যে মসজিদে আশ্রয় নিয়ে ই*হু*দিরা জীবন বাঁচিয়েছেন
ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান সদস্য। ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-দেশের একটি এবং এর ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে।৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০১ বর্গকিলোমিটা্র আয়তনের ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই এর স্থান এবং পৃথিবীর মধ্যে ৪৮ তম দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র।২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৯ লাখেরও অধিক।সংবিধান অনুযায়ী একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ফ্রান্স। ২০১৬ সালের এক হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে, দেশটির ৫১ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করে। মুসলমান ও অন্যান্য আরও কিছু ধর্ম পালন করে ৯ শতাংশ মানুষ। এছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার ধর্ম পালন করে না।মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে ৬মিলিয়নের ও বেশি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷পিউ রিসার্চ সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ হবে।
এই মুসলমানরা বেশির ভাগই আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এসে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে বসতি স্থাপন করেছেন।সংখ্যায় মুসলমানরা কম হলেও জার্মানির আক্রমণ থেকে ফ্রান্সের ভূখণ্ড রক্ষায় প্রথম মহাযুদ্ধে প্রায় ৩৮ হাজার মুসলমান ফ্রান্সের জন্য জীবন দিয়েছে। এই যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জনকারী মুসলমানদের সম্মানে ফ্রান্সের সরকার ১৯২৬ সালে প্যারিসে গ্র্যান্ড মসজিদ স্থাপন করে।
ধারণা করা হচ্ছে, অমুসলিম এই ফ্রান্সের এটিই প্রথম মসজিদ, যা এখনো মুসলমানদের আত্মত্যাগের সাক্ষী হিসেবে বিদ্যমান।
বিস্ময়ের কথা হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মসজিদটি উত্তর আফ্রিকান ও ইউরোপিয়ান ইহুদিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজে আসে। হিটলার বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখানে এসে ইহুদিরা আত্মগোপন করে থাকত।
এমনকি মসজিদ কমিটি তাদের জন্য ভুয়া মুসলিম জন্মনিবন্ধন কার্ডও তৈরি করে দিয়েছিল। আশ্রয় নেওয়া ইহুদিদের নির্দিষ্ট সংখ্যার হিসাব পাওয়া না গেলেও আনুমানিক বলা যায়, তাদের সংখ্যা ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ পর্যন্ত পৌঁছেছিল; বরং এর চেয়েও বেশি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন