পোস্টগুলি

মালালা পেলে ফাতিহা কেন নোবেল পাবে না!

ছবি
#মো. আবু রায়হান উত্তর আমেরিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট ম্যাককিনলি দেখতে আলাস্কা প্রদেশের সুমেরু বৃত্তে বেড়াতে গিয়েছিল ৭ বছর বয়সী এক বালিকা। গিয়ে দেখে, পাহাড়সম সুবিশাল হিমবাহ থেকে সাগরে ভেঙে পড়ছে বরফখণ্ড, যে কারণে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে মেয়েটি। মনে পড়ে যায় তার নিজের দেশ ছোট্ট একটা বদ্বীপের কথা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যেটি একদমই উঁচুতে নয়। নিউইয়র্কে ফিরে এসেই সে ছুটল জাতিসংঘে। সেখানে কড়া ভাষায় জানিয়ে এলো রোহিঙ্গাদের দ্বারা তার দেশের বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব কী! আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের এক গণিত প্রতিযোগিতায় এই মেয়েটিকেই যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- এটা তো আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নয়, তা সত্ত্বেও তুমি তোমার নিজের দেশের পতাকা বহন করছ কেন? তার সাবলীল উত্তর- আমার দেশের কেউ যেহেতু আগে কখনও এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেনি, তাই আমি নিজের এই অর্জনকে দেশের সবার অর্জন বলে মনে করছি। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের সব গণিতপ্রেমী শিক্ষার্থীকে উৎসর্গ করেছি। এই হলো বাংলাদেশের ফাতিহা আয়াত। প্রবাসে বসবাস করেও যে তার হৃদয়ে সমুজ্জ্বল

আফগান ক্রিকেট

ছবি
ক্রিকেটের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিচয় উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু আফগানিস্তান এমন একটি দেশ, যেখানে দখলদার বিদেশী বেনিয়াদের দৃষ্টি নিবদ্ধ সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। উনবিংশ শতাব্দী বলুন আর বিংশ শতাব্দী বলুন, দখলদারদের দৃষ্টি কখনওই সরেনি আফগানদের ওপর থেকে। দীর্ঘ সময় সোভিয়েত শ্বেত ভল্লুকদের সঙ্গে লড়াই চালানোর এক দশক পর আবার মার্কিনীদের লোলুপ দৃষ্টি। সব মিলিয়ে দেশটিতে ক্রিকেট বিকাশ লাভেরই সুযোগ পায়নি।নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানে থাকা আফগান শরণার্থীদের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রথম ক্রিকেট দল গঠিত হয়েছিল। পরে তা মূল দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তালেবানের প্রথম শাসনামলে ১৯৯৭ সালে আফগান ক্রিকেট ফেডারশন (বর্তমান এসিবি) গঠিত হয়। ২০০১ সালে আইসিসির সহযোগি সদস্য এবং ২০০৩ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সদস্য হয় আফগানিস্তান।দেশটিতে একটি জাতীয় ক্রিকেট দলই গঠন হয়েছে প্রথম ২০০১ সালে। এরপর ২০০৯ সালে তারা প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নেয়। গত এক যুগে আফগান ক্রিকেটের অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। দেশটি আইসিসির পূর্ণ সদস্য নির্বাচিত হয় এবং ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাসও পেয়ে যায়। আর এখন তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও মাদ্রাসা বিতর্ক

মাত্র তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি মহীরুহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১২টি ইনিস্টিটিউট, ২০টি আবাসিক হল, তিনটি হোস্টেল, এক হাজার ৯৯২ জন শিক্ষক ও ৩৭ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মুসলিম সমাজ ও ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। নাথান কমিটির প্রধান তিন সুপারিশের একটি ছিল ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে। নাথান কমিশনের সুপারিশ - ১. বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত। ২. এটি হবে আবাসিক ও শিক্ষাদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ৩. ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা এর শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে। ( বাংলা পিডিয়া) এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য ছিল এমন : ‘আমরা ভুলে যাইনি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম প্রধানত পূর্ব বাংলার মুসলিম সমাজের উচ্চশিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির দাবিতেই হয়েছে।’ কলা অনুষদের অধীনে ছিল ৮টি বিভাগ: সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ,

