সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময়ে পরিহিত শিরস্ত্রাণ

 








আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। ওই সেনাপতি উত্তম সেনাপতি হবে এবং ওই সেনাবাহিনী উত্তম সেনাবাহিনী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬)

১৪৫৩ সালের ২৯ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহ (রহ.) এই শহর জয় করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান।
এটি ছিল রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী। কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিস্টানদের জন্য এই শোচনীয় পতন ছিল অকল্পনীয়।বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যায়। তাদের অধিকাংশ ইতালিতে চলে যায় এবং ইউরোপীয় রেনেসাতে সাহায্য করে।অনেক ঐতিহাসিক বিশ্লেষক, মুসলমানদের কনস্টান্টিনোপলের বিজয় ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনকে মধ্য যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখেন।
ছবি -সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময়ে পরিহিত শিরস্ত্রাণ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল