পোস্টগুলি

ইসমাঈল হানিয়া ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর

ছবি
মো.আবু রায়হান ইসমাঈল আবদুস সালাম আহমেদ হানিয়া ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা।জন্ম ২৯ জানুয়ারি ১৯৬২ সাল।ইসমাইল হানিয়া মিশর অধিকৃত গাজা উপত্যকার আল-শাতি উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। হানিয়ার বাবা মাছ ধরার পেশায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় তার বাবা মা বর্তমান ইসরায়েলের অন্তর্গত আসকালানের নিকটস্থ বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হন।ইসমাইল হানিয়া জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক হন। ছাত্রাবস্থায় মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ হানিয়াকে আকৃষ্ট করে। ১৯৮৫-১৯৮৬ সালে হানিয়া  মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিনিধি ছাত্র কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন।ইসলামিক এসোসিয়েশন ফুটবল দলে ইসমাইল হানিয়া মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্তিফাদার প্রায় সমসাময়িক কালে তিনি স্নাতক হন। বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলে স্বল্পকালীন কারাদন্ডে দন্ডিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি পুনরায় ইসরায়েল কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং ছয় মাস কারাদন্ডে দন্ডিত হন। ১৯৮৯ সালে ইসমাইল হানিয়া তিন বছর

২০ বছর আফগান যুদ্ধের পর তালেবানেরা কি হালাল হয়ে গেল ?

ছবি
মো.আবু রায়হান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতাসীন ছিল।পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবানরা আফগান রাজধানী কাবুলে ক্ষমতাসীন ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান জাতিসংঘের স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং ইরান, ভারত, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালেবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালিবান বিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।ঘটনার সূচনা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। তাসের ঘরের মতোই ধসে পড়েছিল আমেরিকার টুইন টাওয়ার। সব মিলিয়ে প্রাণ গিয়েছিল ৩ হাজার মানুষের। আহত হয়েছিলেন আরও ২৫ হাজার। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে কথিত আল-কায়দা হানার ঠিক পরেই 'ওয়ার এগেইনেস্ট টেরর' নামে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশ। আফগানিস্তানের শান্তি ফেরাতে মূলত তালিবান-বিরোধী অভিযানেই সেনা নামিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আফগানিস্তানের নর্দার্

ইহুদিদের বাটপারী

তাওরাত গ্রন্থে আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের ওপর সুদ হারাম করেন। তারা আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আল্লাহর বাণীর বিকৃতি সাধন করে মনগড়া ব্যাখ্যা স্থির করে। তারা যুক্তি দেয় সুদ হারাম শুধু ইহুদিদের পরস্পরের মাঝে সুদী লেনদেন করা। অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গে সুদী কারবার করতে কোনো বাধা নেই। এভাবে এরা আল্লাহর বাণী নিজেদের মতো পরিবর্তন করে নেয়। এরা যে কত বড় সুদখোর শেকসপিয়রের দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস ( The Merchant of Venice) কমেডি নাটক তার বড় প্রমাণ। হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ে বনি ইসরাইলের একটি জনপদ ছিল সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি লোহিত সাগরের তীরবর্তী আইলাহ অঞ্চলে। এখানকার ইহুদিদের প্রধান পেশা ছিল মৎস্যশিকার। পুরো সপ্তাহ তারা মাছ শিকার করত আর শনিবার ছিল ইবাদতের দিন। সেদিন দাউদ (আ.) আসমানি কিতাব জাবুর পাঠ করতেন। অনেক সৃষ্টিজীব মুগ্ধ হয়ে তার জাবুর পাঠ শ্রবণ করত। শনিবার দিন নদী ও সমুদ্রতীরে অনেক বেশি মাছ আসত। যেহেতু একটি পবিত্র উদ্দেশ্যে এসব প্রাণী একত্র হতো, তাই আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত দাউদ (আ.) সে দিন মাছ শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা তার উম্মত বনি ইসরাইলকে জানিয়ে দেন। যেহেতু শনিবারেই সমস্ত মাছ

ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাত ও একজন নোয়াম চমস্কি

ছবি
নোয়াম চমস্কি একজন মার্কিন তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও সমাজ সমালোচক। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি নামক মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন অধ্যাপক (Emeritus professor) এবং একই সাথে ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা নামক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর জন্ম একটি ইহুদি পরিবারে।তাঁর বাবা, জেয়েভ উইলিয়াম চমস্কি এবং এলসি সাইমনোফস্কি ছিলেন ইহুদি অভিবাসী। উইলিয়াম ১৯১৩ সালে রাশিয়ান সাম্রাজ্য থেকে পালিয়ে বাল্টিমোর সোয়েটশপ এবং হিব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করেছিলেন। ফিলাডেলফিয়ায় চলে আসার পরে, উইলিয়াম মিকভেহ ইস্রায়েল ধর্মীয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন এবং গ্র্যাটজ কলেজে যোগদান করেন। চম্‌স্কি রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বৈদেশিক নীতি ও বুদ্ধিজীবী সংস্কৃতির উপর তথাকথিত মার্কিন অর্থনৈতিক অভিজাতদের ক্ষতিকর প্রভাব বিশ্লেষণ করেন; যার সুবাদে তিনি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী অর্জন করেন। নোয়াম চমস্কি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধ্বংসাত্মক ফলাফলগুলি নিয়ে নিয়মিত খোলাখুলি সমালোচনা করেন। তিনি বল

ফেসবুকে ইসরায়েল বিরোধী কনটেন্ট উধাও কেন?

  ফিলিস্তিন ইসরায়েল সংঘাত শুরু হবার পর ফেসবুকে ইসরায়েল বিরোধী কোনো কনটেন্ট দিলে তা অপসারণ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? ফেসবুকের কনটেন্ট দেখভাল করে অর্থাৎ নজরদারি করে যে ওভারসাইট বোর্ড, তার অন্যতম সদস্য হলেন ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক এমি পালমোর। পালমোর একসময় ইসরায়েলের সাইবার ইউনিটে কাজ করেছেন এবং তিনি ফেসবুক থেকে ফিলিস্তিনপন্থী হাজার হাজার কনটেন্ট অপসারণে লিয়াজোঁ করেছেন। পূর্ব জেরুজালেমের কাছের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার দৃশ্য অনেকে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছিলেন। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম সে কনটেন্টগুলো পরিকল্পিতভাবে ‘সেন্সর’ করেছে। এসব কনটেন্ট মুছে দেওয়ার যুক্তি দিয়ে ইনস্টাগ্রাম বলছে, এটি নাকি ‘গ্লোবাল টেকনিক্যাল ইস্যু’। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি লেখক মারিয়াম বারঘুতির টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। টুইটার পরে তাঁর অ্যাকাউন্ট সচল করে বলেছে, বারঘুতির অ্যাকাউন্ট ‘দুর্ঘটনাবশত’ বন্ধ হয়েছিল।

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে আবেগঘন বক্তব্য রাশিদার

ছবি
২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে পুনর্নির্বাচিত হন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালেব। ডেমোক্রেটিক পার্টির টিকিটে মিশিগানের ১৩তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে রিপাবলিকান প্রার্থী ডুডেনহুয়েফারকে বিপুল সংখ্যক ভোটে হারিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনেও জয় পেয়েছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর নির্যাতনসহ নানা ইস্যুতে নিজের বলিষ্ঠ অবস্থানের কারণে বারবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনায় পড়েন রাশিদা। এমনকি নিজ দলের গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তবে বাইডেন এবার তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ‘ইসরাইলিদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে’ নীতি গ্রহণ করেছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি রাশিদা তালেব। তার পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান ইসরাইলের বোমা হামলায় তেঁতে উঠছে। ভবন মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে মাটির সঙ্গে। রকেট হামলার জবাব দিতে পুরোপুরি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি রাশিয়া তৈয়ব। মার্কিন কং

ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামে শহিদ রানতিসি

ছবি
মো.আবু রায়হান পুরো নাম আবদুল আজিজ আলি আবদুল মজিদ আল রানতিসি। রানতিসির জন্ম হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষিত হওয়ার সাত মাস আগে। ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষিত হওয়ায় তার বাবা মা ইয়াফা থেকে হিজরত করে গাজার খান ইউনুস শরণার্থী শিবিরে উঠেন। রানতিসি ছয় বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু প্রকট আর্থিক সমস্যার কারণে পরিবারকে সহায়তার জন্য তাকে ওই বয়সেই পড়াশুনার পাশাপাশি বিক্রেতার কাজ করতে হয়েছে। হাইস্কুলের পাঠ শেষে মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগের ছাত্র হন রানতিসি।১৯৭৬ সালে এই বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করেন তিনি। এরপর রানতিসি সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষাদান এবং অসুস্থ ও আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত হন। ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ রানতিসি ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কারাগারে পাঠায়। ১৯৯৭ সালে শেষ বারের মত কারামুক্ত হয়েছিলেন রানতিসি। ১৯৮৭ সালে হামাসের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৯২ সালে হামাস এবং ইসলামী জিহাদ দলের চার শত জন সক্রিয় মুজাহিদ ও নেতাসহ ডক্টর রানতিসিকে লেবাননে নির্বাসনে প

ফিলিস্তিনিদের এ কেমন বিজয় উৎসব?

ছবি
শর্তহীন যুদ্ধ বিরতি। অবৈধ দখলকৃত ভূমি ইসরায়েল ছেড়ে দেয়নি। ভবিষ্যতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে না তার নিশ্চয়তা নেই।কয়েকদিনে নিহত গাজা বাসিকে ক্ষতিপূরণ এবং যা ইমারত ধবংস হয়েছে পুননির্মাণ করে দেবে এমন কোনো কথাও বলা হয়নি। ইসরায়েল তাদের সৈন্যদের বিচার করবে সেই প্রতিশ্রুতি নেই। যেসব পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত তাদের বাড়ি ঘর ফিরে দেয়া হবে কি না তা ষ্পষ্ট নয়।তাহলে কিসের যুদ্ধ বিরতি? কিসের এতো উচ্ছ্বাস! এখনো গাজায় নারী ও শিশুর রক্তের ছাপ শুকায়নি। ছেলে হারা মায়ের গগনবিদারী আর্তনাদ এখনো প্রকৃতিকে বিষন্ন ও শোকার্ত করে রেখেছে। সেখানে গাজার মানুষের আনন্দ উৎসব আহম্মকের কাজ মনে হয়েছে। এরা আসলেই নালায়েক। নিজেদের ভুলেই এদের দুর্গতি ও করুণ পরিণতি। এদের আতশবাজি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার লাফালাফির মতো মনে হয়েছে। দুঃখিত কঠিনভাবে কথাগুলো বলার জন্য। ফিলিস্তিনের জন্য আবেগের জায়গা থেকে কথাগুলো বলা। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অবিরাম ভালোবাসা।

যুদ্ধ বিরতি নয় ইসরায়েলের দম ফেলানোর সুযোগ

  শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে ইসরায়েল হামাসের যুদ্ধ যুদ্ধবিরতি। এর মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সহিংসতার আপাতত অবসান হলো, যাতে অন্তত ২৪৩ জন মারা গেছে এবং তাদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাযায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ সহিংসতায় গাযায় প্রায় একশ নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৩২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।ইসরায়েলে দুটি শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।আর আহত হয়েছে অন্তত ৩৩০ জন।ইসরায়েলের দাবি গাযা থেকে তার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস।ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে এবারের সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে দুই হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরাইলের পক্ষে প্রাণহানি ছিল ৭৪, যাদের অধিকাংশই সেনাসদস্য। ইসরায়েল বলছে তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সর্বসম্মতভাবেই। আর নজিরবিহীন সামরিক সাফল্য দাবি করে টুইট করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। অন্যদিকে হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছে, ইসরায়েল যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে, সেটি ফিলিস্তিনের মানুষের কাছে জয়ের মতো এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়া

বিভক্ত ফিলিস্তিন ও পৃথক শাসন ব্যবস্থা

ছবি
  মো. আবু রায়হান ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাংশের একটি ভূখণ্ড, যা ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মাঝে অবস্থিত (যেখানে বর্তমান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড অবস্থিত)। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা এই তিন মহাদেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে ফিলিস্তিন। এটি ইহুদি ধর্ম ও খ্রিস্টধর্মের জন্মস্থান। ইয়াসির আরাফাত জীবিতকালীন পর্যন্ত হামাসের সাথে ফাতাহর কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না। কিন্তু দ্বন্দ্ব শুরু হয় তখনই যখন ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় এবং নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এ নির্বাচনে পশ্চিমারা পর্যবেক্ষক ছিল। পশ্চিমারা বলেছিল, তারা নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নেবেন কিন্তু হামাস জয়ী হবে তারা তা কল্পনাও করতে পারেনি।যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমাবিশ্ব একযোগে ঘোষণা করল, হামাস যতদিন সরকার হিসেবে থাকবে ততদিন তারা ফিলিস্তিনিদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করবে না।অন্যদিকে, ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাবে। ফাতাহ তথা মাহমুদ আব্বাসও সুযোগ খুঁজছিলেন হামাসকে কিভাবে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা যায়। অনেক টানাপড়েনের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মাহমুদ আব্বাস হামাস সরকারকে বরখা

ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্বের নীরবতা ও পক্ষপাত

  ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। গত ৩৮ ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। অপর দিকে মঙ্গল ও বুধবার গাজায় কয়েক শ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় গাজায় ১৩ তলা একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।সংঘাত পরিহার করে অনেকেই শান্তি আলোচনার আহ্বান জানান। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান পক্ষ বেছে নিয়ে নিন্দা করছেন অপর পক্ষের। ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত হলে গোটা বিশ্ব সরব হতো কিছু না হলেও সহানুভূতি পেত। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। আশার কথাও যেমন আছে, আছে হতাশার কথা। হতাশার কথা হলো, গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তারপর একে একে বাহরাইন, মরক্কো, সুদান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।তাদের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রকল্প রূপায়ণ শুরু হয়। তখনই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিই বলেছিলেন, মুসলিম দুনিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। বিগত কয়েক দিনের সংঘাতের পর এ দেশ দুটোই শুধু সরব, খামেনিই বলেছেন, ''এই লড়াই হলো দমনের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের

হযরত ওমরের ঈদ আনন্দ

  অর্ধ পৃথিবীর শাসক আমিরুল মুমেনিন হযরত ওমর (রা)'র জীবনের অসংখ্য ঘটনা প্রচলিত আছে। তাঁর সাদাসিধে জীবন, সরলতা ও কঠোরতা ঘিরে এসব কাহিনী। তেমনি একটি ঘটনা ছিল এমন - এক ঈদের দিন ঈদের জামাতের সময় গড়িয়ে যায়। কিন্তু যিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন সেই আমিরুল মুমেনিন হযরত ওমর তখনও আসেননি ঈদগাহে। সকলে চিন্তিত, বিচলিত ও উৎকণ্ঠিত ! কোথায় গেলেন খলিফা? কয়েকজন খুঁজতে বের হলেন। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে তাঁকে পাওয়া গেল ক্রন্দনরত অবস্থায় তার নিজ ঘরে। দেখা গেল তিনি আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলছেন আর কাঁদছেন। মুনাজাত শেষ হলে প্রশ্ন করা হলো, হে আমিরুল মুমেনিন! খলিফাতুল মুসলিমিন! আজ ঈদের দিন, খুশির দিন। অথচ, আপনি কাঁদছেন? হযরত ওমর কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, আজ তো খুশি ঐ ব্যক্তির জন্য যে নিশ্চিত হয়েছে তার বিগত তিরিশটি রোযা, তারাবীহ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলিল আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। আমিতো নিশ্চিত হতে পারিনি! একটু ভাবুন, এই ছিল জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী হযরত ওমর ফারুকের ঈদ আনন্দ।

কী মেসেজ পেলাম হযরত ওমরের ঈদ শপিং কাহিনী থেকে?

  এবার ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছিল হযরত ওমরের ঈদ শপিং কাহিনীটি। সবাই লাইক কমেন্ট শেয়ার করলাম। কিন্তু ঘটনা কী এখানেই শেষ? কি ছিল সেই কাহিনী থেকে শিক্ষণীয়?আসুন কাহিনীটা আরেকবার পড়ে ঝালাই করে নেই। শেষে কাহিনীর বার্তা পাবেন। চলুন শুরু করি। অর্ধ পৃথিবীর খাদেম খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ঈদে নিজের সন্তানদের নতুন জামা পর্যন্ত কিনে দিতে পারেননি। ঈদের পূর্ব দিনে তাঁর স্ত্রী এসে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের কাপড় না হলেও চলবে। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চাটি ঈদের জামার জন্য কাঁদছে।’ হযরত ওমর বললেন, ‘আমারতো জামা কেনার সামর্থ্য নেই।’ তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত সাহাবী হযরত আবু উবায়দা (রাঃ) এর নিকট অগ্রীম এক মাসের ভাতা চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করলেন। মুসলিম জাহানের খলিফার এমন অসহায়ত্বের সংবাদ সম্বলিত চিঠি পেয়ে হযরত আবু উবায়দা কেঁদে ফেললেন। তিনি পত্রবাহককে ভাতা না দিয়ে চিঠির জবাবে লিখলেন, আমিরুল মুমেনিন, আমি আপনাকে অগ্রীম ভাতা দিতে পারি। তবে আপনাকে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। প্রথমত: আপনাকে আগামী মাস পর্যন্ত জীবিত থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। দ্বিতীয়ত : যদি জীবিত থাকেন তাহলে মুসলমানরা যে আপনাকে আগামী মাস

ফিলিস্তিন যুদ্ধে শহিদ বাংলাদেশির কবর ও নামফলক

ছবি
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি। জীবিত অনেক যোদ্ধা লেবানন ছেড়ে দেশে অথবা ভিনদেশে ঠাঁই গাড়লেও ফেরা হয়নি অনেকের। নিহতদের মধ্যে একজনের ঠিকানা হয়েছিল দক্ষিণ লেবাননের শাতিলা শরনার্থী শিবিরে পাশে একটি গোরস্থানে। ওই বাঙালি বীরের কবর ও নামফলক এখনো সেখানে রয়েছে। বাংলাদেশি সেই বীরের নাম শহিদ কামাল মুস্তাফা আলি। তাঁর পরিচয়ের বিস্তারিত কোনো কিছুই কবরের ওই নামফলকে উল্লেখ নেই। সেখানে উল্লেখ আছে শহীদ সেই বীর ও তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশের নাম। Among the many tombstones of Palestinians who have died since the 1970s, those of a few foreigners can be spotted. A few Iraqis, Syrians, Lebanese, Tunisians, a Russian, a Kurd, and also one of a Bangladeshi man named Kamal Mustafa Ali. ওই নামফলকে উল্লেখ আছে পবিত্র কোরআনের সুরা ইমরানের একটি আয়াতও। আয়াতের অর্থ হলো -‘আর যারা আল্লাহর জন্য শহীদ হন, তাদেরকে কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।'Ali died on July 22, 1982 during a battle at the Castle of the High Rock, also known as the B

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশিরা

ছবি
  ফিলিস্তিনিনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুধু ধর্মীয় ও সহমর্মিতার সম্পর্ক নয়। তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশিরা সরাসরি অংশও নিয়েছে। গোটা বিশ্বে বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ, যে দেশ ইসরায়েলকে তার পাসপোর্টে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে। ১৯৮০ সালের দিকে ফিলিস্তিনিদের কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফাত তখন ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি গড়ার সংগ্রাম করছেন। বরাররের মতো ইসরায়েলি সেনারা তখনও খড়গহস্ত। নিরুপায় ইয়াসির আরাফাত মুসলিম উম্মাহর কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি তরুণ। “8,000 Bangladeshi youths had volunteered to fight for the Palestine Liberation Organization,” (US Library of Congress) মার্কিন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ১৯৮৮ সালের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ‘৮ হাজার বাংলাদেশি যুবা তরুণ ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) হয়ে যুদ্ধ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন’। ১৯৮১ ও ১৯৮

ইসরায়েলের আয়রন ডোম

ছবি
ইসরায়েল ফিলিস্তিনে বিমান হামলার পর গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলের ভূখন্ডে বিরতিহীনভাবে রকেট নিক্ষেপ করে চলছে। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক রকেট ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে। নিহত হয়েছে দশজনের বেশি ইসরায়েলি নাগরিক। রকেট হামলায় ইসরায়েল এ মুহূর্তে কিছুটা বিপর্যস্ত যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে আয়রন ডোম হামাসের ছোঁড়া রকেট থেকে তাদের কিছুটা নিরাপত্তা দিয়েছে। যদিও অনেকাংশেই আয়রন ডোম তাদের কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা নিশিত করতে পারেনি। এ নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে হামাসের রকেট আছড়ে পড়েছে তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে।হামাসের দাবি, তাদের ক্ষেপনাস্ত্রে এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার ইসরাইল। অন্যদিকে ইসরাইলের দাবি, হামাসের হামলার ৮০ শতাংশই প্রতিহত করেছে তাদের আয়রন ডোম এবং বাকি দুই শতাধিক রকেট বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে হামলা চালিয়েছে।তবে হামাসের রকেট হামলায় নিজের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরাইল। শহরের পাইপলাইন ও তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেপনাস্ত্রের বিষয়ে হামাস জানিয়েছেন, এবার তারা দখলদার ইসরাইলের রামুন বিমানবন্দরে আইয়াশ-২৫০ নামে মধ্যমপাল্

ইহুদিরা চায় সহানুভূতি

  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপে ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর তারা সেই হত্যাকে পুৃঁজি করে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সহানুভূতি অর্জন করতে চায়। সেই সহানুভূতি অনেকটা অর্জন করে ফেলেছে ইতোমধ্যে। রাষ্ট্রহীন জাতি ইহুদিরা এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে নিজস্ব রাষ্ট্র পেয়েছে। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে, হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু করছে। সহানুভূতির ছাড়াও ইহুদিদের আরেকটি বড় অর্জন হলো আন্তর্জাতিক সমর্থন। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হরহামেশা হত্যা করলেও অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব নিরব থেকেছে। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে নামধারী কিছু মুসলিম রাষ্ট্রও।নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বোমারু বিমান, মিসাইল, মরটার, গুলি করে হত্যা করলেও পশ্চিমা বিশ্ব এটা ইসরায়েলের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বলে সমর্থন দিয়ে সব জায়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। হিটলার হত্যা করেছিলেন পৃথিবীর প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ ইহুদিকে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী দ্বারা যে ব্যাপক হারে ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল, তা ইতিহাসে হলোকাস্ট নামে পরিচিত।হলোকাস্ট শব্দটা বাংলা করলে দাঁড়ায় সবকিছু পোড়ানো। জার্মা

বাইডেনের মানবাধিকার!

ছবি
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আটোমান বাহিনীর হাতে আর্মেনীয়দের মৃত্যুর ঘটনাকে গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ।আর্মেনীয়দের দাবি ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ওই হত্যাযজ্ঞে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে তুরস্ক বলে আসছে মৃতের সংখ্যা এর পাঁচভাগের একভাগ। আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট গৃহযুদ্ধের কারণেই এটি ঘটেছে।অবশ্য গণহত্যা গবেষকদের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারসের (আইএজিএস) ধারণা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ওই ঘটনায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ঘটনাটিকে গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার পরে আমেরিকাতে যত প্রেসিডেন্ট এসেছেন কেউই বিষয়টিকে গণহত্যা বলেননি।প্রতি বছর এ দিবসটি পালনকালে তারা সবাই এটিকে মহা বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ থেকে দূরে থেকেছেন। গত মাসে আরমেনীয় গণহত্যা বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘যা আমরা হারিয়েছি তার জন্য আজ শোক প্রকাশ করছি। আর চলুন সেই পৃথিবী গড়ার দিকে নজর দেই, যা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য গড়তে চাই। যেখানে অসহিষ্ণুতা আর