সেকালের বুদ্ধিজীবী
লেখক এবং বুদ্ধিজীবী শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফার জীবনের শেষদিকের একটি ছবি, অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর ভাড়া বাসায়।
"তিনি আমৃত্যু অর্থসংকটে নিপতিত হয়েছেন অগণিতবার। এমনকি, তিনি মারা যাওয়ার সময় তাঁর ছ'মাসের বাড়িভাড়া বাকি ছিলো" - স্যার সলিমুল্লাহ খান।
একালের বুদ্ধিজীবীদের কথা না হয় বাদই দিলাম। মিলিয়ে নেন।আহমদ ছফা ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, ‘‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবীরা যা বলেছিলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না৷ আর এখন যা বলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না৷’’ (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই বুদ্ধিজীবীদের কথা তেমন আমলে নেওয়া হয়নি, এটাও সত্য)৷ মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কিকে লেখা চিঠিতে বুর্জোয়া শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের তুলনা করেছিলেন ‘বিষ্ঠা’র সঙ্গে৷ বলেছিলেন, এরা পুঁজির পা চাটা, এরা জাতির মগজ নয়, জাতির বিষ্ঠা৷ কম্বোডিয়ার খেমাররুজ নেতা পলপট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, লেখক-বুদ্ধিজীবীদের শহর থেকে তাড়িয়ে গ্রামে কৃষি খামারে কাজ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন