পোস্টগুলি

ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্বের নীরবতা ও পক্ষপাত

  ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। গত ৩৮ ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। অপর দিকে মঙ্গল ও বুধবার গাজায় কয়েক শ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় গাজায় ১৩ তলা একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।সংঘাত পরিহার করে অনেকেই শান্তি আলোচনার আহ্বান জানান। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান পক্ষ বেছে নিয়ে নিন্দা করছেন অপর পক্ষের। ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত হলে গোটা বিশ্ব সরব হতো কিছু না হলেও সহানুভূতি পেত। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। আশার কথাও যেমন আছে, আছে হতাশার কথা। হতাশার কথা হলো, গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তারপর একে একে বাহরাইন, মরক্কো, সুদান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।তাদের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রকল্প রূপায়ণ শুরু হয়। তখনই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিই বলেছিলেন, মুসলিম দুনিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। বিগত কয়েক দিনের সংঘাতের পর এ দেশ দুটোই শুধু সরব, খামেনিই বলেছেন, ''এই লড়াই হলো দমনের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের

হযরত ওমরের ঈদ আনন্দ

  অর্ধ পৃথিবীর শাসক আমিরুল মুমেনিন হযরত ওমর (রা)'র জীবনের অসংখ্য ঘটনা প্রচলিত আছে। তাঁর সাদাসিধে জীবন, সরলতা ও কঠোরতা ঘিরে এসব কাহিনী। তেমনি একটি ঘটনা ছিল এমন - এক ঈদের দিন ঈদের জামাতের সময় গড়িয়ে যায়। কিন্তু যিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন সেই আমিরুল মুমেনিন হযরত ওমর তখনও আসেননি ঈদগাহে। সকলে চিন্তিত, বিচলিত ও উৎকণ্ঠিত ! কোথায় গেলেন খলিফা? কয়েকজন খুঁজতে বের হলেন। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে তাঁকে পাওয়া গেল ক্রন্দনরত অবস্থায় তার নিজ ঘরে। দেখা গেল তিনি আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলছেন আর কাঁদছেন। মুনাজাত শেষ হলে প্রশ্ন করা হলো, হে আমিরুল মুমেনিন! খলিফাতুল মুসলিমিন! আজ ঈদের দিন, খুশির দিন। অথচ, আপনি কাঁদছেন? হযরত ওমর কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, আজ তো খুশি ঐ ব্যক্তির জন্য যে নিশ্চিত হয়েছে তার বিগত তিরিশটি রোযা, তারাবীহ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলিল আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। আমিতো নিশ্চিত হতে পারিনি! একটু ভাবুন, এই ছিল জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী হযরত ওমর ফারুকের ঈদ আনন্দ।

কী মেসেজ পেলাম হযরত ওমরের ঈদ শপিং কাহিনী থেকে?

  এবার ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছিল হযরত ওমরের ঈদ শপিং কাহিনীটি। সবাই লাইক কমেন্ট শেয়ার করলাম। কিন্তু ঘটনা কী এখানেই শেষ? কি ছিল সেই কাহিনী থেকে শিক্ষণীয়?আসুন কাহিনীটা আরেকবার পড়ে ঝালাই করে নেই। শেষে কাহিনীর বার্তা পাবেন। চলুন শুরু করি। অর্ধ পৃথিবীর খাদেম খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ঈদে নিজের সন্তানদের নতুন জামা পর্যন্ত কিনে দিতে পারেননি। ঈদের পূর্ব দিনে তাঁর স্ত্রী এসে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের কাপড় না হলেও চলবে। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চাটি ঈদের জামার জন্য কাঁদছে।’ হযরত ওমর বললেন, ‘আমারতো জামা কেনার সামর্থ্য নেই।’ তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত সাহাবী হযরত আবু উবায়দা (রাঃ) এর নিকট অগ্রীম এক মাসের ভাতা চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করলেন। মুসলিম জাহানের খলিফার এমন অসহায়ত্বের সংবাদ সম্বলিত চিঠি পেয়ে হযরত আবু উবায়দা কেঁদে ফেললেন। তিনি পত্রবাহককে ভাতা না দিয়ে চিঠির জবাবে লিখলেন, আমিরুল মুমেনিন, আমি আপনাকে অগ্রীম ভাতা দিতে পারি। তবে আপনাকে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। প্রথমত: আপনাকে আগামী মাস পর্যন্ত জীবিত থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। দ্বিতীয়ত : যদি জীবিত থাকেন তাহলে মুসলমানরা যে আপনাকে আগামী মাস

ফিলিস্তিন যুদ্ধে শহিদ বাংলাদেশির কবর ও নামফলক

ছবি
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি। জীবিত অনেক যোদ্ধা লেবানন ছেড়ে দেশে অথবা ভিনদেশে ঠাঁই গাড়লেও ফেরা হয়নি অনেকের। নিহতদের মধ্যে একজনের ঠিকানা হয়েছিল দক্ষিণ লেবাননের শাতিলা শরনার্থী শিবিরে পাশে একটি গোরস্থানে। ওই বাঙালি বীরের কবর ও নামফলক এখনো সেখানে রয়েছে। বাংলাদেশি সেই বীরের নাম শহিদ কামাল মুস্তাফা আলি। তাঁর পরিচয়ের বিস্তারিত কোনো কিছুই কবরের ওই নামফলকে উল্লেখ নেই। সেখানে উল্লেখ আছে শহীদ সেই বীর ও তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশের নাম। Among the many tombstones of Palestinians who have died since the 1970s, those of a few foreigners can be spotted. A few Iraqis, Syrians, Lebanese, Tunisians, a Russian, a Kurd, and also one of a Bangladeshi man named Kamal Mustafa Ali. ওই নামফলকে উল্লেখ আছে পবিত্র কোরআনের সুরা ইমরানের একটি আয়াতও। আয়াতের অর্থ হলো -‘আর যারা আল্লাহর জন্য শহীদ হন, তাদেরকে কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।'Ali died on July 22, 1982 during a battle at the Castle of the High Rock, also known as the B

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশিরা

ছবি
  ফিলিস্তিনিনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুধু ধর্মীয় ও সহমর্মিতার সম্পর্ক নয়। তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশিরা সরাসরি অংশও নিয়েছে। গোটা বিশ্বে বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ, যে দেশ ইসরায়েলকে তার পাসপোর্টে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে। ১৯৮০ সালের দিকে ফিলিস্তিনিদের কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফাত তখন ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি গড়ার সংগ্রাম করছেন। বরাররের মতো ইসরায়েলি সেনারা তখনও খড়গহস্ত। নিরুপায় ইয়াসির আরাফাত মুসলিম উম্মাহর কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি তরুণ। “8,000 Bangladeshi youths had volunteered to fight for the Palestine Liberation Organization,” (US Library of Congress) মার্কিন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ১৯৮৮ সালের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ‘৮ হাজার বাংলাদেশি যুবা তরুণ ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) হয়ে যুদ্ধ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন’। ১৯৮১ ও ১৯৮

ইসরায়েলের আয়রন ডোম

ছবি
ইসরায়েল ফিলিস্তিনে বিমান হামলার পর গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলের ভূখন্ডে বিরতিহীনভাবে রকেট নিক্ষেপ করে চলছে। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক রকেট ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে। নিহত হয়েছে দশজনের বেশি ইসরায়েলি নাগরিক। রকেট হামলায় ইসরায়েল এ মুহূর্তে কিছুটা বিপর্যস্ত যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে আয়রন ডোম হামাসের ছোঁড়া রকেট থেকে তাদের কিছুটা নিরাপত্তা দিয়েছে। যদিও অনেকাংশেই আয়রন ডোম তাদের কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা নিশিত করতে পারেনি। এ নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে হামাসের রকেট আছড়ে পড়েছে তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে।হামাসের দাবি, তাদের ক্ষেপনাস্ত্রে এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার ইসরাইল। অন্যদিকে ইসরাইলের দাবি, হামাসের হামলার ৮০ শতাংশই প্রতিহত করেছে তাদের আয়রন ডোম এবং বাকি দুই শতাধিক রকেট বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে হামলা চালিয়েছে।তবে হামাসের রকেট হামলায় নিজের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরাইল। শহরের পাইপলাইন ও তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেপনাস্ত্রের বিষয়ে হামাস জানিয়েছেন, এবার তারা দখলদার ইসরাইলের রামুন বিমানবন্দরে আইয়াশ-২৫০ নামে মধ্যমপাল্

ইহুদিরা চায় সহানুভূতি

  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপে ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর তারা সেই হত্যাকে পুৃঁজি করে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সহানুভূতি অর্জন করতে চায়। সেই সহানুভূতি অনেকটা অর্জন করে ফেলেছে ইতোমধ্যে। রাষ্ট্রহীন জাতি ইহুদিরা এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে নিজস্ব রাষ্ট্র পেয়েছে। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে, হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু করছে। সহানুভূতির ছাড়াও ইহুদিদের আরেকটি বড় অর্জন হলো আন্তর্জাতিক সমর্থন। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হরহামেশা হত্যা করলেও অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব নিরব থেকেছে। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে নামধারী কিছু মুসলিম রাষ্ট্রও।নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বোমারু বিমান, মিসাইল, মরটার, গুলি করে হত্যা করলেও পশ্চিমা বিশ্ব এটা ইসরায়েলের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বলে সমর্থন দিয়ে সব জায়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। হিটলার হত্যা করেছিলেন পৃথিবীর প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ ইহুদিকে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী দ্বারা যে ব্যাপক হারে ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল, তা ইতিহাসে হলোকাস্ট নামে পরিচিত।হলোকাস্ট শব্দটা বাংলা করলে দাঁড়ায় সবকিছু পোড়ানো। জার্মা

বাইডেনের মানবাধিকার!

ছবি
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আটোমান বাহিনীর হাতে আর্মেনীয়দের মৃত্যুর ঘটনাকে গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ।আর্মেনীয়দের দাবি ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ওই হত্যাযজ্ঞে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে তুরস্ক বলে আসছে মৃতের সংখ্যা এর পাঁচভাগের একভাগ। আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট গৃহযুদ্ধের কারণেই এটি ঘটেছে।অবশ্য গণহত্যা গবেষকদের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারসের (আইএজিএস) ধারণা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ওই ঘটনায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ঘটনাটিকে গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার পরে আমেরিকাতে যত প্রেসিডেন্ট এসেছেন কেউই বিষয়টিকে গণহত্যা বলেননি।প্রতি বছর এ দিবসটি পালনকালে তারা সবাই এটিকে মহা বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ থেকে দূরে থেকেছেন। গত মাসে আরমেনীয় গণহত্যা বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘যা আমরা হারিয়েছি তার জন্য আজ শোক প্রকাশ করছি। আর চলুন সেই পৃথিবী গড়ার দিকে নজর দেই, যা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য গড়তে চাই। যেখানে অসহিষ্ণুতা আর

