পোস্টগুলি

Muslims and Islam in Sweden

ছবি
Sweden is a country in the Scandinavian region of Western Europe. The largest city and capital of Sweden is Stockholm. Sweden is bordered by Finland to the northeast, Norway to the west and the Oresund Bridge to the southwest. 295 square kilometers. It is the third largest country in Europe. Sweden is one of the least populous regions in Europe. According to a 2017 report from the Swedish Agency for Support to Faith Communities, there were 170,915 Muslims in Sweden who practiced their religion regularly; This count came from those registered with Islamic congregations. The immigration has been the main driver of spreading Islam in Sweden since the late 1960s. Population increases between 2004-2012 have been attributed to immigrants from Iraq, Somalia, and Afghanistan. The US Department of State sets the figure at around 6% (almost 600,000) of the total Swedish population. The population density is 20.6 people per square kilometer. According to the Central Intelligence Agency's 2011

সুইডেনে কুরআনে অগ্নিসংযোগ ও মতপ্রকাশ

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ ইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির আয়তন ৪ লাখ ৫০ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যার কারণে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ অঞ্চল। ২০১৬ সালে সুইডেনের মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু অভিবাসনের উচ্চ হার যদি অব্যাহত থাকে ২০৫০ সাল নাগাদ সুইডেনে মুসলিমরা হবে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির ২০১১ সালের পরিসংখ্যা অনুসারে সুইডেনের মোট জনসংখ্যার সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মুসলিম। অপরদিকে সুইডেনে মুসলমান ও তাদের মসজিদের ওপর হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলছে। প্রতি বছরই আগের বছরের তুলনায় মুসলিমরা বেশি পরিমাণে হামলার শিকার হচ্ছে।যার সর্বশেষ উদাহরণ কুরআনে অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর ঘটনা। শুক্রবার মালামোতে ইসলামবিরোধী অনেক দল কোরআন অবমাননার জন্য সমবেত হয়েছিল। জনসম্মুখে তারা কোরআনের কপিতে পদাঘাত করেছিল।কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চল মালমো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শহরটিতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ইসলাম ধ

ত্রিমুখি টার্গেটে ফিলিস্তিন

ত্রিমুখি টার্গেটে পরিণত হয়ে নিজেদের সব হারানোর পথে ফিলিস্তিনিরা। ইহুদিবাদি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আরব দেশগুলোও তাদের ছাড়তে শুরু করেছে। আরব শাসকেরা চায় ক্ষমতা, মসনদ ও অস্ত্র। ইসরায়েল চায় ভূমি। ট্রাম্প চায় ইহুদি ভোটাদের আকৃষ্ট করতে। আর তিন পক্ষের এই তিন স্বার্থের বলি হচ্ছে ফিলিস্তিন। কপাল পুড়ছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের।ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে অস্বীকার করে বিতর্কিত একটি প্রস্তাবও প্রণয়ন করেছেন ট্রাম্প যা ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি নামে পরিচিত। সবকিছু বিবেচনা করে মনে হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য আরো দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে ।

ভারতের রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু হলে?

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। কারা কি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে তা বলতে চাচ্ছি না। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকায় মুসলিম নামধারী কথিত প্রগতিশীলদের কাছেও তা অবোধগম্য। তারা প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চান, আবার ভারতের ধর্মনিরপেক্ষদের পক্ষে কথা বলেন এটি দ্বিমুখি আচরণ হয়ে গেল না? আসলে ধর্মনিরপেক্ষকতা কী? অল্প কথায় রাষ্ট্রীয় কাজ-কর্মে ধর্মের বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে চলার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা।বহুভাষা, বহুধর্মের দেশ ভারত ১৯৭৬ সালে, ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি যুক্ত হয়। ভারতের সংবিধান কেন ধর্মনিরপেক্ষ জানেন? আশা করি উত্তর পেয়ে আপনার মনের তৃষ্ণা ও কথিত নামধারী মুসলিম প্রগতিশীল হবার খায়েশ তিরোহিত হবে। ইসলাম একটি রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকদের অবাধ ধর্মীয় স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ব্যবসা বাণিজ্য ও মুসলিমদের পরধর্মে সহিষ্ণু হবার শিক্ষা দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে মুসলমানদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারির কথা বলা হয়েছে। এখন আপনাকে বলছি হিন্দুধর্ম কি এভাবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি স

ইহুদিদের আরেকটি প্রতিশব্দ বিশ্বাসঘাতক

ইহুদিরা যে বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান তা যুগে যুগে প্রমাণিত সর্বশেষ উদাহরণ ইসরায়েল আরব আমিরাত চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আর ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবে না। বিনিময়ে আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। কিন্তু চুক্তির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে অভিহিত করলেও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন থেকে সরে আসেননি বলে জানান।

মুসলিম বিশ্বের দ্বন্দ্ব

মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ভাঙ্গতে মরিয়া ভারত, ইসরায়েল, আমেরিকা। এক্ষেত্রে সৌদি আরব এদের প্রধান সহযোগী।পাকিস্তান-ইরান-কাতার-তুরস্কের মৈত্রীতে সৌদি ক্ষুব্ধ।চীনও বসে নেই। সৌদি আরব-আমিরাত -ভারত-ইসরায়েল- আমেরিকা জোটের পাল্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে চিন - তুরস্ক-পাকিস্তান-ইরান-কাতার জোট। তুরস্কের সঙ্গে ইমরানের মাখামাখি সম্পর্ক সৌদি আরবের একদম সহ্য হচ্ছে না। ইমরানের সঙ্গে মাহাথির থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর মালয়েশিয়া নীরব। মুসলিম বিশ্বের এই দলাদলিতে ওআইসি অকার্যকর। কাশ্মীর ইসুতে পাকিস্তান ওআইসিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলেও সৌদি আরবের কারণে পারছে না। এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আমেরিকা ভারত ও ইসরায়েল। যাদের সঙ্গে সৌদি আরবের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।

তুরস্ক ইসরায়েল সম্পর্ক

ছবি
মো আবু রায়হানঃতুরস্ক ইসরায়েলের সম্পর্ক ওপেন সিক্রেট বিষয়। যতই তুরস্ক ও এরদোয়ান ইসরায়েলের সমালোচনা করুক না কেন, দেশ দুটোর মধ্যে সম্পর্ক বেশ পুরনো ও গভীর। যদিও মাঝেমধ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সম্পর্কে বিভিন্ন ইসুতে টানাপড়েন দেখা গেছে। এরদোয়ানের উদার ইসলামি নীতি ও কৌশলের কারণে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখা সম্ভব হয়েছে। এতো শত ভালো কাজ করার পরও ইসরায়েলের সঙ্গে এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এজন্য এরদোয়ানকে বলা হয়েছে ইহুদীদের দালাল।কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কৌশলের জন্য এরদোয়ান সমভাবে প্রশংসিত। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার আদায়ে এরদোয়ান অবিসংবাদিত ও মুসলিম বিশ্বের যেন সুলতান। মুসলিম বিশ্বে সর্বপ্রথম তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল পাশা। ১৯২৮ সালে দেশটির শাসনতন্ত্রে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম বিলুপ্তির সংশোধনী বিল চালু করে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করা হয়।১৯৪৮ সালে অবৈধ দখলদার ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরের বছর মার্চ মাসে মুসলিম বিশ্বের প্রথম দেশ- তুরস্ক ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।তাদে

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিতর্ক

ছবি
মো আবু রায়হান:সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা চালু করার দাবিতে ১০ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশটি পাওয়ার দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা শুরু করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক জনগণের পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে এমনটি বলা হয়েছে। শুধু কী বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে ?এর উত্তর চলুন জেনে আসি।সারা  বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ২০ ভাগ দেশের রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে। ৪৩ টি দেশে ধর্মকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গবেষণা সংস্থা পিউ’র তথ্য মতে, বিশ্বের ২৭টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান থাকা সত্ত্বেও এসব দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নয়। ২৯টি দেশে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হলেও তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং ২৭ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৩০ কোটি। এরমধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হচ্ছে মুসলিম জনসংখ্যা।মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং উত্তর ইউরোপের ৪৩টি দেশে

নাউযুবিল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
আজকাল কোথায় নাউযুবিল্লাহ আর কোথায় আলহামদুলিল্লাহ বলবো এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়। এসব সমস্যা বেশি হয় ধর্মীয় সভাগুলোতে। বক্তা চার আলিফের সুর দিয়ে থেমে যখন বলে ঠিক না বেঠিক? তখন শ্রোতাদের থতমত খাওয়ার মতো অবস্থা।আবার বক্তা চিল্লায় নাউযুবিল্লাহ বলেন না ক্যারে? না নাউযুবিল্লাহ বাড়ি গিয়ে বলবেন? তো আজকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা নাউযুবিল্লাহ নিয়ে। নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,তোমরা ভয়াবহ বিপদ, হতভাগ্যের অতল গহবর, মন্দ তাকদীর এবং শত্রুর আনন্দ প্রকাশ থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রর্থনা কর।’ (সহীহ বুখারি- ৬১৬৩)

আলহামদুলিল্লাহ কখন ?

ছবি
  আলহামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলে থাকি।যেমন, ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলি, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।তবে আজকাল আলহামদুলিল্লাহ যেন অতি সফলদের একান্ত বুলি হয়ে গেছে। বিসিএস ক্যাডার হলাম আলহামদুলিল্লাহ, প্রমোশন পেলাম আলহামদুলিল্লাহ,ম্যানেজার হলাম আলহামদুলিল্লাহ, আবার কেউ শুধু ফেসবুকে আলহামদুলিল্লাহ পোস্ট দিয়ে চুপ থাকেন,এতে জনগণের কৌতুকল ও জানার আসক্তি জ্যামিতিকহারে বেড়ে যায়। কমেন্টে গিয়ে কেউ কেউ না জেনে লিখে আলহামদুলিল্লাহ, অভিনন্দন, আমি জানতাম আপনি পারবেন, এগিয়ে যান, বন্ধুরা লিখে আসলেই তুই একটা মাল, শেষে দেখিয়ে দিলি, তো দোস্ত কিসে হলো?আবার কেউ কেউ কমেন্টে লিখে ভাই ঘটনা কি? কেন আলহামদুলিল্লাহ? কেউ ইনবক্সে গিয়ে গুতাতে থাকে ভাই খবরটা কী? রহস্য কি? কী জব পেলেন? কোন রেস্টুরেন্টে ট্রিট দেবেন? এদিকে বেলাও নক করে অধমকে এতোদিন ব্লক করে রেখেছিল। বান্ধবীর মুখে অধমের খবর শোনে নক করে। মেসেজ দিয়ে বলে আমি বলছি না? তুমি পারবে! দেখ কিভাবে হয়ে গেল।তোমার জন্য না অনেক প্রে করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। এতো শত অভিনন্দন

ইনশাআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
ইনশাআল্লাহ বলা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। কোথায় ইনশাআল্লাহ, কোথায় আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় তা নিয়ে অনেকে কনফিউশনে ভুগি। যেমন কাউকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন? তিনি বলে ফেললেন ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। এটি ভুল। সঠিক হবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতে হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোনো বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নত। যেমন- ইনশাআল্লাহ, আমি আগামীকাল আপনার কাজটি করে দেবো। পবিত্র কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ বলেন, তুমি কখনো কোনো বিষয়ে এ কথা বলো না যে আমি এটি আগামীকাল করব—‘ইনশাআল্লাহ’ কথাটি না বলে। যদি (কথাটি বলতে) ভুলে যাও, তাহলে (যখনই তোমার মনে আসবে) তোমার রবকে স্মরণ করো এবং বলো, সম্ভবত আমার রব আমাকে এর (গুহাবাসীর বিবরণ) চেয়ে সত্যের নিকটতর পথনির্দেশ করবেন। (সুরা কাহফ আয়াত ২৩-২৪ )। যখন মহানবী (সা.)-কে মক্কার কাফিররা আসহাবে কাহফ ও জুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল, তখন তিনি প্রশ্নের জবাব আগামীকাল দেবেন বলে এক ধরনের ওয়াদা করে ফেলেন। আশা ছিল, এর আগেই অহির মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত হয়ে যাবেন এবং তাদের উত্তর প্র

সুবহানআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
সুবহানাল্লাহ এর অনুবাদ করা হয় আল্লাহর গৌরব হোক (glory be to Allah) হিসাবে। তবে তা খুব ভালো অনুবাদ বলে গণ্য করা যায় না।সবচেয়ে ভালো অনুবাদ হবে— আল্লাহ তায়ালা যে কোনও অপূর্ণতা থেকে মুক্ত।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‌এ বাক্যটির অর্থ হলো- আল্লাহ পবিত্র অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাবতীয় মন্দ ও সর্ব প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। সুতরাং সুবহানাল্লাহ অর্থ আল্লাহ পুতঃপবিত্র। যা কুরআনের সূরা বাকারার ৩২ নম্বর আয়াতে উঠে এসেছে। আশ্চর্যজনক ভালো কোনো কাজ হতে দেখলে কিংবা বিস্ময়কর ভালো কোনো কথা শুনলে এটি বলার অভ্যাস করুন।যেমন, সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুড়ে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। (-সহিহ বোখারি- ৭/১৬৮)।হযরত সামুরা ইবনু জুনদুব (রা.)বলেন,রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন,আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় বাক্য চারটি সুবহানআল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর। তুমি ইচ্ছামতো এই বাক্য চারটির যে কোন বাক্য আগে পিছে বলতে

জাজাকাল্লাহ কখন বলবেন?

ছবি
আমরা কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সাধারণত বলে থাকি Thank You (ধন্যবাদ আপনাকে)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’ (আবু দাউদ, হাদিস -৪৮১১)। আপনি যদি ইসলামি সম্ভাষণে অভ্যস্ত হন তাহলে একই সঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে। আল্লাহর জিকির ও বান্দার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আন্তরিকতা প্রকাশ।ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সুন্দর শব্দ জাজাকাল্লাহ বলার শিক্ষা দিয়েছে।এর অর্থ আল্লাহ আপনাকে এর প্রতিদান দিন। প্রতি উত্তরে অপর পক্ষ বলবে, হাইয়্যাকাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।অথবা আরো বৃদ্ধি করুন—জাজাকাল্লাহু খায়রান অর্থ মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।ওয়া'আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহু খায়রান যার অর্থ এবং তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। এরমধ্য দিয়ে আল্লাহকেও স্মরণ করা হয়।জিকির প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন, ‘(তারাই বুদ্ধিমান) যারা উঠতে, বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে (আপনা আপন

মাশাআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি সম্ভাষণে আজকের বিষয় মাশাআল্লাহ। অনেক সময় আলহামদুলিল্লাহ ও মাশাআল্লাহ বলতে গিয়ে আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেলি। দুটো সম্ভাষণে খুব বেশি অমিল নেই। মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ যেমন চেয়েছেন (what Allah has willed). এটি আলহামদুলিল্লাহ পরিভাষার মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বিস্ময়কর কোনো কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলা যায়। যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন- মাশাআল্লাহ তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। মাশাআল্লাহ তুমি খুব সুন্দর করে কুরআন তেলাওয়াত করেছ।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি কোনো বিস্ময়কর বস্তু দেখার পর মাশাআল্লাহ লা-ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলবে, তবে তাকে কুদৃষ্টি স্পর্শ করবে না।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ ৫/২১)।

ইসলামে পশুপ্রেম ও তথাকথিত ভন্ড পশুপ্রেমী

ছবি
মো.আবু রায়হানঃপ্রতি বছর ঈদুল আজহা এলে তথাকথিত পশুপ্রেমী দের পশুকুলের জন্য মায়াকান্না বেড়ে যায়।১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনে একটি সংগঠন প্রাণীদের অধিকার বিষয়ে সোচ্চার হয়। ধীরে ধীরে তাদের চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশে দেশে। বলা যায়, তখন থেকেই সভ্য দুনিয়া পশু-পাখির প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনে মনোযোগী হয়েছে। ইংরেজদের আমলে বাস্তবায়ন করা 'পশু নির্যাতন আইন-১৯২০' এ উল্লেখ আছে, কেউ অপ্রয়োজনীয় নির্যাতনের দ্বারা পশু হত্যা করলে 'পশু নির্যাতন আইন-১৯২০ ধারা ৭' অনুযায়ী তার শাস্তি ২০০ (দুই শত) টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। এসব ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার 'প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৬ পাস করে। এই আইনে প্রাণী (পশু) হত্যা, ও পশুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ ও অতিরিক্ত কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করলে জেল ও জরিমানার বিধান রাখা রয়েছে।১৪শ বছর পূর্বে পশু-পাখির অধিকার রক্ষায় ইসলাম নির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। প্রাণীদের অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি শরয়ি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ডেইরি খামারে বেশি বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুর ওপর নির্মমতা চ

গরুর চামড়া খাওয়া কী হালাল ? কীভাবে খাবেন ?

ছবি
ইসলামের দৃষ্টিতে গরু-ছাগলের চামড়া খাওয়া হালাল। হালাল পশুর ৭টি অঙ্গ খাওয়া হারাম।সেই ৭টির মধ্যে চামড়া উল্লেখ নেই। যে ৭টি অঙ্গ হারাম সেগুলো হলো প্রবাহিত রক্ত, নর প্রাণীর পুং লি’ঙ্গ, অন্ডকোষ, মাদী প্রাণীর স্ত্রী লি’ঙ্গ, মাংসগ্রন্থি, মুত্রথলি, পিত্ত।সুতরাং, যবহকৃত হালাল পশুর প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত সবই হালাল (সুরা আনআম -১৪৫)।যেহেতু ইসলাম ধর্ম মতে কোরবানীর চামড়া খাওয়া নিষিদ্ধ নয় সেহেতু এটি খেয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। হানাফী কিতাব সমূহে আরো ছয়টি বস্ত্ত হারাম বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেগুলি সব ক্বিয়াসী বা অনুমান নির্ভর। সুতরাং হালাল পশুর চামড়া যদি কেউ খেতে চায়, খেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা রাসূল (সা) বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না এবং ক্ষতি করো না (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; সহীহাহ হা/২৫০)। রন্ধনশৈলী -হাঁস মুরগি ইত্যাদি প্রাণীর চামড়ার মত গরুর চামড়া রান্না করে খাওয়া যায়। তবে খাবারটি এখনো আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। গরুর চামড়া রান্না কোনো জটিল প্রক্রিয়া নয়। খুব সহজেই এটি রান্না করা যায়। চামড়ার রন্ধন প্রক্রিয়াও অনেক সহজ।প্রথমে গরুর চামড়াটি এক

প্রাচীন ভারতের নর্তকীর নামে আম্রপালীর নামকরণ

ছবি
স্বাদের দিক থেকে অনেকের কাছেই আম্রপালী আম খুবই প্রিয় । ছোট কিন্তু মিষ্টির দিক থেকে যেন সকল আমকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আম্রপালী । কিন্তু জানেন কি, এই আমের নামকরণ কোথা থেকে হলো ? আম্রপালী রাষ্ট্র যাকে বানিয়েছিল নগরবধু বা পতিতা। আম্রপালী -যে জন্মেছিলো আজ থেকে ২৫০০ বছর আগে ৬০০-৫০০ খ্রি পূর্বে ভারতে জন্ম গ্রহণ করেন।তার কয়েকটি নাম পাওয়া যায় যেমন- আম্বাপ্লিকা ,আম্বাপালি,অমরা। সে ছিলো সে সময়ের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী এবং নর্তকী । যার রুপে পাগল ছিলো পুরো দুনিয়া। আর এই রুপই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে। যার কারণে সে ছিলো ইতিহাসের এমন একজন নারী যাকে রাষ্ট্রীয় আদেশে পতিতা বানানো হয়েছিলো ! বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের একটি শহর। এটি বর্তমানে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিহার রাজ্যের তিরহুত বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রত্নক্ষেত্র। বৈশালী ছিল লিচ্ছবির রাজধানী।চীনা পর্যটক ফাহিয়েন (খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দী) ও হিউয়েন সাংয়ের ভ্রমণবিবরণীতে বৈশালী শহরের কথা উল্লিখিত হয়েছে। এই বিবরণ অনুসারে ১৮৬১ সালে পুরাতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম অধুনা বিহারের বৈশালী জেলার বাসরাহ গ্রামটিকে প্রাচীন বৈশালী নগর হিসেবে চিহ্নিত করেন। বৈশালির রাজোদ্যান ন

কাশ্মীরের হযরতবাল মসজিদ ও পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃজম্মু-কাশ্মীর ভারতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়ি জনপদ ও প্রদেশ।আয়তন ২,২২,২৩৬ বর্গ কি.মি. এবং জনসংখ্যা প্রায় ১,০১,৪৩,০০০ জন অধিকাংশ মুসলিম।কাশ্মীরের শতকরা ৭৭ ভাগ লোক শিক্ষিত।বাংলাদেশ থেকে ১,৭৪৬ কি.মি. দূরের কাশ্মীর উপত্যকা।কাশ্মীরের স্থাপত্যের মধ্যে হযরতবাল মসজিদ অন্যতম ।প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক হযরতবাল মসজিদ পরিদর্শনে আসেন।হযরতবাল মসজিদটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শ্রীনগর শহরের মধ্যে অবস্থিত।শ্রীনগর শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ডাল লেকের উত্তর পার্শ্বে লেকের তীরে হযরতবাল মসজিদ অবস্থিত।এটি কাশ্মীরি মুসলিমদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।কাশ্মীরিদের ধারণা ও দাবী মতে, এখানে প্রিয়নবী (সা.) এর চুল মোবারক সংরক্ষিত রয়েছে। ১৬৩৫ সালে মদিনা থেকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাথার চুল এনে মসজিদে একটি বিশেষ গ্লাসে রাখা হয়েছে।ধর্মীয় বিশেষ বিশেষ দিনে মাথার চুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দেখানো হয়। মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে আরবি শব্দ হযরত থেকে যার অর্থ শ্রদ্ধেয়,পবিত্র, সম্মানিত এবং কাশ্মীরি শব্দ বাল এর অর্থ হল স্থান।(The name of the shrine comes from the Arabic word Hazrat, meaning holy or maj