পোস্টগুলি

যে ঘটনা ফরীদউদ্দীন আত্তারকে আতর ব্যবসায়ী থেকে সুফি সাধক বানিয়ে দিল

ছবি
ফরীদউদ্দীন আত্তার একজন মুসলিম কবি, সুফি-সাধক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সুফিবাদের ওপর ফার্সি কবিতা লিখে সমকালীন বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন আতর ব্যবসায়ী। আতর থেকেই আত্তার উপাধি। তিনি ৭৪০ হিজরিতে ১১৪৫ মতান্তরে ১১৪৬ খ্রিস্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। যুবক বয়সেই সুফিসাধক ফরীদউদ্দীন আত্তার হজ পালন করেন। পাশাপাশি ভারতীয় উপমহাদেশসহ মিসর ভ্রমণ করেন। তার এ সফর ছিল জ্ঞান অন্বেষণের জন্য। তার বাবা ছিলেন একজন ওষুধ বিক্রেতা। বাবার মৃত্যুর পর তিনি ওষুধ বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পেশাগত কারণেই তিনি চিকিত্সা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন। কথিত আছে যে প্রতিদিন তার কাছে অন্তত ৫০০ জন রোগী আসতেন। রোগীদের তিনি তার নিজের তৈরি ওষুধ দিতেন। ফরিদ উদ্দিন আত্তার অন্তত ৩০টি বই লিখে গেছেন। তার একটি বিখ্যাত বই হচ্ছে ‘মানতিকে তাইয়ার’ বা ‘পাখির সমাবেশ’। আত্তারের কবিতা রুমিসহ বহু আধ্যাত্মিক কবির জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি কিছু আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে দীর্ঘ দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন। তিনি গবেষণার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করেন।  ফরিদউদ্দিন আত্তার সম্

ভ্যালেন্টাইন দিবস পর্ব -২

ছবি
পর্ব - ২ হাই রিয়া গুড মর্নিং।  চোখ বন্ধ কর। -কেন চোখ বন্ধ করব। আরে করনা, তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে -ওকে বাবা করলাম, এবার দাও এটা কোনো সারপ্রাইজ হলো? এক টাকার চকলেট, গিফট ইজ গিফট তা যায় হোক না কেন। আজকে চকলেট ডে না রাখ। সকালে ফেসবুকে দেখলাম আজকে চকলেট ডে তাই এ ক্ষুদ্র উপহার। -ছোটলোক প্রোপোজ ডের পরের দিন এই ছাইপাশ উপহার। আরে বলো না আজকে দোকানি  খুচরা এক টাকা না থাকায় এ চকলেট দিয়েছিল। কি করবো এক ঢিলে দুই পাখি মারলাম আর কি।   -আ ..আ..বল কি?

ভ্যালেন্টাইন দিবস পর্ব -১

ছবি
মেয়ে : কি ব্যাপার তোমাকে এমন মোটা সোটা      লাগছে কেন?  গতকাল রোজ ডেতে তোমাকে তো অনেক স্লিম ছিমছাম লাগছিল। ছেলে : দেখনা বাইরে প্রচন্ড শীত পড়ছে। আহা কী যে শীত।  মেয়ে : এ তো দেখছি তোমার পিঠে বালিশ বাঁধানো। তোমার মতলবটা কি বল তো ? গতকাল গোলাপ দিয়ে পরের দিন কি এক সাথে ঘুমানোর জন্য বা..লি....শ । ছেলে : ছি ছি তা হবে  কেন রিয়া ? আজকে না প্রপোজ ডে। শুনছিলাম তোমার ভাই খুব দুর্ধর্ষ।  কেউ তোমার সাথে মিট করলে, মেরে তার হাড় হাড্ডি নাকি ভেঙে দেয়। তাই পিঠে ...বালিশ মেয়ে : ও মোর আশিক রে, পিছে তাকা। ছেলে : বড় ভাই আ আ  আ..প...নি ( সেনসলেস)

গল্প : জেসহানের আম্মু

ছবি
জেসমিন সাদাসিধে চঞ্চলা বুদ্ধিমতী মেয়ে। এইচএসসিতে পড়াশোনা অবস্থায়  প্রথম বর্ষে  ক্লাসমেট সোহানের সঙ্গে তার পরিচয় । এরপর থেকে তাদের  গভীর বন্ধুত্ব। ক্যাম্পাসের সবাই জানতো তারা প্রেমিক জুটি। কিন্তু তখনো তাদের রিলেশন সে পর্যায়ে  ছিল না । কথায় বলে আগে পরিচয় তার পর বন্ধুত্ব তারপর না হয় প্রেমিক প্রেমিকা চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে পরিণয়। ওদের দুজনের বন্ধুত্বটা যেন অন্যরকম। জেসমিনের বিপদ আপদে সোহান যেন নিবেদিত। তার কেয়ারিং পড়াশোনা সবখানে সোহানের সরব উপস্থিতি ছিল। সোহান ছোটবেলা থেকে খুবই মেধাবী এসএসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। শহরের নামিদামি স্কুলে তার ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সোহানের বাবা মা চাইতেন  এইচএসসি পর্যন্ত সে তাদের চোখে চোখে থাকুক।সোহান এবং  জেসমিনের বন্ধুত্ব এ পর্যায়ে জেসমিনের বাবা মা জেনে যায়। তার মা আলেয়া বেগম চায় না তাদের বন্ধুত্ব আরো গাঢ় ও গভীর হোক। আলেয়া বেগমের ধারণা ছেলে মেয়েদের মধ্যে কখনো বন্ধুত্ব হয় না। যা হয় সবই স্বার্থের সম্পর্ক ঠুনকো । তবে সোহানের বাবা মি.আজাদ এসব ব্যাপারে নির্লিপ্ত। যেন ছেলে সামলানোর দায়িত্ব একা মায়ের দায়িত্ব ।সরকারি  চাকরি, বই পড়া নিয়ে তার ব্

ইভিএম নিয়ে কেন এতো বিতর্ক ?

ছবি
মো.আবু রায়হান: আসন্ন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছে ।এরমধ্যে  ২২ জানুয়ারি ইভিএমে ভোট গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন একজন আইনজীবী।যেহেতু ইভিএম-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে এখনো পাস হয়নি। এ অবস্থায় সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে তিনি এ রিট আবেদন করেন।তবে রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদন অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট গ্রহণের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক  সুজনের  অনলাইনে পরিচালিত এক জরিপে ১,৪০০ জন অংশ নেন। যার ৯১ শতাংশই আসন্ন সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন।১৯৬০ এর দশকে আমেরিকায় প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয় ।সেহিসাবে ইভিএম পদ্ধতির বয়স বেশ পুরনো বা প্রায় ৬০ বছর হতে চলছে। ছয়দশকেও  বিশ্বের কোনো দেশেই ইভিএম পুরোপুরি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।জানা যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪টি দেশ ইভিএম ব্যবহার বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।কিন্তু এর মধ্যে ১৪টি দেশ ইভিএম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ১১টি দেশ আংশিক ব্যবহার করছে।বর্তমানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে ৫টি দেশ। ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার রিপোর্ট অনুযা

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা কতটা নিরাপদ?

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর গোটা ভারত জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই আইন পাশের পর জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। ভারতের পূর্বাঞ্চল আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দোকানপাট, বাস ও ট্রেনে।১৯৫৫ সালে ভারতের নাগরিক আইন প্রবর্তনের পর এর আগে ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট ছয় বার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হয়েছে।তখন সেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে বর্তমানের মতো এতোটা সহিংস  প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়নি। এবারেই এধরনের ঘটনা প্রথম ঘটছে।এই বিক্ষোভ প্রতিবাদের মূলে রয়েছে এবারের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে বিতর্কিত কিছু ধারা। নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করা বিষয়ে  বিজেপি সরকার বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়াই আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য। বিজেপি সরকারের যুক্তি তিন দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফলে ঐসব দেশে মুসলিমদের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে হয় না।  কিন্তু অমুসলিম সংখ্যালঘুরা এসব দেশে নির্যাতনের শিকার। তাদের সুরক্ষা দিতে বিজেপি সরকার এই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন  করেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান  থেকে ভারতে আসা

ক্ষমতার সিঁড়ি কেন ছাত্র রাজনীতি?

ছবি
  এক সময় ছাত্র রাজনীতি পরিচ্ছন্ন, মেধাবী নেতৃত্ব উপহার দিত। ছাত্রদের দাবি আদায়ে সোচ্চার ও লড়াকু সৈনিক ছিল। মত পথ, মতবাদ আলাদা হলেও সাধারণ ছাত্রদের দাবি আদায়ে ছিল এক ও অভিন্ন প্লাটফর্মে। সেই সোনালী যুগের ঐতিহ্যের ধ্বজাধারী ছাত্র সংগঠন গুলো অধিকাংশ আজ কলুষিত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আতংকের বিষয়। ছাত্র রাজনীতি মানেই যেন গা শিউরে উঠার মতো কোনো ব্যাপার স্যাপার। অস্ত্রের ঝনঝনী, খুন জখম মারামারি, দলাদলি, কোন্দল, ক্যানটিনে ফাও খাওয়া, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই ইত্যাদি এখন ছাত্র রাজনীতির সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, হলের টিভি রুমের নিয়ন্ত্রণ, হল দখল, রুম দখল যেন চর দখলের মতো বিষয়। অন্যকে ফাঁপর, গেস্ট রুমে ভদ্রতা আদব কায়দা শেখানোর নামে মানসিকভাবে হেনস্থা ছাত্র রাজনীতির নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। ছাত্র রাজনীতির অতীত গৌরবের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয় কিন্তু  বুঝতে হবে বর্তমানের ছাত্র রাজনীতি জাতিকে কী উপহার দিচ্ছে? লেজুড় বৃত্তি ক্ষমতা আরোহণের সিড়ি  ও টিকে থাকার খুঁটি হিসেবেইই ছাত্র রাজনীতিকে  ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ ছাত্রদের দাবি আদায়ে নেই দৃশ্যমান ক

যে সীমান্ত হত্যাকান্ড নেপালকে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু আমরা?

ছবি
আজ থেকে বছর তিনেক আগে ২০১৭ সালের  কথা। ভারত নেপাল সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এর গুলিতে নিহত হন নেপালি যুবক গোবিন্দ গৌতম। ভারত নেপাল ১৭৫৮ কিলোমিটার সীমান্তে গোলাগুলি ও নিহতের ঘটনা বিরল। এ ঘটনার পর গোটা নেপাল উত্তপ্ত হয়ে উঠে। নেপালি নাগরিকরা রাজধানী  কাঠমান্ডুতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ভারত সেই হত্যাকান্ডের কথা অস্বীকার করেছিল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। নেপালি যুবক নিহত হবার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দোভাল। এ ঘটনা তদন্তের জন্য দোভাল নেপালের সহযোগিতাও কামনা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ - ভারতের ৪,১৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানায় এমন দৃশ্য কল্পনাতীত। প্রতিদিন লম্বা হচ্ছে সীমান্ত হত্যাকান্ডের নিহতদের তালিকা। বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম এই ভূমি সীমানায় চলতি বছরের প্রথম মাসে প্রথম ২৩ দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ বাংলাদেশি। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি নওগাঁ ও যশোর সীমান্তে চার বাংলাদেশি খুন হন। তাদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন বিএসএফের গুলিতে

নীল নদ নয় লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছিলেন হযরত মুসা (আ.)

ছবি
মো আব রায়হানঃ  হযরত মুসা (আ.) একজন নবি ও রাসুল।বাইবেলে তিনি মোজেস নামে পরিচিত।তাঁর ওপর আসমানী কিতাব তাওরাত নাযিল হয়েছিল। আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য তাঁকে কালিমুল্লাহ বলা হয়।তিনি  ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত রাসুল বা আল্লাহর  বার্তাবাহক। কোরআনে মুসা (আ.) এর নাম অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে মুসা (আ.) ১২০ বছর বেঁচে ছিলেন। হযরত মুসা (আ.) এর অসংখ্য মুজেজা ছিল। তন্মধ্যে উল্লেখ করার মতো মুজেজা হলো তাঁর হাতের লাঠি মাটিতে নিক্ষেপ করলে  বিশালাকার অজগর সাপে পরিণত হতো। হযরত মুসা (আ.) এর জাতি বা কাওমের নাম ছিল বনী-ইসরাঈল। ইসরাঈল একটি হিব্রু শব্দ।  যার অর্থ–আল্লাহর বান্দা। হযরত ইয়াকুব (আ.)এর আরেকটি নাম হলো ইসরাঈল। কুরআনে ইহুদিদেরকে ইয়াকুব (আ.) এর বংশধর’ না বলে ইসরাঈলের বংশধর বলা হয়েছে, যেন ইহুদিরা এটা ভুলে না যায় যে, তারা আল্লাহর বান্দার বংশধর। তাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে  তারা যেন তাদের রাবাইদের উপাসনা না করে, শুধুমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করে।আরেকটি ব্যাপার হলো বনী ইসরাঈল বলতে আজকের  ‘ইসরাঈল’ নামক দেশে যারা থাকে, তাদেরকে বুঝায় না। হয

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবংকিছু প্রাসঙ্গিক কথা

  ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল ১০ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হলো।ইতোমধ্যে ভারতের  রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে । বিল পাশের পর ভারতের আসাম পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ এবং রক্তক্ষয়ী সংঘাত। বিলের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব ভারতে আন্দোলনে  আসাম এখন অগ্নিগর্ভ। ত্রিপুরাও চলছে প্রতিবাদ।নিহত হয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।আসামে  ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময় নিরাপত্তা-বহরে হামলা চালায় নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী উত্তেজিত জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহকারী হাই কমিশনারের গাড়ী। রাজ্যসভায় বিল পেশের আশঙ্কায় এই বছরের শুরুতে প্রায় পুরো উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল।নতুন করে বিলটি পাশের ফলে আবারও উত্তপ্ত ভারতের রাজ্যগুলো।ভারতের নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট ছয় বার সংশোধন করা হয়েছে।এবার দিয়ে সাত বারের মতো সংশোধন করা হলো।  নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করা বিষয়ে  বিজেপি সরকার বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা কতটা নিরাপদ?

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর গোটা ভারত জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই আইন পাশের পর জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। ভারতের পূর্বাঞ্চল আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দোকানপাট, বাস ও ট্রেনে।১৯৫৫ সালে ভারতের নাগরিক আইন প্রবর্তনের পর এর আগে ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট ছয় বার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হয়েছে।তখন সেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে বর্তমানের মতো এতোটা সহিংস  প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়নি। এবারেই এধরনের ঘটনা প্রথম ঘটছে।এই বিক্ষোভ প্রতিবাদের মূলে রয়েছে এবারের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে বিতর্কিত কিছু ধারা। নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করা বিষয়ে  বিজেপি সরকার বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়াই আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য। বিজেপি সরকারের যুক্তি তিন দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফলে ঐসব দেশে মুসলিমদের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে হয় না।  কিন্তু অমুসলিম সংখ্যালঘুরা এসব দেশে নির্যাতনের শিকার। তাদের সুরক্ষা দিতে বিজেপি সরকার এই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন  করেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান  থেকে ভারতে আসা

আসুন ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দাঁড়াই

ছবি
একসময়ে চলচ্চিত্র জগতে সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এখন আর ঢালিউডে অভিনয়ে নিয়মিত নন। তিনি এখন এদেশের মানুষের হৃদয়ের নায়ক বনে গেছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাঁর ২৬ বছরের আন্দোলন যখন পূর্ণতা পেতে চলে‌ছে তখন সুযোগ সন্ধানী কিছু পরিবহন শ্রমিকের তিনি চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইন প্রণয়নে সরকারে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।এই নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতিও পালন করেছে। শুধু তাই নয় নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত কয়েকদিন বাংলাদেশের বাস-ট্রাক শ্রমিকরা যে 'কর্মবিরতি' পালন করেছেন, সেখানে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে কোথাও কোথাও  কুশপুত্তলিকা তৈরি করে সেখানে জুতার মালা দেয়া হয়েছে। তার ছবি পুড়ানো হয়েছে।তাকে হে'ন'স্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় প্রিয় তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দেশের লাখ লাখ মানুষ দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও দাঁড়

মুসলমানদের কোনো মানবাধিকার নেই

মরুক রোহিঙ্গা পুড়ুক বসত। তোরা মুসলিম। তোরা বাঙালি। তোরা বহিরাগত। তোরা ভিনদেশি। তোরা ভিন জগতের। মঙল গ্রহের। তোরা শান্তির ধর্ম বৌদ্ধের অনুসারীর দেশে অচল। মূলকথা তোরা এলিয়েন। তোরা ভাসমান। সাগর ভাসা । এদেশে বসবাসে অযোগ্য। বের হ এখান থেকে। নইলে আগুন হবে তোর শেষ ঠিকানা। হাড় হাড্ডিও হবে তোর ভস্মীভূত।  এতো শুধু রোহিঙ্গা মুসলমানদের করুন আর্তনাদ ও নির্যাতনের সহজে অনুমেয় কিছু সাধারণ চিত্র। এছাড়াও ফিলিস্তিন, ফিলিপাইনের মিন্দানা, শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপে, কাশ্মীরে, আসামে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, চিনের জিনজিয়াং, সিরিয়া ইরাক আফগানিস্তান  কোথায় মুসলমানরা সুখে আছে?  এইতো যেদিন বি বাড়ীয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এলো। একই সময়ে ভারতে আটজন মুসলিম ছাত্রকে বিনা কারণে ক্রসফায়ারে মারা হলো। মিডিয়া তো ঘটনাটা নিয়ে তোলপাড় করলো না। ইসলামের জন্মস্থান  সৌদি অারব তো ভারতীয় কুটনৈতিককে পররাষ্ট্র দফতরের ডাকিয়ে শাঁসালো না। নিশ্চুপ রইল। নাসির নগরের ঘটনার পর ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখালো একবার চিন্তা করতে পারি? ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কত হাজার মুসলিম মারা যায়। তাদের জন্য কী কেউ টু শব্দটি করেছে। বিশাল বক্তৃতা বিবৃ

ভারতের বিজেপি সরকারের পরবর্তী টার্গেট কি তাজমহল ?

  ভারতের বিজেপি সরকারের চলছে বসন্তকাল। চরম হিন্দুত্ববাদী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নে তারা আপোসহীন।  কঠোর হিন্দুত্ববাদীর সমর্থক শিবসেনা ও আরএসএসকে পকেটে রেখে বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে চরম হিন্দুকরণের দিকে। ইতোমধ্যে ভারত তার ধর্মনিরপেক্ষতার চেহারা হারিয়েছে। বিজেপি সরকার মুসলমানদের তালাক প্রথা নিষিদ্ধ, কাশ্মীরের সাংবিধানিক সুবিধার ৩৭০ ধারা বাতিল ও সর্বশেষ বাবরী মসজিদ রায় নিজেদের পক্ষে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে। ভারতকে  হিন্দু রাষ্ট্রকরণের লক্ষ্যে তারা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিজেপিসহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো ভারতে মুসলমানদের প্রায় সাতশ বছরের শাসনামলের স্মৃতিস্তম্ভ , স্মারক, স্থাপনা, ধর্মীয় ঐতিহ্য ধবংসে মরিয়া। এজন্য বিজেপি ও সমমনারা কয়েক বছর আগে থেকে  আগ্রার তাজমহলকে টার্গেট বানিয়েছে।বাবরি মসজিদের ন্যায় তারা তাজমহল ধ্বংসে ধীরগ‌তিতে ধাবমান। স্লো পয়জনিংয়ে যেমন একজন মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়া যায় তেমনি ধীরগ‌তি অবলম্বনে বিজেপি ভারতে  মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য ও চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে উন্মুখ। যেভাবে বাবরি মসজিদ প্রথমে ভেঙ্গে পরে আদালতের মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে রায় নিল।ঠিক তেমনিভাবে ভারতের অন্যান্য মুসলিম স্থাপত

