পোস্টগুলি

সমাবর্তন গাউন

আরবি পোশাক (থাওব) আমাদের আজকের দিন পর্যন্ত শিক্ষা জীবনে বিশুদ্ধ এবং স্পষ্ট চিহ্ন হিসাবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শেষে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তথা সমাবর্তনে সবাই যে গাউন পরে থাকে তা আরবীয় পোশাক থাওবের উত্তরসূরী। থাওব একটি গোড়ালি-দৈর্ঘ্যের পোশাক, সাধারণত লম্বা হাতা থাকে। এটি সাধারণত আরব উপদ্বীপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী আরব দেশ এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে পরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় যে টুপি পরেন তা চারকোণা ফ্ল্যাট টুপি। এমন আকৃতির কারণ কি জানেন? এমন আকৃতির কারণ মুসলিম স্পেনের কর্ডোভায় স্নাতক হওয়া মুসলিম ছাত্ররা আল কোরআনের প্রতি তাদের সত্যিকারের আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য স্নাতক শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের মাথার উপরে একটি কোরআনের কপি বহন করতেন।

টিকটক

  বর্তমানে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ টিকটক। অবশ্য এর আইওএস ভার্সনও এখন বাজারে আছে। এটি অত্যন্ত অল্প সময়ে পৃথিবীব্যাপী তার অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫টি ভাষায় এই অ্যাপটি বানানো হয়েছে।ছোট ভিডিওর জন্য বিখ্যাত এই অ্যাপসের মাধ্যমে এরই মধ্যে নিজেকে সেলিব্রেটি বানিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। বিভিন্ন গানের অংশ, সিনেমা ও নাটকের কৌতুক ডায়ালগগুলোর সঙ্গে অভিনয় করে অনেকেই বানিয়েছেন হাজার হাজার ফলোয়ার। কৌতুকের ছলে এই সর্বনাশা অ্যাপটি দ্রুত ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মুসলমানদের। সর্বনাশা মহামারি থেকে বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি এখনো অনেকে ভিপিএন ব্যবহার করে এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। মানুষ এ ধরনের অ্যাপগুলো ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য। যা মানুষের অনেক সময় নষ্ট করে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা নষ্ট করে। ঈমানদারদের আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল রাখে। পবিত্র কোরআনে এ ধরনের সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা
ছবি
মার্কিন মেরিন সদস্য রিচার্ড ম্যাককিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।তিনি প্রায় ২৫ বছর মার্কিন সামরিক বাহিনীতে চাকরির পর অবসর নেন।অবসরের পর যদিও তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নেই, তবু তিনি মানসিকভাবে সবসময় নিজেকে যোদ্ধা মনে করতেন। ইসলাম ছিল তার মনোজগতের সেই যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিপক্ষ।এই ঘৃণা থেকেই তিনি ইন্ডিয়ানাতে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।পরিকল্পনামাফিক তিনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে সেখানকার মুসলমানদের সঙ্গে ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন। একসময় ইসলাম নিয়ে তার ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায় এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সময়, ম্যাককিনির কাছে হত্যা করা ছিল খুবই সহজ বিষয় এবং তার প্রতিটি হত্যার জন্য তিনি ছোট করে একটি বিন্দুর মত ট্যাটু তার বুকে আঁকতেন। তিনি জানান তিনি এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যা তিনি কারো সাথেই কখনো আলোচনা করেননি। তিনি বলেন, আমি ইসলামকে ঘৃণা করতাম না, কিন্তু বিভিন্ন বিষয় আমি প্রত্যক্ষ করি যার ফলে আমার অনুভূতি এমন হয়ে যায়। চাকরী শেষে আমেরিকায় ফিরে আসার পর তিনি তার নিজের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত হন। তিনি মদ পান করা শুরু করেন এবং মুসলিমদের প্রত

কেয়ামতের আগে যে মসজিদের মিনারের কাছে ঈসা (আ.) অবতরণ করবেন

ছবি
উমাইয়া মসজিদ বা দামেস্কের গ্রেট মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি পবিত্র মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। এটি সিরিয়া প্রধান মসজিদ। মুসলমানদের একটি অংশের মতে এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চতুর্থ পবিত্র স্থান। ইসলামের অনেক বড় বড় আলোকিত ব্যক্তি সেখানে শিক্ষা দিয়েছেন এবং ধর্ম প্রচার করেছেন। তন্মধ্যে সুলতান সালাহ উদ্দীন আল-আইয়ুবী, ইমাম আল-গাজালী, ইমাম শামস উদ্দীন ইবনে কুদামাহ, ইমাম তাকিউদ-দীন আস-সুবকি, ইমাম তাজ উদ্দীন আস-সুবকি, ইমাম 'আব্দুল বাকী আল-মাওয়াহিবি, ইমাম 'আব্দুল কাদির ইবনে বদরান, ইমাম মুহাম্মাদ সাঈদ রমজান আল-বুতি অন্যান্য। মসজিদটি একটি সুন্দর উঠোন সহ বড় এবং প্রশস্ত। সেখানে প্রার্থনা ও শিক্ষা দেওয়ার জায়গা রয়েছে। এটিতে সূক্ষ্ম মোজাইক পাথরের খোদাই এবং মার্বেল সজ্জা সহ উজ্জ্বল সজ্জা রয়েছে। এটি স্থাপত্যের একটি আধ্যাত্মিকভাবে উল্লেখযোগ্য অংশ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হযরত ঈসা (আ) মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত গ্র্যান্ড উমাইয়া মসজিদের একটি মিনারের পাশে অবতরণ করবেন। তিনি ফজরের নামাজের সময় অবতরণ করবেন। দামেস্কের উমাইয়া জামে মসজিদে তাকবিরে উলা বলা হয়ে যাবে এমন সময় অবতরণ করবেন

নামাজে পোশাক

আপনি যখন চাকরির ইন্টারভিউতে যান। আপনি বসের সামনে উপস্থাপনযোগ্য দেখতে সেরা এবং সবচেয়ে দামি পোশাক পরেন। যখন আপনি আপনার নামাজে আল্লাহর সাথে কথোপকথন করেন তখন আপনি জগিং প্যান্ট এবং পিছনে রোনালদো লেখা সহ একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শার্ট পরেন! আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে বনি আদম, প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করে নাও আর (হালাল বস্তু তৃপ্তির সঙ্গে) খাও ও পান করো; কিন্তু অপব্যয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।" (সুরা আরাফ আয়াত-৩১) টাইট-ফিট প্যান্ট ও শার্ট এবং শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা কাপড় পড়ে নামাজ পড়া উচিত নয়। টাইট হওয়ার কারণে নামাজে একাগ্রতা ভঙ্গ হয়। তাছাড়া কাপড়ের উপর থেকে (বিশেষ করে পিছন থেকে) লজ্জাস্থানের উঁচু-নীচু অংশ ও আকার বোঝা যায়। অনেকে এভাবে নামাজ পড়াকে মাকরূহ বলেছেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উত্তম পোশাকে নামাজ পড়া। হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে আমল করা। নামাজের পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের বিষয়ে সতর্ক থাকা।

সৌদি জাতীয় দিবস

ছবি
২৩ সেপ্টেম্বর এই দিনটিকে সৌদিরা জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে। এদিন সারাদেশ জুড়ে লোককাহিনী নাচ, গান এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সাথে উদযাপন করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে নেজদ এবং হেজাজের দুটি রাজ্য একত্রিত হয় এবং সৌদ বংশের নামানুসারে সৌদি আরবের নামকরণ করা হয়। এভাবে আবদুল আজিজ সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ হন। হুসেইন বিন আলী যখন ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তখন তিনি হেজাজের হাশিমীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৫-২৬ সাল নাগাদ সৌদ বংশ হাশিমীয়দের পরাজিত করে হেজাজ দখল করে। অবশেষে হেজাজ এবং নেজদ রাজ্য ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩২ সালে এ দুটি রাজ্য একত্রিত হয়ে আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হয়।

𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?

  𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?তাদের জিজ্ঞাসা করুন যারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন এবং বলেছেন: "আমরা তাঁর মতো (সুন্দর ও নিখুঁত) কাউকে দেখিনি, আগেও না পরেও! হজরত জাবির ইবনে সামুরা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, চন্দ্রালোকে উজ্জ্বল এক রজনীতে আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি। আমি একবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে আরেকবার চাঁদের দিকে দেখছিলাম। তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীরে লাল রেখা বিশিষ্ট পোশাক ছিল। আমার দৃষ্টিতে এবং বিশ্বাসে তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চাঁদের চেয়েও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল (তিরমিজি, মেশকাত)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্য চাঁদসহ বিভিন্ন অপরূপ সৌন্দর্যের বস্তুর সঙ্গে তুলনা শুধু আমাদের বুঝে আসার জন্য। বস্তুত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্যের কোনো বস্তুর সঙ্গে তুলনা হয় না। হজরত ইউসুফ (আ.)-এর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আনা মালিহ ওয়া আঁঁখি আছবাহ’ অর্থাৎ আমি লাবণ্যময় আর আমার ভাই ইউসুফ (আ.) উজ্জ্বল। রাবী বি

রুহুল্লাহ খোমেনি

ছবি
রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন। যা তৎকালীন পাহলভি রাজবংশের মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভিকে উৎখাত করেছিল। এভাবে তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সর্বোচ্চ নেতা হন। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে পাহলভি রাজবংশের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি সংসদ স্থগিত করেন এবং শ্বেত বিপ্লব নামে পরিচিত একটি আক্রমণাত্মক আধুনিকীকরণ কর্মসূচি চালু করেন। খোমেনিই ছিলেন শাহের কর্মসূচী এবং তার শাসনামলের দুর্নীতির একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক। যার জন্য খোমেনিকে ১৯৬৩ সালে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। এক বছরের কারাবাসের পর, খোমেনিকে ৪ নভেম্বর, ১৯৬৪ সালে ইরান থেকে জোরপূর্বক নির্বাসিত করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৯ সালে জানুয়ারিতে যখন শাহ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, খোমেনী দেশে ফেরার সুযোগ পান এবং ফিরেই ২৫০০ বছরের পুরনো পারসিক রাজতন্ত্রের উপড়ে ফেলেন। বিপ্লবের পর খোমেইনী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান মোতাবেক জাতির সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বহনকারী সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আমৃত্যু এই দায়িত্ব পালন করেন।

হিজাবের দেশে হিজাব অবমাননা

হিজাব বা পর্দা নারীর সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক। নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ। নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অতি সহজ ও কার্যকর উপায়। ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার নিমিত্তেই করেছে। ইরানের শাসক রেজা শাহ প্রাচীন ইরানি ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চালু করেন। পুরুষদের জন্য ইউরোপীয় পোশাক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেন। ১৯২৮ সালে প্রাশ্চাত্য ড্রেস চালু করেন। মহিলাদের হিজাব নিষিদ্ধ করা হয় এবং পাশ্চাত্য পোশাক পরতে নির্দেশ দেয়া হয়। তার স্ত্রী ও মেয়ে বিনা হিজাবে ইউরোপীয় পোশাকে জনসমক্ষে হাজির হতেন। টুপি-পাগড়ির পরিবর্তে পাহলভী শিরোভূষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। পারস্য ভাষাকে আরবি প্রভাব মুক্ত করা হয়। রেজা শাই ধর্মীয় পোশাক পরিধানের জন্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান চালু করেন। ১৯৩৫ সালে রেজা শাহ পাহলভি মাশহাদের গোহারশাদ আকা মসজিদে নারীদের হিজাব সরাতে বাধ্য করেন। তার এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ওই বছরের ১২ জুলাই কিছু মানুষ শহিদ হয়।

সাদিও মানে একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়

ছবি
সাদিও মানে হলেন একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।সাদিও মানে ১৯৯২ সালের ১০শে এপ্রিল তারিখে সেনেগালের সেদিউয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। সাদিওর বাবা তাকে ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ফুটবলকে পেশা হিসেবে অনুসরণ করেন। তিনি একজন অনুশীলনকারী মুসলমান এবং প্রতিটি ম্যাচ শুরুর পূর্বে তাকে দোয়া করতে দেখা যায়। তিনি বর্তমানে জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ এবং সেনেগাল জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। ২০২২–২৩ মৌসুমে, তিনি ৩২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল হতে জার্মান বায়ার্ন মিউনিখে যোগদান করেছেন। সাদিওর পরিবার ছিল দরিদ্র। ছোটবেলায় রাতে খাবার না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় মাটি খেয়ে রাত কাটিয়েছেন তিনি। সাদিও মানে বলনে, "যখন আমি আমার শহর বাম্বালি ছেড়েছিলাম, তখন আমি তিনটি জিনিসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমার বাবা-মাকে হতাশ করব না, একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় হব এবং একটি স্কুল তৈরি করতে আমার গ্রামে ফিরে যাব।" তার বাবা-মা গর্বিত, বিস্মিত এবং উত্তেজিত হয়েছিলেন যখন তারা ত

বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম স্কলার শায়খ ড. ইউসুফ আল-কারাজাভি

ছবি
বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম স্কলার ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন শায়খ ড. ইউসুফ আল-কারাজাভি আজ ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে কাতারের রাজধানী দোহায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন । মৃত্যুকালে কারজাভির বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তার ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করে শায়খ কারাজাভির ছেলে কবি আব্দুর রহমান ইউসুফ। শায়খ কারাজাভির ছেলে কবি রূপক টুইট বার্তায় আব্দুর রহমান ইউসুফ জানান, ‘ঘোড়সওয়ার ঘোড়া থেকে নেমে গেলেন।’আল জাজিরা টেলিভিশনে শরীয়াহ এবং জীবন নামক তার অনুষ্ঠান তাকে পৃথিবীব্যাপি পরিচিত করে তোলে। শায়খ কারাজাভির জন্ম ১৯২৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মিসরের উত্তর নীলনদের তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। দুই বছর বয়সে বাবা ইন্তিকাল করলে চাচা তার লালন-পালন করেন। দশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করেন।হিফজ সম্পন্ন করে আল-আজহার কারিকুলামে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে জাতীয় মেধায় দ্বিতীয় হন। প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উসুলুদ দ্বীন অনুষদ থেকে অনার্স, আরবি

ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ?

  ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুজালেম শহরটিকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে ঘোষণা করে।২০১৭ সালে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর একবছর পর তা বাস্তবায়ন হয়। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকা এবং পশ্চিম তীরে টানা কয়েকদিন বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের গুলিতে নিহত হন অর্ধশত ফিলিস্তিনি। গত বছর জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস চালু করে ইউরোপীয় দেশ কসোভো। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও গুয়াতেমালার পর তৃতীয় ও প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে এই শহরে নিজেদের দূতাবাস খুলে দেশটি। ব্রিটেন তাদের দুতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ২১ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বৈঠকে লাপিদকে তিনি ব্রিটিশ দূতাবাস তেল আবিব

ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র

ছবি
  ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র। তারা আপনাকে স্কুলে এটি শেখাবে না। তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে আমাদের গন্তব্য ঠিকঠাক খুঁজে বের করার জন্য যেমন গুগল ম্যাপ বা জিপিএস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, তেমনি আগের দিনেও জাহাজ পরিচালনা, মরুভূমিতে পথ চলা, যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি কাজে মানচিত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হতো। তৎকালীন ভূগোলবিদরা সেসব মানচিত্র তৈরি করে দিতেন। তখনকার একজন নামকরা মুসলিম ভূগোলবিদ হলেন আল ইদ্রিস। ১১০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহামনীষী শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন। ব্যাপক ভ্রমণের ফলে তিনি সমসাময়িক পৃথিবী সম্পর্কে এত ব্যাপক জ্ঞানার্জন করেছিলেন যে সিসিলের রাজা দ্বিতীয় রজার্স পৃথিবীর নিখুঁত মানচিত্র অঙ্কনের জন্য আল ইদ্রিসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের অক্লান্ত অধ্যবসায়ের দ্বারা তিনি ‘আল কিতাব আল রজারী’ নামের একটি নির্ভুল ভূ-চিত্র সংবলিত গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন। এই পুস্তকে তিনি বিভিন্ন স্থানের ৭০টি মানচিত্র এবং দুই হাজার ৫৫৮টি প্রসিদ্ধ ভৌগোলিক স্থানের বিবরণ তুলে ধরেছিলেন। তাতে মরুভূমি, বন, সম

আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ

ছবি
হাজার বছর আগের একজন আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ। যিনি ছিলেন প্রাণচঞ্চল বাগদাদ নগরীর শাসনকর্তা। তাঁর শাসনকালেই বাগদাদ নগরী ঐশ্বর্যের চরমে পৌঁছায়। বাগদাদ নগরী জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সংস্কৃতিচর্চার শিখরে পৌঁছেছিল বলে সে সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়।হারুন ছিলেন তৃতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মাহদি এবং তার স্ত্রী খায়জুরান যিনি ইয়েমেনের একজন প্রাক্তন দাসের তৃতীয় সন্তান। খলিফা হওয়ার আগে, হারুন ৭৮২ খ্রিস্টাব্দে তার পিতার শাসনামলে বসফরাসে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে তার সুনাম অর্জন করেন। এই উজ্জ্বল সাফল্য তার পুত্র হারুনের প্রতি আল-মাহদীর স্নেহকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে তিনি তাকে মুসা আল-হাদির পরে উত্তরাধিকারী-নিযুক্ত করেন এবং তার নাম রাখেন আল-রশিদ (সঠিক নির্দেশিত)। এইভাবে ১৬ বছর বয়সে তিনি ক্রাউন প্রিন্স হন। হারুনের পিতা আল-মাহদি ৭৮৫ সালে মারা যান এবং তার ভাই আল-হাদি সিংহাসনে আরোহণ করেন। আল-হাদি অবশ্য ৭৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তাঁর মৃত্যু দরবারে ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের ফল বলে বলা হয়। ফলস্বরূপ, হারুন অবশেষে ৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে ৫ম আব্বাসীয় খলিফা হন। তখন তা

রাজতন্ত্রে কম্পন

  রানি এলিজাবেথ ছিলেন ১৪ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর বেশিরভাগ দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর পরও ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথই ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অনেক দেশই ঔপনিবেশিক শাসন ও রাজতন্ত্রের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় এবং রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন নির্বাচিত ব্যক্তিকে গ্রহণ করে। উপমহাদেশে ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলেও প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৫০ সালে, পাকিস্তান হয় ১৯৫৬ সালে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৯৭০-এর দশকে গায়ানা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং ডমিনিকা তাদের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানিকে সরিয়ে দেয়। এছাড়া ফিজি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৮৭ সালে, আর মরিশাস ১৯৯২ সালে।তবে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এমন অনেক দেশই প্রজাতন্ত্রে পরিণত হবার পরও কমনওয়েলথ জোট গঠনের মাধ্যমে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। গত বছরের নভেম্বর মাস রানিকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে পুরোপুরি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় বার্বাডোস। আরও অনেক দেশেই এরকম দাবি উঠেছে। ক্যারিবিয়ান দেশগ

আলহামদুলিল্লাহ

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে নিষ্পাপ করে দেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে- মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আমার মুমিন বান্দাকে রোগাক্রান্ত করি, আর বান্দা সে অবস্থায় আমার প্রশংসা করে- ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে; তবে সে বিছানা থেকে এমনভাবে ওঠে দাঁড়ায়; যেন তার মা তাকে ভূমিষ্টকালে যেমন জন্মদান করেছিল।’ (হাদিসে কুদসি) রাসুলুল্লাহ সা যখন কষ্টের মধ্যে থাকতেন তখন “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” বলতেন। “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” এর অর্থ – “সর্ব অবস্থায় আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি”। আল হামদুলিল্লাহ এর ফজিলত অনেক বেশি। একবার আল হামদুলিল্লাহ বললে কিয়ামতের দিন মিজানের পাল্লা ভারি হবে। যেন হাদিসে এসেছে, রাসুল সা. বলেন। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিজানের পাল্লাকে ভারি করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। (তিরমিজি)। আল হামদুলিল্লাহ” কখন বলতে হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো। যখন খুশির সংবাদ শুনা হয় তখন আল হামদুলিল্লাহ বলতে হয়। যখন কেউ আপনাকে কেমন আছেন বলবে? তখন আল হামদুলিল্লাহ ভালো আছি বলবেন। তাছাড়া হাচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। বক্তব্য দেওয়ার আগে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুরু করত

মরুর সিংহ ওমর মুখতার

ছবি
মরুর সিংহ নামে পরিচিত ওমর মুখতার তাঁর জীবনের শেষ ২০ বছর তার দেশের দখলদার ইতালীর বিরুদ্ধে লড়াই করে কাটিয়েছেন। উপনিবেশিক ইতালীয়দের মধ্যে ওমর মনিফার মাতারি নামে পরিচিত লিবিয়ার সিরেনিকায় জানযুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইতালীয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে মুখতারের প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনেক চেষ্টার পর তার গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। তাকে গ্রেপ্তারে সাহায্য করায় স্থানীয় নেতাদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তার দৃঢ়তা জেলারের উপর প্রভাব ফেলে। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই মুখতারের বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল না। শেষ কথা জানতে চাওয়া হলে মুখতার কুরআনের আয়াত “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব) পাঠ করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুলুকের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তার অনুসারীদের সামনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুকা

সাবরা ও শাতিলা গণহত্যা

ছবি
বর্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের হাতে সাবরা ও শাতিলা নামক ফিলিস্তিনিদের দু’টি শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার ৪০ তম বার্ষিকী ছিল গতকাল।১৯৮২ সালের ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেবাননের দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক গণহত্যা অভিযানে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।সাবেক ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ওই সময় ইসরাইলের ভারপ্রাপ্ত যুদ্ধমন্ত্রী ও লেবাননে মোতায়েন ইহুদিবাদী বাহিনীর কমান্ডার ছিল। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিল। সে সময় ওই দুই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২০ হাজার অধিবাসী ছিল । পরপর তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তারা শিবিরের শরনার্থীদের নির্বিচার হত্যা , পরিবারের সামনে নারীদের ধর্ষণ ও গর্ভবতী মহিলাদের লাঞ্ছিত করে। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিল। ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাব

খালিস্তান ও ক্রিকেটার আর্শদীপ সিং

ছবি
পাঞ্জাব অঞ্চল শিখদের ঐতিহ্যগত মাতৃভূমি। ইংরেজ দ্বারা অধিকৃত হবার আগে পাঞ্জাব শিখদের দ্বারা ৮২ বছর শাসিত হয়; ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র পাঞ্জাব শিখ মিসল (সার্বভৌম শিখ রাষ্ট্র) সমূহের অধীন ছিল, তারপর মহারাজা রণজিৎ সিং শিখ মৈত্রী সঙ্ঘকে শিখ সাম্রাজ্যের মাঝে একীভূত করেন। তবে সেখানে শিখদের পাশাপাশি অনেক হিন্দু ও মুসলিমও বসবাস করত, এবং ১৯৪৭ সালের আগে শিখরা ব্রিটিশ অখণ্ড পাঞ্জাব রাজ্যের শুধুমাত্র লুধিয়ানা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতে ভারত বিভাজিত করলে শিখ সম্প্রদায়ের কোন স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পাঞ্জাব অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামক একটি ধর্মরাষ্ট্র সৃষ্টির ধারণা পেশ করেন।পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মির ও রাজস্থানের অংশ বিশেষ নিয়ে প্রস্তাবিত এই স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে শিখদের পছন্দ চন্দ্রিগড় শহর। খালিস্তান হলো পাঞ্জাবি শব্দ যার অর্থ হলো বিশুদ্ধ ভূমি। পাঞ্জাবের শিখরা পাঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবা

ইহুদিদের রক্ষায় সুলতান বায়েজিদের জাহাজ প্রেরণ

  ১৪৯২ সালে নৃশংস স্প্যানিশ ইনকুইজিশনের সময়, খ্রিস্টানরা খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকারকারী মুসলিম ও ইহুদিদের নির্যাতন, হত্যা এবং বহিষ্কার করেছিল। ওই সময় প্রায় ১৩ হাজার ইহুদিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিল তৎকালীন স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ। এ স্প্যানিশ ইহুদিরা তখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের স্পেনের ইনকুইজিশন কোর্টের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো। ওই কোর্ট বা আদালতের রায় ছিলো নিপীড়নমূলক। এটাকে ইহুদি ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যয়মূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। ওই সময় আল-হামরা ডিক্রি বা আদেশ অনুসারে ইহুদিদের স্পেন থেকে চলে যেতে বলা হয়। তাদের আরও বলা হয় যে তারা যেন আর কখনও স্পেনে ফিরে না আসেন।১৪৯২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে স্বাক্ষরিত ডিক্রিটি ছিলো ১৪৯২ সালের ২ আগস্টের মধ্যে স্পেন থেকে প্রত্যেক ইহুদিকে বহিষ্কারের একটি আদেশ। উসমানীয় সুলতান বায়েজিদ যখন এই কথা শুনলেন, তখন তিনি ইহুদিদের উদ্ধার করে মুসলিম ভূমিতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পুরো উসমানীয় নৌবাহিনীকে স্পেনে পাঠান। তারপর তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল, এবং ভালোবাসা ও সম্মানের সাথে আচরণ করা হয়েছিল।হাজার হাজার ইহুদি উসমানীয় অ