পোস্টগুলি

সাদকাতুল ফিতর

ফিতরা বা সাদকাতুল ফিতর হলো সেই নির্ধারিত সাদকা, যা ঈদের নামাজের আগে অসহায় গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়। এটিকে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়।ইসলামি শরিয়াহমতে, গম, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর, পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটির দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নত মানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা) বর্ণনা করেন নবি (সা)'র জামানায় এর জমানায় আমরা সাদকাতুল ফিতর দিতাম এক সা (সাড়ে তিন কেজি প্রায়) খাদ্যবস্তু, তিনি বলেন, তখন আমাদের খাদ্য ছিল: যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর। (বুখারি)তিনি আরও বলেন, আমরা সাদকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক সা খাদ্যবস্তু। যেমন- এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ। (বুখারি)মুসলমানেরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যগুলোর যেকোনো

জীবনের চেয়ে কী ফ্ল্যাট ভাড়া বেশি

মুনিয়া লোভী, উচ্চাভিলাষী, রক্ষিতা আর যাই বলেন না কেন মানলাম। কিন্তু সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। হয়তো তার পজিশনের চেয়ে বেশি কিছু পাবার স্বপ্নে সে বিভোর ছিল। আচ্ছা লোভ বিষয়টা কার নেই বলুন তো? কারো কম কারো আবার খুব বেশি। মুনিয়ার না হয় একটু বেশিই ছিল। বামন হয়ে চাঁদ ছুঁতে চেয়েছে। ছেঁড়া বিছানায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখেছে। বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার যুগ মেধা, বুদ্ধি চেহারা নিয়ে চারিদিকে একটি অসম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মুনিয়া তার চেহারা সৌন্দর্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছে। এটা কি তার অপরাধ? নৈতিকতার দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য হলেও জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য হয়তো তার কাছে এটা ভুল পথ নয়। তবে প্রশ্ন হলো সৌন্দর্যের আভা দিয়েই কি সব অর্জন হয়? এককথায় উত্তর না। সুন্দর চেহারা আর অবয়ব ওরা তো শোপিসে সাজিয়ে রাখবে না।সুযোগ সুবিধা দেবে গাড়ী ফ্ল্যাট দেবে। কিন্তু অভিসারে আপনার সৌন্দর্যের তারা পোস্টমর্টেম করবে না তা কি হয়? কিন্তু কেউ সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে মেয়েটাকে ব্লাকহোলে ফেলে দেবে তা কি মেনে নেয়া যায়? মুনিয়া কেমন ছিল, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো কি না, তাহাজ্জুদ পড়তো কি না? কত দামি ফ্ল্যাটে থাকতো, ভাড়া কত দি

ধর্মকে ঢাল হিসেবে আর কত ব্যবহার করবেন?

  চুরি, ডাকাতি, ঘুষ খেয়ে ধরা পড়লে সাফাই গাই লোকটা ভালো ছিল। লোকটা তাহাজ্জুদ গুজারি ছিল। এসব ভন্ডামি বাদ দেন। মানুষের সহমর্মিতা পাবার অনেক উপায় আছে ধর্মের মোড়কে অসৎ কে সৎ বানাবেন না। যে প্রকৃত নামাজি সে কখনো বেগানা নারী পুরুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারে না। যেনা ব্যাভিচার চুরি ডাকাতি করতে পারে না।নামাজ বান্দাকে সকল প্রকার অশ্লীলতা, পাপাচার, প্রবৃত্তিপূজা, ক্ষণস্থায়ী ভোগ-বিলাসের অন্ধ মোহ থেকে মুক্ত করে পূত-পবিত্র ও উন্নত এক আদর্শ জীবনের অধিকারী বানিয়ে দেয়। বিকশিত করে তোলে তার ভেতরের সকল সুকুমারবৃত্তি। তার জন্য খুলে দেয় চিরস্থায়ী জান্নাতের সুপ্রশস্ত দুয়ার।আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত আয়াত -৪৫)। যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন তারা আল্লাহর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। নামাজ আর অপকর্ম এক সঙ্গে চলতে পারে না। নামাজ পড়েন অসৎ কাজও করেন তাহলে মনে করতে হবে আপনার জীবনে নামাজের মূল চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নামাজ লোক দেখানো বা বলে বেড়ানোর জিনিস নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অতএব দুর্ভোগ সে সব নামাজিদের জন্য; যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর; যারা তা লোক-

মনে আছে কাশ্মীরি মেয়ে নাফিসার কথা!

ছবি
নাফিসা উমর কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে কারফিউ ছিল দীর্ঘ সাতমাস। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে এনে কাশ্মির পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় দেশের কয়েকজন 'বাছাই করা' সাংবাদিককে, যাতে কাশ্মির নিয়ে রিপোর্টিং করা হলেও তা যেন সরকারের প্রতিকূলে না যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এখানে পেশ করলাম সেই ভাইরাল হওয়া পোস্টটির সম্পাদিত বঙ্গানুবাদ শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, 'ভাইয়া ! আপনি বিলালের বন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না?' আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন মেয়েটি বললেন, 'বিলাল আপনার খুব তারিফ করে। বলে, আপনি খুব বুঝদার মানুষ। মানুষের দুঃখ বোঝেন। আমি নাফিসা উমর।

উপলব্ধি

ছবি
  এক মনে আছে? সিরিয়ার সেই তিন বছরের ছেলেটির কথা বোমায় ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে মরে যাবার আগে যে বলেছিল- ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দেব’ সে হয়তো আল্লাহকে সব বলে দিয়েছে। হয়তো বলে দিয়েছে – আমাদের পৈশাচিকতার কথা; আমাদের লোভের কথা;আমাদের অসভ্যতার কথা; আমাদের নির্যাতনের কথা।আমরা মানুষ মেরেছি হাজারে হাজার,আমরা একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য। মারণাস্ত্র বানিয়েছি লক্ষ-কোটি, মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোর জন্য, তৈরি করেছি নানা গোপন অস্ত্র। সে হয়তো আল্লাহকে সব বলে দিয়েছে। বলেছে সেই পাখিটির কথা, যে আর আকাশে ওড়ে না; বলেছে সেই আকাশের কথা, যে একদিন নীল ছিল; বলেছে সেই বাতাসের কথা, যে একদিন নির্মল ছিল;বলেছে সেই পৃথিবীর কথা, যে একদিন সবার ছিল। সাগরপাড়ে পরে থাকা আ্যালান কুর্দি,কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা ফেলানি, হয়তো সব বলে দিয়েছে আল্লাহকে। আল্লাহ তার পৃথিবী ফেরত চেয়েছেন এবার। তিনি হয়তো শুনেছেন সব অভিযোগ।তিনি হয়তো শুনেছেন প্রকৃতির আর্তনাদ। তিনি হয়তো শুনেছেন সেই পাখিটির কান্না।করোনাক্রান্ত বিশ্ববাসীর আতঙ্কিত ও ভীত বিহ্বল চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, ও সত্যি সত্যি আল্লাহকে সব বলে দিয়েছে। মর্ত্যবাসীর মনে একটি ধারণা জন্মে গিয়েছিল যে, গণম

২৫ বছরে যুদ্ধে ১কোটি ২৫ লাখ মুসলিম নিহত!

ছবি
শুধুমাত্র গত আড়াই দশকে বিভিন্ন যুদ্ধে অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মুসলিম নিহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন তুরস্কের বিশিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞ ড. রফিক তুরান। ২০২০ সালে তুরস্কের ইস্তান্বুলে আন্তর্জাতিক ইতিহাস বিষয়ক এক কনফারেন্সে তিনি বলেন,শেষ ২৫ বছরের খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে কমপক্ষে ১কোটি ২৫ লাখ মুসলিম নিহত হয়েছেন। বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ সাধারণত যুদ্ধমান দুটো দেশের মধ্যেই হয়। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে ক্ষমতা দখলের লড়াই তীব্র হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। যকে গৃহযুদ্ধ বলা হয়।এই পরিসংখ্যানে শুধুমাত্র যুদ্ধের হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। দেশে দেশের নির্যাতিত বা নিহত মুসলিমদের সংখ্যা আনা হয়নি।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন তো বন্ধ হচ্ছেই না বরণ ষড়যন্ত করে নিজের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়াসহ বিশ্বের নানা দেশে মুসলিমদের মোকাবিলা হচ্ছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। প্রতিদিন কোথাও না কোথায় মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এদিকে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক গিডেয়ন পোলিয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দ

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ও মাহাথির মুহাম্মদের মূল্যায়ন

ছবি
  আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মুহাম্মাদ বড় আফসোস করে বলেছেন, মুসলমানদের তো এমন শক্তি অর্জন করার কথা ছিল, বিশ্বের কোথাও মুসলমানের দিকে অন্যায়ভাবে কেউ চোখ তুলে তাকানো মাত্রই পুরোবিশ্বে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ঝড় উঠবে- কেনো আমার ভাইয়ের দিকে চোখ তুলে তাকানো হলো। অথচ পাখির মতো মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, প্রতিরোধ তো দূরের কথা মৌখিক নিন্দাও জানায় না মুসলিম বিশ্বের রাজা-বাদশাহরা। আর একশ্রেণীর মুসলমান আছে, যারা বলে, বদরে রাসূল (সা:) দোয়ার ফলে বিজয়ী হয়েছেন। আমরাও খানকা আর মসিজদে বসে বসে তাসবিহ গুনে গুনে বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানের মুক্তি নিশ্চিত করব। এদের সম্পর্কে মাহাথির মুহাম্মাদ বলেন, এমন মূর্খের মতো কোনো মুসলমান চিন্তা করতে পারে, তা ভাবতেও লজ্জা লাগে। তারা কি দেখে না নবীজী দোয়া করে যেমন চোখ ভিজিয়েছেন, তেমনি যুদ্ধ করেও শরীর রাঙিয়েছেন। শুধু দোয়া করলেই যদি সব হতো, তাহলে বদরের ময়দানে ১৩ জন সাহাবি শহীদ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। ইসলাম সম্পর্কে “এ নিউ ডিল ফর এশিয়া” গ্রন্থে মাহাথির বলেন, ” ইসলাম ধর্ম আমাদের জীবনের অংশ। একে পরিত্যাগ করার কোন কারণ নেই। সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা হলে ধর্ম কখনই অর্থনৈতিক

নারীর প্রলোভন ও সাইয়েদ কুতুবের ঈমানী পরীক্ষা

ছবি
মো. আবু রায়হান নীল নদের দেশ মিসর, ফেরাউনের দেশ মিসর, পিরামিডের দেশ মিসর, জামাল নাসেরের দেশ মিসর, হাসানুল বান্নার দেশও মিসর। সেই মিসরে জন্মগ্রহণ করেছেন তাফসীর ফি যিলালিল কোরআনের লেখক সাইয়েদ কুতুব শহীদ (১৯০৬ - ১৯৬৬)। মিসরের ইতিহাস পাঠ করলে ফেরাউনের অত্যাচারের লোমহর্ষক ঘটনাবলী সবার মনে আজও মনের অজান্তে ভেসে ওঠে। ফেরাউনের মুখোশ মানুষের সামনে উন্মোচন করে দেওয়ার জন্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত মুসা (আঃ) কে পাঠিয়েছিলেন। মিসরের ইতিহাসে ফেরাউনের পরে অনেক নব্য ফেরাউন জন্মগ্রহণ করেছেন। তাদেরই একজন ছিলেন জামাল আবদুল নাসের। যিনি মিসরের জালেম-শাহী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জামাল আবদুল নাসের অন্যায় অত্যাচার জুলুম জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল্লামা সাইয়েদ কুতুব শহীদকে ইসলামের জন্য নির্বাচিত করে পাঠিয়েছিলেন। আল্লামা সাইয়েদ কুতুব শহীদ ১৯০৬ সালে মিসরের উসউত জেলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান ব্যক্তির বংশীয় উপাধি হচ্ছে কুতুব।তিনি ছিলেন মিশরীয় ইসলামী চিন্তাবিদ এবং বিপ্লবী রাজনৈতিক সংগঠক। সাইয়েদ কুতুব মিশরের ইসলামী আন্দোলনের প্রধান সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলের মুখপত্র ইখওয়ানুল ম

হযরত মুসার বিরুদ্ধে নারী লেলিয়ে দেয়া কারুনের করুণ পরিণতি

ছবি
মো. আবু রায়হান হযরত মুসা (আ)'র সমসাময়িক বনী ইসরাইলীদের মধ্যে কারুন নামে ধনাঢ্য ব্যাক্তি ছিল।কারুন সম্পর্কে হযরত মুসা (আ) এর চাচাতো ভাই ছিল।ইবন ইসহাক (রহ) তাকে মুসা (আ)-এর চাচা বলে মনে করেন। কিন্তু জুরাইজ (র) তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷কাতাদা (র) বলেছেন, সুমধুর কণ্ঠে তাওরাত পাঠের জন্যে তাকে নুর বলে আখ্যায়িত করা হতো। তার কাছে প্রচুর স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরা ছিল। সম্পদের নেশায় সে মানুষকে, নীচ মনে করত৷ অতঃপর তার ধন সম্পদের কারণে তার দাম্ভিকতা তাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শাহর ইবন হাওশ (র) বলেন, নিজ সম্প্রদায়ের উপর গর্ব করার উদ্দেশ্যে কারুন তার পবিধেয় কাপড়ের দৈর্ঘ এক বিঘত লম্বা করে দিয়েছিল ৷তার নিজ সম্প্রদায় বানী ইসরাইলের উপর যুলুম এই ছিল যে, সে ধন-সম্পদের আধিক্য-গর্বে তাদেরকে তুচ্ছজ্ঞান করত। আবার কেউ কেউ বলেন, সে ফেরআউনের পক্ষ থেকে বানী ইসরাইলের উপর গভর্নর নিযুক্ত ছিল এবং সে তাদের উপর অত্যাচার করত। আল্লাহ্ তাআলা কারুনের প্রচুর সম্পদের কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন। তার চাবিগুলো শক্তিশালী লোকদের একটি দলের জন্যে কষ্টকর বোঝা হয়ে যেতে৷কেউ কেউ বলেন, এ চাবিগুলে ছিল চামড়ার তৈরি।বলা হয়ে থাকে কারুনের স

ইসলামে ন্যায় বিচারের অনুপম দৃষ্টান্ত

ছবি
মো. আবু রায়হান মানবজীবনে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অত্যধিক।সভ্য সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো বিকল্প নেই। সুবিচারপ্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার এবং ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম। এটি ফরজ ইবাদত। ন্যায়বিচার ব্যতীত কোনো সমাজ মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে টিকে থাকতে পারে না। একটি সমাজকে সত্যিকারার্থে মানব সমাজ বলা যায় না, যদি না তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত থাকে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান- এগুলো আমরা মৌলিক অধিকার বলি। কিন্তু ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি এসব অধিকারকে মূল্যহীন করে তোলে। আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়া না গেলে অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে না। অর্থাৎ মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকতে হলে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হচ্ছে ন্যায়বিচার। কোনো একটি মামলায় একটি অন্যায় বিচার মানে এক বা একাধিক নিরপরাধ ব্যক্তির ফেঁসে যাওয়া এবং সঙ্গে সঙ্গে এক বা একাধিক অপরাধীর অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়া! এর কুফল হচ্ছে, সমাজে অপরাধ ও অপরাধীর সংখ্যা বাড়তে থাকা এবং ভালো লোকের সংখ্যা কমে যাওয়া। এ রকম অপরাধপ্রবণ সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এখানে কেউ নিরাপদ

মুফতি ইব্রাহিমের তুঘলকি বক্তব্য ও বাস্তবতা

ছবি
মো. আবু রায়হান হঠাৎ নতুন করে আলোচনায় মুফতি কাজী ইব্রাহিম। নতুন মহাদেশ, করোনা ভাইরাস, ভ্যাকসিন কিংবা রক্তের গ্রুপ- ইতালির মামুনের স্বপ্নসহ নানা বিষয়ে এই ইসলামি বক্তার দেয়া অভিনব তত্ত্ব ও তথ্য নিয়ে বিগত এক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলেছে আলোচনা, সমালোচনা ও হাস্যরস। হাদিসবিদ্যায় গভীর পান্ডিত্যের কারণে কাজী ইব্রাহীমকে বিজ্ঞ হিসেবে গণ্য করেন বিশিষ্ট আলেমরা। কিন্তু তার বিতর্কিত বক্তব্যে বিব্রত হয়েছিলেন তারা। কেউ-কেউ মনে করেন, ব্যক্তিজীবনে নানা সমস্যার কারণে হয়তো অসংলগ্ন কথা বলছেন তিনি। কিন্তু, নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন মুফতি ইব্রাহীম। গত বছর ইতালি প্রবাসী মামুন মারুফ নামের এক বাংলাদেশীর স্বপ্ন তিনি ব্যাখ্যা করেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে মুফতি কাজী ইব্রাহিম মামুনের কাছে যা শুনেছেন সেই স্বপ্নটি কাজী ইব্রাহিম সাহেবের কাছে গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয়েছিল।সেই সময় এই স্বপ্ন অনেক হেসে উড়ে দিলেও স্বপ্নের কিছু দিক বর্তমানে মিলে যাওয়ায় অনেকে তার বক্তব্য গুরুত্ব দিতে শুরু করছেন। স্বপ্নের অংশ বিশেষ। তোমরা কতদিন অবস্থান করবে ? করোনা উত্তর দিলো : আমরা আসছি আবার চলে যাবো এমন না আমরা এখান থেকে নর্থ ও সাউথ আমের

হারেম / উপপত্নী / রক্ষিতা

ছবি
  মো. আবু রায়হান হারেম, হারিম, হেরেম একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অন্তঃপুর, অন্দরমহল,অলঙ্ঘনীয় সীমারেখা, জেনানামহল, নিষিদ্ধ বা পবিত্র স্থান। হারেম হচ্ছে নারীদের জন্য নির্ধারিত পবিত্র স্থান যেখানে রাজা বা রাজপুত্র ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। Properly refers to domestic spaces that are reserved for the women of the house in a Muslim family.হারেমে অবস্থান করতেন রাজা, সুলতান বা সম্রাটের স্ত্রীরা, উপপত্নীরা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র, অবিবাহিত কন্যা, মহিলা আত্মীয় এবং দাসীরা। এছাড়া হারেমে রাজা বা রাজপুত্রদের বিনোদনের জন্য থাকত শত শত, হাজার হাজার যুবতী নারীরা। যে রাজা যত বেশি অভিজাত, ক্ষমতাশালী ও অর্থবিত্তের অধিকারী তার হারেমে নারীর সংখ্যাও তত বেশি থাকত।হারেম প্রথা সব আমলেই ছিল এমনকি প্রাচীন আমলেও। তবে মুঘল আমলে ও অটোমান আমলে তা বিকশিত হয়। মুঘল হারেমে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার নারীর অবস্থান ছিল। সুলতানি আমলেও এর সংখ্যা কম ছিল না। কথিত আছে, বাংলার সুলতান সিকান্দার শাহের হারেমে ১০ হাজার নারী ছিল। রাজা বা সুলতানের মা ছিলেন হারেমের প্রধান। তাকে বলা হতো ভালিদা সুলতান (সুলতানের মা)। তারপরে ছ

ধর্মকে ঢাল হিসেবে আর কত ব্যবহার করবেন ?

  মো. আবু রায়হান চুরি, ডাকাতি, ঘুষ খেয়ে ধরা পড়লে সাফাই গাই লোকটা ভালো ছিল। লোকটা তাহাজ্জুদ গুজারি ছিল। এসব ভন্ডামি বাদ দেন। মানুষের সহমর্মিতা পাবার অনেক উপায় আছে ধর্মের মোড়কে অসৎ কে সৎ বানাবেন না। যে প্রকৃত নামাজি সে কখনো বেগানা নারী পুরুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারে না। যেনা ব্যাভিচার চুরি ডাকাতি করতে পারে না।নামাজ বান্দাকে সকল প্রকার অশ্লীলতা, পাপাচার, প্রবৃত্তিপূজা, ক্ষণস্থায়ী ভোগ-বিলাসের অন্ধ মোহ থেকে মুক্ত করে পূত-পবিত্র ও উন্নত এক আদর্শ জীবনের অধিকারী বানিয়ে দেয়। বিকশিত করে তোলে তার ভেতরের সকল সুকুমারবৃত্তি। তার জন্য খুলে দেয় চিরস্থায়ী জান্নাতের সুপ্রশস্ত দুয়ার।আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত আয়াত -৪৫)। যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন তারা আল্লাহর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। নামাজ আর অপকর্ম এক সঙ্গে চলতে পারে না। নামাজ পড়েন অসৎ কাজও করেন তাহলে মনে করতে হবে আপনার জীবনে নামাজের মূল চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নামাজ লোক দেখানো বা বলে বেড়ানোর জিনিস নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অতএব দুর্ভোগ সে সব নামাজিদের জন্য; যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর

রোজার শারীরিক উপকার

  রমজানের রোজার ধর্মীয় গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। ধর্মীয় গুরুত্ব বাদেও শারীরিক ক্ষেত্রে রোজার রয়েছে বেশ প্রভাব ও উপকার। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘজীবন লাভের জন্য খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন বেশি নয়; বরং পরিমিত খাওয়াটাই দীর্ঘজীবন লাভের চাবিকাঠি।বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণার যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন, মানুষের সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে রোজার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।বছরে এক মাস রোজা রাখার ফলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। এটা অনেকটা শিল্পকারখানার মতো। আধুনিক পৃথিবীতে রোজার প্রতি চেতনা সৃষ্টি করার পেছনে ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত একটি বই অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। বিখ্যাত জার্মান চিকিৎসাবিদ Hellmut Luetzner এর The secret of successful fasting অর্থাৎ ‘উপবাসের গোপন রহস্য’ বইটি। বইটিতে লেখক মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন ও কার্যপ্রণালি বিশ্লেষণ করে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে বছরে কতিপয় দিন উপবাসের অভ্যাসের কথা বলেছেন। তার মতে, উপবাস খাবারের উপাদান থেকে সারা বছর শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন), চর্বি ও আবর্জনা থেকে মুক্তি দান করে।শরীরের জমে থাকা বিষগুলো রমজানে নির্গত হয়

হিজরি সন থেকে যেভাবে বাংলা সনের উৎপত্তি হলো এবং কিভাবে ইংরেজি থেকে বাংলা সন বের করবেন?

  সন আরবি শব্দ। অর্থ হলো অব্দ বা বর্ষ বা বর্ষপুঞ্জ। আবার সনকে সাল বলা হয়। সাল ফার্সি শব্দ। ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন আকবর। তিনি প্রায় অর্ধ শতাব্দী ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেন।উল্লেখ্য, আকবরের রাজত্বকাল ছিল ১৫৫৬-১৬০৫ সাল পর্যন্ত। সম্রাট আকবর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে কতিপয় ‘ফসলি সাল’ প্রবর্তন করেন। বাংলা বর্ষ সম্রাট আকবর প্রবর্তিত সেই সব ফসলি সালের একটি। সেই সময় থেকে এ দেশের মানুষ চাষাবাদ, খাজনা পরিশোধ, সংবছরের হিসাব-নিকাশ সব কিছুতেই বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে থাকে, যেটা মুঘল শাসন আমল সম্রাট বাবর থেকে শুরু করে বাহাদুর শাহ জাফর তারপর ব্রিটিশ আমল ও পাকিস্তান শাসনামল পার হয়ে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বাংলা সন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা:)-এর সময়কালে হজরত আলী (রা:)-এর প্রস্তাবে মহানবী (সা:)-এর হিজরতের দিন থেকে হিজরি সন গণনা শুরু হয়। সেটি ছিল ৬২২ সালের ১৬ জুলাই। হজরত ওমর (রা) ৬৩৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সনের প্রবর্তন করেন। বছরটি ছিল ১৭ হিজরি।হিজরি সন থেকেই সূচনা হয় বাংলা সনের। এর আগ

সেদিন অনুশোচনা কোনো কাজে দেবে না!

  হায়! আমরা যদি আরেকবার (দুনিয়ায়) ফিরে যেতে পারতাম এবং মুমিনদের অন্তর্ভূক্ত হতাম! (সুরা শুআরা আয়াত -১০২) কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসী ব্যক্তিরা এই পৃথিবীতে গোনাহগার ও অপরাধী ব্যক্তিদের অনুসরণের জন্য অনুতাপ করবে এবং জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করবে। জাহান্নামীরা প্রচণ্ড অনুশোচনায় আরেকবার পৃথিবীতে ফিরে আসার আকুতি জানাবে। তারা বলবে, আরেকবার দুনিয়ায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলে তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। তারা বলবে, আজ আমরা উপলব্ধি করছি যে, দুনিয়াতে আমরা ভুল করেছিলাম যার কারণে আজ এই দুর্বিষহ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। কিন্তু সেদিন এই অনুশোচনা কোনো কাজে আসবে না। কারণ, মৃত্যুর পর আর এই দুনিয়ায় ফিরে আসার কোনো সুযোগ থাকবে না। পবিত্র কুরআনে তাদের এই আকুতির জবাবে বলা হচ্ছে: পৃথিবীতে তাদের সৎপথে ফিরে আসার জন্য বহু নিদর্শন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে হেদায়েত পাওয়ার চেষ্টা করেনি। মহান আল্লাহ তাদেরকে ভ্রান্ত পথ থেকে সিরাতুল মুস্তাকিমে আসার জন্য গোটা জীবন সময় দিয়েছেন। কিন্তু সেই সুযোগ ও সময়ের অপব্যবহার করে তারা তাদের ভ্রান্ত পথে চলা অব্যাহত রেখেছে। কাজেই তারা আজ অনুতাপের য

জাস্টিন ট্রুডোর ইসলাম নিয়ে বক্তব্য রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

প্রিয়নবী (স) তাঁর সমসাময়িক সর্বাধিক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র দেন। তাঁর (স) পবিত্র পত্রটি সুদর্শন সাহাবি দিহইয়াতুল কালবি (রা.)-কে দিয়ে বসরার শাসকের মাধ্যমে হিরাক্লিয়াসের কাছে প্রেরণ করেছিলেন। পত্রের বিষয়বস্তু ছিল - ‘বিসমিল্লাহির রামমানির রাহিম। আল্লাহর বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদের পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস বরাবর। ন্যায়ের পথের অনুসারীদের প্রতি সালাম। অতঃপর আমি আপনাকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যদি শান্তি লাভ করতে চান, তবে ইসলামে দীক্ষিত হোন। যদি আপনি ইসলাম গ্রহণ করেন; তবে আল্লাহ্ আপনাকে দ্বিগুণ প্রতিফল দেবেন। আর যদি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনার সব প্রজা-সাধারণের ভ্রষ্টতার দায় আপনার ওপর বর্তাবে। হে আহলে কিতাবগণ। বিতর্কিত সব বিষয় স্থগিত রেখে এসো আমরা এমন এক বিষয়ে (তাওহিদ) ঐকমত্যে পৌঁছি যাতে তোমাদের ও আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। আর তা হচ্ছে- আমরা এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো ইবাদত করবো না... যদি এ বিষয়গুলো আপনি অস্বীকার করেন, তবে শুনে রাখুন যে, সব অবস্থায় আমরা আল্লাহ্র একাত্মের বিশ্বাসে অবিচল থাকবো। —মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্’ (বুখ