের কাছে পরাজিত হলে দুর্গের দখল চলে যায় শের শাহের কাছে, ফলে এর নির্মাণকাজ স্থগিত হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার হিন্দুস্তানের সম্রাট হওয়ার পর সম্রাট হুমায়ুন এর নির্মাণ কাজ শেষ করান। শের শাহের সম্মানে স্থাপনাটির নামকরণ করা হয় 'শের মণ্ডল'। সম্রাট হুমায়ুন এই স্থাপনাটি তার ব্যক্তিগত প

মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক

ছবি
মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক বা মিশরীয় চিত্রলিপি। ইংরেজি: Hieroglyphic বা বহুবচনে মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক্স হলো মিশরীয় লিপিবিশেষ। প্রাচীন মিশরে তিন ধরনের লিপি প্রচলিত ছিলো: হায়ারোগ্লিফিক (মিশরীয়), হায়রাটিক এবং ডেমোটিক। তিনটি লিপির নামই গ্রিকদের দেয়া। হায়ারোগ্লিফিক লিপির প্রতীককে বলা হয় "হায়ারোগ্লিফ"।গ্রিক "হায়ারোগ্লিফ" শব্দের অর্থ 'উৎকীর্ণ পবিত্র চিহ্ন'। গ্রিকরা যখন মিশর অধিকার করে তখন তাদের ধারণা হয় যে, যেহেতু পুরোহিতরা লিপিকরের দায়িত্ব পালন করেন, আর মন্দিরের গায়ে এই লিপি খোদাই করা রয়েছে,এই লিপি নিশ্চয়ই ধর্মীয়ভাবে কোনো পবিত্র লিপি।গ্রিক 'হায়ারোগ্লুফিকোস' থেকে পরবর্তি ল্যাটিন 'হায়ারোগ্লিফিকাস' হয়ে ফরাসি 'হায়রোগ্লিফিক' থেকে ইংরেজি 'হায়ারোগ্লিফিক' শব্দটি এসেছে। গ্রিক উপসর্গ 'হায়ারোস' অর্থ 'পবিত্র', আর 'গ্লুফি' অর্থ 'খোদাই করা লেখা। ১৭৯৮ খ্রিষ্টাব্দে নেপোলিয়ন মিশর আক্রমণ করেন এবং ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তার সৈন্যরা বিখ্যাত রোসেটা কৃষ্ণশিলাপট উদ্ধার করেন। রোসেটা কৃষ্ণশিলাপট আসলে একটি শিলালিপ

আহমদ শাহ দুররানি

ছবি
  আফগানিস্তানের ইতিহাসে আহমদ শাহ দুররানি আহমদ শাহ আবদালি নামে পিরিচিত। আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাকে সম্মান করা হয়। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন পারস্যরাজ (ইয়ানরাজ) নাদির শাহের সেনাপতি এবং পরবর্তীকালে প্রতিভাবলে তিনি আফগানিস্তানের রাজা হন। ১৭৪৭-১৭৭২ সালে তিনি স্বাধীন রাজা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি আটবার ভারত আক্রমণ করেন। ১৭৫৬ সালে তিনি পাঞ্জাব, কাশ্মির, সিন্ধু প্রভৃতি মুঘল এলাকা দখল করেন। পুত্র তাইমুরকে তিনি এসব এলাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। পরে অরাজকতা দেখা দিলে মারাঠারা তাইমুরকে বিতাড়িত করে দখল করে নেয় লাহোর। এতে নেতৃত্ব দেন রঘুনাথ রাও। পরে আহমদ শাহ আবদালি আবার ভারত আক্রমণ করেন এবং পাঞ্জাবে দখলদারিত্ব কায়েম করেন। ১৭৬১ সালে তিনি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে বিশাল মারাঠা বাহিনীকে হারিয়ে দেন। দুররানি বংশ ও দুররানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান। অনেক মুঘল এলাকা দখল করলেও তিনি দ্বিতীয় শাহ আলমকে ভারতের সম্রাট বলে গণ্য করতেন। আফগানদের কাছে এখনো তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়। আহমদ শাহ আবদালী ১৬ আক্টোবর, ১৭৭২ সালে কান্দাহার প্রদেশে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে কান্দাহার শহরের কেন্দ্রস্

