সাদিও মানে একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়



সাদিও মানে হলেন একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।সাদিও মানে ১৯৯২ সালের ১০শে এপ্রিল তারিখে সেনেগালের সেদিউয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। সাদিওর বাবা তাকে ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ফুটবলকে পেশা হিসেবে অনুসরণ করেন। তিনি একজন অনুশীলনকারী মুসলমান এবং প্রতিটি ম্যাচ শুরুর পূর্বে তাকে দোয়া করতে দেখা যায়। তিনি বর্তমানে জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ এবং সেনেগাল জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। ২০২২–২৩ মৌসুমে, তিনি ৩২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল হতে জার্মান বায়ার্ন মিউনিখে যোগদান করেছেন। সাদিওর পরিবার ছিল দরিদ্র। ছোটবেলায় রাতে খাবার না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় মাটি খেয়ে রাত কাটিয়েছেন তিনি।

সাদিও মানে বলনে, "যখন আমি আমার শহর বাম্বালি ছেড়েছিলাম, তখন আমি তিনটি জিনিসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমার বাবা-মাকে হতাশ করব না, একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় হব এবং একটি স্কুল তৈরি করতে আমার গ্রামে ফিরে যাব।"
◾️
তার বাবা-মা গর্বিত, বিস্মিত এবং উত্তেজিত হয়েছিলেন যখন তারা তাকে টেলিভিশনে মেটজ, লিগ এ দলের হয়ে প্রথমবার খেলতে দেখেছিলেন।
◾️
তিনি শুধুমাত্র একজন পেশাদার ফুটবলার হয়ে ওঠেননি, তবে তাকে আজকের গ্রহের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
◾️
একটি স্কুল নির্মাণের পাশাপাশি, তিনি একটি হাসপাতালও তৈরি করেছেন এবং নিজের শহরের নাগরিকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন।
ফুটবল বিশ্বে যে কয়জন ধর্মভীরু ফুটবলার রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বায়ার্নের সেনেগালের তারকা সাদিও মানে। তিনি ধর্মচর্চা করে থাকেন, মাঠের বাইরে ও ভেতরে সব জায়গায়ই। এবার এমনই এক খোদাভীরুর প্রমাণ দিলেন বায়ার্নের এই তারকা।খেলার মাঠে মানের খোদাভীরুতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ কারণে বহু গণমাধ্যমে তার সমালোচনাও হয়। কিন্তু এর পরও ধর্মীয় রীতিনীতি মানার বিষয়ে কোনো আপস করেননি ৩০ বছর বয়সী এ ফুটবলার।
বরং তারকা এই ফরোয়ার্ডের প্রভাবেই ইংল্যান্ডের মার্সেসাইড শহরে ইসলাম গ্রহণে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে থাকাকালে অলরেডদের অনেক সমর্থককে প্রচণ্ড প্রভাবিত করেছে তার এই ধর্মভীরুতা।
সম্প্রতি আবার আলোচনায় এসেছেন এই ফুটবলার। বাভারিয়ানদের ঐতিহ্যবাহী ‘বিয়ার উৎসবে’ বিয়ার হাতে না নিয়ে ফটোশুট করে মুসলমানদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখ নিজেদের টুইটারে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সামনের সারিতে বসে থাকা সাদিও মানে তার দু-হাত একসঙ্গে করে দু-পায়ের মাঝে রেখে চুপচাপ বসে আছেন। এই উৎসবে তিনি কতটা অস্বস্তিতে ছিলেন, তা ছবি দেখেই অনুমেয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল