পোস্টগুলি

রমজানে যারা গুনাহ মাফ করে নিতে পারেন না তাদের জন্য জিবরাঈলের ধবংস কামনা ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আমিন!!

মো. আবু রায়হানঃতায়েফে রাসুল (সা) যখন তাওহীদের বাণী প্রচার করতে গেলেন তখন তায়েফবাসী পাথর মেরে রাসুলুল্লাহ  (সাঃ) কে রক্তাক্ত করে দিলেন। হযরত জিবরাঈল (আ:) এসে দুপাহাড়কে একত্রিত করে তায়েফবাসীকে ধংস করে দেয়ার অনুমতি চাইলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, "হে আল্লাহ, তাদেরকে হেদায়েত দান করুন"। দেয়ার নবী শত নির্যাতনের মুখেও তায়েফবাসীর প্রতি দয়া দেখালেন, তাদের জন্য ধবংস কামনা করলেন না। সেই নবীজির আরেকটি হাদিসে আসুন দেখি। কি বললেন তিনি? হাদিস শরীফে এসেছে , নবী কারিম (সা) মিম্বারে উঠে আমিন, আমিন, আমিন বললেন। সাহাবিরা বললেন হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো এরূপ কখনো করেননি। তখন নবী কারিম (সা)বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম আমিন।অতপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম আমিন। হজরত জিবরাইল (আ.) আবারও বলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হলো অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ল না। আমি বললাম আমিন। (সহী ইবনে হিব্বান,৯০৮; আল-আদাবু

গীবত রোজা নষ্ট করে।।। গীবতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি

ছবি
শয়তান মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্টের যত হাতিয়ার ব্যবহার করেন তারমধ্যে জঘন্যতম হাতিয়ার হলো গীবত। এ গীবত মানুষকে নিকৃষ্টতম প্রাণীতে পরিণত করে। তাই তো মহান আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে এই নিকৃষ্ট স্বভাব থেকে বিরত থাকার তাগিদ দিয়েছেন। গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, পিছে সমালোচনা করা ইত্যাদি। পরিভাষায় গীবত বলা হয় ‘তোমার কোনো ভাইয়ের পেছনে তার এমন দোষের কথা উল্লেখ করা যা সে গোপন রেখেছে অথবা যার উল্লেখ সে অপছন্দ করে ।’ (মু’জামুল ওয়াসিত)। গীবতের সবচেয়ে ভালো ধারণা পায় নিম্নোক্ত হাদিস থেকে -হযরত আবু হুরায়রা( রা.) থেকে বর্ণিত,   রাসূল (সা.) -  বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর  রাসূল (সা.) - , আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে  রাসূল (সা.) - বললেন, তুমি

ব্লগারদের নিয়ে কেন এতো ভয়?

সাধারণত ব্লগে যারা লেখেন তাদের ব্লগার বলা হয়। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্ভব পরবর্তীতে এ আন্দোলনের সাথে জড়িত কথিত মুক্তমনা ব্লগারদের আল্লাহ রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে  কটাক্ষ ও কটুক্তি করে ব্লগে লেখার অভিযোগে কয়েকজন ব্লগারকে জঙ্গিরা হত্যা করে। এরপর থেকে সাধারণ জনমনে ব্লগারদের  নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় ও তাদের ব্যাপারে মনে ভীতি  তৈরী হয়। তখন থেকে ব্লগার মানেই নাস্তিক ও খারাপ এ ধরনের চিন্তা অনেকের মনেই বাসা বাঁধে। রিয়েল ফ্যক্ট হলো প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিক আছে। ব্লগ হচ্ছে আপনার চিন্তা চেতনা প্রকাশের মুক্ত প্লাট ফরম। এখানে যেমন একজন ধর্ম বিরোধী তাদের যুক্তিতে যৌক্তিক লেখা লিখতে পারে তেমনিভাবে একজন আস্তিক ধর্মভীরু নিজের ধর্মের চিন্তা ধারা যৌক্তিকভাবে ব্লগে উপস্থাপন করতে পারে। মনে রাখতে হবে ব্লগার মানেই নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধী না। এখানে অনেকেই ধর্মীয় লেখা লিখে থাকে। আপনার হাতে থাকা একটা নাইফ দিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে আপেল কেটে খেয়ে নাইফের সঠিক ইউজ করতে পারেন। আবার এ নাইফ কোন দুষ্ট চক্রের হাতে পড়লে সে নাইফ কারো পেটে বসিয়ে দিতে পারে। তেমনি এ প্রযুক্তির আশির্বাদ ও অভিশাপ আছে।  ইতিবাচ

তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান, তাকওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

ছবি
মো. আব রায়হানঃ পবিত্র মাহে রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের প্রশিক্ষণ বছরের বাকি দিনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।উঁচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো নির্বিশেষে যে কোন মুসলিম নারী পুরুষ তাকওয়া অবলম্বন করে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক তথা সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করেন, তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে মু্ত্তাকী নামে পরিচিত। আল্লাহ বলেন - " হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"(সুরা বাকারা আয়াত-১৮৩ )। আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’ (সুরা হুজরাত -১০)। মুসলমানদের জন্য তাকওয়া অর্জন গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করায় হলো তাকওয়া। গোপনে প্রকাশে যা করছি আল্ল

খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়ার বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর হুশিয়ারি

ছবি
মো আবু. রায়হানঃ খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়া একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। একদিকে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা অন্যদিকে খাদ্যে ভেজাল জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলছে। খাদ্য বেশিদিন সতেজ ও সংরক্ষণ করার জন্য ফরমালিন ও বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে এসব করলেও কর্তৃপক্ষ যেন নিশ্চুপ। এসব খাদ্য খেয়ে জনগণ হচ্ছে অসুস্থ ও বিভিন্ন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত। কিছু ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রির সময় হরদম মিথ্যা কথা বলে ও কসম করে দ্রব্য বিক্রি করে যা ঠিক নয়। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সব ব্যবসায়ীকে মিথ্যা কসম বর্জন করতে হবে। খাঁটি মাল বলে বিক্রি করে আদৌও খাঁটি কিনা সেটা বিক্রেতা খাঁটি বলে চালিয়ে দেয়। আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ তাদের চুক্তি ভঙ্গ করার ঐচ্ছিকতা থাকবে। যদি তারা উভয়েই সততা অবলম্বন করে ও পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে, তাহলে তাদের পারস্পরিক এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং পণ্যের দোষ গোপন করে, তাহলে তাদের এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত শ

তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা, জামাতে আদায় ও ফজিলত প্রসঙ্গে

ছবি
#মো. আবু রায়হান রমযানে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। তারাবীহ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদাহ, আদায় না করলে অবশ্যই গুনাহ হবে।সুন্নত ভেবে গড়িমসি করে তারাবীর নামাজ ত্যাগ করা উচিত নয়। অনেক আলেম ওলামা তারাবীকে ওয়াজিবের কাছাকাছি বলার চেষ্টা করেছেন।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনো আট রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণবশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না। কেননা, তিনি কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা উম্মতের জন্য ওয়াজিব তথা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ করুণা দৃষ্টির কারণে তিনি তাঁর আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবিহ জামাত হতে দেননি। যার দরুন সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়; তবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত।  তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে।তারাবীর নামাজের রাকাত সংখ্যা ২০ বলেন ইমাম  হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ।মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবীহ পড়েন। ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ হওয়ার সপক্ষে দল

তারাবিহ নামাজের নিয়ত দোয়া ও মুনাজাত

ছবি
রমজান মাসে মুসলিমরা এশার নামাজের পর অতিরিক্ত ২ রাকাত করে যে নামাজ আদায় করে থাকেন তা তারাবীর নামাজ নামে পরিচিত।অর্থাৎ দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।তারাবিহ আরবি শব্দ এর একবচন 'তারবীহাতুন। তারাবি নামাজের নিয়ত نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر. উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ: আমি ক্বিবলামুখি হয়ে দু’রাকাআত তারাবিহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। দুই রাকাত/ চার রাকাত পর দোয়া প্রত্যেক ২ রাকাত পর সালাম ফিরানোর পর ইসতেগফার পড়তে হয়, দুরুদ পড়তে হয়, আল্লাহর স্মরণে জিকির করতে হয়। তারপর চার রাকাত হলেও কুরআন হাদিসের দুআ’গুলো পড়া হয়; যে দোয়াগুলো ৫ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয়। কিন্তু তারাবির যে দোয়াটি বর্তমানে জারি আছে, এই দোয়াটি

ব্যথিত হই

সবাই যখন বলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু সর্বত্র যখন চলে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা তখন খেই হারিয়ে ফেলি। যখন পত্রিকা নিয়ে বসি তখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ি। ফেসবুকের নিউজ ফিডে তো চোখ বুলানো যায় না।ভাবি নো নিউজ ইজ গুড নিউজ।  চারিদিকে শুধু খুন ধর্ষণের ছড়াছড়ির খবর। দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য তারুণ্যের হতাশা। গত পনরো দিনে শেয়ারবাজারের আনুমানিক ২৫হাজার কোটি টাকা লোপাট। জানি না বরাতের রাতে কার রাতারাতি অাঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ভাগ্য লিখন হয়েছে। কে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় বসছেন। ঋণখেলাপিরা ঋণ নিয়ে এখন ঋণ মমওকুফের আশায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দৃশ্যমান দুএকটি পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে কি এসব অপকর্ম ঢেকে রাখা যাবে? এইচএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন কালে শিক্ষার্থী যখন বলে স্যার একটু সুযোগ দেন তখন। লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে।চিৎকার চেঁচামেচি করি। এ পর্যন্তই। কারণ শিক্ষকরা এখন আহত বাঘ। ভবিষ্যতে প্রজন্মের এসব সোনার ছেলেদের কিছু বলার নেই। নিরবে সব সহ্য করতে হয়। ধমক দিয়েই তাদের নিবৃত্ত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালাতে হয়। সপ্তাহ তিনেক আগে একটি চাকরির পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম। পরীক্ষার হলে এক তরুণ কানের কাছে এসে

কেন রমজান মাসের এতো গুরুত্ব??

ছবি
#মো. আবু রায়হান আরবি বারো মাসের নবম তম মাস হলো রমজান। অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।-নবী করিম (দ.) ইরশাদ করেছেন: শা’বান আমার মাস, আর রমজান হলো আল্লাহর মাস’ (মা’সাবাতা বিস্সুন্নাহ) এ মাস এত বেশি মর্যাদাবান হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে -নিন্মোক্ত আলোচনা দ্বারা রমজান মাসের গুরুত্ব সহজে উপলব্ধি করা যেতে পারে।   এক এ মাসে কোরআন মজিদ অবতীর্ণ করা হয়েছে, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, রমজান মাস যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে আর এ কোরআন মানবজাতির জন্য পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন, হক বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে সে এতে রোজা রাখবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, সে পরবর্তী সময়ে গু​নে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে দেবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হিদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো। (সুরা বাকারা আয়াত ১৮৫ )।শুধু কোরআন নয় অন্যান্য আসমানী কিতাবও একমাসের অবতীর্ণ হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত, হযরত ইব্রাহিম (আ.)–এর সহি

শক্তির উৎস কোথায় ?

মো. আবু রায়হানঃরেজাল্ট  খারাপে মন খারাপ করো না।  হয়তো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে। রেজাল্ট কাঙ্ক্ষিত হয়নি। প্রথম ধাপে হোচট খেয়েছ মনে হতে পারে।সময় ও সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। জীবনের বাঁকে পরিবর্তন আসতে সময় লাগে না। তোমার সদিচ্ছা ও পরিশ্রম তোমাকে স্বপ্নের চেয়ে বড় কিছু এনে দিতে পারে। তুমি বাংলাদেশের ছেলে গুগল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ সবুরের সফল হবার কাহিনী হয়তো শুনেছো। প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিরেক্টর) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জাহিদ সবুর। বিশ্বসেরা ইঞ্জিনিয়ারদের অন্যতম জাহিদ পড়াশোনা করেছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভর্তি হন সেখানে।কারণ তার রেজাল্ট খুব ভালো ছিল না। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তাকে অনেক কটূ কথা শুনতে হয়েছে। মুদি দোকানে পড়াশোনা করছেন তিনি এমন কটূক্তিও হজম করতে হয়েছে। শুরুতে তার প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞান ছিল না। তবে স্কুলে থাকতে বিজ্ঞান মেলায় বরাবরই সেরাদের তালিকায় থাকতেন জাহিদ।সারাবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটিতে এখন ফুলটাইম কর্মী আছেন লাখ খান

রোজার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ছবি
#মো. আবু রায়হান রোজা ফারসি শব্দ আরবিতে সাওম। সাওমের বহু বচন সিয়াম। অর্থ বিরত থাকা,বিলাস ব্যাসন পরিহার করে সুবহ সাদিক হতে সূর্য অস্ত পর্যন্ত যাবতীয় যৌন কর্ম ও পানাহার হতে বিরত থাকাকে সাওম বলে।রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সুস্থ সবল মুসলিমের রোজা পালন করা ফরজ। রোজা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদীর ওপর ফরজ করা হয়নি যুগে যুগে বিভিন্ন নবী রাসুল ও তাদের উম্মতের ওপর সাওম ফরজ ছিল। যেমন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা খোদাভীরু হতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।এ আয়াতের ব্যাখ্যায় শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (রঃ) বলেছেনঃ রোযার হুকুম হযরত আদম (আঃ) এর যুগ হতে বর্তমান কাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে এসেছে। ( ফাওয়াইদে উসমানী)। উক্ত আয়তের ব্যখ্যায় আল্লামা আলূসী (র.) স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ ‘রুহুল মাআনী’ তে উল্লেখ করেছেন যে এখানে ‘মিন ক্বাবলিকুম’ দ্বারা হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে হযরত ঈসা (আঃ) এর যুগ পর্যন্ত সকল যুগের মানুষকে বুঝানো হয়েছে । এতে এ কথা প্র

ভ্রূণ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ ও বর্তমানে প্রচলিত আইন

ছবি
মো আবু রায়হানঃ বাংলাদেশের বর্তমানে ভ্রণ হত্যা বা গর্ভপাত আশংকা জনকভাবে বেড়ে গেছে। যদিও ভ্রূণ হত্যা বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ তারপরও গোপনে বিভিন্ন হসপিটাল ও ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়। যা নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে বেমানান ও অগ্রহণযোগ্য। আজকের আলোচনা ভ্রণ হত্যা নিয়ে ইসলাম ও বাংলাদেশের আইন কি বলে তা নিয়ে আলোচনা। সাধারণত কোনো স্ত্রীর গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করাকে গর্ভপাত বলে। গর্ভধারণের পর প্রথম আট সপ্তাহের মধ্যে একটি ভ্রূণ সন্তান হিসেব রূপলাভ করতে থাকে,প্রথম অবস্থায় এটি মাংস পিন্ড হিসেবে নারীর দেহের একটি অরগান হিসেবে থাকে। ধীরে ধীরে তা বিকাশ লাভ করে ও প্রাণ সঞ্চারিত হয়।  আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, ভ্রুণের বয়স যখন হয় তেতাল্লিশ দিনের কম, তখন ভ্রুণ একটি রক্তপিণ্ড হিসেবে মায়ের গর্ভে অবস্থান করে। এ সময় পর্যন্ত তার কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রকাশ পায় না।আধুনিক যুগে ভ্রুণ হত্যা জাহেলি যুগে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত সমাধিস্থ করার মতোই। তখন বাবা নিজ মেয়েকে গর্তে পুঁতে ফেলত আর এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে মায়ের পেটেই শিশুকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বর্তমান সমাজ তথা রাষ্ট্রে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয়ে বিভিন্ন প্রকারের সাম

নির্যাতিত চিনের উইঘুর মুসলিমরা। নিশ্চুপ কেন মুসলিম বিশ্ব?

মিয়ানমার সরকার যখন হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা করে এবং সাত লাখ রোহিঙ্গাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে, মুসলিম বিশ্ব চুপ ছিল না। প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করে তখনও তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে ইসলামকে দমন করার যে নারকীয় চেষ্টা, সে বিষয়ে তারা সবসময়ই নীরব। কেন? উইঘুর মুসলমানদের বাস জিনজিয়াং অঞ্চলে। চীনের বৃহত্তম এ প্রদেশটিতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। চীনের মোট আয়তনের এক ষষ্ঠাংশজুড়ে জিনজিয়াং। যার আয়তন বাংলাদেশের আয়তনের ১২ গুণ!এর আয়তন পূর্ব ইউরোপের দেশ জার্মান, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও স্পেনের সমন্বিত আয়তনের প্রায় সমান। এমনকি এটি স্বাধীন দেশ হলে ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ১৬তম বৃহত্তম দেশ হতো।র আয়তন ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই মুসলিম। ১৯৪৯ সারে চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু হয়। মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী।উইঘুররা এই অঞ্চলের সর