সুলতান শাহ জাহান বেগম

ছবি
ভোপাল রাজ্য আঠার শতাব্দীর ভারতবর্ষে একটি রাষ্ট্র ছিল, ১৮১৮ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের সাথে সহায়ক রাষ্ট্র এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। রাজ্যটি ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সেনাবাহিনীর পশতুন সৈনিক দোস্ত মোহাম্মদ খান দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে ভাড়াটে সৈনিক হন এবং তাঁর রাজত্বকে একাধিক অঞ্চল সংযুক্ত করেছিলেন। এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই এটি ১৭২৩ সালে হায়দরাবাদের নিজামের আধিপত্যের আওতায় আসে। ১৭৩৭ সালে, মারাঠারা মুগল ও ভোপাল নবাবদের ভোপাল যুদ্ধে পরাজিত করে এবং রাষ্ট্র থেকে রাজস্ব সংগ্রহ শুরু করে। তৃতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠাদের পরাজয়ের পরে, ভোপাল ১৮১৮ সালে একটি ব্রিটিশ দেশীয় রাজ্য হয়। ভোপাল রাজ্যটি স্বাধীনতার পূর্বে একজন মুসলিম নেতৃত্বের অধীনে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য ছিল, প্রথমটি ছিলো হায়দরাবাদ রাজ্য । রাজ্যটি ১৯৪৯ সালে ভোপাল হিসাবে ভারতীয় ইউনিয়নে একীভূত হয়। ১৮১৯ থেকে ১৯২৬ এর মধ্যে ভোপাল চারজন মহিলা দ্বারা শাসিত ছিল। এরা বেগম নামে পরিচিত ছিলো। কুদসিয়া বেগম প্রথম মহিলা শাসক ছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি তাঁর এ

হেলেন ও রবীন্দ্রনাথ

ছবি
হেলেন কেলার ১৮৮০ সালের ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আর্থার কেলার ছিলেন সামরিক বিভাগের একজন অফিসার এবং মা কেইট অ্যাডামস। হেলেনের বয়স যখন মাত্র ১৯ মাস তখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বহু চিকিৎসার পর হেলেনের জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু তার কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। তার বয়স যখন ছয় বছর তখন বাবা-মা তাকে ওয়াশিংটনের প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী ও টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে পরামর্শ গ্রহণের জন্য নিয়ে যান। বেল বোস্টনের পার্কিনস ইনস্টিটিউশনে হেলেনকে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য বলেন। এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ ছিল অন্ধদের শিক্ষাদান। পার্কিনস ইনস্টিটিউশনের অ্যানি সুলিভ্যান ম্যানসফিল্ড নামক এক শিক্ষিকার হাতে হেলেনের জীবন আলোকিত করার হয়। এ্যানিও ছোটবেলা থেকে চোখে কম দেখতে পেতেন। কয়েক বছরেই হেলেন ইংরেজি, ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি এবং জার্মান ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। পরে সে ব্রেইল টাইপ রাইটারে লিখতে শেখে। হেলেন এগারো বছর বয়সে এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কথা বলার চর্চা করতে থাকে। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন। ১৯০৪ স
ছবি
মোহাম্মদ আলি একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন, সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলি রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় ও বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছে। ১৯৬৪ সালে তিনি সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ন হওয়ার কারণে। ১৯৬৬ সালে তিনি উত্তীর্ণ হন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন। পরের বছরের জুনে তিনি আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হন। তাঁকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বলেন যে কোরআন যুদ্ধ সমর্থন করে না। আল্লাহ বা নবীর নির্দেশ ছাড়া তিনি যুদ্ধে যাবেন না। “Why should they ask me to put on a uniform and go 10,000 miles from home and drop bombs and bullets on brown people in Vietnam while so-called Negro people in Louisville are treated like dogs?” ‘কেন আমাকে বলা হচ্ছে ইউনিফর্ম পরে দেশ থেকে ১০ হাজার মাইল দূরে গিয়ে ভিয়েতনা

নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন

ছবি
নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন ( ১৫০৮ - ১৫৫৬) মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট, যিনি ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ এবং ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দুই দফায় আধুনিক আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাজত্ব করেছেন।সম্রাট বাবরের মোট সন্তান ছিল ১৮ জন। চারজন বাদে সবাই শৈশবে ইন্তেকাল করেন। চার ছেলেরা হলেন - হুমায়ূন, কামরান, হিন্দাল ও আসকরি । বাবরের প্রথম ছেলে হুমায়ুন পিতার মৃত্যুর তিনদিন পর ১৫৩০ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লীতে সিংহাসনে আরোহণ করেন। হুমায়ূন যখন ২২ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি একজন অনভিজ্ঞ শাসক ছিলেন। তাঁর সৎ ভাই, কামরান মির্জা তাদের পিতার সাম্রাজ্যের উত্তরতম অংশ কাবুল এবং কান্দাহার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। পরে মির্জা হুমায়ূনের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে।হুমায়ুন শেরশাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে মুঘল সাম্রাজ্য হারিয়েছিলেন । ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন চৌসার যুদ্ধে পরাজিত হন এবং ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের যুদ্ধেও পরাজিত হওয়ার কারণে একদিকে হুমায়ুনকে সিংহাসন ত্যাগ করতে হয় এবং অন্যদিকে আফগান সালতানাত পুনরুদ্ধারে শেরশাহ সমর্থ হন। কনৌজের যুদ্ধে

পলাশীর গাদ্দারদের শেষ পরিণতি

ছবি
মোহাম্মদী বেগ- মোহাম্মদী বেগ যাকে নবাব সিরাজ-উ-দৌলার নানা আলীবর্দী খাঁ রাস্তা থেকে তুলে এনে খাদ্য দেন,থাকার জায়গা দেন এবং সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেন। যখন কেউই নবাব সিরাজ-উ-দৌলাকে হত্যা করতে রাজি হয়নি তখন এই মোহাম্মদী বেগ রাজি হয়ে ছিল এবং তার খঞ্জরের আঘাতেই মারা যায় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। মীর জাফর তনয় মিরনের ইশারায় মোহাম্মদী বেগ তাকে হত্যা করে এবং এর পর মীর জাফর নবাব হন। কিন্তু প্রকৃতি বড়ই নির্মম। আল্লাহ কোনো জুলুমবাজ,প্রতারক,অত্যাচারীকে কখনও ক্ষমা করে না।সিরাজকে হত্যা করার কিছুদিন পরই খুনি মোহাম্মদী বেগের মাথায় গোলমাল দেখা দিলে সে নিজেই কুপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। মীরণ- মীরণের মৃত্যু ঘটেছিল বজ্রপাতে। আবার কেউ কেউ বলেন জনৈক ইংরেজ সেনাপতি তার বাড়াবাড়ি দেখে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘসেটি বেগম- সিরাজের খালা ষড়যন্ত্রকারী ঘসেটি বেগমকে মীরণ বুড়িগঙ্গার প্রবল খরস্রোতা নদীতে নৌকা ডুবিয়ে মেরে ফেলে। মীর জাফর- মীর জাফর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দু’দুবার বাংলার মসনদে বসেছিলেন। কুষ্ঠ রোগে আক্রন্ত হয়ে মীর জাফরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার শরীরে অসংখ্য ঘাঁ ও ফোড়া হয়ে রক্ত ও পুজ পড়ে এবং দুর্গন্ধ বের হয়। এ

ইংল্যান্ডে শাহজাহান মসজিদ

ছবি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডে শাহজাহান মসজিদের সামনে ভারতীয় সৈনিকরা চা পান করছেন। ওকিংয়ে শাহজাহান মসজিদ নির্মাণের আগেই ১৮৮৭ সালে লিভারপুলে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন আব্দুল্লাহ কুইলিয়াম। তারপরও একদিক থেকে শাহজাহান মসজিদ এগিয়ে। কেননা শাহজাহান মসজিদই হ’ল ব্রিটেনের প্রথম মসজিদ, যেটির দালান শুরু থেকেই মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত হয়। অন্যদিকে লিভারপুলে মূলত ইতোমধ্যে বিদ্যমান একটি ভবনকে মসজিদে রূপ দিয়েছিলেন কুইলিয়াম। মসজিদটি নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছিলেন ভারতের ভূপাল রাজ্যের শাসক এবং সুলতানা শাহজাহান বেগম (১৮৩৮-১৯০১খ্রি.)।

