মাহরাম ছাড়া হজ ও ওমরা পালন, ইসলাম কী বলে?
নারীদের হজ বা ওমরা পালনে আর মাহরাম বা অভিভাবকের প্রয়োজন হবে না। সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোর সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানান সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডক্টর তৌফিক আল রাবিয়া।
#নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো- স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ এবং যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এ সব লোকদের সঙ্গে সামর্থ্যবান নারীরা হজে গমন করতে পারবেন।
#এক সাহাবি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমার স্ত্রী হজ করতে যাচ্ছে আর আমি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজে যাও।’ (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
হজরত ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর মতে, নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো- ‘মাহরাম।’ মাহরাম না থাকলে সম্পদ যতই থাকুক না কেন, নারীর ওপর হজ ফরজ হবে না।’ (বাদায়িউস সানা)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাহরাম ছাড়া কোনো নারী কোনো পুরুষের সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না এবং কোনো নারী মাহরাম ব্যতিত সফর করবে না।’
হজরত আদি ইবনে হাতেম (রা.) আনহু বর্ণনা করেন, ‘হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে আদি! যদি তোমার জীবনকাল দীর্ঘ হয়, তুমি অবশ্যই দেখতে পাবে, ইরাকের হীরা অঞ্চল থেকে একজন নারী একাকী উটের হাওদায় বসে কাবা তওয়াফ করবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাবে না।’ (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
ইসলামি আইন বিষয়ের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হেদায়া’য় এসেছে, ‘কোনো নারী যদি মাহরাম ছাড়া হজ করে তবে ওই নারীর হজ আদায় হয়ে যাবে কিন্তু মাহরাম ব্যতিত হজের দীর্ঘ সফর করার কারণে ওই নারী গোনাহগার হবেন।’
আবার কেউ কেউ বলেন, ‘নারীর উচিত মাহরাম পাওয়ার জন্য জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা। যদি কোনো মাহরাম না পান তবে তিনি নিজে হজে না গিয়ে অন্যের মাধ্যমে বদলি হজের ব্যবস্থা করবেন। আর এটাই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত।’
উল্লেখ্য যে, নারীদের হজের এ শর্তাদি ওমরার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন