পোস্টগুলি

আয়া সোফিয়া জাদুঘর থেকে পুনরায় মসজিদ

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ তুরস্কের ভেতরে এবং বাইরে বহু গোষ্ঠীর জন্য আয়া সোফিয়ার ১৫০০ বছরের ইতিহাস ব্যাপক ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।১৯৩৪ সালে করা এক আইনে এই ভবনটিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আয়া সোফিয়া মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্টান্টিনোপলের (ইস্তাম্বুল) বর্তমান তুরস্কের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আয়া সোফিয়া পৃথিবীতে স্থাপত্যশিল্পের এক বিস্ময়। এখানে রোম ও তুর্কি স্থাপত্যশিল্পীরা নিজ নিজ সময়ে কীর্তির স্বাক্ষর রেখে পৃথিবীকে চমকিত করেছেন। আজও প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক স্থাপত্যশিল্পের এই বিস্ময় দেখতে আসেন।দেড় হাজার বছরের পুরনো আয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে,তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। এই স্থাপনাটি ১৯৩৪ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক যাদুঘরে রূপান্তর করেছিলেন। জাদুঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা সম্প্রতি দেশটির আদালতে এ বিষয়ে মামলা করলে রায় দেওয়ার আগে ২ জুলাই শুনানিতে আদালত পক্ষগুলোর যুক্তি শুনেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, আয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও কিছু অপ্রিয় কথন

ছবি
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। সাধারণত মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।মৌখিক পরীক্ষাভিত্তিক প্রচলিত শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির পদ্ধতিতে স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, কম মেধাসম্পন্ন প্রার্থীর নিয়োগ এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই, শিক্ষক নিয়োগের মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে, বিশেষ করে, এন্ট্রি লেভেলে, শুধু মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতি যথার্থ বিবেচিত হলে তা মানসম্মত উচ্চশিক্ষা বিস্তারে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে- এ কথা জোর দিয়ে বলা যাবে না।কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তা হুবহু এ রকম-‘শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, এতে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রার্থীর মেধা যাচাই করা সহজ হবে এবং অনিয়মের সুযোগ হ্রাস পাবে।’আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত। সরকার বা ইউজিসি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো নির্

রবীন্দ্রনাথের বিসিএস

ছবি
মো.আবু রায়হানঃরবীন্দ্রনাথ বিসিএস প্রিলি দিয়ে বের হল। গলদঘর্ম অবস্থা। পঞ্চম বারের মতো প্রিলি দিয়েছে। এর আগে একবারও প্রিলিতে পাস জুটেনি। এবারও পাস করার আশা ক্ষীণ। এতোসব কঠিন প্রশ্নের উত্তর করা যায়? এডিসনের বাবার নাম কি? উগান্ডার রাজধানীর নাম কি? টাইটানিক কবে ডুবেছিল? বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত কোন কাব্যের অন্তর্গত হাবিজাবি?পরীক্ষা শেষে বাইরে চোখ পড়তেই  বিদ্যাসাগরের সঙ্গে দেখা। তারও একই অবস্থা। বাবা মায়ের স্বপ্ন বিসিএস পুলিশ অথবা এডমিন ক্যাডার।কারণ জোড়াসাঁকোর অভিজাত পরিবার ঐতিহ্য রক্ষায় ক্ষমতা চাই। জজ,  ব্যারিস্টার মুক্তার ঢের আছে।রবীন্দ্রনাথের সমস্যা হলো সন তারিখ ও কারো বাপ মায়ের নাম সহজে মনে রাখতে না পারার কষ্ট।এছাড়া বিজ্ঞান মানসিক দক্ষতা নিয়ে প্রচন্ড ফোবিয়া।  এসব তথ্য যেন তার বুকে সাত আসমান সম ভারী অনুভূত হয়। আজকাল পড়তেও ইচ্ছে করে না।পড়তে গেলে ফেসবুক, ইন্টারনেট আসক্তি তো আছেই। ভাবে সেকি সেই বীরপুরুষ মোবাইল ব্যবহার না করেই যে ক্যাডার।এদিকে দাদা- বৌদির ঘ্যানর ঘ্যানর, চেঁচামেচি  যেন তার কানে বজ্রপাতের মতো ভয়ঙ্কর শোনায়।বৌদির  তো সকাল বিকেল নেই।  সারাদিনই তার একই কথা ওরে রবি তুকে কিন্তু বিস

দেশটা আল্লাহর রহমতে ভরপুর

দেশটা আল্লাহর রহমতে ভরপুর। রানা প্লাজায় রেশমাকে ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার এবং  লঞ্চ ডুবিতে একজনের ১৩ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার সবই অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার।এক্ষেত্রে যারা বিজ্ঞানকে মানেন না তাদের ধর্মকে মানতে হবে আবার যারা ধর্ম মানেন না তাদের বিজ্ঞান মানতেই হবে।২০১০ সালের ঘটনা আপনারা জানেন। চিলিতে ৭০০ মিটার নীচে একটানা ৬৯ দিন ৩৩ জন খনি শ্রমিক আটকে ছিলেন। ৬৯ দিন পর তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ২০১৪ সালের ঘটনা ভোলার কথা নয়। খোদ রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পরিত্যক্ত পানির পাম্পের ৩০০ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যায় চার বছরের শিশু জিহাদ।আমরা তাকে জীবিত  উদ্ধার করতে পারিনি। ৩০০ ফুট গভীর পাইপে শিশু জিহাদের অবস্থান জানতে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা পাঠান। তারা শেষমেশ জানিয়েছিলেন ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকি দেখা গেছে। কিন্তু শিশুটির কোনো শরীর দেখা যায়নি। শেষে  সাধারণ জনগণ জিহাদকে মৃত অবস্থায় পাইপ থেকে উদ্ধার করে আনে।  জলমানব খ্যাত রাজশাহীর নওশের আলীর একনাগাড়ে ৭২ ঘণ্টা পানির নীচে ডুবে থাকার বিরল রেকর্ড আছে।কিন্তু আমাদের কি সেই

আর্কিমিডিস নগ্ন গায়ে ছুটছিলেন-আসিফ তা করেননি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃকরোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি, নাকাল মানুষ।হাজার হাজার লাশের সারি। কিং কর্তব্য বিমূঢ় সারা বিশ্ব। ক্ষুদ্র আদেখা করোনা ভাইরাসের কাছে মানুষ আজ অসহায়।জানা নেই প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেও তা ওই পর্যন্ত। এরমধ্যে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কোম্পানি ও বিজ্ঞানীরা করোনা রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। তারা অনেকটা সফল ও অনেক দূর এগিয়েছেন। একথা জানাতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। কেন কাঁদবেন না? এ ভাইরাস কতজনের জীবন স্বপ্ন, কর্ম, প্রেম কেড়ে নিয়েছে। বিরহ বাড়িয়েছে। অনাহার, অর্ধাহারে ভীষণ কষ্ট সইছেন। এ ভ্যাকসিন তাদের ভবিষ্যতে বেঁচে থাকার স্বপ্নটুকু জিইয়ে রাখবে। আমাদের মন খুবই নরম, আমাদের আবেগ, উচ্ছ্বাস অনেক বেশি। আমরা অল্পতে অনেক খুশি।তাইতো আনন্দটাও বেশি উপভোগ করি। আসিফ মাহমুদের কান্নায় রয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসার স্ফুরণ। বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীর কিছু আবিষ্কারের পর উদযাপনে তাদের পরিবেশটাই ছিল আলাদা। আমাদের উদযাপন ছিল প্রেম, ভালোবাসা ও দা

চাচার পুঁথি দেখভালের জন্য আহমদ শরীফ ঢাবিতে চাকরি পান

ছবি
আহমদ শরীফ একজন ভাষাবিদ, খ্যাতনামা মনীষী এবং বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতি পরিমণ্ডলের অন্যতম প্রতিভূ। কলেজ অধ্যাপনা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। সেইসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের মুসলমানদের মধ্যে প্রথম এন্ট্রাস পাস করা এবং বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি বলে খ্যাত আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন তার চাচা ও পিতৃপ্রতিম। জন্মের পর হতে আহমদ শরীফ সাহিত্যবিশারদ ও তার স্ত্রীর কাছে পুত্র স্নেহে লালিত-পালিত হয়েছেন।ফলত অনেকের কাছেই তিনি সাহিত্য বিশারদের সন্তান হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।তাদের পিতা-পুত্রের এ সম্পর্ক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় ছিল। ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম ড. আহমদ শরীফের।বেড়ে উঠেছিলেন সাহিত্যবিশারদের সংগৃহীত একরাশ পুঁথি ও সাহিত্য সাময়িকীর মধ্যে। ১৯৪০ সালে আইএ এবং ১৯৪২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর এমএতে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৪৪ সালে বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করে প্রথমে দুর্নীতি দমন বিভাগে চাকরি নিল

ঢাবির যে উপাচার্যের নাম তালিকায় নেই

ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ৯৯ বছরে ২৯ জন উপাচার্য নিযুক্ত হলেও ২৮ জন উপাচার্যের নামের তালিকা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইনের নাম নেই।মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা এবং রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদ দেওয়ার কারণে তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন মাগুরা জেলার আলোকদিয়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ খ্রীস্টাব্দের ১৪ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। নিজস্ব মেধার কারণেই সেই সময়কালের পশ্চাৎপদ মুসলমান সমাজের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের লেখাপড়া কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ. ক্লাসের ছাত্র তখনই ঢাকায় গঠিত পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠিত হয় এবং তিনি এর চেয়্যারম্যান-এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪২ খ্রীস্টাব্দে ইংরেজিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়ে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের ১৪ আগস্ট পাকিস্তা

খ্যাতিমান কবি সাহিত্যিক ঢাবিতে অনার্স শেষ করতে পারেননি

ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনেক খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক অনার্স শেষ করেননি কিংবা করতে পারেননি। সে হিসেবে তাদেরও কেউ ঢাবি থেকে সনদপত্রও পাননি। তাদের মধ্যে রয়েছেন- শামসুর রাহমান, আবুল হাসান, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, ও আহমদ ছফা- শামসুর রাহমান শামসুর রাহমান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন নাগরিক কবি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়।তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে লিখতেন। শামসুর রাহমান ১৯৪৫ সালে পুরনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাস করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মূল পরীক্ষা দেননি। ১৯৫৩ সালে পাস কোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। আবুল হাসান আবুল হাসান একজন আধু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরের বিস্মৃত ইতিহাস

ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এবং সেখানে যাদের আসা যাওয়া আছে তাদের কাছে মল চত্বর পরিচিত একটি জায়গা। চারিদিকে সারি সারি গাছ ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ। সবার ভালো লাগার একটি জায়গা। ঢাবির কলা ভবন ও রেজিস্টার বিল্ডিং তথা প্রশাসনিক ভবনের মাঝের অংশটুকু মল চত্বর হিসেবে পরিচিত।মল চত্বরের নামকরণ নিয়ে আছে উদ্ভট যতসব গল্প। কেউ কেউ মনে করে ময়লা-আবর্জনা রাখার কারণে এই জায়গার নাম মল চত্বর, আবার কেউ কেউ মনে করে প্রচুর পশু পক্ষীর মলত্যাগের কারণেই এই চত্বরের নাম মল চত্বর হয়েছে । এমন আরো অনেক উদ্ভট গল্প প্রচলিত রয়েছে, তবে নামকরণের মূল ইতিহাস একেবারেই ভিন্ন যা অনেকেরই অজানা। আন্দ্রো মালরো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ইউরোপে বাংলাদেশের বড় শুভাকাঙ্ক্ষী ফরাসি দার্শনিক,ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ,শিল্পকলা তাত্ত্বিক সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আন্দ্রো মালরোর ( ১৯০১–১৯৭৬)  নামে। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে যে জাতি “না” বলতে পারে, তাদের পক্ষ নেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।’ তাই তো ৭০ বছর বয়সেও অসমসাহসিকতায় তিনি যোগ দিতে চাইলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে।বাংলাদেশে এসে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার আ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকাল -একাল

ছবি
দেশের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯৯তম বছর শেষ করে আজ ১লা জুলাই শতবর্ষে পদার্পণ করল।১৯২১ সালের ১লা জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা ও গবেষণা, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১লা জুলাই ২০২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে স্বল্প পরিসরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালন করা হচ্ছে।প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভ, পবিত্র এই দিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি আমাদের পূর্বসূরীদের অমর স্মৃতির প্রতি, যাদের দৃঢ় প্রয়াসে ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে প্রিয় খ্যাতিমান এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ১৯১২ সালের ২৭ মে বঙ্গীয় সরকার কর্তৃক গঠিত হয় নাথান কমিশন। তেরো সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আর. নাথানিয়েল, বার-অ্যাট-ল।বাম থেকে (বসা) বাংলার গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক জি.ডব্লিউ কুচলু, কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট রাসবিহারী ঘোষ, রবার্ট নাথান, নওয়াব সৈয়দ নবা