পেঁয়াজে আগুন ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ইসলামের বিধান

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এদেশের কাঁচাবাজারে  সাধারণ দৃশ্য। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী অধিকাংশ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। বাংলাদেশ বোধহয় বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। সেসময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়।রমজান মাস ছাড়াও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হয় আকাশচুম্বী আর পেঁয়াজের ঝাঁজে ভোক্তারা হন  আক্রান্ত । এ বছর পেঁয়াজের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্বিকার, জনগণ ক্ষুব্ধ। তারপরও যেন দেখার  কেউ নেই। স্মরণকালে এই প্রথম বাংলাদেশে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে।গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে।ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।  এরপর ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি

শহিদ নূর হোসেন তুমি কার?

ছবি
‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।' আজকের দিনে ১৯৮৭ সালে বিরোধী দলের  অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি মিছিলে নূর হোসেন অংশ নেন এবং প্রতিবাদ হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন উপরের স্লোগানটি। মিছিলটি ঢাকার গুলিস্তানের জিপিও-র সামনে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আসলে স্বৈরশাসকের মদদপুষ্ট পুলিশবাহিনীর গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। মোট তিনজন আন্দোলনকারী সেদিন নিহত হন। এসময় বহু আন্দোলনকারীও আহত হন। নিহত অপর দুই ব্যক্তি হলেন যুবলীগ নেতা নুরুল হূদা বাবুল এবং আমিনুল হূদা টিটু। নূর হোসেনরা সব সময় জন্ম গ্রহণ করেন না। জাতির দুর্দিনে প্রয়োজনে দুঃসময়ে তারা অবতারের মতো অবতীর্ণ হন  জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনে যেমন দুজন বাংলার দামাল ছেলে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনদে জেকে বসা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনে দুজন সূর্য সন্তানের শাহাদাত এরশাদের পতন ত্বরান্বিত করেছিল।আমরা ইতিহাস থেকে জানি পাকিস্তান আমলে শহিদ আসাদ তিনি আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের

মুসলিম নাম নিশানা মুছে ভারত হতে চায় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র।

ভারতে চলছে চরম হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের উত্থানের যুগ। বিশেষ করে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতা আসার পর সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর আক্রমণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে।দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে  পাক ভারত বিভক্ত হয়ে  যায়।এরপর ভারত সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য  ধারণ করে।কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে ভারত  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। এ হত্যাযজ্ঞের যাত্রা এখনো চলমান।বর্তমান ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম।ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের বাস ভারতে। সেহিসেবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সংখ্যালঘু-মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র। ভারতের হিন্দু ধর্মের পর দ্বিতীয় বহুল-প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের অনুসারীরা হচ্ছেন মুসলমানেরা।তাই জনসংখ্যার বিচারে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ঠিক হিন্দুদের পরেই। ভারতের জনসংখ্যার মোট ১৩.৪ শতাংশ মুসলমান। দেশের মুসলমান জনসংখ্যা ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১৩৮,০০০,০০০ এবং ২০০৯ সালের প্রাককলন অনুসারে ১৬০,৯৪৫,০০০। এখন ভারত রাষ্ট্র  চূড়ান্তভাব