পোস্টগুলি

সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি

ছবি
  আমেরিকান মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট এবং সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মিশিগানের গ্র্যান্ড র ‍ ্যাপিডসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ডেট্রয়েটে বেড়ে ওঠেন।কেভিন লি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সম্প্রতি তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। একইসাথে জানিয়েছেন, একজন মুসলিম হিসেবে জীবনে তিনি দারুণ তৃপ্তি অনুভব করছেন।৩০ বছর বয়সী কিভেন লি ২০২১ সালে ইসলাম গ্রহণ করলেও গত ১০ জানুয়ারির আগে তিনি তা প্রকাশ করেননি।কেভিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লেখেন, মুসলিম হওয়ার পর থেকে আমি অনেকের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। মোবাইল বার্তা ও টেলিফোন কলে তারা তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। তাদের এ আন্তরিকতায় আমি দারুণ মুগ্ধ।কেভিন বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। আমি গর্বিত যে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।’অপর এক টুইটবার্তায় কেভিন বলেন, যেহেতু আমি কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি, তাই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য জানাচ্ছি যে আমি ২০২১ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। কিন্তু এতদিন তা প্রকাশ্যে বলা হয়নি।তিনি বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই একটি পডকাস্ট শুরু করতে চাই, যাতে আমি সেখানে আরো গভীরভাবে কথাগুলো বলতে পারি।’ ইএস

ইউটিউবার দাউদ কিম

ছবি
সত্যের সন্ধানে দাউদ কিমের মতো হাজারো যুবক ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে মুসলিম যুবকেরা হচ্ছে ইসলাম বিমুখ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্লগার জে কিম ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দাউদ কিম নাম ধারণ করেন। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত। নানা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তার ইসলাম গ্রহণের ভিডিও প্রায় অর্ধকোটি বার ভিউ হয়। সর্বশেষ ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ইউটিউবার দাউদ কিম। গত শনিবার ইসলাম গ্রহণের পর দ্বিতীয়বার তিনি ইসলামের প্রধান সম্মানিত এই স্থানে যান। এর আগে ডিসেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্দান্ত ভ্রমণের কথা জানান। পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি পোস্ট করে দাউদ কিম বলেন, ‘পবিত্র এই স্থান আমার ঠিকানার মতো। এই স্থান খুবই পবিত্র ও সম্মানিত। এখানে এসে সবার মধ্যে জিজ্ঞাসা তৈরি হয় যে আমরা কেন জন্ম নিয়েছি? আমরা কেন বেঁচে আছি? আমরা কোথায় যাব?’ আল্লাহর অনুগ্রহে সুপথপ্রাপ্তির কথা জানিয়ে দাউদ কিম বলেন, ‘আমার জীবন ছিল খুবই এলোমেলো। আমি ভেবেছিলাম সবচেয়ে অসু

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের আসমানী

  আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়, সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার। এভাবেই আসমানীর দুর্ভোগ দুর্দশা নিয়ে কবিতার মাধ্যমে পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তুলে ধরেছিলেন জীবন ধারা।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের এই ‘আসমানী’ কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তাঁর ‘এক পয়সার বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই কবিতা মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্য বইয়েও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।কবির সেই আসমানী অনেকটা অযত্ন অবহেলায় বাধ্যক্যজনিত রোগে মারা গেছেন গত দশ বছর আগে। ১৯১৩ সালে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আসমানীর জন্ম। আরমান মল্লিকের মেয়ে আসমানীর মাত্র ৯ বছর বয়সে বিয়ে হয় পাশের রসুলপুর গ্রামের হাসাম মন্ডলের (রহিমদ্দির) সঙ্গে। তিনি দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের জননী ছিলেন। ৯৯ বছরের বয়সের বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালে তিনি মারা যান। এ সময় তিনি দুই ছেলেসহ চার মেয়ে রেখে যান।বর্তমানে আসমানীর পরিবার

সুইডেনে ইসলাম

ছবি
সুইডেন ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র।রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বদিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিমদিকে নরওয়ে ও দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে ওরেসুন্দ সেতু যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়। সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশেগুলোর বৃহত্তম রাষ্ট্র।ঊনবিংশ শতক থেকেই সুইডেন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে এবং কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থেকেছে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হল স্টকহোম।'ভেনিস অব দ্য নর্থ' বলা হয় সুইডেনের স্টকহোমকে। ইউরোপের স'মিল বলা হয় সুইডেনকে। পৃথিবীর প্রথম কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সুইডেন। সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ অঞ্চল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরসমূহে বসবাস করে।সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বহুদিন ধরেই রাজার ক্ষমতা কেবল আনুষ্ঠানিক কাজ-কর্মেই সীমাবদ্ধ।ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তাদের গণতন্ত্র

যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

ছবি
ইংল্যান্ড ১৮৬৩ সালে লন্ডনে মেট্রোরেল, যেটাকে তারা টিউব বলে চালু করেছিল। আমেরিকার মেট্রোরেল বা সাবওয়ে চালু হয়েছিল ১৯০৪ সালে নিউইয়র্কে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মেট্রোরেলে নাম লেখায় জাপান। ১৯২৭ সালে সাবওয়ে লাইন প্রতিষ্ঠিত হয় টোকিওতে।চীনের যাত্রা দেরিতেই বলতে হবে। দেশটির প্রথম মেট্রো বেইজিং সাবওয়ে যাত্রা করে ১৯৭১ সালে। আফ্রিকার দেশ হিসেবে মেট্রোয় প্রথম নাম লেখায় মিসর। ১৯৮৭ সালে কায়রোয় চালু হয় মেট্রোরেল। কলিকাতায় মেট্রো রেল চালু হয়েছিল আজ থেকে ৩৮ বছর আগে ১৯৮৪ সালে। দেরীতে হলেও আমরাও পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হোক আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। রোনালদো পাঁচটি ব্যালন ডি’অর এবং চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু অর্জন করেছেন, যা কোন ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক জয়। কর্মজীবনে তিনি ৩২টি প্রধান সারির শিরোপা জয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাতটি লিগ শিরোপা, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, এবং একটি উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বাধিক ১৩৪টি গোল এবং ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক ১২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজন যিনি ১,১০০টির উপর পেশাদার খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ৭৯০টির বেশি গোল করেছেন। তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করা দ্বিতীয় পুরুষ ফুটবলার এবং প্রথম ইউরোপীয়। ব্যক্তিগত জীবনে রোনালদো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়। রোনালদো তার দানশীলতা এবং বিশ্বব্যাপী অসহায় মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য বহুল প্রশংসিত। সম্প্রতি এক জরিপে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দানশীল খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ফিলিস্তিনের একটি সংস্থা তাকে পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০১৬ প্রদান করে।রোনালদো ২০১১ সালে জয় ক

করিম বেনজেমা

করিম বেনজেমা বলেন, আমার এখনও ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের কথা মনে আছে। খেলাটি রমজান মাসে ছিল। আমি বসেছিলাম এবং ভেবেছিলাম যে এটি লিভারপুলের বিপক্ষে একটি শক্তি পরীক্ষার ম্যাচ এবং আমাকে অবশ্যই ১০০% প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই আমি রোজা না রাখার সিদ্ধান্ত নেই। আমি হোটেলে ছিলাম। রোনালদো আমার রুমের দরজায় এসে টোকা দিল। দরজা খুলে আমি রোনালদোর হাতে খাবারের প্লেট এবং পানির বোতল দেখতে পেলাম। সে আমাকে বলল এটা তোমার সাহরি।তুমি রোজা ভাঙ্গবে না। আমি ম্যাচে মনোযোগ দেব আর তুমি তোমার রোজা রাখবে। এই সেই রোনালদো যিনি এখন রাজনীতির শিকার।

পশ্চিমা যুক্তি

ছবি
  "If it not from west, it is not the best" কাতার বিশ্বকাপের অনেক কিছুই আগের আয়োজনের তুলনায় ভিন্ন রকম। চ্যাম্পিয়ন মেসিদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার পর দেশটির আমির মেসিকে পরিয়ে দেন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক পোশাক যা বিশত নামে পরিচিত।আরব বিশ্বের পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এটি। বিশেষ আয়োজন এবং বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এটি পরেন তারা। কারও গায়ে তা চরিয়ে দেয়ার মানে হলো ওই ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া। মেসিকে বিশত পরানো নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তিও। কেউ বলছেন, এটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, যা বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণের সঙ্গে বেমানান, কেউ চেষ্টা করছেন বিষয়টি সম্পর্কে জানার। বিশ্বকাপ ফাইনালে আয়োজক দেশের দেয়া স্মারক পরে উদযাপন নতুন কিছু নয়। ১৯৭০ সালের ফাইনালে ফুটবল সম্রাট পেলে ব্রাজিলের জয়ের পর মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী সমব্রেরো টুপি মাথায় উদযাপন করেছিলেন। মেসিকে পরানো সেই ‘বিশত’ কেনার জন্য ১০ কোটি টাকা প্রস্তাব করেছেন আহমেদ আল বারওয়ানি নামে ওমানের এক সরকারি কর্মকর্তা।ওমানের শুরা কাউন্সিলের সদস্য আল-বারওয়ানি এক টুইটে এই প্রস্তাব জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেসিকে আরব ‘বিশত’ পরিয়ে ক

স্বাধীনতার পর রেলপথ

উনিশ শতকে প্রবর্তিত হয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লবের সূচনা করে। জর্জ স্টিফেনসনের যুগান্তকারী প্রচেষ্টায় ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের প্রথম রেলওয়ে ইংল্যান্ডের স্টকটন থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরবর্তী ডার্লিংটন পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করা হয়।১৮৫০ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে নামক কোম্পানি মুম্বাই থেকে থানা পর্যন্ত ৩৩ কিমি দীর্ঘ রেললাইন স্থাপন করতে থাকে। লাইনটি উদ্বোধন করা হয় ১৬ এপ্রিল ১৮৫৩ সালে। এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতে রেলওয়ের প্রথম যাত্রা। ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন হয় ১৮৫৪ সালে এবং এর মাধ্যমে চালু হয় বাংলার প্রথম রেললাইন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর বেঙ্গল-আসাম রেলওয়ে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। পূর্ববাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকারসূত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কিলোমিটার রেললাইন এবং তা ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) নামে পরিচিত হয়। ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এর নতুন নামকরণ হয় পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশের পর

ফেরাউন ২য় রামেসিস

ছবি
  ফেরাউন ২য় রামেসিসের মমি থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় ডানের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। বেঁচে থাকলে তাকে নাকি এমনই দেখাত! ১৮৮১ সালে মিসরের নিলের উপত্যকায় ফেরাউনের লাশ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ অবিকৃত ওই লাশ তখনো মমি হয়নি। ১৮৮১, মতান্তরে ১৮৯৮ সালে মমি করে ফেরাউনের লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়। সাগরে ডুবে মরার কারণে ফেরাউনের শরীরে স্পষ্ট লবণাক্ততা। তিন হাজার ১১৬ বছরের অধিককাল ফেরাউনের লাশ সংরক্ষিত থাকার মধ্যে পবিত্র কোরআনের বাণীর নিত্যতা প্রমাণিত হয়—‘আজ আমি তোর দেহ সংরক্ষণ করব, যাতে তুই তোর পরবর্তীকালের মানুষের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকিস...। ’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)

সেকালের বুদ্ধিজীবী

  লেখক এবং বুদ্ধিজীবী শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফার জীবনের শেষদিকের একটি ছবি, অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর ভাড়া বাসায়। "তিনি আমৃত্যু অর্থসংকটে নিপতিত হয়েছেন অগণিতবার। এমনকি, তিনি মারা যাওয়ার সময় তাঁর ছ'মাসের বাড়িভাড়া বাকি ছিলো" - স্যার সলিমুল্লাহ খান। একালের বুদ্ধিজীবীদের কথা না হয় বাদই দিলাম। মিলিয়ে নেন।আহমদ ছফা ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, ‘‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবীরা যা বলেছিলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না৷ আর এখন যা বলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না৷’’ (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই বুদ্ধিজীবীদের কথা তেমন আমলে নেওয়া হয়নি, এটাও সত্য)৷ মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কিকে লেখা চিঠিতে বুর্জোয়া শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের তুলনা করেছিলেন ‘বিষ্ঠা’র সঙ্গে৷ বলেছিলেন, এরা পুঁজির পা চাটা, এরা জাতির মগজ নয়, জাতির বিষ্ঠা৷ কম্বোডিয়ার খেমাররুজ নেতা পলপট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, লেখক-বুদ্ধিজীবীদের শহর থেকে তাড়িয়ে গ্রামে কৃষি খামারে কাজ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন৷

বৃষ্টির পর মক্কার সবুজ ভূমি, কিসের আলামত?

ছবি
  কেয়ামতের আলামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে করে মাঠঘাট যেমন ফসলহীন হয়ে পড়বে; প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার মরু অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা। বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি হয়ে যাবে সবুজ অরণ্যে। হযরত আবূ হূরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত সম্পদের প্রাচুর্য না আসবে। এমনকি কোনো ব্যক্তি সম্পদের যাকাত নিয়ে ঘুরবে কিন্তু নেয়ার মত লোক পাবে না। আরবের মাঠ ঘাট তখন চারণভূমি ও নদী-নালায় পরিণত হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২২৯) কোরআন-হাদিসের ভাষায় আরব বলতে গোটা আরব উপদ্বীপকে বোঝায়। আরব উপদ্বীপের দেশগুলো হলো সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও ওমান। সম্প্রতি এই আরব দ্বীপগুলোতেই হচ্ছে ঝড়বৃষ্টি, তীব্র বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তুষারপাত। পানির ছোঁয়ায় বলতে গেলে শুষ্ক মরুভূমি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে সবুজ অরণ্যে। এসবের মাধ্যমে মহানবী (

মরক্কোর ফুটবলার আশরাফ হাকিমি

ছবি
  "আমার মা ঘর পরিষ্কার করতেন এবং আমার বাবা একজন ফুটপাতের দোকানী ছিলেন। আমরা একটি নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি যারা জীবিকা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করেছিল। আজ আমি প্রতিদিন তাদের জন্য লড়াই করি। তারা আমার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।" উহিব্বুকে উম্মি’ (মা আমি তোমায় ভালোবাসি)। সঙ্গে লাল রঙের ভালোবাসার একটি চিহ্ন। কোলাজ করা দুটি ছবির সঙ্গে আরবিতে দেওয়া এক লাইনের এই টুইট বার্তাকে এ সময়ে ভাইরাল বলাই যায়। টুইটটি করেছেন মরক্কোর ফুটবলার আশরাফ হাকিমি। কেন তাঁর এই টুইট এতটা আলোচনায়? তিনি পিএসজির একজন তারকা ফুটবলার বলে, নাকি আরও গল্প আছে? নিশ্চয়ই গল্প আছে। কারণ, আশরাফ হাকিমির জীবন যে বড় সংগ্রামের। আর এই সংগ্রামের অন্যতম সারথি তাঁর মা সাইদা মু। যে মা তাঁর সন্তানদের মানুষ করতে করেছেন পাহাড়সমান কষ্ট। পরিবার সামলাতে স্পেনে করেছেন বাসাবাড়ি পরিষ্কারের কাজ। তাঁর বাবা হাসান হাকিমিও কষ্ট করেছেন স্পেনের রাস্তায় রাস্তায়। ফেরি করে বিক্রি করেছেন মালামাল। আশরাফ হাকিমি আরবিতে ওই টুইটটি করেছেন ২৭ নভেম্বর বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে মরক্কোর জয়ের পর। এর আগেই কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামের ওই ছবি ও ভিডিও জয় ক

দিস টাইম ফর আফ্রিকা

  পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মরক্কো। এরপরই শুরু হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া। এক টুইটবার্তায় ওজিল লেখেন, ‘আমি গর্বিত। কী দারুণ দল ‘মরক্কো’, আফ্রিকা ও মুসলিম বিশ্বের জন্য কী দারুণ অর্জন।’ তিনি আরো লেখেন, ‘আধুনিক ফুটবলে এমন রূপকথার ঘটনা দেখতে পাওয়া দারুণ। এটি অনেককে আশা ও শক্তি জোগাবে।’ মরক্কোর জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।এরদোগান অভিনন্দন জানিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় আমি অন্তরের গভীর থেকে মরক্কো জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে এই অর্জনে আমাদের মরক্কান সকল ভাইদের প্রতিও শুভেচ্ছা।’ বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা এটিকে ‘দুর্দান্ত এক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক অর্জন’ উল্লেখ করে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মেদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এ উপলক্ষে মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদ ষষ্ঠকে ফোন করেন এবং কাতারে চলমান বিশ্বকাপে তার দেশ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় তাকে বিশেষ অভিনন্দন জানান। শাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস দেবি টুইটারে লিখেছেন, ‘ঐতিহাস

যে মসজিদে আশ্রয় নিয়ে ই*হু*দিরা জীবন বাঁচিয়েছেন

ছবি
  ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান সদস্য। ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-দেশের একটি এবং এর ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে।৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০১ বর্গকিলোমিটা্র আয়তনের ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই এর স্থান এবং পৃথিবীর মধ্যে ৪৮ তম দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র।২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৯ লাখেরও অধিক।সংবিধান অনুযায়ী একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ফ্রান্স। ২০১৬ সালের এক হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে, দেশটির ৫১ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করে। মুসলমান ও অন্যান্য আরও কিছু ধর্ম পালন করে ৯ শতাংশ মানুষ। এছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার ধর্ম পালন করে না।মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে ৬মিলিয়নের ও বেশি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷পিউ রিসার্চ সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ হবে। এই মুসলমানরা বেশির ভাগই আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এসে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে

মরক্কো - স্পেন ফুটবল ও ভূখন্ড বিবাদ

প্রতিবেশী দুই দেশ স্পেন ও মরক্কো। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলে দুই দেশের পার্থক্য চোখে পড়ার মতোই। বিশ্বকাপ, ইউরো—সবই জিতেছে স্পেন। আর মরক্কোর সেরা সাফল্য ১৯৭৬ সালের আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট। স্পেন আছে ৭ নম্বরে, মরক্কোর অবস্থান ২২-এ। দুই দলের আগের তিনবারের সাক্ষাতে পাল্লাটা স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকে আছে স্পেনের দিকে। মুখোমুখি ৩ ম্যাচের ২টিতেই জিতেছে স্পেন, অন্য ম্যাচটি হয়েছে ড্র। কিন্তু মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপের, পরিসংখ্যান আর র‌্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য অনেক সময় শুধুই মায়াবী বিভ্রম। আর এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সেটা দেখা গেছে অনেকবার।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে মরক্কো! তাও আবার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে। এরপর পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে মরক্কো। মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এর চেয়ে বড় দিন আর আসেনি। উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের দুই সার্বভৌম ভূখণ্ড সুটা এবং মেলিল্লা। কিন্তু মরক্কোর কাছে ‘সুটা এবং মেলিল্লা তাদের জায়গা যা স্পেন কয়েকশ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছে।তবে আফ্রিকায় মরক্কোর লাগোয়া স্পেনের এই দুই শহরের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের

মরক্কোর বিজয়ে ধর্মীয় তাৎপর্য না থাকলেও রাজনৈতিক তাৎপর্য অনস্বীকার্য।

ছবি
আফ্রিকার সবচেয়ে পশ্চিমের দেশ মরক্কো। মরক্কো কেবলই প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে নয়, প্রথম আরব দেশ হিসেবেও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে বিস্ময় মরক্কো। এখন অবশ্য অনেকেই মরক্কোর জয়কে অঘটন বলতে নারাজ। যে দল বেলজিয়ামকে হারিয়েছে,ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করেছে, স্পেনকে হারিয়েছে, পর্তুগালকে ৯০ মিনিটের খেলায় হারিয়েছে, তাদের জয়কে অঘটন বলার উপায় নেই। ১৯৫৭ সালের ১৯শে অক্টোবর তারিখে, মরক্কো প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে; লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত মরক্কো এবং ইরাকের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ৩–৩ গোলের ড্র হয়। মরক্কো এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা পশ্চিম জার্মানির কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে মরক্কো অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (১৯৭৬) শিরোপা অর্জন করে। এছাড়াও, মরক্কো ২০১৮ আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লাভ করে।ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে মরক্কো তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১

ইউরোপের খলনায়ক সার্বিয়া

ছবি
মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ সার্বিয়া। বলকান উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থান। এটি পানোনীয় সমভূমির দক্ষিণাংশে, বলকান উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থিত। দেশটির উত্তরে হাঙ্গেরি, পূর্বে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, দক্ষিণে আলবেনিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়া, এবং পশ্চিমে মন্টিনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। এর রাজধানীর নাম বেলগ্রেড। সার্বিয়ার আয়তন ৭৭ হাজার ৪৭৪ বর্গকিলোমিটার (কসোভো বাদ দিয়ে)।। ২০১৮ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যা ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৩২২ (কসোভো বাদ দিয়ে)।জাতিগোষ্ঠীর সার্ব ৮৩.৩ শতাংশ, হাঙ্গেরিয়ান ৩.৫ শতাংশ, রোমা ২.১ শতাংশ, বসনিয়াক ২ শতাংশ, অন্যান্য ৯.১ শতাংশ। সংবিধান অনুযায়ী সার্বিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে বসবাসকারীরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারে। তবে দেশটির ৮৪ শতাংশ মানুষ ‍খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী। এছাড়া রোমান ক্যাথলিকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশ এবং মুসলিম ৩ শতাংশ। অন্যান্য ধর্মালম্বী রয়েছে আরও ৭ শতাংশ। সার্বিয়ার অফিসিয়াল ভাষা সার্বিয়ান। দেশটির ৮০ শতাংশের অধিক মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। এছাড়া দেশটির প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হাঙ্

তিউনিসিয়া

ছবি
  তিউনিসিয়া আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্র। এর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে আলজেরিয়া , দক্ষিণ-পূর্বে লিবিয়া এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। মাউন্ট অ্যাটলাসের পূর্ব পাশে দেশটির অবস্থান। এর উত্তর প্রান্তে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।দেশটির বাকি অংশের জমি উর্বর। এর উপকূলরেখা ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। রাজধানীতিউনিস সবচেয়ে বড় শহর আয়তন : এক লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ৯১ তম। জনসংখ্যা : এক কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার ৪৮২ জন। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ৭৯ তম বৃহত্তম দেশ। জাতিগোষ্ঠী : আরব , বারবার , ইউরোপীয় , তুর্কি , ইহুদি। রাষ্ট্রধর্ম : ইসলাম।শতকরা ৯১ জন মুসলমান । বাকিরা ইহুদি অ খ্রিস্টান । ভাষা : রাষ্ট্রআরবি ও সরকারি ভাষা ফরাসি মুদ্রা : তিউনিসীয় দিনার। জাতিসংঘে যোগদান : ১৯৫৬ সালে। ইতিহাস খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকে বারবারদের আগমন ঘটে। তখন তিউনিসিয়া বারবার জাতির আবাসস্থল ছিল। খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে অঞ্চলটিতে ফিনিসিয়ানদেরঅভিবাসন শুরু হয়। একপর্যায়ে অঞ্চলটি তারাই শাসন করতে শুরু করে। ৪১৪ খ্রিষ্টপূর্বেকার্থেজ