পোস্টগুলি

পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটার

ছবি
#মো আবু রায়হান বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে জনগণনা ২০১১ অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৯ কোটি ১২ লক্ষ। ধর্ম ভিত্তিতে হিন্দু রয়েছে ৬ কোটি ৪ লক্ষ। মোট জনসংখ্যার ৭০.৫৩ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। মুসলিম জনসংখ্যা ২ কোটি ৪ লক্ষ।যারা এই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৭.০১%।জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে তিন জেলায় এগিয়ে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। মুর্শিদাবাদে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৭ লক্ষ, হিন্দু ২৩ লক্ষ। মালদায় ২০ লক্ষ মুসলিম, হিন্দু ১৯ লক্ষ। উত্তর দিনাজপুরে ১৫ লক্ষ মুসলিম, ১৪ লক্ষ হিন্দুপশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম। তাই রাজ্য রাজনীতিতে মুসলমানদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের দলে ভেড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাটানিও অব্যাহত। ভোটের রাজনীতির অঙ্ক সম্পর্কে যাঁরা মোটামুটি ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানেন যে মুসলমানদের সমর্থন পেলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটযুদ্ধে জেতা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বামফ্রন্টের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের একটা বড় অংশের সমর্থন তাদের দিকে ছিল। কিন্তু ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সংখ্যালঘুরা বামফ্রন্টের দিক থেকে যেই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তূণমূল কংগ্রেসের দিকে

ব্যক্তি বন্দনা ও ইসলাম

ছবি
ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলিম সমাজ হবে ব্যক্তিত্ববান মানুষ দ্বারা ভরপুর আলোকিত একটি সমাজ। যে সমাজে থাকবে না কোনো শঠতা, মোসাহেবি , তেলবাজি বা বাড়াবাড়িমূলক স্বভাব; যাতে সমাজে শ্রেণিবৈষম্য ও প্রতারণার দ্বার উন্মুক্ত হয়। মুসলিম সমাজে মানুষের চরিত্র হবে অত্যন্ত খোলামেলা, হৃদ্যতাপূর্ণ ও সুস্পষ্ট। তাদের কথা ও কাজের মধ্যে থাকবে না কোনো অমিল। আর না তারা একে অন্যের তোষামোদি বা তেলবাজি করে যে যার যার সুবিধা লুফে নিবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমোদের মুসলিম সমাজ এমনই এক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত যে, তা আজ এক তোষামোদের সমাজে পরিণত হয়েছে। কেউ সুবিধা আদায়ের জন্য, কেউ পরিস্থিতির শিকার হয়ে অথবা অসুবিধায় পড়ে একে অন্যের অযাচিত প্রশংসায় লিপ্ত হয়। এক দিকে চলে পেছনে পেছনে চরম পরচর্চা অন্য দিকে চলে মুখোমুখি অতি প্রশংসা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবিক তৈল সর্বশক্তিমান, যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যায় অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য— তাহা কেবল তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।’ তিনি আরও বলেন— ‘যে তৈল দিতে পারিবে তাহার বিদ্যা না থাকিলেও প্রফেসর হইতে পারে। আহাম্মক হইলেও ম্যাজিস্ট্রেট হইতে পারে, সাহ

ব্যক্তি বন্দনা থেকে শিরকের সূচনা

ছবি
ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ। শিরককারীকে বলা হয় মুশরিক। তাওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করলে শিরককারীর ক্ষমা নেই।সে অনন্তকাল জাহান্নামের আজাব ভোগ করবে। শিরক ছাড়া অন্য গুনাহ আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যত পাপ-তাপ আছে, তা যাকে ইচ্ছা (বিনা শাস্তিতেই) ক্ষমা করে দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে, সে মহা অপরাধে অপরাধী হয়ে যায়।’ (সুরা নিসা, আয়াত -৪৮) শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ / পাপ হওয়ার কারণ হলো, এটি মহান আল্লাহর অস্তিত্ব ও শক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই আল্লাহ কিছুতেই এই অপরাধ সহ্য করেন না। এ পৃথিবীতে যত নবী-রাসুল এসেছেন, তাঁদের প্রধান কাজ ছিল শিরক উত্খাত করে তাওহিদ প্রতিষ্ঠা করা। সর্বপ্রথম হজরত নূহ (আ.)-এর সম্প্রদায় পৃথিবীতে শিরক শুরু করে।এর আগের সম্প্রদায়গুলো আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল। সর্বক্ষণ আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিল। এই পার্থিবজগতে শিরকের কোনো নাম-নিশানা ছিল না। নূহ (আ.)-এর সম্প্রদায়ে পাঁচজন বড় আলেম ছিলেন; যাঁরা সর্বক্ষণ মহান বিধাতার ইবাদতে
ছবি
#মো. আবু রায়হান ১৯৮৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ার খ্রিস্টানরা আল্লাহ নাম মুখে নিতে পারতো না। ঈশ্বরকে তারা আল্লাহ নামে ডাকতে পারতো না। ভাইরে আল্লাহ তো আল্লাহ। আল্লাহর নাম উচ্চারণে কাউকে কী বাঁধা দেয়া যায়। যদি আল্লাহর নাম বিকৃত করে কিছু করতো তাহলে ভিন্ন কথা ছিল।আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকবে। আর যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদের বর্জন করবে। শিগগিরই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে। (সুরা : আরাফ, আয়াত - ১৮০) আল্লাহ' ওই সত্তাকে বলা হয়, যিনি স্বয়ম্ভু, সদা বিরাজমান, পূর্ণতা ও মহত্ত্বের যত গুণ হতে পারে, তিনি সেসব গুণের অধিকারী। 'আল্লাহ' শব্দটি পৃথিবীর সব ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এর ভাষান্তর চলে না, চলে না লিঙ্গান্তর। দেহে কেবল শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে, জিহ্বা হেলানোর শক্তি থাকলেই এ নাম উচ্চারণ করা যায়। সর্বশেষ মালয়েশিয়ার আদালত রায় দিয়েছে এখন থেকে খ্রিস্টানরাও ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে ডাকতে পারবে। খ্রিস্টানরা যদি তাদের ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে ডাকে এতে আমার আল্লাহ শান, মর্যাদা গরীমা একটুও কমবে না। আরবের খ্রিস্টানরাও প্রাচীনকাল থেকে আল্লাহ শব্দটি

ভারতে কোরআনের ২৬ আয়াতের বিরুদ্ধে রিট ও কিছু কথা

ছবি
#মো.আবু রায়হান এবার কোনো অমুসলিম নয়, নামধারী মুসলিম ভারতের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী কোরআনের ২৬টি আয়াতের ওপর আপত্তি তোলে পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে রিট করেছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২৬টি আয়াত উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলামের তিন খলিফা হযরত আবু বকর, হযরত ওমর এবং হযরত ওসমান কোরআনের মধ্যে ঢুকিয়েছেন। ক্ষমতা সুসংহত করতেই তারা এ কাজ করেছেন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়। এই আয়াতগুলোতে মানুষকে সহিংস জিহাদে উৎসাহিত করা হয়েছে। কত বড় বুকের পাটা ওই কুলাঙ্গারের! যে কাজটি অমুসলিমরা করতে গিয়ে চৌদ্দবার ভাবে। সেখানে মুসলিম নামধারণ করে এই ইহুদি খ্রিস্টানদের এজেন্ট ওদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দুঃসাহস পায় কোথায়? আল কোরআন যার হেফাজত বা সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জিম্মাদারিতে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমিই কোরআন নাজিল করেছি এবং অবশ্যই আমিই তা সংরক্ষণ করব।’ (সুরা-হিজর, আয়াত -৯)। এই রিট শুধু মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাবে, ক্ষুব্ধ করে তুলবে। কিন্তু আলটিমেটলি কুরআনের মহিমা ও নুরকে নির্বাপিত করা যাবে না। বিগত চৌদ্দশ বছর ধরে কুরআনের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার ষড়যন

বোরকা ফ্যাশন হিসাবে নয় , হোক আল্লাহর ভয়ে

ছবি
ইসলামসম্মত পোশাক বলতে সেই পোশাককে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান আবৃতকারী, মানানসই, সাদৃশ্যবর্জিত, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, বিলাসিতাবিবর্জিত, অহংকারমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ।বোরকার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া, যাতে করে পরপুরুষের দৃষ্টি শরীরে না পড়ে। উপরোক্ত উদ্দেশ্য শরীর ঢেকে দেয়, এমন প্রতিটি বোরকা দ্বারাই অর্জিত হয়ে যায়।তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেনো বোরকা এমন না হয়, যার ওপরের অংশই পুরুষদের আকর্ষিত করে। এ হিসেবে কালো বোরকা পরিধান করাই সর্বোত্তম।যদি পরপুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা বোরকা পরিধান করা হয়, তাহলে খারাপ নিয়তের কারণে ওই নারী গোনাহগার হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা তথ্যের বিবেচনায় দেশে বোরকা ও হিজাব ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। এ পোশাক বাবদ একজন নারী বছরে গড়ে এক হাজার টাকা ব্যয় করলেও দেশে বোরকা ও হিজাবের বাজার দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি।কারণ বিশ্ববাজারে বোরকা ও হিজাবের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে যেসব উন্নতমানের বোরকা ও হিজাব দেখা যায় তার সবই প্রায় পাকিস্তান, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে আসে।‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সার্ভে’ শীর

গণভোট দিয়ে সুইজারল্যান্ড বোরকা নিষিদ্ধ করল

ছবি
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড ৭ মার্চ গণভোট দিয়ে বোরকা নিষিদ্ধ করল। গণভোটের সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, সামান্য ব্যবধানে এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ৫১.২% এবং বিপক্ষে ৪৮.৮% ভোট পড়েছে।এর ফলে মুসলিম নারীদের বোরকা বা নিকাবসহ প্রকাশ্যস্থানে মুখ-ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট পড়ল। তবে দেশটির ২৬টি ক্যান্টনের (প্রশাসনিক অঞ্চল) ছয়টিতে বেশির ভাগ মানুষ এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি। এই ছয় ক্যান্টনের মধ্যে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় তিন শহর জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল।এ ছাড়া রাজধানী বার্নের বেশির ভাগ মানুষও ছিলেন বিপক্ষে। বোরকা ও নিকাব বিরোধীরা তাদের প্রচারাভিযানে নিকাব-পরা মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে "উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার" শ্লোগান দিয়েছিল।তাদের বিলি করা একটি প্রচারপত্রে বোরকা পরা এক নারীর চিত্র ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘ইসলামী উগ্রবাদ থামাও’।উল্লেখ্য সুইজারল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন নারী বোরকা পরেন। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮৬ লাখ জনসংখ্যার সুইজারল্যান্ডে মাত্র পাঁচ দশমিক পাঁচ ভাগ মুসলিম।ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে

হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন

ছবি
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাদ্রাসায় হেফজ শ্রেণির ছাত্র ছিল তাওহিদুল ইসলাম। পড়া মুখস্থ করতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাওহিদুলের পাজরের হাড় ও একটি পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ওই শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। তাওহিদুল তখন ১৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল, কিন্তু মাদ্রাসা থেকে ছেলের লাশ বাড়িতে আসবে কখনও ভাবেননি তার মা। তার মায়ের দাবি, তাওহিদুল মাঝেমধ্যে স্বপ্নে বলতো ‘হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন।’শেষ পর্যন্ত তাওহিদুল মারা যায় কিন্তু এরপরও থেমে যায়নি শিশু নির্যাতনের ঘটনা। কোমলমতি শিশুদের পিটিয়ে জখম করে কুরআনের হাফেজ বানাতে হবে এই শিক্ষা তারা কোথায় পেলেন?অথচ ইসলাম শিশুদের আদর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালনে গুরুত্বারোপ করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা) শিশুদের দেখলে খুব খুশী হতেন। তাদের নিকটে যেতেন, সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করতেন, খোঁজ-খবর নিতেন, মাথায় হাত বুলাতেন, কোলে নিতেন, কাঁধে উঠাতেন, আদর-স্নেহ করতেন, খুব ভালবাসতেন। এমনকি চুমু খেতেন এবং দো‘আ করতেন। তাদের সাথে তিনি আকর্ষণীয়, রসাত্মক ও

শবে মেরাজের ১৪ দফা

ছবি
১.একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কারও শরিক না করা, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করা, ৩. আত্মীয়স্বজন, এতিম ও মুসাফিরের হক মেনে চলা, ৪. অপচয় না করা, ৫. অভাবগ্রস্ত ও প্রার্থীকে বঞ্চিত না করা, ৬. হাতকে গুটিয়ে না রেখে সব সময় কিছু দান করা, ৭. অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা না করা, ৮. দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা না করা, ৯. ব্যভিচারের নিকটবর্তীও না হওয়া, ১০. এতিমের সম্পদের ধারে-কাছেও না যাওয়া, ১১. যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তা অনুসন্ধান করা, ১২. মেপে দেওয়ার সময় সঠিক ওজন পরিমাপ করা, ১৩. প্রতিশ্রুতি পালন করা, ১৪. পৃথিবীতে দম্ভভরে চলাফেরা না করা।

ফেসবুকীয় পাপ

ছবি
মানুষের মৃত্যুর পর তার আমল করার পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন পাপ ও পূণ্য অর্জনের পথও বন্ধ । হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে থাকে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার (মৃত ব্যক্তির) সঙ্গে থেকে যায়। জিনিস তিনটি হলো- তার পরিবার; তার ধন-সম্পদ ও তার আমলনামা। এর মধ্যে পরিবার ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে। তার সঙ্গে শুধুমাত্র আমলনামায় থেকে যায়। (বুখারি ও মুসলিম) দুনিয়ার বুকে রেখে যাওয়া কিছু ভালো কিংবা খারাপ আমলের ছোয়াব কবর থেকে সে বখশিস হিসেবে পেতে থাকে। কবরে বসে যদি সে দুনিয়ার ভালো কাজের ছোয়াব পেতে পারে তাহলে দুনিয়ার বুকে করে যাওয়া খারাপ কৃতকর্মের ফলাফল পেতেও সে বাধ্য। কবরে যে সব ছোয়াব পৌঁছে -, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. এমন জ্ঞান (ইলম)- যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। ( সহিহ মুসলিম - ৪৩১০)অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)

শুধু কি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন হচ্ছে?

ছবি
  মাদ্রাসায় কোনো ঘটনা ঘটলে যতটা না মার্কেটিং হয় অন্য ঘটনায় সেটি দেখা যায় না। অপরাধকে স্থান কাল পাত্রভেদে অপরাধ হিসেবেই সাব্যস্ত করা উচিত। কোন ঘটনা ঘটলেই মাদ্রাসাকে নিয়ে যেভাবে তুলকালামকান্ড ঘটে তা নজিরবিহীন। শুধু কি এসব ঘটনা মাদ্রাসায় ঘটে? মাদ্রাসা বন্ধ করার হুমকি দেন, হুজুরদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেন। রাজধানীর ইংরেজি মাধ্যম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণের পর আপনারা কতটুকু প্রতিবাদে সরব হয়েছেন? বাংলাদেশে পারিবারিকভাবেও অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এক থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় ৮৯ শতাংশ সমীক্ষা চলাকালীন আগের এক মাসে অন্তত একবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। (প্রথম আলো) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘শিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট মতে, ২০২০ সালে একহাজার ৫২১টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়ে শিশু ১০৮৮ আর ছেলে শিশুর সংখ্যা ৪৩৩। নির্যাতনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৬২৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৬১৬ এবং ছেলে শিশুর ১০টি। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে

নারী কন্ঠের পর্দা

ছবি
  নারীদের কথার আওয়াজকেও পর্দার অন্তর্ভুক্ত করে অপ্রয়োজনে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।একান্ত প্রয়োজনে কথা বলতে হলেও সুরা আহযাবের ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। যাতে নারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোনো পুরুষ আকর্ষণবোধ না করেন। কন্ঠ দেখা যায় না। শোনা যায়, ভাবা যায়, অনুভব করা যায়। কথায় আছে 'কণ্ঠে জাদু আছে', একথা সর্বত সত্যি, যার কন্ঠে জাদু আছে, সে জগতকে মোহিত করে। কন্ঠে সুর, কণ্ঠে কথা আর তা দিয়েই প্রথম আকর্ষণ, প্রথম ভাল লাগা তৈরি হয়। নারীদের কন্ঠ কেন এতো সুরেলা? মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজন হরমোনের প্রভাব অনেক কম থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন পাল্টায় না। ছেলেদের স্বাভাবিক কথাবার্তার সময়ে কম্পাঙ্ক সেকেন্ড ১২০ বার হয় অথচ মেয়েদের কম্পাঙ্কের সংখ্যা পাওয়া যায় সেকেন্ড ২৫০ বার। গবেষকদের গবেষণায় প্রমানিত, এই জন্য মেয়েদের গলার স্বরের তীক্ষ্ণতা বেশি। কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয় বিধায় মেয়েদের গলার আওয়াজ চিকন,মিস্টি-মধুর ও সুরেলা শোনায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে নবী-পত্নিগণ! তোমরা অন্য না

মাদক নির্মূলে ইসলাম

ছবি
দেশের তরুণ-যুবকদের বেশ বড় একটা অংশ আত্মঘাতী মাদকাসক্তি র শিকার। তবে মাদকাসক্তি শুধু এই বয়সীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, পূর্ণবয়স্ক, এমনকি শিশু-কিশোরদের মধ্যেও মাদকাসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে।মাদকাসক্তের সংখ্যা নির্ধারণে দেশে প্রথমবারের মতো একটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এই সমীক্ষা পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, ১৮ বছর বা এর ঊর্ধ্বের বয়সী মানুষের মধ্যে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মাদকাসক্ত। অন্যদিকে, ৭ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এই হার শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।দেশে মাদকাসক্তের এই সংখ্যাকে উদ্বেগজনক বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এই সমীক্ষার আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ধারণা করত, দেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। সমীক্ষায় তা অর্ধেক বলা হলেও অধিদপ্তর এখন বলছে, এই সংখ্যাও আশঙ্কাজনক।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়। দেশের সাতটি বিভাগের সাত বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ হাজার ৬৬২ জনের ওপর বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের প্রকোপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের ওপর সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়। জাতীয় মানসি

