পোস্টগুলি

পোল্যান্ডে ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
পোল্যান্ড সরকারিভাবে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের একটি রাষ্ট্র ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। এর রাজধানীর নাম ওয়ার্‌শ। এর পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুস, এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া, ও রাশিয়া অবস্থিত। বাল্টিক সাগরে পোল্যান্ডের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত রয়েছে। পোল্যান্ড ২০০৪ সালের ১লা মে তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।রেচ্‌পস্‌পলিতা নামটির ঐতিহাসিক ভাবে ১৬শ শতক হতে পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়া কমনওয়েলথের সময় হতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কমিউনিস্ট শাসনামলে (১৯৫২-১৯৮৯) দেশটির সরকারি নাম ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী পোল্যান্ড।তিন লাখ ১২ হাজার ৬৭৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট পোল্যান্ড ইউরোপের নবম বৃহত্তম দেশ। স্লাভিক উপজাতিরা প্রথম দেশটিতে বসতি স্থাপন করে। দশম শতাব্দীতে পিয়াস্ট রাজবংশের শাসনামলে রাজ্য হিসেবে পোল্যান্ড সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাপ্টিজম মতাবলম্বীরা দেশটিতে আসে এবং এ সময়ই তাদের প্রচেষ্টায় দেশটিতে খ্রিস্টধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে।ষোড়শ শতকের শেষের দিককে পোল্যান্ডের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা চলে। এ সময়ই জাগ

আজ ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয়ের দিন

ছবি
ফিলিস্তিনিরা ১৯৪৮ সাল থেকে নাকাবা দিবস পালন করে আসছে। নাকাবা অর্থ বিপর্যয়।ইহুদিদের হাতে ওই সময়ে ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয় ঘটেছিল।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিন নামক ভূখণ্ডটি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিন থেকে চলে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে ইহুদিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে ইউরোপে জায়নবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ায় ১৮৮০ সালের দিক থেকেই ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনে এসে বসতি গাড়তে শুরু করে। অবশেষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় ইহুদিদের স্বপ্ন বাস্তবে নেমে আসে। ইহুদিদের যেখানে স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু ফিলিস্তিনিদের জন্য সেখানে বিপর্যয়ের খুঁটি পোঁতা হয়। নাকাবা দিবসের উৎপত্তি ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে শুরু হওয়া আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকে।তার একদিন আগে, ১৪ই মে ইসরায়েল নিজেদের ঘোষণা করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে।সেসময় ওই এলাকা ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে। ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বন্দ্ব ১৯১৭ সালের, যখন ব্রিটিশ সরকার বালফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় বসতি প্রতিষ্ঠা করার আ

দুর্ধর্ষ ইসরাইলি গোয়েন্দা যখন সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা

ছবি
ইউরোপ থেকে বিতাড়িত যেসব ইহুদিকে আরবরা করুণা করে আশ্রয় দিয়েছিলেন, একসময় তারাই চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে।এলি কোহেন বা এলিয়াহু বেন-শওল কোহেন ছিলেন একজন ইসরায়েলী গুপ্তচর। সিরিয়াতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কোহেন সমধিক পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।কিন্তু সিরিয়ার প্রতি-গোয়েন্দাবৃত্তির (কাউন্টার-ইন্টেলিজ্যান্স) দল অবশেষে তার গোয়েন্দা কার্যক্রম উন্মোচিত করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে দোষী সাব্যস্ত করার মাধ্যমে সামরিক আইনে ১৯৬৫ সালে কোহেনের ফাঁসি দন্ডাদেশ কার্যকর করে। ধারণা করা হয় যে, গ্রেপ্তারের পূর্বে কোহেনের জোগাড় করা গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যগুলো ইসরায়েল কে ছয় দিনের যুদ্ধে সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯২৪ সালে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে এক ধর্মপ্রাণ জায়নবাদি ইহুদি পরিবারে এলি কোহেনের জন্ম হয়। মূলত তার পিতা ১৯১৪ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহর ছেড়ে মিশরে এসেছিলেন। এলি কোহেন ১৯৪৭ সালের দিকে মিশরের সেনাবাহ

একজন মজলুম খলিফা

ছবি
  জীবদ্দশায় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ যত অপবাদ ও প্রপাগাণ্ডার শিকার হয়েছেন সমকালীন ইতিহাসে আর কোন শাসক ততটা হননি। সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ (২১ সেপ্টেম্বর ১৮৪২ – ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৪তম সুলতান।। ১৮৬১ সালে তাঁর পিতা সুলতান আবদুল মজিদ ইন্তিকাল করলে চাচা আবদুল আজীজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৭৬ সালে তিনি নিহত হলে তাঁর ভাই পঞ্চম মুরাদ মসনদের হাল ধরেন। ধারণা করা হয়, চাচাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ইয়াহুদী সংগঠন ‘ফ্রি মিশনে’র সাথে পঞ্চম মুরাদেরও হাত ছিল। তার ক্ষমতারোহণের পর বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকে। পঞ্চম মুরাদ ইহুদী লবির পরামর্শে খিলাফতকে বুনিয়াদি রাজতন্ত্রে পরিণত করেন। এতে খলীফা নামমাত্র শাসক হয়ে ওঠেন এবং নির্বাহী ক্ষমতা চলে যায় উযীর ও পাশাদের হাতে। মসনদে আরোহণের কয়েক মাসের মধ্যে ৫ম মুরাদের মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ ফুটে ওঠে। কয়েকমাস পর যখন কোনো অবস্থাতেই তাকে সুস্থ করা যাচ্ছিল না, তখন আব্দুল হামিদের ডাক আসে। ইয়াহুদীবাদী ফ্রি মিশন এবং নব্য তুর্কিদের অনেক অন্যায্য শর্ত মেনেই ১৮৭৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি খিলাফতের পদে আসীন হন। (তারিখে দাওয়াতিল উসমানীয়্যা, ইয়ালমায উস

মুসলিম স্থাপত্য নিয়ে এলার্জি অথচ এসব ঐতিহাসিক স্থাপনা থেকে ভারতের সবচেয়ে বেশি আয়

ছবি
সপ্তম শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের আগমন ঘটে। যা গৌরবোজ্জ্বল মোগল শাসনের অবসানের আগ পর্যন্ত তথা ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়িত্ব লাভ করেছিল।মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষ পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায় মুসলিম শিল্প সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের সাথে। বর্তমানে ভারতে কয়েক হাজার মুসলিম স্থাপনা রয়েছে। যেসব স্থাপত্য ভারতের পর্যটন খাতের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। বর্তমানে ভারতে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বিভিন্ন শহর, জেলা, জনপদ, রাস্তার নাম বদলের একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ইসলামি নামের সঙ্গে যা কিছু যুক্ত, ‘ভারতীয়করণ’–এর নামে তার ‘হিন্দুত্বকরণ’ হচ্ছে। এলাহাবাদের নাম বদলে করা হয়েছে প্রয়াগরাজ।ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে করা হয়েছে অযোধ্যা। প্রবল দাবি উঠেছে মুজাফফরনগরের নাম বদলে ‘লক্ষ্মীনগর’, আহমেদাবাদের নাম বদলে ‘কর্ণাবতী’, আগ্রার নাম পাল্টে ‘অগ্রবন’ করার। দুই দিন আগে এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন কুতুব মিনারের নাম বদলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ করার দাবি তোলে।তবে বিজেপি থেমে নেই। দিন তিনেক আগে দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্ত রাজধানীর ছয়টি রাস্তার নাম বদলের দাবি দিল্লি সরকার ও নতুন দিল্লি পৌরসভার কাছে পেশ করেন। তাঁর দ

সালাউদ্দীন আইয়ুবী কেন আলেমদের হত্যা করেছিলেন?

ছবি
৬৪৮ সালে আমিরুল মুমিনিন হজরত উমর (রা.)-এর খেলাফতকালে মুসলমানরা ফিলিস্তিন জয় করেন। ১০৯৬ সালে খ্রিস্টানরা তা পুনর্দখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে সিপাহশালার সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী আবার জেরুজালেম শহর জয় করেন।সালাউদ্দিন আইয়ুবী বাইতুল মুকাদ্দাস জয় করার পরে সবাই যখন বিজয় উৎসব পালনে ব্যাস্ত, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী গভীর চিন্তায় নিমগ্ন।তার চিন্তার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন যে, বাইতুল মুকাদ্দাস জয় হয়েছে কিন্তু এখনও এমন শত্রু আমাদের মাঝে রয়ে গেছে যাদেরকে খুঁজে বের করতে না পারলে বাইতুল মুকাদ্দাস আমরা বেশিদিন আমাদের কাছে রাখতে পারবোনা। তার কথার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না। সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনাদের নিয়ে খুবই গোপনে নতুন একটি গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করলেন। যাদেরকে আটককৃত ইহুদীদের গোয়েন্দা বিভাগের সেনাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে ট্রেনিং দিলেন। ফিলিস্তিনে এক ইমামের প্রশংসায় ভরপুর। ইসলামী স্কলার, শায়েখ এবং অত্যন্ত আমলদার ও পরহেজগার হিসেবে তার সুখ্যাতি পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে। একদিন তিনি তাফসীরের আলোচনা করছিলেন তার মসজিদে। এ সময় দুইজন অপরিচিত আগন্তুক আসলো। তারাও খুব গভীর মনোযোগ দিয়

লোকসান ওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে

ছবি
  প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের রেল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের।যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৩৯৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেনগুলো পরিচালনায় ব্যয় হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির। দেশে ১০৪টি আন্তঃনগর এবং ২৫৪টি মেল, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩৫৮টি ট্রেনে সিটবিহীন টিকিট বিক্রি হয় ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।টিকিট কালোবাজারি কিংবা টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা নিয়মিতভাবেই ঘটছে। এসব কাজে রেলওয়েরই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে টিকিট পরিদর্শকসহ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বিরুদ্ধে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগও পুরনো।বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির একাধিক খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খাতগুলো হলো সম্পত্তি ইজারা ও হস্তান্তর, অবৈধ স্থাপনা তৈরি, কেনাকাটা, ভূমি অধিগ্রহণ, যন্ত্রাংশ নিলাম, টিকিট বিক্রি, ট্রেন ইজারা, ক্যাটারিং ইত্যাদি।রেলে বর্তমানে প্রায় ৭৭ শতাংশ ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ শতাংশ বগি মেয়াদোর্ত্তীণ-আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে

মক্কা ও মদিনায় কেন অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

ছবি
"হে ঈমানদারগন! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল -হারামের নিকট না আসে.....( সুরা তওবা আয়াত -২৮) কোন কোন মুফাসসির বলেন, কাফেরগণ ব্যহ্যিক ও আত্মিক সর্ব দিক থেকেই অপবিত্র। (কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর) তবে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এখানে নাপাক বলতে তাদের দেহ সত্তা বুঝানো হয়নি, বরং দ্বীনী বিষয়াদিতে তাদের অপবিত্রতা বোঝানো হয়েছে। সে হিসেবে এর অর্থ, তাদের আকীদাহ-বিশ্বাস, আখলাক-চরিত্র, আমল ও কাজ, তাদের জীবন — এসবই নাপাক। (ইবন কাসীর; সা’দী) আর এ সবের নাপাকির কারণেই হারাম শরীফের চৌহদ্দির মধ্যে তাদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।পবিত্র মক্কা নগরী রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মস্থান।এখানে ইসলামের অনেক পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন নিদর্শনাবলী রয়েছে।এখানে রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর যা মুসলমানদের কিবলা(যে দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা হয়)।ইসলাম ধর্ম মতে কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়।কাবাকে ঘিরে রয়েছে মসজিদুল হারাম। কাবাঘরের চারপাশের প্রায় ২ বর্গমাইল এলাকা হারাম হিসেবে সাব্যস্ত। পরবর্তীতে শাসকরা সতর্কতা হিসেবে তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে মক্কা গেইট পর্যন্ত নিয়ে যান। উপরিউক্ত আয়াতের প্রথম অংশ

ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর

ছবি
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরীন আবু আকলেহ। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর পরনে ইংরেজিতে বড় করে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। ওই সময় শিবিরটিতে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা।সাংবাদিক শিরীনকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ‘সম্ভবত’ অস্ত্রধারী ফিলিস্তিনিদের গুলি শিরীনের শরীরে লেগেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বলেছেন, ঘটনাস্থলে কোন ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী ছিল না।ঘটনার পর আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় আলজাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধিকে সকালে (গতকাল) সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে নির্মমভাবে খুন করেছে।’সাহসী সাংবাদিক শিরীন আরব বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শিরীন আবু আকলেহে কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে আর তাদের কণ্ঠকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন। আল জাজিরার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরীনকে বলা হতো ফিলিস্তিনের নির্

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রমজানের প্রস্তুতি

  রজব মাস থেকেই রাসূল (সা.) রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। সব ব্যস্ততা কমিয়ে আনতেন একে একে। রমজানের পুরো সময়টাই ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দিতেন নির্বিঘ্নে। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রধানত তিনটি কাজের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। ১. দোয়া করা : রমজানের দুই মাস আগ থেকে রমজান লাভের দোয়া করতেন।হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন পশ্চিম আকাশে রজবের বাঁকা চাঁদ দেখা যেত, তখন রাসূল (সা.) দরদমাখা কণ্ঠে মহান প্রভুর কাছে বারবার এ দোয়া করতেন-‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান। ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ (‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের হায়াত রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস - ১৩৬৯) ২. রোজা রাখা : আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস - ১৮৬৮)অন্য বর্ণনায় আয়শা (রা.) বলেন-‘রমজান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) পুরো মাস রোজা রাখতেন না। শাবান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) এত বেশি রোজা রাখতেন না।’ (মুসলিম।

মসজিদে মানুষ ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া!

  জুমার নামাজে শেষে এসে অন্যকে টপকে সামনের কাতারে যাওয়ার মতো কাজটি ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) এ বিষয়টি হারাম বলেছেন। একজন সাহাবি পরে এসে অন্যকে যখন টপকে সামনের কাতারে বসেন, তখন রাসুল (সা.) বলেছেন, তুমি পরে এসেছো, আবার মানুষকে কষ্টও দিয়েছো। কোনো ব্যক্তি যদি এ কাজ করেন তিনি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি যে কারণে জুমার নামাজ পড়তে যাবেন, যে ফজিলতের জন্য যাবেন, সে ফজিলতই পাবেন না। জুমার দিনে সালাত আদায় করতে গিয়ে সওয়াবের বদলে গুনাহ নিয়ে আসবেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কাজও তিনি করলেন। সেটার জন্য শাস্তি পাবেন। সুতরাং এটি কোনোভাবেই করা উচিত নয়। এটি করা হারাম। এতে তিনি জুমা থেকে কোনো ফজিলত পাবেন না।হাদিসে এসেছে- হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না (যেখানে জায়গা পায় সেখানেই অবস্থান করে) এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ সালাত আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন

টাইম্‌স স্কয়ার ও তারাবিহ

ছবি
  টাইম্‌স স্কয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে ম্যানহাটানে অবস্থিত একটি সড়ক চত্বর এবং নিউইয়র্ক শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একে 'পৃথিবীর সড়ক সংযোগস্থল' বলা হয়। টাইম্‌স স্কয়ার বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পথচারী সংযোগস্থল এবং বিশ্ব বিনোদন শিল্পের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। জায়গাটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদৃষ্ট পর্যটন স্থল। প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ টাইমস স্কয়ার দিয়ে যাতায়াত করে। এই এলাকাটি রঙ-বেরঙের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জ্বা ও প্রোজ্জ্বল সাইনবোর্ডের কারণে বিখ্যাত। প্রতিবছর এখানে জাঁকজমকের সাথে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। প্রথম বারের মতো টাইমস স্কয়ারে ইফতার বিতরণ ও তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রমজানের প্রথম দিন শনিবার (২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ইফতার ও তারাবির নামাজে হাজারের বেশি ‍ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এ ইভেন্টের আয়োজকরা উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে ১৫ শ ইফতার খাবার বিতরণ করেন। টাইমস স্কয়ারের স্মরণীয় এ ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ছাড়াও কানাডার মন্ট্রিল থেকেও মুসল্লিরা আসেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং রমজান মাসের ত

লেবানন দেউলিয়া, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হবার পথে

  রাষ্ট্র হিসেবে লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-সামি এ ঘোষণা দেন।২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে লেবানন একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানি ও চিকিৎসাসেবা ঘাটতি।জনগণের খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ মৌলিক পণ্য গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।ঋণের কারণে লেবানন এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির মুদ্রা তার ৯০ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার দেশটিকে আরো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে চালিত করছে। অথচ একসময় দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। সামগ্রিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় ও কর কর্তনের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ কমে যাওয়া, চীনের কাছ থেকে নেওয়া বড় অংকের ঋণ এবং কয়েক দশকের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি ঋণ ও বিদেশি বন্ডের টাকা শোধ করতে সরকার যেভাবে টাকা ছাপিয়েছে তার ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শ্রীলঙ্কান রুপির বৈদেশিক মান কিছুদিন আগেও ছিল ১ ডলারে ১৯০ রুপি

কাবা শরিফের ইমাম

ছবি
  মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক পবিত্র কাবা শরিফ। কাবা ঘরকে ঘিরে অবস্থিত মসজিদে হারাম। প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ের বাসনা থাকে স্বচক্ষে পবিত্র কাবা দেখার। মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করার। আর সেই কাবা চত্বরে পবিত্র কাবাকে সামনে রেখে ৩৯ বছর ধরে ইমামতির দায়িত্বে হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আস সুদাইস।৪ এপ্রিল কাবার ইমাম হিসেবে দীর্ঘ ৩৯ বছর পার করেছেন এই ইসলামি ব্যক্তিত্ব। ১৪০৪ হিজরির ২২ শাবান (১৯৮৪) শায়খ সুদাইসের সঙ্গে একই দিন শায়েখ সালেহ আল হুমাইদকে মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ এর রাজকীয় আদেশে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ২২ বছর বয়সী সুদর্শন ও সুকণ্ঠী আলেম আবদুর রহমান আস-সুদাইস। আসরের নামাজের ইমামতির মধ্য দিয়ে তিনি কাবা প্রাঙ্গণে ইমামতির দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনিই আজকের বিশ্বখ্যাত কারি শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস। শুধু ইমাম-খতিব হিসেবে নয়, এখন তিনি মক্কা-মদিনার পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট।২০১২ সালে উভয় পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করায় মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়।২০১৪ সালে মসজিদে নববীতে প