গান্ধীর হত্যাকারী ভারতে পূজিত

সারা বিশ্বে অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পথিকৃৎ এবং ভারতের জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। সম্প্রতি খানিকটা দায়সারা করেই শেষ হয়েছে এই জাতির জনকের দেড়শো বছর পূর্তি উৎসব - অন্যদিকে ভারতে গান্ধীর আততায়ী নাথুরাম গোডসের পূজা ও প্রশস্তি চলছে প্রকাশ্যেই।বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী শক্তি, এমন কী বিজেপি-র এমপিরাও গোডসে-বন্দনায় সামিল হচ্ছেন। গান্ধী-হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা যে সংগঠনের সদস্য ছিলেন, সেই হিন্দু মহাসভা মধ্য ভারতের গোয়ালিয়রে এখনও বেশ সক্রিয়। ওই অঞ্চলে তাদের বেশ প্রভাবও রয়েছে।বছর তিনেক আগে গোয়ালিয়রে সেই অফিসেই তার আততায়ী নাথুরাম গোডসের মূর্তি স্থাপনা করে চলছিল পূজাপাঠ ও আরতি।১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি দিল্লির 'বিড়লা হাউস'-এ বিকেলের প্রার্থনায় যাওয়ার সময়ে মি. গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর আম্বালা সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয়েছিল গান্ধী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত নারায়ণ আপ্তে ও নাথুরাম গোডসের।ওই দিনটিকে হিন্দু মহাসভা প্রতি বছরই 'বলিদান দিবস' হিসেবে পালন করে থাকে - সেবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল মন্দির স্থাপনা। দুধ-ঘি ঢেলে ধুইয়ে দে

মহানবী (সা) এর জন্ম সোমবার কিন্তু তারিখ কত ?

  রাসূলুল্লাহ (সা) এর জন্মের দিন ও মাস নির্দিষ্ট করা নিয়ে সিরাত প্রণেতা ও ঐতিহাসিকগণ মতানৈক্য করেছেন। এ মতানৈক্যের যৌক্তিক কারণও রয়েছে।যেহেতু কারো জানা ছিল না যে, এ নবজাতক ( রাসুলুল্লাহ সা.) ভবিষ্যতে বড় কিছু হবেন ? অন্য নবজাতকের জন্মকে যেভাবে নেয়া হত তাঁর জন্মকেও সেভাবে নেয়া হয়েছে। এ জন্য কারো পক্ষে রাসূলুল্লাহ (সা)'র জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট ভাবে নিশ্চিত করেননি।রাসুলুল্লাহ (সা.) ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ভূমিষ্ঠ হন।আগের ঐতিহাসিকদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ তাঁর জন্ম বছর বলে উল্লেখ করেন। প্রকৃতপক্ষে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে পিতা আবদুল্লাহর ঔরসে ও মাতা আমেনার গর্ভে তিনি আগমন করেন। ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভূমিষ্ঠ হন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম তারিখ নির্ধারণে চারটি বর্ণনা প্রসিদ্ধ আছে—২, ৮, ১০ ও ১২ রবিউল আউয়াল। হাফিজ মুগলতাই (রহ.) ২ তারিখের বর্ণনাকে গ্রহণ করে অন্য বর্ণনাগুলোকে দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ তারিখ রাসুল (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন।আল্লামা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আল কসতাল্লানী ৮ তারিখের মতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বলেনঃ ‘কারো কারো মতে নবীজী (সা) রবিউল আউয়াল মাসের ৮ ত

ইরাক ধ্বংসের খলনায়কের নীরব প্রস্থান

ছবি
ইরাক যুদ্ধের রূপকার কলিন পাওয়েল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। কলিন পাওয়েল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ শতকের শেষ দিকে ও একুশ শতকের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভূমিকা ছিল তাঁর। কলিন পাওয়েল আমেরিকান সেনাবাহিনীর হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা বাড়ে তার। কুয়েতে সাদ্দামের হামলার পাঁচ মাস পর সংঘটিত উপসাগরীয় যুদ্ধে ছয় সপ্তাহব্যাপী ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ পরিচালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ প্রশাসনের এ হামলায় এক লাখ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইরাকি মারা যায়। এরপর সাদ্দামের সেনাবাহিনী কুয়েত থেকে প্রত্যাহার করা হলেও ইরাকিরা দীর্ঘ ১২ বছর মার্কিনীদের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকে। এর কিছু আজও কার্যকর রয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মের সময় কলিন পাওয়েল জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ ছিল। নাইন ইলেভেন হামলার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ডের মত কট্টরপন্থীদের সাথে তার মতবাদের বিরোধ বাঁ

ব্যভিচারের শাস্তি ও প্রচলিত আইন কী বলে?

  যিনা (ব্যভিচার) একটা চরম অপরাধ। অনেক অপরাধের সমষ্টি। মানবসভ্যতার জন্য মারাত্মক হুমকি। নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনার চূড়ান্ত রূপ। এতে আত্মিক, মানসিক, শারীরিক, চারিত্রিক, সামাজিক বহু রকমের বিপর্যয় ঘটে। এর কুফল কখনো কখনো গোটা সমাজকে আচ্ছন্ন করে ফেলে।ইসলাম যিনার কাছে যেতেও নিষেধ করে- তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় তা অশ্লীলতা ও বিপথগামিতা। (সূরা বনী ইসরাইল আয়াত। - ১৭) যিনা কত নিকৃষ্ট তা বোঝার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট। এখানে ‘যিনা করো না’ এ কথা বলা হয়নি; বরং এর কাছে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায়, এটা কত জঘন্য অপরাধ। ইসলামে শুধু অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের চূড়ান্ত রূপটাই যিনা নয়। বরং যেসব কাজ যিনার প্ররোচনা দেয় সেগুলোও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং তাও যিনা বলে গণ্য।এক হাদীসে আছে-চোখের ব্যভিচার হল দেখা। কানের ব্যভিচার শোনা। জিহ্বার ব্যভিচার বলা। হাতের ব্যভিচার ধরা। পায়ের ব্যভিচার হাঁটা। মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস - ২৬৫৭) ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতের কোনো শাস্তি নেই।

বাড়তি মোহরানা বিলম্বিত বিবাহ ও বিবাহ ঋণ

ছবি
মো. আবু রায়হান বর্তমান সময়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কে কার চেয়ে বেশি মোহরানা দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করবে- এ নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে কনেপক্ষ। বরের সামর্থ্য বিবেচনা না করে বরের ওপর অযৌক্তিকভাবে ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা ইসলাম কখনও সমর্থন করে না। অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামের চিকিৎসক দম্পতি আকাশ-মিতুর নির্মম বিচ্ছেদের জন্য দেনমোহরকে প্রধান উপজীব্য বলে মনে হয়। বেচারা আকাশ ৩৫ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে আত্মঘাতি হতে বাধ্য হন। ইদানীং অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণির নারী বিয়ের দেনমোহরকে ব্যবসায়ে পরিণত করেছে। বিয়ের কিছুদিন পর পরকীয়া কিংবা তুচ্ছ অজুহাতে বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে দেনমোহরের পুরো টাকা বরকে বহন করতে হয়।অনেকেই মনে করেন, দেনমোহরের টাকা স্ত্রীকে দিতে হয় শুধু বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটলে। এটা অজ্ঞতা ও চরম ভুল ধারণা। বিয়েবিচ্ছেদ না হলেও দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করা আবশ্যক। মহর শব্দটি আরবি, এর বাংলা উচ্চারণ মাহর, মুহর, মোহর। মহর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো দান-অনুদান। সোনার তৈরি মুদ্রাবিশেষ বা স্বর্ণমুদ্রাকেও মহর বলা হয়। নামের সিল বা ছাপও মহর নামে পর

ভাবনা

একটু ফুরসত পেলেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় জানালার পাশে বসে এই শহরকে নিয়ে ভাবি। যে শহরের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত অন্ধকারাচ্ছন্ন। তারপরও এ শহরে মানুষের আনাগোনা থেমে নেই। চারশ বছরের পুরনো এই রাজধানী গরীবের সুন্দরী বউ সবার ভাবির ভূমিকায়। জোড়াতালি দিয়ে দিব্যি চলছে সব। আগামীর পরিণতি নিয়ে কারো কোন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নেই। আমার এতো উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কেন? দুশ্চিন্তা এসব নিয়ে - রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে আর তার কেন্দ্র ঢাকার চারপাশের এলাকা হলে রাজধানীর ৭২ হাজার ভবন পুরোপুরি ধসে পড়বে, ধারণা বিশেষজ্ঞদের৷ তাঁদের মতে, এমন ঝঁকি থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি মেকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই৷বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ১২টি ভূমিকম্প ফাটল আছে৷ এ সব জায়গায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে৷ ঢাকার অদূরে মধুপুর ফাটল খুব বিপজ্জনক৷ প্রতি ১০০ বছর পর পর ফাটল থেকে বড় আকারের ভূমিকম্প হয়৷ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হয়েছে৷ তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা৷২০০৯ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ভবনগুলো নিয়ে জরিপ করা হয়৷ তাতে দেখা যায় যে, আগামীতে যদি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে তিন লাখ ২৬ হাজার ভবনের মধ্যে ৭২

তোষামোদ

ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন একবার তাঁর এক সহযোগীকে বলেছিলেন, ‘ আমাকে কেউ ফ্ল্যাটারি (তোষামোদ) করতে পারবেনা’। তদুত্তরে সহযোগী বললেন, ‘ আমি আগামীকাল সকালে এসে এর জবাব দেব’।পরদিন সকালে এসেই তিনি বললেন, ‘ স্যার, আমি কাল সারা রাত বসে বসে চিন্তা করেছি- সত্যিই আপনার মতো ব্যক্তিকে কেউ ফ্ল্যাটারি করতে পারবেনা’।নেপোলিয়ন তখন হেসে ফেলে বললেন, ‘ নাউ আই অ্যাম ফ্ল্যাটারড; আমাকে এখন তোষামোদ করা হলো’ আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তোষামোদ নিয়ে ‘সাহেব ও মোসাহেব’ নামে একটি কবিতা লিখেছেন যাতে তোষামোদকারী ও তোষামোদ গ্রহীতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট ফুটে উঠেছে। এখানে প্রথম দু‘টি প্যারা তুলে ধরছি— সাহেব কহেন, ‘‘ চমৎকার! সে চমৎকার! মোসাহেব বলে, ‘‘ চমৎকার সে হতেই হবে যে! হুজুরের মতে অমত কার?” সাহেব কহেন, “ কি চমৎকার, বলতে দাও, আহা হা!” মোসাহেব বলে, “ হুজুরের কথা শুনেই বুঝেছি, বাহাহা বাহাহা বাহাহা”! যারা আপনাকে তোষামোদ করে, তাদের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে তাকান। অর্ধেক অনুভূতিহীন, অর্ধেক অসচেতন। – জোহান উলফগাং চাটুকার চুইংগামের মতো। এটি উপভোগ করুন কিন্তু এটি গ্রাস করবেন না। – হ্যাঙ্ক কেচাম

পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা

  পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ। আখেরি চাহার শোম্বা মূলত আরবি ও ফার্সির যুগল শব্দ। আখেরি অর্থ শেষ। চাহার অর্থ সফর মাস এবং শোম্বা অর্থ বুধবার। অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবার হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার শোম্বা। রোগ-শোক মানব জীবনের স্বাভাবিক ব্যাপার, এতে মানুষের পরীক্ষা নিহিত থাকে। তবে কিছু কিছু রোগ-পীড়া এমনও আছে, যা কখনও বিস্মৃত হওয়া যায় না। প্রাণপ্রিয় নবী হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) এর পীড়া এমন ছিল না যা সহজে বিস্মৃত হওয়া যায়। তিনি পীড়িত হয়ে পড়লে তখনকার মুসলমানগণ কি নিদারুণভাবে উৎকণ্ঠা ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তার বিবরণ ইতিহাস গ্রন্থগুলোতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ইন্তেকালের পূর্বে কোন তারিখে তাঁর পীড়ার সূত্রপাত হয়েছিল তা একটি বহুল আলোচিত বিষয়। এ সম্পর্কে ইসলামী বিশ্বকোষে বলা হয়েছে : ‘অধিকাংশ বর্ণনানুযায়ী পীড়ার মোট সময় ১৮ সফর বুধবার হতে শুরু করে ১৩ দিন হয়’ (ইবন হিশাম, পৃ. ৯৯৯)। আখেরী চাহার সোম্বা সম্বন্ধে বলা হয় যে, নবী (সা.) এই দিনে তাঁহার পীড়ায় কিছুটা উপশম বোধ করেছিলেন এবং গোসল করেছিলেন। এইদিনের পর আর তিনি গোসল করতে পারেননি। কারণ তৎপর তাঁর প

অভিনন্দন আব্দুলরাজ্জাক সাহিত্যে নোবেল জয়ী

ছবি
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তাঞ্জানিয়ার লেখক আব্দুলরাজ্জাক গুরনাহ। সুইডিশ অ্যাকাডেমি আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় ২০২১ সালের পুরস্কার জয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। গুরনাহ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৮তম লেখক। প্যারাডাইস নামে চতুর্থ উপন্যাসের জন্য সাহিত্যে নোবল পেয়েছেন আব্দুলরাজ্জাক গুরনাগ। ১৯৪৮ সালে গুরনাহ জন্মগ্রহণ করেন। ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে তিনি বেড়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে আসেন শরণার্থী হয়ে।১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয় জানজিবার। প্রেসিডেন্ট আবেইদ কারুমের শাসনে সেখানে আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে স্কুল শেষ করে আট বছর বয়সে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।১৯৮৪ সালে আগে তিনি জানজিবারে ফিরতে পারেননি। কেবল বাবার মৃত্যুর আগে তার একবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ইংরেজি ও ঔপনিবেশিক-উত্তর সাহিত্যের অধ্যাপনা থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন।। সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে তার আপসহীন ও সহানুভূতিশীল লেখনির জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি ও মহাদে

কবিরা গুনাহ ও শিরক

  শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, কবিরা গুনাহ হলো, যেসব গুনাহের কারণে দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক শাস্তির বিধান আছে এবং আখিরাতে শাস্তির ধমক দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যেসব গুনাহের কারণে কোরআন ও হাদিসে ঈমান চলে যাওয়ার হুমকি বা অভিশাপ ইত্যাদি এসেছে, তাকেও কবিরা গুনাহ বলে।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, কবীরা গোনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা ও মিথ্যা শপথ করা। (বুখারী) শিরক হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার মানা, আল্লাহর অস্তিত্ব ও গুণরাজিকে কাউকে শরীক করে নেয়া। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ বিভিন্নভাবে খোদার খোদায়ীত্বে শরীক বানিয়েছে। মানুষ কখনও একাধিক খোদা বানিয়েছে। কখনও খোদাকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছে। আবার কখনও বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ও বস্তুকে খোদা বানিয়েছে। কখনও নিজেরাই মূর্তি তৈরি করে তার পূঁজা করেছে। আবার কখনও কখনও শক্তিশালী মানুষকে খোদার মর্যাদা দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুশরিকদেরও কাফির বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যেমন ‘(হে রাসুল সা.!) আপনি বলুন “হে কাফিরেরা! আমি ইবাদত করি না ওই সব উপাস্য

মুসলিম বিশ্বের অহঙ্কার আবদুল কাদির খান

ছবি
মো. আবু রায়হান- আবদুল কাদির খান ছিলেন পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক ও একজন ধাতুবিদ্যা প্রকৌশলী। পাকিস্তানের সমন্বিত পারমাণবিক বোমা প্রকল্পের জন্য এইচইইউ ভিত্তিক গ্যাস-সেন্ট্রিফিউস ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে গণ্য করা হয়। আবদুল কাদির খানের জন্ম ভারতের ভুপালে, ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের তিক্ত স্মৃতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন কাদির খান। ১৯৬০ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে পাড়ি জমান ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা শেষে অ্যাংলো-ডাচ-জার্মান পারমাণবিক প্রকৌশল কনসোর্টিয়াম ইউরেনকোতে কাজ করেন। মূলত সেখান থেকেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়ার খুটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন পাকিস্তানি এই বিজ্ঞানী। আবদুল কাদির খানকে পাকিস্তানিরা ‘একিউকে’ বলেন। পাকিস্তানে দলমত-নির্বিশেষে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। ভালোবেসে তাঁকে ‘মহসিন-ই-পাকিস্তান’ বলা হয়। অর্থাৎ, তিনি হলেন ‘পাকিস্তানের কল্যাণকারী। দেশের প্রতি অবদানের জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ খেতাব ন

দক্ষিণ এশিয়া

  দক্ষিণ এশিয়া বা দক্ষিণাঞ্চলীয় এশিয়া বলতে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশ ও তার সন্নিকটস্থ অঞ্চলকে বোঝায়। এর পশ্চিমে পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য , উত্তরে মধ্য এশিয়া , আর পূর্বে পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়া। আগে সাতটি দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ধরা হতো। দেশগুলো হলো — ভারত , পাকিস্তান , বাংলাদেশ , ভুটান , নেপাল , দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ । পরে আফগানিস্তানকেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে যুক্ত করা হয়। এই আটটি দেশই সার্কের ( দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থ ) সদস্য। অনেক সময় এই নামটি দিয়ে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত সমগ্র এশিয়াকেও বোঝানো হয়। দক্ষিণ এশিয়ার আয়তন ৫১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৪১ বর্গকিলোমিটার। ২০২০ সালের হিসেব মতে জনসংখ্যা ১৯৪ কোটি ৭৬ লক্ষ ২৮ হাজা র ১০০ জন। ধর্ম দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১.৭৪৯ বিলিয়ন , যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল করে তুলেছে।২০১০ সালে হিন্দু , জৈন এবং শিখ ধর্মের লোক বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ছিল , ৯০০ মিলিয়ন হিন্দু , প্রায় ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান , পাশাপাশি ৩৫ মিলিয়ন খ্রি