হাগানাহ জঙ্গি সংগঠন এখন ইসরায়েলর সামরিক বাহিনী

ছবি
মো. আবু রায়হান মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম জঙ্গি সংগঠন ছিল ইহুদিদের হাগানাহ( Haganah) নামের একটি দল। ব্রিটিশদের সহায়তায় এই জঙ্গি সংগঠনটি গঠন করেছিল ইহুদিরা। উদ্দেশ্য ছিল, ফিলিস্তিন ভূখণ্ড থেকে আরবদের তাড়িয়ে সেখানে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। Haganah Zionist military organization representing the majority of the Jews in Palestine from 1920 to 1948. Organized to combat the revolts of Palestinian Arabs against the Jewish settlement of Palestine, it early came under the influence of the Histadrut (“General Federation of Labour”). Although it was outlawed by the British Mandatory authorities and was poorly armed, it managed effectively to defend Jewish settlements.( Britannica) হাগানাহ’র ইতিহাস জানতে হলে প্রথমেই চলে যেতে হবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়টাতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে তুরস্ক ভিত্তিক ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত ফিলিস্তিন শাসনের ম্যান্ডেট পায় ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিনি আরবদের জন্য সেখানে একটি রাষ্ট্র গঠনের কথা থাকলেও ১৯১৭ সালে হঠাৎ করেই বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ওই ভূখণ্ডে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প

হুইল চেয়ারে বসা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার মহানায়ক

ছবি
মো.আবু রায়হান শায়খ আহমাদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন (১৯৩৬ – ২২শে মার্চ ২০০৪) একজন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, ফিলিস্তিনের শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ও ধর্মীয় নেতা। তিনি গাযা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং হামাসের প্রতিষ্ঠাতা।কর্মজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। এছাড়া তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন এবং খুতবাও দিতেন। তাঁর বলিষ্ঠ যুক্তি এবং উপস্থাপন ভঙ্গী তাকে ফিলিস্তিনের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।শিক্ষক হিসেবেও ছাত্রদের মধ্যে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ইয়াসিন তাঁর ছাত্রদের মনেও ইসরাইল বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে দেন। আসকালান শহর থেকে থেকে বিশ কিমি দূরে জুরাহ নামক স্থানে শায়খ আহমাদ ইয়াসিন ১৯৩৬ সালের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন।ইসরাইল তখন ফিলিস্তিন দখল করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের অনেক অঞ্চল দখল করে নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলিরা। তাঁর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ ইয়াসিন এবং মাতার নাম সা'দা আল হাবেল। ইয়াসিনরা ছিলো সাত ভাই-বোন। তিন বছর হতে না হতেই তার পিতা মৃত্যু বরণ করেন । ১৯৪৮ সালে যখন ইয়াসিনের বয়স মাত্র দশ বছর তখন ইসরাইলি বাহিনী তাদের গ্রাম দখল করে

অভিশপ্ত ইহুদি জাতির লাঞ্ছনার ইতিহাস

পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। পৃথিবীতে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ, কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি! পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ,গাদ্দারি ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। এত সব অপকর্ম ও কুকীর্তি ইহুদিদের পরিণত করেছে আল্লাহর অভিশপ্ত জাতিতে।

বিশ্ব মিডিয়ায় ইহুদিদের প্রভাব

  আজকের সংবাদ শিরোনামের দিকে চোখ বুলালে দেখবেন। তাদের শীর্ষ সংবাদ রাশিয়ায় মুসলিম অধ্যুষিত কাজানে নয় জন নিহত। এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া তোলপাড়। তাদের মতে এই ঘটনা মুসলিম জঙ্গিরা ঘটিয়েছে। এদিকে কয়েক ঘন্টায় প্রায় ২২ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হলেন সেটা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া অনেকটাই নিশ্চুপ। কারণ কি জানেন? বিশ্ব মিডিয়াতেও ছড়িয়ে আছে ইহুদিরা। মুসলমানদের নিহত হবার ঘটনা তাদের কাছে পান্তা ভাতের মতো। তাদের কাছে মুসলমানদের জীবন গুরুত্বহীন। নির্দোষ মুসলমানদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বেইজ্জত করাতে ওদের জুড়ি নেই। সন্ত্রাসী হামলায় কোনো মুসলিম যুক্ত থাকলে তার কাজের জন্য পুরো সম্প্রদায়কেই দায়ী করা হয়। কিন্তু একই রকম ঘটনায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকলে গণমাধ্যমে শুধুমাত্র হামলাকারীকেই তুলে ধরা হয়।হামলাকারী অমুসলিম হলে, গণমাধ্যম তার ধর্মীয় পরিচয়ের দিকে জোর দেয় না। হামলাকারীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বা উন্মাদ হিসেবে দেখানো হয়। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ব্রেন্টন ট্যারেন্টের কথা এক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। হামলার পর তাকে কোথাও “শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাস

যুগে যুগে ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও অপকর্ম

  বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ইহুদি কারা? হযরত ইসহাক (আ.)-এর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধররা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। বনি ইসরাইল হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধরদের একটি শাখা। এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। ইয়াকুব (আ)-এর উপাধি ইসরায়েল। এই ইয়াকুব বা ইসরায়েলের ১২ সন্তান। ১২ সন্তানের চতুর্থ জনের নাম ইয়াহুদাহ। ইয়াহুদার অনুসারীরা তাঁর নামানুসারে ইয়াহুদি নামে পরিচিত হয়। সেই নামের অংশবিশেষ থেকে ‘ইহুদি’ নামকরণ করা হয়েছিল। (তাফসিরে মাওয়ারদি - ১/১৩১)। ইহুদিবা

ঘুমন্ত জাতি

  ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর আক্রমণের ঘটনা তো প্রতিনিয়ত ঘটছে। এর বাইরে পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েলের আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ মাসে ইহুদিবাদি সেনারা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ চালিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। এমন কোনো রমজান নেই যে রমজানে মুসলমানদের রক্তে গাজা, পশ্চিম তীর এবং আল আকসার পবিত্র অঙ্গন রঞ্জিত হয়নি। প্রশ্ন হলো রমজানে কেন তারা এতোটা বেপরোয়া? ইহুদিরা মুসলমানদের শক্তি সামর্থ্য পরীক্ষা করে, দেখে রোজা রেখে বদরে যুদ্ধ লড়াকু মুসলমানদের উত্তরসূরীরা ঈমানী শক্তিতে কতোটা আজও বলীয়ান না নিস্তেজ! রমজান মাসে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়ীর অনুসারীরা নিথর না সদা জাগ্রত? তারা বাতিলের বিরুদ্ধে এখনো শার্দুল কি না। ইসরায়েলের বর্বর হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং নারী। শিশু ও নারী কেন টার্গেট করা হয় জানেন? যাতে ফিলিস্তিনি নারীর গর্ভে সালাউদ্দীন, তারিক, মুহাম্মাদ বিন কাশেমের মতো অকুতোভয় বীর সিপাহসালার না জন্মায় এবং তাদের আবির্ভাবে পুনরায় আল আকসা হাতছাড়া হয়ে না যায়। এই জন্যে তাদের প্রতিটি দিন কাটে আতঙ্ক আর ভয়ে। সেই আতঙ্ক আর ভয় থেকে ইসরায়েলের সেনা ও নাগরিকেরা মানসিকভাবে অস

আমেরিকার প্রশাসন কেন ইহুদিদের বিপক্ষে যেতে পারে না

  পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। পৃথিবীতে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ, কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি! পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। অর্থাৎ একজন ইহুদির বিপরীতে এক শ’ জন মুসলিম। এর পরও মুসলিমদের চেয়ে কয়েক শ’ গুণ ক্ষমতাবান ইহুদিরা। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সব দিক দিয়েই ইহুদিরা এগিয়ে।জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি। হতে পারে ইহুদিরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। তারা মোট সম্পদের ৫০ শতাংশের মালিক।আমেরিকার ইহুদি জনগোষ্ঠীর ৮৯ শতাংশ বাস করে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে, যাদের বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ স্টেটস। উল্লেখ্য, ইহুদিদের ভোট সব সময় এক দিকে যায়। যারা তাদের জন্য কাজ করবে তাদের ভোট দেয়। তাই সহজেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করতে পারে তা