সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও মাদ্রাসা বিতর্ক

মাত্র তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি মহীরুহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১২টি ইনিস্টিটিউট, ২০টি আবাসিক হল, তিনটি হোস্টেল, এক হাজার ৯৯২ জন শিক্ষক ও ৩৭ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

মুসলিম সমাজ ও ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। নাথান কমিটির প্রধান তিন সুপারিশের একটি ছিল ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে। নাথান কমিশনের সুপারিশ -
১. বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত।
২. এটি হবে আবাসিক ও শিক্ষাদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা এর শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে। ( বাংলা পিডিয়া)
এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য ছিল এমন : ‘আমরা ভুলে যাইনি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম প্রধানত পূর্ব বাংলার মুসলিম সমাজের উচ্চশিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির দাবিতেই হয়েছে।’ কলা অনুষদের অধীনে ছিল ৮টি বিভাগ: সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ, ফার্সি ও উর্দু, দর্শন এবং রাজনৈতিক অর্থনীতি। সেই হিসেবে প্রতিষ্ঠাকালে আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমেই তার ইসলামসংশ্লিষ্ট অনেক বৈশিষ্ট্য থেকে সরে গেছে; যেমন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো থেকে কোরআনের আয়াত ‘ইকরা বিসমি রব্বিকাল্লাজি খালাক’ বাদ দেওয়া, প্রতিষ্ঠাকালে ‘মুসলিম হল’ নাম থাকলেও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেওয়া, বিষয় নির্বাচনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে তা নিয়ে সমালোচনা ইত্যাদি।
বিষয়গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মনে করেন অনেকেই। অবশ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট হওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় সলিমুল্লাহ হলের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি আবার যুক্ত হয়।
বিভিন্ন শর্ত আরোপের কারণে প্রথম সারির কয়েকটি বিভাগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হতো না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় বাংলা ২০০ ইংরেজী ২০০ নম্বরের শর্তরোপের মাধ্যমে প্রধান ১৩ টি বিভাগে মাদ্রাসার ছাত্রদের ভর্তি না করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিল। এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় অন্তত ১৩ বিভাগে ২০০ মার্কের ইংরেজি না থাকার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এসব বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু ২০১৫ সাল হতে মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষার্থীদের জন্য দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের ইংরেজি ও বাংলা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে। ফলে ঢাবির এসব বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে আর কোনো বাধা থাকার কথা নয়। যাবতীয় শর্ত পূরণের পরও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অর্জনকে বক্র দৃষ্টিতে দেখা হয়।
প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রথম স্থান সহ টপ ২০ জনের মধ্যে প্রায় ০৯/১০ জন থাকার পরও ভালো বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়নি এই রকম নজির অনেক। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া। তিনি ঢাকার দারুন নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেন। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ১০০.৫।
বিগত ১০ বছরের ঢাবির ভর্তিযুদ্ধের মেধাতালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, অধিকাংশ বছরই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রথম স্থানসহ অনেক শীর্ষস্থানই দখল করে রেখেছে। ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন মাদ্রাসা ছাত্র আ. খালেক। সে বছর মেধাতালিকায় থাকা প্রথম ১০ জনের চারজনই ছিলেন মাদ্রাসা ছাত্র। ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল আলীম। দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র সেলিমুল কাদের। তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, দশম, ১৭তম ও ১৮তমও হন মাদ্রাসার ছাত্র। অন্যদিকে একই বছর ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র এলিছ জাহান। দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র মু. মিজানুল হক। চতুর্থ ও ১১তম হন মাদ্রাসার ছাত্র। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেন মাদ্রাসা ছাত্র মাসরুর বিন আনসারী। একই বছর ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আসাদুজ্জামান। তা ছাড়া ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৮তম হন মাদ্রাসা ছাত্র। একই বছর ‘ঘ’ ইউনিটে দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র ২০১১-১২ সেশনে ঢাবির ঘ ইউনিটে চতুর্থ ও খ ইনিটে নবম হন তামিরুল মিল্লাতের ছাত্র নুর মোহাম্মদ। তিনি ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হন।২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন আব্দল্লাহ মজুমদার। এর আগে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ‘খ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করে তারই বড় ভাই আব্দুর রহমান। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। ঢাবির আইন বিভাগে আব্দুর রহমান ভর্তি হন। তারা উভয়ে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ছাত্র ছিলেন।
২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আসনসংখ্যা ছিল দুই হাজার ২২১টি। এর বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ৫৬৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৮৭৪ জন পাস করেন এবং প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমান মজুমদার। একই বছর তিনি ‘ঘ’ ইউনিটেও প্রথম হন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি সর্বাধিক নম্বর পেয়েছিলেন। সে বছর ঢাবির মেধাতালিকার প্রথম ১০ জনের তিনজনই মাদ্রাসা ছাত্র। যেখানে ৩৫ হাজার ২৮০ জন ছাত্র ফেল করেছেন, সেখানে প্রথম ১০ জনের তিনজনই মাদ্রাসা ছাত্র হওয়ার পরও কি এঁদের অযোগ্যই বিবেচনা করা হবে? আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, সে বছর ইংরেজিতে ১৫ নম্বর পাওয়ার শর্ত থাকলেও কলেজের মাত্র দুজন শিক্ষার্থী ১৫ পান অথচ আব্দুর রহমান মজুমদারের ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২৮.৫০। ‘ঘ’ ইউনিটেও বাংলা ও ইংরেজিতে আব্দুর রহমান মজুমদার ছিলেন শীর্ষে। বিজ্ঞান থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থীদের ইংরেজির সর্বোচ্চ নম্বর যেখানে ২২.৫০, সেখানে আব্দুর রহমানের ইংরেজির নম্বর ছিল ২৮.৫০। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তিনজনেরই ইংরেজির নম্বর ছিল ১৫-এর ওপর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...