পোস্টগুলি

হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর জীবনের তিন ঘটনা

আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) জিলান শহরের নাইফে ৪৭০ হিজরির রমজানে/১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। জিলান শহর হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ তীরবর্তী পর্বতঘেরা অঞ্চল। তাঁর পিতার নাম ছিল সৈয়দ আবু সালেহ মুসা জেঙ্গি এবং মাতার নাম ছিল সৈয়দা উম্মুল খায়ের ফাতিমা। পিতার দিক দিয়ে তিনি ছিলেন হজরত ইমাম হাসান (রা.) –এর বংশধর আর মায়ের দিক থেকে ছিলেন হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)–এর বংশধর। হাসানি ও হুসাইনি দুই পবিত্র রক্তধারার সম্মিলন ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। বাবার দিক থেকে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) হজরত আলী (রা.)-এর ১১তম বংশধর। মায়ের দিক থেকে তিনি হজরত আলী (রা.)-এর অষ্টাদশ বংশধর। তাঁকে নিয়ে অনেক কথা , কিংবদন্তি বিদ্যমান সমাজে। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করেন। এক হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর বাল্যশিক্ষা মক্তবে শুরু হয়। প্রথম দিন মক্তবে গিয়ে দেখেন অন্যান্য ছাত্রদের ভিড়ে বসার কোনো জায়গা নেই। হঠাৎ করে উপর হতে গায়বী আওয়াজ আসল, হে মক্তবের ছাত্ররা! আল্লাহর অলির বসার স্থান প্রসস্ত করে দাও। গায়বী আওয়াজ আসার সাথে সাথে সকল ছাত্ররা চেপে বসলেন। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর বসার ব্যবস্থা হয়ে

সম্রাট হুমায়ুনের লাইব্রেরি যেটির সিঁড়ি থেকে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন

ছবি
ছবির ঘরটি দ্বিতীয় মোগল সম্রাট হুমায়ুনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। শত বছর পেরিয়েও আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই লাইব্রেরি। বলা হয়ে থাকে এটি সম্রাট হুমায়ুনের জ্ঞান চর্চার বাতিঘর। ভারতে এটি হুমায়ুন লাইব্রেরি হিসেবে পরিচিত। লাইব্রেরির নির্মাণ ও স্থাপত্যশৈলী অনেক দৃষ্টিনন্দন। এটি অষ্টভুজাকৃতির নির্মাণ শিল্প।দিন শেষে অস্তমিত যাওয়া সূর্যের রোদ লাল বেলেপাথর থেকে খুব সুন্দরভাবে অবলোকন করা যায়। ভারতের দিল্লির পুরান কেল্লার ভেতরে এই লাইব্রেরির অবস্থান। সম্রাট হুমায়ুন না থাকলেও আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার জ্ঞান চর্চার বাতিঘর হুমায়ুন লাইব্রেরি। যদিও এর নির্মাণ আদেশ সম্রাট বাবরের সময় হয়েছিলো, কিন্তু হঠাৎ মৃত্যুর জন্য সম্রাট বাবরের জীবদ্দশায় এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সম্রাট হুমায়ুন শের শাহের কাছে পরাজিত হলে দুর্গের দখল চলে যায় শের শাহের কাছে, ফলে এর নির্মাণকাজ স্থগিত হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার হিন্দুস্তানের সম্রাট হওয়ার পর সম্রাট হুমায়ুন এর নির্মাণ কাজ শেষ করান। শের শাহের সম্মানে স্থাপনাটির নামকরণ করা হয় 'শের মণ্ডল'। সম্রাট হুমায়ুন এই স্থাপনাটি তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখা

শেরশাহর সমাধিসৌধ

ছবি
  শেরশাহ ভারতবর্ষের সম্রাট ও শূর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। শেরশাহ ছিলেন বিহারের অন্তর্গত সাসারামের জায়গিরদার হাসান খান শূরের পুত্র। ১৫৩৭ সালে নতুন মুঘল সম্রাট হুমায়ুন যখন অন্যত্র অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় শেরশাহ শুরি বাংলা জয় করে সুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। হুমায়ুন বাংলা অভিমুখে অগ্রসর হলে শেরশাহ বাংলা ত্যাগ করেন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে (বক্সারের নিকটে) হুমায়ুনকে পরাভূত করে তিনি ‘শাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন এবং বাংলা পুনর্দখল করে খিজির খানকে এর শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। পরবর্তী বছর পুনরায় হুমায়ুনকে পরাজিত ও ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করে তিনি দিল্লির সিংহাসন অধিকার করেন। ১৫৪৫ সালে চান্দেল রাজপুতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় কালিঞ্জর দুর্গে বারুদের বিস্ফোরণে শেরশাহ সুরির মৃত্যু হয়। সাসারামে একটি কৃত্রিম হ্রদের মাঝখানে তার ১২২ ফুট উঁচু নয়নাভিরাম সমাধিসৌধটি আজও বিদ্যমান। তার সমাধি ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের উদাহরণ। এটি মীর মুহাম্মদ আলীওয়াল খান ডিজাইন করেছিলেন।

বসনিয়ার সেব্রেনিচা হত্যাকাণ্ড

ছবি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে বসনিয়ার যুদ্ধে। এই যুদ্ধের প্রধান শিকার হয় মূলত বসনিয়ার মুসলমানরা। সমাজতান্ত্রিক যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্র ভেঙে ছয়টি স্বাধীন দেশ আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯২ সালের ১ মার্চ যুগোস্লাভিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তখন শুরু হয় দ্বন্দ্ব। তিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বসনিয়াক নামে পরিচিতরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। তারা ছিল স্বাধীন বসনিয়া গঠনের পক্ষে। অপর দুই জাতি বসনীয় ক্রোয়েট ও বসনীয় সার্বরাও নতুন করে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তোলে। ক্রোয়েটরা প্রতিবেশী ক্রোয়েশিয়ার আর সার্বরা সার্বিয়ার সঙ্গে এক হয়ে যেতে চায়। ‘বসনিয়ার কসাই’ নামে কুখ্যাত ম্লাদিচের নেতৃত্বে সার্ব সেনারা বসনিয়ার একের পর এক এলাকার দখল নিতে শুরু করে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্রোয়েট ও মুসলমানরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৫ সালের গোড়ার দিকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল সার্বদের প্রতি বসনিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। কিন্তু তারা আহ্বানে সাড়া দেয় না। ফলে বিমান হামলা শুরু করে ন

পিতার প্রতি কর্তব্য

  অনেকের মিষ্টি ভালো লাগে না। কিন্তু মিষ্টির রস ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে অনেকের বাপ মায়ের খেদমত করতে ভালো লাগে না। কিন্তু বাপ মায়ের জায়গা জমি সম্পত্তি ভালো লাগে।এগুলো হচ্ছে নাদান কুলাঙ্গার সন্তান। আরবে এক সময় এক সৎ লোক বাস করতেন। তার চার জন ছেলে ছিল। যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হ’লেন এবং মৃত্যু শয্যায় শায়িত হ’লেন, তখন তার ছোট ছেলে স্বীয় ভাইদেরকে বলল, তোমরা পিতার খেদমত কর এবং তার অতিরিক্ত সম্পদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাক। অথবা তোমরা আমাকে তার খেদমত করার সুযোগ দাও। আমি তার খেদমতের বিনিময়ে বেশী সম্পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকব। অন্যান্য ভাইদের জন্য এটা ছিল সুযোগ। কারণ খেদমত না করেই বাবার সম্পদ পেয়ে যাবে। এমনকি তাদের ছোট ভাই পিতার সম্পদ থেকে খেদমতের বিনিময়ে কোন কিছু নিবে না। তাই তারা বলল, বরং তুমি পিতার খেদমত কর এবং তার সম্পদ থেকে বেশী কিছু গ্রহণ থেকে বিরত থাক। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। ছোট ভাই পিতার খেদমত করতে থাকল। লোকটি খুশি হয়ে একদিন আল্লাহর কাছে হাত তুলে ছোট ছেলের জন্য দো‘আ করে বললেন, হে আল্লাহ! আমার ছেলের সম্পদে বরকত দিয়ো। আল্লাহর ফায়ছালা অনুযায়ী তিনি একদিন মৃত্যুবরণ করলেন। ওয়াদা মাফিক ছোট ভা