নারী দিবস ও ইসলামে নারী

ছবি
#মো. আবু রায়হান আজ ৮ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে দিবসটি পালিত হতে লাগল। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করা হয়। অথচ বিশ্বমানবতার পরম বন্ধু হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ‘সভ্য পৃথিবীর’ও ১৪৫০ বছর আগে মরুভূমির প্রান্তে দাঁড়িয়ে নারীর অধিকার ও প্রাপ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। একবিংশ শতাব্দীতে নারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি তো পাচ্ছেই সেই সঙ্গে নারীরা অধিকারও হারা।ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত নেই বলেই আজ তারা বৈষম্য ও নিগ্রহের শিকার। রাসুলুল্লাহ (সা) এর আগমনের আগে আইয়ামে জাহেলী যুগে যেখানে কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত ক

আমরা মুসাফির

ছবি
আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাঁধ ধরে বললেন, “এ দুনিয়াতে তুমি (এমনভাবে) থাকো, যেন তুমি একজন অপরিচিত বা একজন মুসাফির।” ইবনে ‘উমার (রাঃ) বলতেন, “যদি তুমি সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে থাকো, তবে সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করো না। যদি তুমি সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকো, তবে সন্ধ্যার প্রত্যাশা করো না। সুস্থ থাকা অবস্থায় তুমি অসুস্থতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো, আর বেঁচে থাকা অবস্থায় নিজেকে প্রস্তুত করো মৃত্যুর জন্য।” (সাহিহ বুখারি – কিতাবুর রিকাক, হাদিস ৬৪১৬) হযরত ইমাম গাজ্জালি (রহ.) একটি উদাহরণ দিয়েছেন। একটি জাহাজ কোথাও যাচ্ছে। জাহাজের যাত্রীরা সবাই মুসাফির। পথিমধ্যে একটি দ্বীপের দেখা পেলে জাহাজের ক্যাপ্টেন দ্বীপে জাহাজটিকে নোঙ্গর করে, যাতে সফরের জন্য প্রয়োজনীয় রসদসামগ্রী ও জ্বালানী নেয়া যায়। জাহাজের ক্যাপ্টেন ঘোষণা করে, আমরা কয়েক ঘণ্টা এখানে যাত্রাবিরতি করব, যাত্রীদের কেউ চাইলে জাহাজ থেকে নেমে ঘুরেফিরে আসতে পারেন। ঘোষণার পর যাত্রীরা সবাই জাহাজ থেকে নেমে পড়ে এবং দ্বীপটিকে দেখার জন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দ্বীপটি ছিল দেখতে খুব সুন্দর,

বন্ধুত্ব

ছবি
বন্ধু নির্বাচনে ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে প্রিয়নবি (সা) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধু স্বভাবী হয়, তাই তাকে লক্ষ্য করা উচিত, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (তিরমিজি)রাসুলুল্লাহ (সা) বন্ধুত্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সৎ সঙ্গী এবং অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রয়কারী এবং কামারের হাপরের ন্যায়। আতর ওয়ালা তোমাকে নিরাশ করবে না; হয় তুমি তার কাছ থেকে ক্রয় করবে কিংবা তার কাছে সুঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাপর, হয় তোমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে, নচেৎ তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে আর না হলে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি) হযরত ইমাম জাফর আস-সাদিক (রহ) বলেন, ‘পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করা সমীচীন নয়। তারা হলো-মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, ভীরু, পাপাচারী ও কৃপণ ব্যক্তি।হাদিসে এসেছে-'জ্ঞানী শত্রু, নির্বোধ বন্ধু অপেক্ষা শ্রেয়।' (মিজানুল হিকমাহ : ১০২৬৮) বন্ধু মনোনয়নে হযরত আলী (রা.)-এর উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, 'নির্বোধের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। কারণ সে উপকার করতে চাইলেও তার দ্বারা তোমার ক্ষতি হয়ে যাবে।' (দিওয়ানে আলী) ’ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখ