আলোকবিজ্ঞানের জনক ইবনে আল হাইথাম








আবু আলি আল হাসান ইবনে আল হাসান ইবনে আল হাইথাম বা সংক্ষেপে ইবনে আল হাইথাম, ৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বসরা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।তাকে পশ্চিমারা ‘আল হাজেন’ বলে ডাকে। আবার তার জন্মভূমির নাম বসরা অনুসারে তাকে কখনো ‘আল বসরি’ নামেও ডাকা হয়। এছাড়াও আল-হায়থামকে ফরাসি ইতিহাসবিদ আবু'ল-হাসান বায়হাকি দ্বিতীয় টলেমি এবং জন পেকহ্যামের দ্য ফিজিসিস্ট নামে অভিহিত করেন।

তাকে বলা হয় আলোকবিজ্ঞানের জনক। ইবনে আল-হায়থাম ছিলেন যিনি দর্শনানুভূতির ব্যাখ্যার সর্বপ্রথম প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে 'আলো কোন বস্তু হইতে প্রতিফলিত হয়ে চোখে আসে বলেই সেই বস্তুটি দৃশ্যমান হয়'।এছাড়াও তিনিই প্রথম যিনি এটাও দেখিয়ে ছিলেন, দর্শনানুভূতির কেন্দ্র চোখে নয়, বরং মস্তিষ্কে।
এর বাইরেও তার ছোট-বড় অবদান রয়েছে অ্যানাটমি বা অঙ্গব্যবচ্ছেদবিজ্ঞান, জোতির্বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন এবং সর্বোপরি বৈজ্ঞানিক গবেষণার পদ্ধতিগত উন্নয়নে।
ইবনে আল হাইথাম পিনহোল ক্যামেরা নামে একটি ক্যামেরা তৈরি করেছিলেন, যাকে পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি ছিল আলো নিরোধক একটি কাটের বাক্স। এর কোনো এক পৃষ্ঠে ছোট একটি ছিদ্র হতো, একটি পিন দিয়ে ছিদ্র করলে যতটুকু ছিদ্র হয় ঠিক ততটুকু। তাই এই ক্যামেরার নাম ছিল পিনহোল ক্যামেরা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল