পোস্টগুলি

বুদ্ধিজীবী কারা? শহিদ বুদ্ধিজীবীর সিংহভাগ শিক্ষক!

  প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন তারাই বুদ্ধিজীবী। "বুদ্ধিজীবী অর্থ লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবী।" (বাংলা একাডেমি প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ গ্রন্থ) ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি “শহীদ বুদ্ধিজীবী”-দের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা হয়। সংজ্ঞা অনুযায়ী,১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত সময়কালে যেসব বাঙালি সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, রাজনীতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক ও সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং এর ফলে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা ওই সময়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা শহী

নয়া যামানার এজিদ

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আধুনিক সৌদি গঠনে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন ২০১৬ সালে। সাইকেল-বাইক-গাড়ি চালানো, ব্যবসা, একা একা হোটেলে থাকার স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সুইমিংপুল-ম্যাসাজ পার্লারের মতো নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে উঠে যায় ধর্মীয় ফতোয়া। ২০১৮ সালে ৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রিয়াদে প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা হল চালু হয়। যেখানে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে নারী-পুরুষ উভয়ের সিনেমা দেখার অনুমোদন দেয় সৌদি সরকার। একই বছর সৌদি আরব প্রথমবারের মতো কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয়। ২০১৮ সালে সৌদি প্রথমবারের মতো ভেনিস আর্কিটেকচার বিয়েনলে অংশ নেয়। এ বছর রিয়াদের ফর্মুলা রেসে প্রথম আন্তর্জাতিক পারফরমারদের মধ্যে এনরিক ইগলেসিয়াস, আমর দিয়াব এবং ব্ল্যাক আইড পিস অংশ নেয়, যাদের জন্য প্রথম পরীক্ষামূলক ট্যুরিস্ট ভিসা মঞ্জুর করা হয়। এ বছরই সৌদিতে প্রথম শীতকালীন ট্যান্টোরা ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়। আন্তর্জাতিক অভিনেতা এবং বিশ্বের দর্শনার্থীদের আলুলায় নিয়ে আসা হয়। ২০১৯ সাল থেকে সৌদি আরবজুড়ে গানের উৎসব হয়। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে পিটবুল এবং আকনের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা স

৫০ বছরে বীর মুক্তিযোদ্ধা

  মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে আমরা। এ পর্যন্ত মোট ছয়বার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়েছে। আর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে অনেকবার।১৯৭২ সালে জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা মানে এমন একজন ব্যক্তি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত যেকোন সংগঠিত দলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।সে হিসাবে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর স্বাক্ষরযুক্ত সনদ যাদের কাছে ছিল, তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।পরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন এমন মানুষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতে শিল্পী, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, এবং দেশে বা বিদেশে বিভিন্নভাবে অবদান রাখা ব্যক্তিরাও।তালিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সের সীমাও কয়েকবার নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ এখন সরকারের নির্ধারিত বয়স হচ্ছে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে কিংবা এর আগে কমপক্ষে ১২ বছর ৬ মাস বা জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ৩০ মে তারিখের আগে হতে হবে বলে ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মুক্তিয

ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত দুটি জাতি

ছবি
আল্লাহর গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রধান ৬টি প্রাচীন জাতির মধ্যে পঞ্চম জাতি হ’ল ‘আহলে মাদইয়ান’। ‘মাদইয়ান’ হল লূত সাগরের নিকটবর্তী সিরিয়া ও হিজাযের সীমান্তবর্তী একটি জনপদের নাম। যা অদ্যাবধি পূর্ব জর্ডনের সামুদ্রিক বন্দর মোআন -এর অদূরে বিদ্যমান রয়েছে।আহলে মাদইয়ান-কে পবিত্র কুরআনে কোথাও কোথাও ‘আসহাবুল আইকাহ’ বলা হয়েছে। যার অর্থ ‘জঙ্গলের বাসিন্দাগণ’। এটা বলার কারণ এই যে, এই অবাধ্য জনগোষ্ঠী প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে নিজেদের বসতি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিলে আল্লাহ তাদেরকে সেখানেই ধ্বংস করে দেন। এটাও বলা হয় যে, উক্ত জঙ্গলে ‘আইকা’ বলে একটা গাছকে তারা পূজা করত। যার আশপাশে জঙ্গল বেষ্টিত ছিল। হযরত শোয়াইব (আ.) প্রেরিত হয়েছিলেন মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে। ইনি হযরত মূসা (আঃ)-এর শ্বশুর ছিলেন। কওমে লূত-এর ধ্বংসের অনতিকাল পরে কওমে মাদইয়ানের প্রতি তিনি প্রেরিত হন । চমৎকার বাগ্মিতার কারণে তিনি ‘খাত্বীবুল আম্বিয়া’ (নবীগণের মধ্যে সেরা বাগ্মী) নামে খ্যাত ছিলেন।হযরত শো‘আয়েব (আঃ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ১০টি সূরায় ৫৩টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। মাদইয়ানবাসী পার্থিব লোভ-লালসায় মত্ত হয়ে পারস্পরিক লেনদেনের সময় ওজনে কম দিয়ে মানুষের হক

ভূমিকম্প আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা

ছবি
আজ ভোরে সারাদেশ ভূকম্পনে আবারো কেঁপে উঠল।ভূমিকম্পের মাত্রা ও উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক সংস্থা ইউএসজিএস’র ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের হাখা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।ভূপৃষ্ঠের ৪২ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের সৃষ্টি হয়।ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।শীতের শান্ত ভোরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন লোকজনও জেগে লাফিয়ে ওঠে হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে। ভূমিকম্প মহান আল্লাহর বাণীর সত্যতা ও নিত্যতা মাত্র। আল্লাহর ঘোষণা হলো : ‘জনপদের অধিবাসীরা কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে যে আমার আজাব (নিঝুম) রাতে তাদের কাছে আসবে না, যখন তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে!’ (সুরা আরাফ আয়াত : ৯৭) কেন ভূমিকম্প হয়? জানা যায়, ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এমন আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প ((Earthquake) বলে। সাধারণত তিনটি কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে—ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত ও শিলাচ্য

কলকাতা মাদ্রাসা ও প্রথম অধ্যক্ষ

ছবি
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। শুরু হয় ইংরেজ শাসন। ক্ষমতায় এসেই তারা শিক্ষা, সংস্কৃতির দিকে বিশেষ নজর দেয়। তারা জানতো টেকসই ক্ষমতার জন্য এগুলো অপরিহার্য। অন্যদিকে রাজত্ব, শাসন ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি হারিয়ে বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্রসমূহ। যার ফলে বাংলার মুসলিম জনগোষ্ঠী পিঁছিয়ে পড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।ম্যাক্সমুলারের মতে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮০ হাজার মাদ্রাসা চালু ছিল। কিন্তু বৃটিশ সরকার বাংলা দখল করে মসজিদ-মাদ্রাসার খরচ নির্বাহের জন্য বরাদ্দকৃত ‘ওয়াক্ফ সম্পত্তি’ বাজেয়াপ্ত করলে মাদ্রাসাগুলো ধীরে ধরে বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর মুসলমানদের দাবির প্রেক্ষিতে ও ইংরেজদের প্রয়োজনে ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে ১ অক্টোবর (শাবান, ১১৯৪ হি.)সনে ফোর্ট উইলিয়ামের গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক কলকাতায় কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।১৭৮১ থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত আলিয়া মাদ্রাসা বোর্ড অব গভর্নরস’ দ্বারা এবং ১৮১৯ থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত ইংরেজ সেক্রেটারি ও মুসলমান সহকারী সেক্রেটারির অধীন

মেন্দেরেসের পরিণতির দিকে কী এরদোয়ান ?

ছবি
৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৬ বর্গ কিলোমিটারের দেশ আজকের তুরস্ক, যা বাংলাদেশের দেশের প্রায় ছয় গুণ বড়। জনসংখ্যা প্রায় আট কোটি।একসময় ইউরোপ, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়ার বিশাল অংশ নিয়ে ছিল তাদের বিশাল ওসমানীয় সাম্রাজ্য। ইসলামের সব পবিত্র স্থাপনাসহ আধুনিক সৌদি আরবও এই সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।১২৮৮-১৯২৪ সাল পর্যন্ত ৩৭ জন সুলতান ৬৩৬ বছরব্যাপী ওসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। প্রথম ৩০০ বছর সুলতানদের যোগ্যতার কারণে জয়জয়কার অবস্থা ছিল। শেষের ৩০০ বছরে যোগ্য শাসক ছিল মাত্র কয়েকজন। অপর শাসকরা ছিলেন অযোগ্য। ছিল না তাঁদের চারিত্রিক গুণাবলি। এমনই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যের বহু অংশ হাত ছাড়া হয়ে যায়। তুরস্কের নাজুক পরিস্থিতিতে ১৮৮১ সালে জন্মগ্রহণকারী সামরিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল পাশা তুরস্কের হাল ধরতে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে আসতে থাকেন। ১৯২১ সালে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কামাল পাশা। ১৯২৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুল থেকে আঙ্কারায় সরিয়ে নেন রাজধানী। খেলাফত উচ্ছেদ করে কামাল পাশা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কামাল পাশা সৈন্যবাহিনীও ছিল ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্

আপনি কি মনে করেন আমি হলিউডে যেতে পারি?

ছবি
সৌদির মক্কা নগরীর পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক ইমাম ( রমজান মাসে ১৪২৯ হিজরিতে তারাবীহ নামাজে ইবাদতকারীদের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান ) শায়েখ আদিল কালবানি। তার পুরো নাম শায়েখ আদিল বিন সেলিম বিন সাইদ আল কালবানি আবু আবদুল্লাহ। তার প্রাণ জুড়ানো তেলাওয়াত ইউটিউবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। ইসলামের দাঈ হিসেবেও বেশ সমাদৃত তিনি। এবার নতুন এক বিতর্কে পা দিলেন তিনি। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হচ্ছে সমালোচনা।রিয়াদ সিজন-২০২১-এর উৎসবের ‘কমব্যাট ফিল্ড’-এর ২ মিনিট এক সেকেন্ডের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক এই ইমাম। সে বিজ্ঞাপনের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সমালোচনার ঝড় উঠেছে শায়েখ আদিল কালবানির বিরুদ্ধে। মসজিদে হারামের সাবেক এই স্বল্পকালীন সময়ের ইমাম শায়েখ আদিল কালবানি কিছু দিন পূর্বে কেসিনো ক্লাবে তাস খেলায় অংশ নিয়েছেন। মিউজিকসহ গানকে জায়েজ ফতোয়া দিয়েছেন। সর্বশেষ একটি হারাম বিজ্ঞাপনে অভিনয় ও করেছেন। শায়খ আদিল কালবানির সুমধুর কন্ঠের তেলাওয়াত সারা বিশ্বে সমাদৃত। এমন এক ব্যক্তির দীন থেকে বিচ্যুতি অনেকেরই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। মুলতঃ আ

মালালা পেলে ফাতিহা কেন নোবেল পাবে না!

ছবি
#মো. আবু রায়হান উত্তর আমেরিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট ম্যাককিনলি দেখতে আলাস্কা প্রদেশের সুমেরু বৃত্তে বেড়াতে গিয়েছিল ৭ বছর বয়সী এক বালিকা। গিয়ে দেখে, পাহাড়সম সুবিশাল হিমবাহ থেকে সাগরে ভেঙে পড়ছে বরফখণ্ড, যে কারণে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে মেয়েটি। মনে পড়ে যায় তার নিজের দেশ ছোট্ট একটা বদ্বীপের কথা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যেটি একদমই উঁচুতে নয়। নিউইয়র্কে ফিরে এসেই সে ছুটল জাতিসংঘে। সেখানে কড়া ভাষায় জানিয়ে এলো রোহিঙ্গাদের দ্বারা তার দেশের বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব কী! আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের এক গণিত প্রতিযোগিতায় এই মেয়েটিকেই যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- এটা তো আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নয়, তা সত্ত্বেও তুমি তোমার নিজের দেশের পতাকা বহন করছ কেন? তার সাবলীল উত্তর- আমার দেশের কেউ যেহেতু আগে কখনও এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেনি, তাই আমি নিজের এই অর্জনকে দেশের সবার অর্জন বলে মনে করছি। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের সব গণিতপ্রেমী শিক্ষার্থীকে উৎসর্গ করেছি। এই হলো বাংলাদেশের ফাতিহা আয়াত। প্রবাসে বসবাস করেও যে তার হৃদয়ে সমুজ্জ্বল

আফগান ক্রিকেট

ছবি
ক্রিকেটের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিচয় উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু আফগানিস্তান এমন একটি দেশ, যেখানে দখলদার বিদেশী বেনিয়াদের দৃষ্টি নিবদ্ধ সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। উনবিংশ শতাব্দী বলুন আর বিংশ শতাব্দী বলুন, দখলদারদের দৃষ্টি কখনওই সরেনি আফগানদের ওপর থেকে। দীর্ঘ সময় সোভিয়েত শ্বেত ভল্লুকদের সঙ্গে লড়াই চালানোর এক দশক পর আবার মার্কিনীদের লোলুপ দৃষ্টি। সব মিলিয়ে দেশটিতে ক্রিকেট বিকাশ লাভেরই সুযোগ পায়নি।নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানে থাকা আফগান শরণার্থীদের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রথম ক্রিকেট দল গঠিত হয়েছিল। পরে তা মূল দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তালেবানের প্রথম শাসনামলে ১৯৯৭ সালে আফগান ক্রিকেট ফেডারশন (বর্তমান এসিবি) গঠিত হয়। ২০০১ সালে আইসিসির সহযোগি সদস্য এবং ২০০৩ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সদস্য হয় আফগানিস্তান।দেশটিতে একটি জাতীয় ক্রিকেট দলই গঠন হয়েছে প্রথম ২০০১ সালে। এরপর ২০০৯ সালে তারা প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নেয়। গত এক যুগে আফগান ক্রিকেটের অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। দেশটি আইসিসির পূর্ণ সদস্য নির্বাচিত হয় এবং ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাসও পেয়ে যায়। আর এখন তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও মাদ্রাসা বিতর্ক

মাত্র তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি মহীরুহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১২টি ইনিস্টিটিউট, ২০টি আবাসিক হল, তিনটি হোস্টেল, এক হাজার ৯৯২ জন শিক্ষক ও ৩৭ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মুসলিম সমাজ ও ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। নাথান কমিটির প্রধান তিন সুপারিশের একটি ছিল ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে। নাথান কমিশনের সুপারিশ - ১. বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত। ২. এটি হবে আবাসিক ও শিক্ষাদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ৩. ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা এর শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে। ( বাংলা পিডিয়া) এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য ছিল এমন : ‘আমরা ভুলে যাইনি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম প্রধানত পূর্ব বাংলার মুসলিম সমাজের উচ্চশিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির দাবিতেই হয়েছে।’ কলা অনুষদের অধীনে ছিল ৮টি বিভাগ: সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ,

গান্ধীর হত্যাকারী ভারতে পূজিত

সারা বিশ্বে অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পথিকৃৎ এবং ভারতের জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। সম্প্রতি খানিকটা দায়সারা করেই শেষ হয়েছে এই জাতির জনকের দেড়শো বছর পূর্তি উৎসব - অন্যদিকে ভারতে গান্ধীর আততায়ী নাথুরাম গোডসের পূজা ও প্রশস্তি চলছে প্রকাশ্যেই।বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী শক্তি, এমন কী বিজেপি-র এমপিরাও গোডসে-বন্দনায় সামিল হচ্ছেন। গান্ধী-হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা যে সংগঠনের সদস্য ছিলেন, সেই হিন্দু মহাসভা মধ্য ভারতের গোয়ালিয়রে এখনও বেশ সক্রিয়। ওই অঞ্চলে তাদের বেশ প্রভাবও রয়েছে।বছর তিনেক আগে গোয়ালিয়রে সেই অফিসেই তার আততায়ী নাথুরাম গোডসের মূর্তি স্থাপনা করে চলছিল পূজাপাঠ ও আরতি।১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি দিল্লির 'বিড়লা হাউস'-এ বিকেলের প্রার্থনায় যাওয়ার সময়ে মি. গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর আম্বালা সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয়েছিল গান্ধী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত নারায়ণ আপ্তে ও নাথুরাম গোডসের।ওই দিনটিকে হিন্দু মহাসভা প্রতি বছরই 'বলিদান দিবস' হিসেবে পালন করে থাকে - সেবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল মন্দির স্থাপনা। দুধ-ঘি ঢেলে ধুইয়ে দে

মহানবী (সা) এর জন্ম সোমবার কিন্তু তারিখ কত ?

  রাসূলুল্লাহ (সা) এর জন্মের দিন ও মাস নির্দিষ্ট করা নিয়ে সিরাত প্রণেতা ও ঐতিহাসিকগণ মতানৈক্য করেছেন। এ মতানৈক্যের যৌক্তিক কারণও রয়েছে।যেহেতু কারো জানা ছিল না যে, এ নবজাতক ( রাসুলুল্লাহ সা.) ভবিষ্যতে বড় কিছু হবেন ? অন্য নবজাতকের জন্মকে যেভাবে নেয়া হত তাঁর জন্মকেও সেভাবে নেয়া হয়েছে। এ জন্য কারো পক্ষে রাসূলুল্লাহ (সা)'র জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট ভাবে নিশ্চিত করেননি।রাসুলুল্লাহ (সা.) ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ভূমিষ্ঠ হন।আগের ঐতিহাসিকদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ তাঁর জন্ম বছর বলে উল্লেখ করেন। প্রকৃতপক্ষে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে পিতা আবদুল্লাহর ঔরসে ও মাতা আমেনার গর্ভে তিনি আগমন করেন। ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভূমিষ্ঠ হন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম তারিখ নির্ধারণে চারটি বর্ণনা প্রসিদ্ধ আছে—২, ৮, ১০ ও ১২ রবিউল আউয়াল। হাফিজ মুগলতাই (রহ.) ২ তারিখের বর্ণনাকে গ্রহণ করে অন্য বর্ণনাগুলোকে দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ তারিখ রাসুল (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন।আল্লামা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আল কসতাল্লানী ৮ তারিখের মতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বলেনঃ ‘কারো কারো মতে নবীজী (সা) রবিউল আউয়াল মাসের ৮ ত

ইরাক ধ্বংসের খলনায়কের নীরব প্রস্থান

ছবি
ইরাক যুদ্ধের রূপকার কলিন পাওয়েল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। কলিন পাওয়েল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ শতকের শেষ দিকে ও একুশ শতকের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভূমিকা ছিল তাঁর। কলিন পাওয়েল আমেরিকান সেনাবাহিনীর হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা বাড়ে তার। কুয়েতে সাদ্দামের হামলার পাঁচ মাস পর সংঘটিত উপসাগরীয় যুদ্ধে ছয় সপ্তাহব্যাপী ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ পরিচালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ প্রশাসনের এ হামলায় এক লাখ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইরাকি মারা যায়। এরপর সাদ্দামের সেনাবাহিনী কুয়েত থেকে প্রত্যাহার করা হলেও ইরাকিরা দীর্ঘ ১২ বছর মার্কিনীদের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকে। এর কিছু আজও কার্যকর রয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মের সময় কলিন পাওয়েল জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ ছিল। নাইন ইলেভেন হামলার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ডের মত কট্টরপন্থীদের সাথে তার মতবাদের বিরোধ বাঁ