পোস্টগুলি

পিতামাতার খেদমাত

যাদের পিতামাতা জীবিত আছেন। তাদের দোয়ার ব্যাংক আছে। ইচ্ছেমতো সেখান থেকে দোয়া নিয়ে নিজের একাউন্ট সমৃদ্ধ করতে পারেন। বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতার কথা তীর্যক ও রূঢ় মনে হতে পারে। প্রত্যুত্তর তাদের প্রতি কোমল ও মোহনীয় আচরণ কাম্য। এ সংক্রান্ত একটি হাদিস উল্লেখ করা প্রয়োজন - আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মুশরিক মা আমার কাছে এসেছে। আমি কি তার সাথে সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সদ্ব্যবহার কর।’ এরশাদ হয়েছে 'আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পার্থিব জীবনে তাদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলবে’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৫) পিতামাতার খেদমতের ক্ষেত্রে সন্তানদের মধ্যে কম্পিটিশন হওয়া দরকার। কে সবচেয়ে বেশি তাদের খেদমত করে খুশি রাখতে পারে এই কম্পিটিশন। কে খেদমত করল আর কে খেদমত করল না এটি দেখার বিষয় না। আপনি আপনার অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী খেদমত করে যান এর প্রতিদান আপনি পাবেন। কারো অপেক্ষায় থেকে পিতামাতার খেদমত করা থেকে দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। হজরত কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) মিম্ব
ছবি
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘শিগগির মানুষ তোমাদের আক্রমণ করার জন্য একে অপরকে আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে আহ্বান করে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সমুদ্রের স্রোত বয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে আল-ওয়াহান ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল-ওয়াহান কি?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল-ওয়াহান হলো- দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫৩৯) এই হাদিসের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহের অবস্থা দেখলে দেখা যায়, কিয়ামত খুব কাছে রয়েছে। আমরা শেষ জমানায় অবস্থান করছি। আর কিয়ামতের পূর্বনিদর্শনগুলো বাস্তবায়িত হতে দেখলে ঈমান দৃঢ় হয়। গত শতাব্দীতে দেখা গেছে- বিধর্মীরা মুসলিমদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকে— হত্যা ও রাষ্ট্র দখলের জন্য। পাশাপাশি মুসলিমরাও পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে রক্তপাত ঘটা

মাহরাম ছাড়া হজ ও ওমরা পালন, ইসলাম কী বলে?

নারীদের হজ বা ওমরা পালনে আর মাহরাম বা অভিভাবকের প্রয়োজন হবে না। সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোর সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানান সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডক্টর তৌফিক আল রাবিয়া। #নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো- স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ এবং যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এ সব লোকদের সঙ্গে সামর্থ্যবান নারীরা হজে গমন করতে পারবেন। #এক সাহাবি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমার স্ত্রী হজ করতে যাচ্ছে আর আমি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজে যাও।’ (সহিহ বোখারি ও মুসলিম) হজরত ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর মতে, নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো- ‘মাহরাম।’ মাহরাম না থাকলে সম্পদ যতই থাকুক না কেন, নারীর ওপর হজ ফরজ হবে না।’ (বাদায়িউস সানা) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাহরাম ছাড়া কোনো নারী কোনো পুরুষের সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না এবং কোনো নারী মাহরাম ব্যতিত সফর করব

মুখ ঢাকলে এক লাখ টাকা জরিমানা

ছবি
পর্বতমালা আর হ্রদের সমাহারে মধ্য-ইউরোপের একটি সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড। এটি ফেডারেল ধরনের একটি ছোট্ট রাষ্ট্র। দেশটির আয়তন ৪১ হাজার ২২৮ কিলোমিটার। স্থানীয় ভাষায় দেশটি ‘সুয়াতিনি’ নামে পরিচিত।কিংডম অব সুইজারল্যান্ড ১৬৪৮ সালে রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৯১ সালে। দেশটির পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি, পূর্বে অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণে ইতালি অবস্থিত। মাত্র ৮৩ লাখ জনসংখ্যার (২০১৬) এই দেশটি শিল্প-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন। দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই জার্মানির অধিবাসী। এরা জার্মান ভাষায় কথা বলে। ২০ শতাংশ লোকের ভাষা ফ্রান্স, আর ৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ইতালি। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাষা ফ্রান্স, জার্মান, ইতালিয়ান ও রোমান। সুইজারল্যান্ডের সরকার সংসদে আইনের একটি খসড়া পাঠিয়েছে। সেই আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে, যদি কেউ মুখ ঢাকা আইন ‘বোরকা নিষিদ্ধ’ ভঙ্গ করে তাহলে তাকে প্রায় এক হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশের মুদ্রার তুলনায় যা এক লাখ টাকার সমান। নতুন এ সিদ্ধান্তের খসড়া পার্লামেন্টে পাঠিয়েছ

জার্মানির কোলনে মাইকে জুমার আজানের অনুমতি

ছবি
জার্মানির কোলন শহরের সেন্ট্রাল মসজিদে আজ শুক্রবার থেকে মাইকে জুমার নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কোলন শহর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের নাগরিকদের সংগঠন ‘ডিটিব’-এর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে মাইকে জুমার আজান দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট আজান দিতে পারবেন মুয়াজ্জিন। তবে আজানের শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। জার্মানির আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। আযানের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে শহরের মুসলমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। কোলন সেন্ট্রাল মসজিদটি পরিচালনা করেন তুরস্কের নাগরিকদের ধর্মীয় সংগঠন ‘ডিটিব’। জার্মানিতে নয়শরও বেশি মসজিদ পরিচালনা করে এ সংগঠনটি। ২০১৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জার্মানি সফরকালে কোলন সেন্ট্রাল মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন। ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি আয়তনের দিক দিয়ে ইউরোপের সপ্তম বৃহৎ রাষ্ট্র। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা আট কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৮৫১ জন।

সুলতান রাজিয়া ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক

ছবি
সুলতান রাজিয়া ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক। সেই সঙ্গে নারী শাসকদের মধ্যে প্রথম মুসলিম নারী শাসক ছিলেন সুলতান রাজিয়া।Razia Sultan was the first Muslim woman to rule India and the only woman to have sat on the throne of Delhi. She was the fifth ruler of the Mamluk Dynasty of the Delhi Sultanate.তিনি ১২৩৬ থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার বছর রাজত্ব করেছিলেন।সুলতান রাজিয়া (১২০৫ - ১২৪০) ইংরেজি ইতিহাস বইসমূহে রাজিয়ার নাম Raḍiyya বা Raziyya হিসাবেও অনুবাদ করা হয়েছে। কিছু আধুনিক লেখক "সুলতানা" শব্দটি ব্যবহার করেন, এটি একটি ভুল নাম। কারণ এর প্রকৃত অর্থ "নারী শাসক" না বরং "রাজার স্ত্রী"। রাজিয়া'র নিজস্ব মুদ্রাগুলো তাকে সুলতান জালালত আল-দুনিয়া ওয়াল-দ্বিন বা আল-সুলতান আল-মুয়াজ্জম রাজিয়ত আল-দ্বিন বিনতে আল-সুলতান নামে অভিহিত করে। সালতানাতের সংস্কৃত ভাষার শিলালিপি তাকে জাল্লালাদিন বলে, আর প্রায় সমসাময়িক ইতিহাসবিদ মিনহাজ তাকে সুলতান রাজিয়ত আল-দুনিয়া ওয়া'ল দিন বিনতে আল-সুলতান বলে অভিহিত করেন। তিনি ছিলেন সুলতান ইলতুৎমিসের কন্যা ও ভারতবর্ষের প্রথম ম

সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময়ে পরিহিত শিরস্ত্রাণ

ছবি
  আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। ওই সেনাপতি উত্তম সেনাপতি হবে এবং ওই সেনাবাহিনী উত্তম সেনাবাহিনী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬) ১৪৫৩ সালের ২৯ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহ (রহ.) এই শহর জয় করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান। এটি ছিল রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী। কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিস্টানদের জন্য এই শোচনীয় পতন ছিল অকল্পনীয়।বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যায়।

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহ

ছবি
  টুপি পরা সিংহাসনে বসা এই বনু আদমকে চিনেন? ইনি যেনতেন কোনো বনু আদম নন। এই বনু আদম এখন বাংলাদেশে আছেন দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে। এই বনু আদমের পরিচয় হলো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহ। যিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও বিলাসী সুলতান হিসেবে সুপরিচিত। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রায় ৫৫ বছর ব্রুনাই শাসন করে আসছেন সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পর তিনিই দীর্ঘদিন ধরে কোনো একটি দেশের সিংহাসনে রয়েছেন। ব্রুনাইয়ের আয়তন ৫ হাজার ৭৬৫ কি.মি.। বর্তমানে জনসংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬২০ জন।ব্রুনাই একটি ছোট দেশ হলেও, এ দেশের সুলতান অত্যন্ত শক্তিশালী ও ধনী একজন ব্যক্তি। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, বলকিয়াহর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১.৪ লাখ কোটি (২০ বিলিয়ন ডলার) টাকা।তেল সম্পদ থেকে তিনি প্রচুর অর্থ আয় করে থাকেন।প্রতি সেকেন্ডে ব্রুনাইয়ের সুলতানের আয় ১০০ মার্কিন ডলার। তেল সম্পদ ও বিনিয়োগ থেকেই তার এ আয়। সুলতানের প্রতি মাসে চুল কাটতে ব্যয় হয় ১৭ লাখ টাকা।প্রতি মাসে একবার লন্ডন থেকে নাপি

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘর কেমন ছিল

ছবি
ভাই ও বোনেরা দেখুন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘর কেমন ছিল (শৈল্পিক ছাপ) - একটি শিক্ষা নিন। তাকে বেহেশত ও পৃথিবীর সবকিছু দেওয়া হয়েছিল তবুও তিনি এত সরলভাবে জীবনযাপন করেছিলেন। যে ঘর মানুষকে মনে করিয়ে দেয় এই জীবন চিরদিনের জন্য নয়, বরং মুমিনের জন্য পরকালীন জীবনই প্রকৃত আবাস।রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদাসিধে ও কৃচ্ছ্রের জীবন নিজেই বেছে নিয়েছিলেন; যেন উম্মত পার্থিব জীবনের প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার ও দুনিয়ার দৃষ্টান্ত একজন আরোহীর মতো—যে একটি গাছের নিচে ছায়া গ্রহণ করে, বিশ্রাম করে এবং তাকে ছেড়ে চলে যায়।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৭) হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, মাস কেটে যায় কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে খেজুর ও পানি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকতো না। তিনি মদীনায় সারা জীবন কখনো পেট ভরে রুটি খাননি। পেটে পাথর বেঁধে থাকতেন। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরি এবং তার ভেতরে ছিল খেজুরগাছের ছাল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৫৬) অন্য বর্ণনায় এসেছে, তাঁর ব্যবহৃত বালিশও ছিল চামড়ার তৈরি, যার ভেতরে ছিল খেজু

টুরসের যুদ্ধ ও ইউরোপে ইসলামিকরণ ব্যাহত

ছবি
মহানবীর ওফাতের ১০০ বছরের মধ্যে টুরসের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সময়টা ৭৩২ সালের ১০ই অক্টোবর। স্থানটা বর্তমান ফ্রান্সের পয়েটিয়ার্স ও টুরস শহরের মধ্যবর্তী মুসাইস লা বাটাইলি নামক গ্রাম। রচিত হয়ে গেলো ইতিহাসের গতিমুখ বদলে দেয়া এক আখ্যান। কর্ডোবার উমাইয়া গভর্নরের নেতৃত্বে আরব বাহিনীর সাথে ফ্রান্সের রাজা চার্লসের নেতৃত্বে ফ্রাঙ্কিশ ও বুরগুন্ডিয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ। যুদ্ধে উমাইয়া সেনাপতি আবদ আল-রহমান গাফিকী নিহত হন। ফরাসীদের কাছে ব্যাটল অব টুরস নামে পরিচিতি পেলেও আরবদের কাছে ‘মাআরাকাতে বালাতুশ শুহাদা’ বা শহীদী সৌধের যুদ্ধ হিসাবে স্বীকৃত হয়। সৈন্য সংখ্যা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও মুসলিমদের সংখ্যা বেশি ছিল বলেই দাবি করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ পল ডেভিসের মতে, মুসলিম সৈন্য সংখ্যা ৮০ হাজার এবং ফরাসি সৈন্য ৩০ হাজার। যদিও ভিক্টর ডি হ্যানসন উভয়পক্ষে সৈন্য সংখ্যা প্রায় সমান এবং তা ৩০ হাজারের কাছাকাছি বলে যৌক্তিকতা দেখাতে চেয়েছেন।শত্রুর সামনে প্রবল প্রতাপ প্রদর্শনের কারণে চার্লস ‘মার্টেল’ বা হাতুরী উপাধি লাভ করেন। Encyclopedia Britannica এর ভাষ্য মতে, টুরসের যুদ্ধে উমাইয়াদের নিহত সৈন্য সংখ্যা ১০ হাজারের ম