মরক্কোয় বেদুইন তাবু

ছবি
‘আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস আমি আপনারে ছাড়া করিনা কাহারে কুর্নিশ’ বেদুঈন’ শব্দের অর্থ ‘মরুভূমির মানুষ’। বেদুঈন শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘বেদু’ থেকে। এই শব্দ দ্বারা মরুভূমির স্থায়ী বাসিন্দা (যেমন- কৃষক) আর যাযাবরদের মধ্যে পার্থক্য করা হতো। বেদুঈনরা অন্যান্য পেশার মানুষের মতো একস্থানে বসবাস না করে যাযাবর হিসেবে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করত। মূলত তারা উট, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি চরাতো, যেখানে তারা তাদের পোষা প্রাণীদের জন্যে দরকারি খড়-খাগড়া বা ঘাসের সন্ধান পেতো সেখানে পশুর দল নিয়ে বসবাস করত। বেদুঈন মূলত আরব উপদ্বীপ (বর্তমান ইয়েমেন, আরব আমিরাত), মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকা- এসব অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাযাবর অধিবাসী। গোত্রভিত্তিক জীবনযাপন করা এই সম্প্রদায় নিজেদেরকে প্রকৃত আরব দাবী করে নিজেদেরকে অভিহিত করে থাকে ‘Heirs of Glory’ তথা ‘গৌরবের উত্তরাধিকারী’ হিসেবে। আরবের অনেক বাসিন্দার কাছেও বেদুঈনরা রোমাঞ্চ আর স্বাধীনতা বা স্বাধীনচেতা জীবনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তাদের জীবন এত সহজ নয়। ব্রিটিশ ভ্রমণ লেখক স্যার উইলফ্রেড থিসিঙ্গার তার জীবনের একটা বড় সময় বেদুঈনদের সাথে কাটিয়ে লিখেছেন, ”বেদুঈনদের জীবন কঠ

সাম্প্রতিক বিতর্ক ও হযরত আয়েশা (রা.)

ছবি
  আগেও মহানবী (সা) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে নানারকম বিতর্কিত মন্তব্য করা হলেও এমন গর্হিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়নি। কি সেই বাক্য? অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিন্তু একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে সেই শব্দ মুখে আনা অসম্ভব। তাই আপনাদের সামনে সেই বাক্য উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। সম্ভবত এ জন্যই সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফুঁসছে। এর ঢেউ লেগেছে সারা দুনিয়ায়। কয়েকদিন এটা টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা। কি সেই মন্তব্য! এটা এতটাই নিকৃষ্ট, অশালীন এবং অশ্লীল যে তা উচ্চারণ করা বা পাঠকদের সামনে পেশ করা সম্ভব নয়। কথা হলো হযরত আবু বকার (রা) তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা)'র সাথে এতে তার কোনো ব্যথা নাই যন্ত্রণা নাই। আয়েশা (রা) কোনদিন আল্লাহর রাসূলের সাথে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে অস্বস্তি প্রকাশ করেনি ৷ ১৪০০ বছর পরে বিজেপির নেতা - নেত্রীদের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ৷ তাদের অন্তরে খুব জ্বালা। মুসলমানদের নবী নাকি চরিত্রহীন ছিলো। শিশু কন্যা আয়েশা (রা) কে নাকি জোর করে বিবাহ করেছেন,,অর্থের লোভ দিয়ে নাকি নিজের লিপ্সা পুরণ করেছেন,, আয়েশা (রা) কে নাকি যৌন হয়রানি ক

আত্মহত্যার পরিসংখ্যান, কারণ, প্রতিরোধ ও ইসলাম কী বলে?

ছবি
  Suicide হচ্ছে আত্মহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ। লাতিন ভাষা Sui Sediur থেকে মূলত Suicide শব্দের উৎপত্তি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করছেন একজন। ধারণা করা হয়ে থাকে, বিশ্বজুড়ে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন নিজের হাতেই। বাংলাদেশের চিত্রও আশঙ্কাজনক। বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন আত্মহননে প্রাণ যাচ্ছে ৩৯ জনের। করোনার এই সময়ে আগের বছরের তুলনায় আত্মহত্যা বাড়ে ৪৪ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম।২০১৯-২০ করোনার সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বয়সীরাই বেশি। বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ তিন গুণ।বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ২০২১ সালে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৭৯ জন।জরিপে উঠে এসেছে যে, আত্মহত্যা করা ১০১ জন শিক্ষার্থী

কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ৫৬৯ তম বার্ষিকী

ছবি
১৪৫৩ সালের ২৯ মে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচিত হয়েছিল । এ দিনই মুসলিম বাহিনীর হাতে বিজিত হয় তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে নয়নাভিরাম শহর বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল।কনস্টান্টিনোপল তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মর্মরা অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত একটি প্রদেশ। উত্তরে কৃষ্ণ সাগর এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরে ঘেরা এ নগরীকে বসফরাস প্রণালি দু’ভাগ করে রেখেছে।পশ্চিম দিক এশিয়ায় অবস্থিত। আর পূর্ব দিক ইউরোপে।পশ্চিমে তাগিরদাগ প্রদেশ এবং পূর্বে স্কোরিয়া ও কোগলি প্রদেশ অবস্থিত। ৩২৪ সালে সম্রাট কনস্টান্টাইন বাইজেন্টিয়াম দখলের পর নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে জায়গাটির নাম দেন ‘কনস্টান্টিনোপল’। এবং ৩৩০ সাল থেকে কনস্টান্টিনোপল রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তী ১১ শতাব্দী যাবত শহরটি বেশ কয়েকবার অবরোধ সম্মুখীন হলেও ১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ছাড়া এটি কেউ দখল করতে পারেনি। ইতিহাসে কনস্টান্টিনোপল নগরী বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। বাইজান্টাইন, কুসতুনতিনিয়া, আসতানা ও ইসলাম্বুল নামসহ আরো অনেক নামেই বিখ্যাত এ নগরী পরিচিত ছিল। আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুসতুনতিনিয়া বলা হয়। মুসলিম বিজয়ের পরে এ জায়গ

হিটলার কেন ইহুদি নিধনে মেতে উঠেন?

ছবি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করেছিলেন এডলফ হিটলার। ইতিহাসে এটি ‘হলোকস্ট’ নামে পরিচিত। হিটলার চেয়েছিল পৃথিবী থেকে ইহুদীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। তাই তিনি এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। ধারণা করা যায় ইহুদীদের প্রতি হিটলারের অতিমাত্রায় ক্ষোভ এবং ঘৃণাই ছিল এই হত্যাকান্ডের মুল কারণ ।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন বিভৎস ক্ষোভ আর নির্মম ঘৃণা জন্ম নিয়েছিল জার্মান এই রাষ্ট্র প্রধানের মনে ? ইহুদীদের প্রতি হিটলারের এমন ভয়াবহ ঘৃণার সঠিক কারন বের করা অসম্ভব। হিটলার নিজেও সরাসরি কোন কারণ বলে যান নি। ইতিহাসবিদেরাও সঠিক কোন কারন বের করতে পারেনি। তবে কয়েকটি কারন অনুমান করা হয়, যা হিটলারের মনে ইহুদী বিদ্বেষের জন্ম দিয়েছিল। এডলফ হিটলার জার্মানির নাৎসি নেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ইহুদিদের হত্যা করেছিলেন। হিটলারের ইহুদিদের প্রতি ঘৃণার কারণ হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের জন্য ইহুদিদের দায়ী করার কথা বলা হয়। যদিও এটা একটা ধারণা মাত্র। হিটলারের ইহুদি হত্যার আসল কারণ হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মুহূর্তে ইহুদি নেতা

তাজমহলের তালাবদ্ধ ২২ কক্ষের রহস্য কী?

ছবি
  ভারতে অনেকদিন ধরে একটি কল্পকথা চলে আসছে যে তাজমহল আসলে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। দেবতা শিবের নামে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল।পি এন ওক - যিনি ১৯৬৪ সালে ভারতের ইতিহাস নতুন করে রচনার জন্য একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন - তার এই বইতে লিখেছেন, তাজমহল সন্দেহাতীতভাবেই একটি শিব মন্দির ছিল।২০১৭ সালে বিজেপির এক নেতা সাংগিত সোম বলেন তাজমহল ভারতের ইতিহাসের "একটি কলঙ্ক" কারণ, তার মতে, "বিশ্বাসঘাতকরা ছিল এর নির্মাতা।" এ সপ্তাহেই বিজেপির একজন এমপি দিয়া কুমারি বলেন, শাহজাহান হিন্দু একটি রাজপরিবারের জমি দখল করে তাজমহল বানিয়েছিলেন।তাজমহল ‘তেজো মহালয়’ নামে শিব মন্দির বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। তাজমহলের তালাবন্ধ ঘরগুলোতে আসলে কি কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?ভারতের একটি হাইকোর্টের বিচারকরা তা মনে করেননি। সে কারণেই তারা ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির একজন স্থানীয় পর্যায়ের নেতার আনা একটি অবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।রাজেশ সিং তার আবেদনে দাবি করেছিলেন তাজমহলের ২০টিরও বেশি "স্থায়ীভাবে তালাবন্ধ" কক্ষগুলো খুলে দেওয়া হোক যাতে "এই সৌধের প্রকৃত ইতিহাস" বেরিয়ে আসে।মি. সি

কুতুব মিনার বিতর্ক

ছবি
  সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের তৈরি এই সুউচ্চ মিনার চত্বরে একদা হিন্দু মন্দিরের অবস্থান ছিল কি না, তা হতে চলেছে আদালতের বিচার্য বিষয়। গত সপ্তাহে খবর রটে, কেন্দ্রীয় সরকার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) কুতুব মিনার চত্বরে নতুন করে খননের দায়িত্ব দিয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের ওই যুক্তি মেনে কুতুব মিনার–সংলগ্ন এলাকার ধর্মীয় চরিত্র নির্ধারণে দিল্লির নিম্ন আদালত রায় দিলে হিন্দুত্ববাদীদের পালে নিশ্চিতভাবে আরও হাওয়া লাগত। কারণ, এই মহলের দাবি, মোট ২৭টি মন্দির ভেঙে সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক কুতুব মিনারসংলগ্ন স্থাপত্য গড়েছিলেন। তাদের আরও দাবি, ওই চত্বরে থাকা দেব–দেবীর মূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে পূজার অনুমতি দেওয়া হোক। এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বানশালের দাবি ছিল কুতুব মিনারের নাম আসলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’। অতএব ওই মিনারকে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ঘোষণা করা হোক। কুতুব মিনার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার। লাল বেলেপাথরে নিৰ্মিত এই মিনারটির উচ্চতা ৭২.৫ মিটার (২৩৮ ফুট)। মিনারটির পাদদেশের ব্যাস ১৪.৩২ মিটার (৪৭ ফুট) এবং শীৰ্ষঅংশের ব্যাস ২.৭৫ মিটা

নজরুল ও বুলবুল

ছবি
কবি কাজী নজরুল ইসলামের চার বছর বয়সী পুত্র বুলবুল বসন্ত রোগে মারা যায়। সেসময় দাফন-কাফন করতে ১৫০ টাকার মতো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কবির কাছে একটি টাকাও সে সময় ছিলোনা। এত টাকা কোথায় পাবেন। বিভিন্ন প্রকাশনায় লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম প্রকাশনী দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। নানান জায়গায় লোক পাঠিয়ে যখন নিরাশ হন, তখন কবি নিজেই এক প্রকাশকের কাছে টাকার জন্যে যান, প্রকাশক শর্ত দেন এই মুহুর্তেই কবিতা লিখে দিতে হবে, কবি শিশু সন্তানের লাশের বেদনা বুকে চেপে লিখলেন... "ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি, করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।। ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে; বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।। কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী, উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্‌ মর্মরি’। গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় – কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড় আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।".... একদিন কলকাতার পুলিশ নজরুলের বাড়িতে নিষিদ্ধ বইয়ের সন্ধানে তল্লাশি করতে গেলো। অনেক খোঁ