আওরঙ্গজেব তাঁর অর্থনীতি

ছবি
  আওরঙ্গজেব বা আল-সুলতান আল-আজম ওয়াল খাকান আল-মুকাররম আবুল মুজাফফর মুহি উদ-দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বাহাদুর আলমগীর I, বাদশা গাজী, প্রথম আলমগীর নামেও পরিচিত (নভেম্বর ৩, ১৬১৮ – মার্চ ৩, ১৭০৭) ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৪৯ বছর মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রায় সম্পূর্ণ ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছিলেন।তিনি ছিলেন বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর এবং শাহ জাহানের পরে ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট। আওরঙ্গজেব সম্রাট শাহজাহানের পুত্র। তিনি একজন দক্ষ সামরিক নেতা ছিলেন। যার শাসন প্রশংসার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওরঙ্গজেব একজন কুরআনের হাফেজ ছিলেন এবং সম্রাট হওয়া সত্ত্বেও তিনি সাধারণ জীবন যাপন করতেন।আওরঙ্গজেব টুপি এবং নিজের হাতের লিখা কুরআন বিক্রি করতেন আর রাজ্যের সম্পদ স্পর্শ করতেন না।ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী’ আওরঙ্গজেবের অমর কীর্তি। মহান এই জ্ঞানগত সেবা তাঁকে ইতিহাসে অনন্য স্থান দিয়েছে। মুঘল সম্রাট হিসেবে আওরঙ্গজেবের শাসনামল বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের সীমানা বহুদূর বিস্তার করেন। তার আমলে দক্ষিণাঞ্চলে ৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।তিনি ১৫৮ মিলিয়ন প্র

মুসলমানদের মিসর বিজয়

ছবি
মহানবী (সা.)-এর তিরোধানের পর ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামলে মুসলিম সেনাপতি আমর বিন আস (রা.) মিসর জয় করেন এবং বাইজানটাইন শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। আমর-বিন-আস ৪০ হাজার সৈন্যসহ ৬৩৯ সালে ওয়াদি আল্-আরিশের পথ দিয়ে মিসরের দিকে অগ্রসর হলেন । আল-আরিশ দখলের পর তিনি মিসরের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ফারমা অধিকার করেন। পথে তিনি কায়রোর উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিলবিস এবং আরও কয়েকটি ছোট ছোট শহর দখল করে ব্যাবিলনের সন্নিকটে পৌঁছান। এ সময় হজরত ওমরের নির্দেশে আমরের সাহায্যার্থে আরও দশ সহস সৈন্য মিসরে এসে পৌঁছল। আমর এ সেনাবাহিনী নিয়ে ৬৪০ সালে ৬ জুলাই হেলিওপলিস আক্রমণ করলেন। বাইজানটানীয় বাহিনী ২৫ হাজার সৈন্য দ্বারা সুসজ্জিত থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করল। পরাজিত বাইজানটাইনীয় বাহিনীর সেনাপতি থিওডোরাস আলেকজান্দ্রিয়ায় পলায়ন করলেন এবং বাইজানটাইনের শাসক সাইরাস ব্যাবিলন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করলেন। মুসলিম সেনাবানিহী ব্যাবিলন অবরোধ করল। সাত মাস অবরোধ চলার পর ৬৪১ সালের এপ্রিল মাসে তা মুসলমানদের হস্তগত হলো । ব্যাবিলন দখলের পর আমর রোমানদের প্রধান সামরিক ঘাঁটি আলেকজান্দ্র

উপেক্ষিত মনীষী ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ছবি
জুলাই মাসের ১০ তারিখে জন্ম নিয়ে একই মাসের ১৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক, আইনজীবী, অনুবাদক, কবি, সাহিত্যিক, লোকবিজ্ঞানী, দার্শনিক, জ্ঞানতাপস ও ভাষাসৈনিক ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবদ্দশায় ইংরেজি, লাতিন, আরবি, উর্দু, ফারসি, জার্মানি, ফরাসি, হিব্রু, গ্রিক, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, সিংহলি, সিন্ধিসহ প্রায় ২৪টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। তন্মধ্যে ১৮টি ভাষাতেই অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল এবং সেই ভাষাগুলোতে তিনি অনর্গল বক্তৃতা দিতে পারতেন। নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানে না শহীদুল্লাহর নাম এবং নাম জানলেও জানে না কী তার অবদান। তাদের জন্যই বলছি, বাংলাভাষার গবেষক হিসেবে মুহম্মদ শহীদুল্লাহর প্রধান অবদান হলো, চর্যাপদের বিষয়বস্তু এবং তার কবিদের পরিচয় তুলে ধরা, বাংলাভাষার উৎপত্তিকাল নির্ধারণ করা (শহীদুল্লাহর মতে এটি ৬০০ থেকে ৭০০ অব্দের মধ্যে), বাংলাভাষার উৎপত্তি যে গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে সেটি বলা, আঞ্চলিক ভাষার অভিধান প্রণয়ন করা এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রণয়ন। তবে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে ত

কুরবানী কে দেবে, কত টাকা থাকলে কুরবানী দেবে?

  ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে যেসব প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, মুকিম ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ স্বীয় হাজাতে আসলিয়্যাহ (পানাহার, বাসস্থান, উপার্জনের উপকরণ ইত্যাদি) ছাড়া অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, যা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ হয়। #স্বর্ণের নিসাব ও মূল্যের বিবরণ - কেউ যদি স্বর্ণকে নিসাব ধরে তবে তাকে সাড়ে ৭ ভরি/তোলা স্বর্ণের মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। যেমন গত বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী- > ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম- ৭২ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। > ২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬৯ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। > ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬০ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। > সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম- ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০টাক

বার্লিন চুক্তি

ছবি
বার্লিনের চুক্তি (আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্বে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড, ইতালি, রাশিয়া এবং অটোম্যান সাম্রাজ্যের মধ্যে সমঝোতার চুক্তি) ১৩ জুলাই ১৮৭৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বহু আলোচনার প্রেক্ষিতে সানস্টিফানোর সন্ধি সংশোধিত করে যে নতুন সন্ধি স্বাক্ষর করে ইতিহাসে তাই বার্লিন কংগ্রেস বা বার্লিন চুক্তি নামে অভিহিত। জার্মান চ্যান্সেলর বিসমার্কের সভাপতিত্বে বার্লিনে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। বার্লিন কংগ্রেসের চুক্তিতে উল্লিখিত ধারাসমূহ। (ক) মন্টিনিগ্রো, সার্বিয়া এবং রুমানিয়া তুরস্কের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে পরিগণিত হবে। (খ) সানস্টিফানো সন্ধি দ্বারা স্বীকৃত বৃহত্তর বুলগেরিয়াকে তিন অংশে ভাগ করা হলো- ম্যাসোডোনিয়া, পূর্ব রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া। ম্যাসিডোনিয়া তুরস্ক সুলতানের অধীনে থাকল, বুলগেরিয়ার দক্ষিণাংশ রুমানিয়া নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করল। তবে সুলতানের অধীনে একজন খ্রিস্টান গভর্নর এ নতুন রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করবেন বলে স্থির হলো। অবশিষ্টাংশ বুলগেরিয়া নামে পরিচিত হবে এবং তুরস্কের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র

মহাকাশ ও পৃথিবী

ছবি
নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য রয়েছে নিদর্শন। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, এ সবকিছু আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। সব পবিত্রতা আপনারই। আপনি আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচান। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৯০-৯১) সম্প্রতি মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরনো কিছু ছায়াপথের ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সৌরজগতের গ্রহগুলো যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরতে থাকে, তেমনি ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোও আপন আপন কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণায়মান। এই ছায়াপথগুলো আবার বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। কোনোটি উপবৃত্তাকার, কোনোটি কুণ্ডলাকার আবার কতগুলো সর্পিলাকার। ধারণা করা হয়, মহাবিশ্ব সৃষ্টির দুই থেকে তিন বিলিয়ন বছর পর বেশির ভাগ ছায়াপথ একই সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছিল। ২০২১ সালে নাসার নিউ হোরাইজনস স্পেস প্রোবের তথ্য ব্যবহার করে জানা যায় যে, ২০,০০০ কোটি ছায়াপথের অস্তিত্ব রয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের একটি পরিগণনা অনুযায়ী, মনে করা হয়েছিল পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে দুই ট্র

ক্রুসেড!

ছবি
ক্রুসেড! শব্দটির ব্যাপ্তি ও গভীরতা সীমাহীন। এর বিষাদময় পরিণতির খবর পৃথিবীর অনেকের কাছেই অজানা। মধ্যযুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানকে বোঝানোর জন্য এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ৬৩৮ সালে ক্লারমেন্টের ঐতিহাসিক এক গ্রন্থে ‘ক্রয়েসাডি’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহূত হয়। এ শব্দটিই পরবর্তীতে ক্রুসেড অর্থে ব্যবহূত হতে থাকে। ১৭৫০ সাল নাগাদ ক্রুসেড শব্দটি ইংরেজি, ফরাসি ও জার্মান ভাষায় স্থান করে নেয়। ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেনস্টোন ১৭৫৭ সালে সর্বপ্রথম অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে শব্দটি সংযোজন করেন। সাধারণভাবে বিশ্ব ইতিহাসে ক্রুসেড বলতে পবিত্র ভূমি অর্থাৎ জেরুজালেম এবং কন্সটান্টিনোপল এর অধিকার নেয়ার জন্য ইউরোপের খ্রিস্টানদের সম্মিলিত শক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ১০৯৫ - ১২৯১ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার যে যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করে সেগুলোকে বোঝায়। ১০৯৯ সালের ১৫ জুলাই। ক্রুসেডারদের হাতে বায়তুল মুকাদ্দাস পদানত হয়। খ্রিস্টানরা বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করে। খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের নৃশংসতা থেকে বাঁচতে অনেকে উমার (রা.) এর মসজিদে আশ্রয় নিলো। কিন্তু ক্রুসেডারদের তরবারির কোপে সেখানে শুধু মৃত্যুর গোঙ্গানির শব্দই বের হলো। হাহা

ইসলামী স্থাপত্য শিল্পে কীর্তিমান পুরুষ মিমার সিনান

ছবি
মধ্যযুগ ছিলো জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম উম্মাহর স্বর্ণযুগ। ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় মুসলমানরা বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলো। ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন এমন অসংখ্য মনীষী। তাঁদের উদ্ভাবন ও আবিষ্কার কালের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পৃথিবীর দিকে দিকে আজও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।জেরুজালেমের ডোম অফ রক্‌, হিন্দুস্তানের আগ্রার তাজমহল, আল-আন্দালুস (মুসলিম স্পেন) এর গ্রানাদায় আল-হামরা এবং ওসমানী সাম্রাজ্যের ইস্তানবুলে সুলতান আহমেদ জামে মসজিদ (Blue Mosque) অন্যতম। মধ্যযুগে ইসলামী স্থাপত্য শিল্পে এমনই এক কীর্তিমান পুরুষ হলেন- মিমার সিনান আগা। পৃথিবীটা যদি সম্পূর্ণ একটি দেশ হিসেবে ধরা হয়, তবে সে দেশের রাজধানী হবে ইস্তানবুল”। বলেছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। এই ইস্তানবুলেই জন্মেছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যবিদ মিমার সিনান। মিমার সিনান সুলতান দ্বিতীয় বাইজিদ বিন মুহাম্মাদ আল-ফাতিহ্ -এর আমলে ৮-রজব-৮৯৫ হিজরীতে (মোতাবেক ১৫-৪-১৪৮৯ খৃস্টাব্দে) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থাপত্যশিল্প নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে হয়ে উঠেন স্থাপত্যশিল্পের প্রাণ-পুরুষ। এখন