নবী করীম (সা)'র জন্ম ও মৃত্যু

ছবি
কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে নবী করীম (সা)'র জন্ম ও মৃত্যু ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে গবেষণা করে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মদিন আসলে ছিল ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার। বর্তমান বিশ্বে সকলের নিকট সমাদৃত, সহিহ হাদিস নির্ভর শুদ্ধতম সিরাতগ্রন্থ হল ‘আর-রাহীক আল-মাখতুম’। নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস সম্পর্কে এ গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) ৫৭১ খৃস্টাব্দে ২০ এপ্রিল মোতাবেক ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার প্রত্যুষে জন্ম গ্রহণ করেন। এটা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যুগের প্রখ্যাত আলেম মুহাম্মাদ সুলাইমান আল-মানসূর ও মিশরের প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমুদ পাশা।মাহমুদ পাশা গবেষণা ও হিসাব করে দেখিয়েছেন, সে বছর ১২ রবিউল আউয়াল তারিখের দিনটা সোমবার ছিল না ছিল বৃহস্পতিবার। সোমবার ছিল ৯ রবিউল আউয়াল। অতএব নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস হল ৯ রবিউল আউয়াল; ১২ রবিউল আউয়াল নয়। তবে সর্বসম্মতভাবে তাঁর ইন্তেকাল দিবস হল ১২ রবিউল আউয়াল। যে দিনটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মোৎসব পালন করা হয় সে দিনটি মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইটি ওয়াস

সমাবর্তন গাউন

আরবি পোশাক (থাওব) আমাদের আজকের দিন পর্যন্ত শিক্ষা জীবনে বিশুদ্ধ এবং স্পষ্ট চিহ্ন হিসাবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শেষে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তথা সমাবর্তনে সবাই যে গাউন পরে থাকে তা আরবীয় পোশাক থাওবের উত্তরসূরী। থাওব একটি গোড়ালি-দৈর্ঘ্যের পোশাক, সাধারণত লম্বা হাতা থাকে। এটি সাধারণত আরব উপদ্বীপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী আরব দেশ এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে পরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় যে টুপি পরেন তা চারকোণা ফ্ল্যাট টুপি। এমন আকৃতির কারণ কি জানেন? এমন আকৃতির কারণ মুসলিম স্পেনের কর্ডোভায় স্নাতক হওয়া মুসলিম ছাত্ররা আল কোরআনের প্রতি তাদের সত্যিকারের আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য স্নাতক শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের মাথার উপরে একটি কোরআনের কপি বহন করতেন।

টিকটক

  বর্তমানে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ টিকটক। অবশ্য এর আইওএস ভার্সনও এখন বাজারে আছে। এটি অত্যন্ত অল্প সময়ে পৃথিবীব্যাপী তার অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫টি ভাষায় এই অ্যাপটি বানানো হয়েছে।ছোট ভিডিওর জন্য বিখ্যাত এই অ্যাপসের মাধ্যমে এরই মধ্যে নিজেকে সেলিব্রেটি বানিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। বিভিন্ন গানের অংশ, সিনেমা ও নাটকের কৌতুক ডায়ালগগুলোর সঙ্গে অভিনয় করে অনেকেই বানিয়েছেন হাজার হাজার ফলোয়ার। কৌতুকের ছলে এই সর্বনাশা অ্যাপটি দ্রুত ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মুসলমানদের। সর্বনাশা মহামারি থেকে বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি এখনো অনেকে ভিপিএন ব্যবহার করে এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। মানুষ এ ধরনের অ্যাপগুলো ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য। যা মানুষের অনেক সময় নষ্ট করে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা নষ্ট করে। ঈমানদারদের আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল রাখে। পবিত্র কোরআনে এ ধরনের সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা
ছবি
মার্কিন মেরিন সদস্য রিচার্ড ম্যাককিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।তিনি প্রায় ২৫ বছর মার্কিন সামরিক বাহিনীতে চাকরির পর অবসর নেন।অবসরের পর যদিও তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নেই, তবু তিনি মানসিকভাবে সবসময় নিজেকে যোদ্ধা মনে করতেন। ইসলাম ছিল তার মনোজগতের সেই যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিপক্ষ।এই ঘৃণা থেকেই তিনি ইন্ডিয়ানাতে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।পরিকল্পনামাফিক তিনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে সেখানকার মুসলমানদের সঙ্গে ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন। একসময় ইসলাম নিয়ে তার ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায় এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সময়, ম্যাককিনির কাছে হত্যা করা ছিল খুবই সহজ বিষয় এবং তার প্রতিটি হত্যার জন্য তিনি ছোট করে একটি বিন্দুর মত ট্যাটু তার বুকে আঁকতেন। তিনি জানান তিনি এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যা তিনি কারো সাথেই কখনো আলোচনা করেননি। তিনি বলেন, আমি ইসলামকে ঘৃণা করতাম না, কিন্তু বিভিন্ন বিষয় আমি প্রত্যক্ষ করি যার ফলে আমার অনুভূতি এমন হয়ে যায়। চাকরী শেষে আমেরিকায় ফিরে আসার পর তিনি তার নিজের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত হন। তিনি মদ পান করা শুরু করেন এবং মুসলিমদের প্রত

কেয়ামতের আগে যে মসজিদের মিনারের কাছে ঈসা (আ.) অবতরণ করবেন

ছবি
উমাইয়া মসজিদ বা দামেস্কের গ্রেট মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি পবিত্র মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। এটি সিরিয়া প্রধান মসজিদ। মুসলমানদের একটি অংশের মতে এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চতুর্থ পবিত্র স্থান। ইসলামের অনেক বড় বড় আলোকিত ব্যক্তি সেখানে শিক্ষা দিয়েছেন এবং ধর্ম প্রচার করেছেন। তন্মধ্যে সুলতান সালাহ উদ্দীন আল-আইয়ুবী, ইমাম আল-গাজালী, ইমাম শামস উদ্দীন ইবনে কুদামাহ, ইমাম তাকিউদ-দীন আস-সুবকি, ইমাম তাজ উদ্দীন আস-সুবকি, ইমাম 'আব্দুল বাকী আল-মাওয়াহিবি, ইমাম 'আব্দুল কাদির ইবনে বদরান, ইমাম মুহাম্মাদ সাঈদ রমজান আল-বুতি অন্যান্য। মসজিদটি একটি সুন্দর উঠোন সহ বড় এবং প্রশস্ত। সেখানে প্রার্থনা ও শিক্ষা দেওয়ার জায়গা রয়েছে। এটিতে সূক্ষ্ম মোজাইক পাথরের খোদাই এবং মার্বেল সজ্জা সহ উজ্জ্বল সজ্জা রয়েছে। এটি স্থাপত্যের একটি আধ্যাত্মিকভাবে উল্লেখযোগ্য অংশ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হযরত ঈসা (আ) মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত গ্র্যান্ড উমাইয়া মসজিদের একটি মিনারের পাশে অবতরণ করবেন। তিনি ফজরের নামাজের সময় অবতরণ করবেন। দামেস্কের উমাইয়া জামে মসজিদে তাকবিরে উলা বলা হয়ে যাবে এমন সময় অবতরণ করবেন

নামাজে পোশাক

আপনি যখন চাকরির ইন্টারভিউতে যান। আপনি বসের সামনে উপস্থাপনযোগ্য দেখতে সেরা এবং সবচেয়ে দামি পোশাক পরেন। যখন আপনি আপনার নামাজে আল্লাহর সাথে কথোপকথন করেন তখন আপনি জগিং প্যান্ট এবং পিছনে রোনালদো লেখা সহ একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শার্ট পরেন! আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে বনি আদম, প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করে নাও আর (হালাল বস্তু তৃপ্তির সঙ্গে) খাও ও পান করো; কিন্তু অপব্যয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।" (সুরা আরাফ আয়াত-৩১) টাইট-ফিট প্যান্ট ও শার্ট এবং শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা কাপড় পড়ে নামাজ পড়া উচিত নয়। টাইট হওয়ার কারণে নামাজে একাগ্রতা ভঙ্গ হয়। তাছাড়া কাপড়ের উপর থেকে (বিশেষ করে পিছন থেকে) লজ্জাস্থানের উঁচু-নীচু অংশ ও আকার বোঝা যায়। অনেকে এভাবে নামাজ পড়াকে মাকরূহ বলেছেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উত্তম পোশাকে নামাজ পড়া। হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে আমল করা। নামাজের পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের বিষয়ে সতর্ক থাকা।

সৌদি জাতীয় দিবস

ছবি
২৩ সেপ্টেম্বর এই দিনটিকে সৌদিরা জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে। এদিন সারাদেশ জুড়ে লোককাহিনী নাচ, গান এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সাথে উদযাপন করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে নেজদ এবং হেজাজের দুটি রাজ্য একত্রিত হয় এবং সৌদ বংশের নামানুসারে সৌদি আরবের নামকরণ করা হয়। এভাবে আবদুল আজিজ সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ হন। হুসেইন বিন আলী যখন ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তখন তিনি হেজাজের হাশিমীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৫-২৬ সাল নাগাদ সৌদ বংশ হাশিমীয়দের পরাজিত করে হেজাজ দখল করে। অবশেষে হেজাজ এবং নেজদ রাজ্য ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩২ সালে এ দুটি রাজ্য একত্রিত হয়ে আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হয়।

𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?

  𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?তাদের জিজ্ঞাসা করুন যারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন এবং বলেছেন: "আমরা তাঁর মতো (সুন্দর ও নিখুঁত) কাউকে দেখিনি, আগেও না পরেও! হজরত জাবির ইবনে সামুরা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, চন্দ্রালোকে উজ্জ্বল এক রজনীতে আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি। আমি একবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে আরেকবার চাঁদের দিকে দেখছিলাম। তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীরে লাল রেখা বিশিষ্ট পোশাক ছিল। আমার দৃষ্টিতে এবং বিশ্বাসে তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চাঁদের চেয়েও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল (তিরমিজি, মেশকাত)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্য চাঁদসহ বিভিন্ন অপরূপ সৌন্দর্যের বস্তুর সঙ্গে তুলনা শুধু আমাদের বুঝে আসার জন্য। বস্তুত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্যের কোনো বস্তুর সঙ্গে তুলনা হয় না। হজরত ইউসুফ (আ.)-এর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আনা মালিহ ওয়া আঁঁখি আছবাহ’ অর্থাৎ আমি লাবণ্যময় আর আমার ভাই ইউসুফ (আ.) উজ্জ্বল। রাবী বি

রুহুল্লাহ খোমেনি

ছবি
রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন। যা তৎকালীন পাহলভি রাজবংশের মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভিকে উৎখাত করেছিল। এভাবে তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সর্বোচ্চ নেতা হন। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে পাহলভি রাজবংশের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি সংসদ স্থগিত করেন এবং শ্বেত বিপ্লব নামে পরিচিত একটি আক্রমণাত্মক আধুনিকীকরণ কর্মসূচি চালু করেন। খোমেনিই ছিলেন শাহের কর্মসূচী এবং তার শাসনামলের দুর্নীতির একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক। যার জন্য খোমেনিকে ১৯৬৩ সালে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। এক বছরের কারাবাসের পর, খোমেনিকে ৪ নভেম্বর, ১৯৬৪ সালে ইরান থেকে জোরপূর্বক নির্বাসিত করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৯ সালে জানুয়ারিতে যখন শাহ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, খোমেনী দেশে ফেরার সুযোগ পান এবং ফিরেই ২৫০০ বছরের পুরনো পারসিক রাজতন্ত্রের উপড়ে ফেলেন। বিপ্লবের পর খোমেইনী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান মোতাবেক জাতির সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বহনকারী সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আমৃত্যু এই দায়িত্ব পালন করেন।

হিজাবের দেশে হিজাব অবমাননা

হিজাব বা পর্দা নারীর সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক। নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ। নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অতি সহজ ও কার্যকর উপায়। ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার নিমিত্তেই করেছে। ইরানের শাসক রেজা শাহ প্রাচীন ইরানি ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চালু করেন। পুরুষদের জন্য ইউরোপীয় পোশাক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেন। ১৯২৮ সালে প্রাশ্চাত্য ড্রেস চালু করেন। মহিলাদের হিজাব নিষিদ্ধ করা হয় এবং পাশ্চাত্য পোশাক পরতে নির্দেশ দেয়া হয়। তার স্ত্রী ও মেয়ে বিনা হিজাবে ইউরোপীয় পোশাকে জনসমক্ষে হাজির হতেন। টুপি-পাগড়ির পরিবর্তে পাহলভী শিরোভূষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। পারস্য ভাষাকে আরবি প্রভাব মুক্ত করা হয়। রেজা শাই ধর্মীয় পোশাক পরিধানের জন্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান চালু করেন। ১৯৩৫ সালে রেজা শাহ পাহলভি মাশহাদের গোহারশাদ আকা মসজিদে নারীদের হিজাব সরাতে বাধ্য করেন। তার এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ওই বছরের ১২ জুলাই কিছু মানুষ শহিদ হয়।