শামস-ই তাবরিজি

ছবি
শামস-ই তাবরিজি বা শামস আল দিন মোহাম্মদ ছিলেন একজন ইরানি সুফি ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ। তিনি ১১৮৫ সালে ইরানের প্রসিদ্ধ শহর যা বর্তমানে পূর্ব আজারবাইনের রাজধানী তাবরিজে জন্ম গ্রহণ করেন।হজরত শামস-ই তাবরিজি সম্পর্কে বলা হয়, তিনি ছিলেন সেই সময়ের আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাট। তিনি নির্জনতা প্রিয় ছিলেন এবং একা ছিলেন। পরিব্রাজক ছিলেন বলে তাকে পারিন্দা বলা হতো। তিনি এক জায়গায় স্থির থাকতেন না। তিনি বিখ্যাত মুসলিম জ্ঞান তাপস জালালউদ্দিন রুমির শিক্ষক ছিলেন।হজরত শামস তাবরিজি সম্পর্কে আজও বিশ্ব ইতিহাসে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তেমন পাওয়া যায় না। জালালউদ্দিন রুমির লেখার মাধ্যমে শামস-ই তাবরিজির নাম বিশ্বব্যাপী আমরা জানতে পারি।জালালউদ্দিন রুমি যখন তুরস্কের কোনিয়ায় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তখন বিশ্বব্যাপী তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আধ্যাত্মিক চর্চা করতেন। একদিন পথে এক জীর্ণ পোশাকধারী ব্যক্তির সাক্ষাৎ পান। সে ব্যক্তির প্রশ্ন ছিল- হে রুমি, ইমানের সংজ্ঞা কী? হজরত রুমি নানাভাবে তাকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন ইমানের সংজ্ঞা। কিন্তু সেই জীর্ণ পোশাকধারী ব্যক্তি তার উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। তিনি বললেন, রুমি, ইমানের সংজ্ঞা

মুসলমানদের স্পেন বিজয়

ছবি
  প্রাচীনকালে স্পেন আইবেরীয় উপদ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। অপরূপ সুন্দর এই উপদ্বীপটি মুসলিম শাসনামলে আন্দালুস নামে পরিচিতি লাভ করে। দেশটি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ২,৯৫,১৪০ বর্গমাইল। চারদিকে প্রাকৃতিক সীমারেখা দ্বারা পরিবেষ্টিত। উত্তর ও পশ্চিমে বিশাল আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর এবং পূর্বে পীরেনীজ পর্বতমালা। খোলাফায়ে রাশেদার যুগ শেষ হওয়ার পর উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদের নেতৃত্বে মুসলিম বিজয় দুর্বার গতিতে বিস্তৃত হতে থাকে। ৬৯৮ সালে মুসলিম সেনাদের রণনিপুণতায় উত্তর আফ্রিকার অধিকাংশ এলাকা মুসলিম সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ সময় আফ্রিকা ছিল অন্ধকারের মহাদেশ হিসেবে পরিচিত। দুর্গম পাহাড়-পর্বত, জন্তু-জানোয়ার আর জঙ্গলের দেশ বলা হতো আফ্রিকাকে। এই জঙ্গলের দেশে মুসলিমগণ জ্ঞানের আলো জ্বালালেন। সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হলো তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, লিবিয়া, মৌরতানিয়া ও মরক্কো। উত্তর আফ্রিকার দুর্ধর্ষ, অদম্য ও যুদ্ধে অজেয় ‘বারবার’ জাতি ইসলামের সৌন্দর্যের কাছে পরাজিত হলো। তারা মুসলিম নেতাদের চরিত্র মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো। সত্যের এ আলোর ঝলক ছড়িয়ে পড়লো পার্শ্ববর্তী স্পেনে। এ সময়ে স্প

হযরত ওসমানের বাহরে রুমা কূ

ছবি
মহানবী (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির ১৩তম বছরে সবে মাত্র মুসলমানরা মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসেছেন। অচেনা পরিবেশে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। মদিনায় ‘বিরেরুমা’ বা বাহরে রুমা’ নামে ইহুদির একটি কূপ ছিল। কূপটির মালিক রুমা নামক এক ব্যক্তির নামানুসারে এটাকে রুমা কূপ বলা হতো। ইহুদিরা সুযোগ বুঝে কূপের পানি মুসলমানদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করল। সাহাবারা রাসূলকে (সা.) এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে এই কূপ মুসলমানদের জন্য ক্রয় করে দিবে। মুসলমানদের এই কূপ যে খরিদ করে দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে ঝর্ণা দান করবেন।’ রাসূলের (সা.) কথায় হযরত ওসমান (রা.) ইহুদির কাছে এই কূপ ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ইহুদি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তিনি বললেন, পুরো কূপ বিক্রি না করলে অর্ধেক বিক্রি করুন। এতে একদিন কূপের মালিক হব আমি আর আরেক দিন হবেন আপনি। ওসমান (রা.) অর্ধেক কূপ ক্রয় করে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করতে লাগলেন। লোকজন ওসমানের (রা.) ক্রয় করা নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করত এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত। ইহুদির দিনে কেউ পানি সংগ্রহ করতে যেত না। ফলে তার পানির ব্যবসা মন্দ

ভারতের ত্রাণকর্তা আলাউদ্দিন খিলজি

ছবি
আলাউদ্দিন খিলজি দিল্লীর সুলতান ছিলেন ১২৯৬ থেকে ১৩১৬ সাল পর্যন্ত।তিনি ছিলেন খিলজি বংশের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক। যিনি দিল্লিতে বসে ভারতীয় উপমহাদেশে খিলজি শাসন পরিচালনা করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন ভারতীয় ইতিহাসেও একজন আলেকজেন্ডারের মতো শক্তিশালী কারো কথা উল্লেখ করা থাকুক। তাই তিনি নিজেকে ২য় আলেকজেন্ডার (সিকান্দার-এ-সানি) হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। On July 19th, his 726th Ascension day as the King of India, we Remember Sultan Allauddin Muhammad Khilji who, by defeating mongols twice, may have saved India from massive destruction and Hinduism from a near extinction. তিনি ভারতবর্ষের এমন এক দুঃসময়ে ক্ষমতায় আসেন, যখন ভারতবর্ষের সীমান্তে শোনা যাচ্ছিলো নিষ্ঠুর মঙ্গোল সৈন্যদের অশ্বের ভীতিকর খুরের পদধ্বনি। ভারতের সীমানায় ছিল মঙ্গোলদের ধারালো তরবারির মুহুর্মুহু ঝলকানি। মঙ্গোল আক্রমণের আশংকায় দেশটি হয়ে পড়েছিল ভীতসন্ত্রস্ত এবং অস্থির। মনে রাখতে হবে, সেই সময় মঙ্গোলরা কোন সাধারণ আক্রমণকারী ছিল না। আজকে অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই মঙ্গোলরা তখন কতটুকু নিষ্ঠুর এবং ধ্বংসাত্মক ছিল। মঙ্গোল

জুবায়দা ও নহর-ই-জুবায়দা

ছবি
আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাসে নহর শব্দটির সাথে জুবায়দা নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ইতিহাস ও কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, আব্বাসীয় শাসনামলে ক্ষমতাধর নারী ছিলেন জুবায়দা।জুবায়দা বিনতে জাফর ইবনে মনসুর আব্বাসীয় রাজকন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ছিলেন ।হারুন আর-রশিদের স্ত্রী এবং দ্বিতীয়ত চাচাতো বোন ছিলেন। তিনি বিশেষত বাগদাদ থেকে মক্কা ও মদীনা যাওয়ার পথে মুসলিম হজযাত্রীদের জন্য জল সরবরাহকারী কূপ, জলাধার এবং কৃত্রিম পুলের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। যাঁর সম্মানে নহর-ই-জুবায়দানামকরণ করা হয়েছিল।তিনি ছিলেন যেকোনো ভালো কাজে আগ্রহী আর অগ্রগামী। সমসাময়িক দুনিয়ায় তার মতো বিদুষী, সুন্দরী, পরোপকারী ও বুদ্ধিমতী নারী দ্বিতীয়জন ছিলেন না। তিনি কেবল উচ্চগুণসম্পন্ন নারীই ছিলেন না, ছিলেন একজন কবিও। মরুপ্রবণ মক্কায় পানির তেমন উৎস ছিল না। তাই সবসময় পানি সঙ্কট ছিল তীব্র। ফলে সেকালে হজযাত্রীরা পানির অভাবে অসহনীয় কষ্ট পেতেন। ১৯৩ হিজরিতে আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদের সময়ে পানির অভাব এতই তীব্র হয়েছিল যে, এক বালতি পানি ২০ দিরহামে বিক্রি করা হতো। খলিফা হারুন অর রশিদের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনাও হজযাত্রীদের পানির অভ