পোস্টগুলি

কুরআন নাযিলের মাস মাহে রমজানে আজ এক কলংকের দিন

১৯৮৫ সালের ১২ এপ্রিল ভারতের দুইজন উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী নাগরিক পদ্মপল চোপরা ও শীতল সিং কোরআনের সকল আরবি কপি ও অনুবাদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করে। রীটে বলা হয়, কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে যেখানে কাফির ও মুশরিকদের হত্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রেরণা দেয়া হয়েছে, তাই এই গ্রন্থ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্ম দিতে পারে। মিসেস পদ্মা খাস্তগীর এই মামলা গ্রহণ করে এ বিষয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেয়। তারা কুরআনের উল্লেখিত সূরা বাকারার ১৯১নং আয়াত ও সূরা তওবার ৩১ নং আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। সুরা বাকারা ১৯১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন - " আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্ গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি

রোজার উপকারিতা, রোজাদারের করণীয় ও বর্জনীয় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ মাহে রমজান সমাগত ।বছর ঘুরে আবার আমাদের দ্বারে হাজির হয়েছে পুণ্যময় এই মাস।রোজাদার যাবতীয় কটু বাক্য, ঝগড়া-ঝাটি, খারাপ আচরণ, মানুষ ঠকানো, ঘুষ-দূর্ণীতি, চুরি, পরনিন্দাসহ সকল প্রকার রিপুর তাড়নামুক্ত থাকার চেষ্টা করে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, "পাঁচটি বিষয় রোজাদারের রোজা বিনষ্ট করে দেয়- মিথ্যা বলা, কুটনামি করা, পশ্চাতে পরনিন্দা করা, মিথ্যা শপথ করা এবং খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো।"  হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)  ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা-প্রতারণা ও গোনাহের কাজ ত্যাগ করে না আল্লাহ তায়ালার নিকট তার পানাহার থেকে বিরত থাকার কোনো মূল্য নেই।’ (বোখারি)। রাসুল (সা.) আরো বলেছেন, "রোজার দিনে কেউ তোমার সঙ্গে ইচ্ছে করে ঝগড়া করতে উদ্দ্যত হলে অথবা গালমন্দ করলে তাকে দুবার বলো আমি রোজাদার"(বোখারি শরীফ)। রোজার কিছু  মর্যাদা ও উপকারিতা রয়েছে -যেমন, ১) জাহান্নাম  থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল ২) জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ ৩) গুনাহ  মোচনের অন্যতম মাধ্যম ৪)  রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্ত

রোজাদারের জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার

ছবি
রোজার রাখা হয় আল্লাহর জন্য এবং এর পুরস্কার তিনি নিজে দেবেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে, যখন সে আনন্দিত হবে। এক. যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারের কারণে আনন্দ পায়। দুই. যখন সে তার রবের সঙ্গে মিলিত হবে তখন তার রোজার কারণে আনন্দিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যখন সে আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে, আর তিনি তাকে পুরস্কার দেবেন, তখন সে আনন্দিত হবে। (বুখারি-১৯০৪, ১৮৯৪; মুসলিম -১১৫১)    হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয় একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’ (মুসলিম - ১১৫১; ইবনে মাজা - ১৬৩৮)। আল কুরআনের সূরা আন-আম এর ১৬০ নং আয়াতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে , ‘কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশগুণ পাবে।’  সূরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াতে যেমন উল্লেখ

চীনের উইঘুর মুসলমানদের রোজা রাখতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা।

বছর ঘুরে মুসলিম বিশ্বে এসেছে মাহে রমজান। এ রমজান মুসলমানদের জন্য বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা রাখতে পারলেও চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমরা রমজান মাসে রোজা রাখতে পারছে না। জিনজিয়াং চীনের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। এবং একই সাথে এই অঞ্চল চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। এর সীমান্তের ওপাশে আছে আরো কয়েকটি দেশ- ভারত, আফগানিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া। মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী। বর্তমানে উইঘুররা মূলত চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাস করে। উইঘুররা এই অঞ্চলের সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬টি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অন্যতম। এখানকার ৮০% উইঘুর অঞ্চলের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে তারিম বেসিনে বসবাস করে।জিনজিয়াং এর বাইরে উইঘুরদের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় দক্ষিণ মধ্য হুনান প্রদেশে রয়েছে।চীনের বাইরে মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র যেমন কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উইঘুর বাস করে। উইঘুরদের বেশিরভাগই মুসলিম। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে তাদের  সংখ্যা প্রায় এক কোটি দশ লাখ। নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে মধ্য এশীয়র লোকজনের কাছাকাছি বলে মনে

রমজানে যারা গুনাহ মাফ করে নিতে পারেন না তাদের জন্য জিবরাঈলের ধবংস কামনা ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আমিন!!

মো. আবু রায়হানঃতায়েফে রাসুল (সা) যখন তাওহীদের বাণী প্রচার করতে গেলেন তখন তায়েফবাসী পাথর মেরে রাসুলুল্লাহ  (সাঃ) কে রক্তাক্ত করে দিলেন। হযরত জিবরাঈল (আ:) এসে দুপাহাড়কে একত্রিত করে তায়েফবাসীকে ধংস করে দেয়ার অনুমতি চাইলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, "হে আল্লাহ, তাদেরকে হেদায়েত দান করুন"। দেয়ার নবী শত নির্যাতনের মুখেও তায়েফবাসীর প্রতি দয়া দেখালেন, তাদের জন্য ধবংস কামনা করলেন না। সেই নবীজির আরেকটি হাদিসে আসুন দেখি। কি বললেন তিনি? হাদিস শরীফে এসেছে , নবী কারিম (সা) মিম্বারে উঠে আমিন, আমিন, আমিন বললেন। সাহাবিরা বললেন হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো এরূপ কখনো করেননি। তখন নবী কারিম (সা)বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম আমিন।অতপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম আমিন। হজরত জিবরাইল (আ.) আবারও বলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হলো অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ল না। আমি বললাম আমিন। (সহী ইবনে হিব্বান,৯০৮; আল-আদাবু

গীবত রোজা নষ্ট করে।।। গীবতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি

ছবি
শয়তান মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্টের যত হাতিয়ার ব্যবহার করেন তারমধ্যে জঘন্যতম হাতিয়ার হলো গীবত। এ গীবত মানুষকে নিকৃষ্টতম প্রাণীতে পরিণত করে। তাই তো মহান আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে এই নিকৃষ্ট স্বভাব থেকে বিরত থাকার তাগিদ দিয়েছেন। গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, পিছে সমালোচনা করা ইত্যাদি। পরিভাষায় গীবত বলা হয় ‘তোমার কোনো ভাইয়ের পেছনে তার এমন দোষের কথা উল্লেখ করা যা সে গোপন রেখেছে অথবা যার উল্লেখ সে অপছন্দ করে ।’ (মু’জামুল ওয়াসিত)। গীবতের সবচেয়ে ভালো ধারণা পায় নিম্নোক্ত হাদিস থেকে -হযরত আবু হুরায়রা( রা.) থেকে বর্ণিত,   রাসূল (সা.) -  বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর  রাসূল (সা.) - , আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে  রাসূল (সা.) - বললেন, তুমি

ব্লগারদের নিয়ে কেন এতো ভয়?

সাধারণত ব্লগে যারা লেখেন তাদের ব্লগার বলা হয়। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্ভব পরবর্তীতে এ আন্দোলনের সাথে জড়িত কথিত মুক্তমনা ব্লগারদের আল্লাহ রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে  কটাক্ষ ও কটুক্তি করে ব্লগে লেখার অভিযোগে কয়েকজন ব্লগারকে জঙ্গিরা হত্যা করে। এরপর থেকে সাধারণ জনমনে ব্লগারদের  নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় ও তাদের ব্যাপারে মনে ভীতি  তৈরী হয়। তখন থেকে ব্লগার মানেই নাস্তিক ও খারাপ এ ধরনের চিন্তা অনেকের মনেই বাসা বাঁধে। রিয়েল ফ্যক্ট হলো প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিক আছে। ব্লগ হচ্ছে আপনার চিন্তা চেতনা প্রকাশের মুক্ত প্লাট ফরম। এখানে যেমন একজন ধর্ম বিরোধী তাদের যুক্তিতে যৌক্তিক লেখা লিখতে পারে তেমনিভাবে একজন আস্তিক ধর্মভীরু নিজের ধর্মের চিন্তা ধারা যৌক্তিকভাবে ব্লগে উপস্থাপন করতে পারে। মনে রাখতে হবে ব্লগার মানেই নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধী না। এখানে অনেকেই ধর্মীয় লেখা লিখে থাকে। আপনার হাতে থাকা একটা নাইফ দিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে আপেল কেটে খেয়ে নাইফের সঠিক ইউজ করতে পারেন। আবার এ নাইফ কোন দুষ্ট চক্রের হাতে পড়লে সে নাইফ কারো পেটে বসিয়ে দিতে পারে। তেমনি এ প্রযুক্তির আশির্বাদ ও অভিশাপ আছে।  ইতিবাচ

তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান, তাকওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

ছবি
মো. আব রায়হানঃ পবিত্র মাহে রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের প্রশিক্ষণ বছরের বাকি দিনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।উঁচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো নির্বিশেষে যে কোন মুসলিম নারী পুরুষ তাকওয়া অবলম্বন করে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক তথা সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করেন, তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে মু্ত্তাকী নামে পরিচিত। আল্লাহ বলেন - " হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"(সুরা বাকারা আয়াত-১৮৩ )। আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’ (সুরা হুজরাত -১০)। মুসলমানদের জন্য তাকওয়া অর্জন গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করায় হলো তাকওয়া। গোপনে প্রকাশে যা করছি আল্ল

খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়ার বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর হুশিয়ারি

ছবি
মো আবু. রায়হানঃ খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়া একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। একদিকে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা অন্যদিকে খাদ্যে ভেজাল জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলছে। খাদ্য বেশিদিন সতেজ ও সংরক্ষণ করার জন্য ফরমালিন ও বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে এসব করলেও কর্তৃপক্ষ যেন নিশ্চুপ। এসব খাদ্য খেয়ে জনগণ হচ্ছে অসুস্থ ও বিভিন্ন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত। কিছু ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রির সময় হরদম মিথ্যা কথা বলে ও কসম করে দ্রব্য বিক্রি করে যা ঠিক নয়। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সব ব্যবসায়ীকে মিথ্যা কসম বর্জন করতে হবে। খাঁটি মাল বলে বিক্রি করে আদৌও খাঁটি কিনা সেটা বিক্রেতা খাঁটি বলে চালিয়ে দেয়। আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ তাদের চুক্তি ভঙ্গ করার ঐচ্ছিকতা থাকবে। যদি তারা উভয়েই সততা অবলম্বন করে ও পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে, তাহলে তাদের পারস্পরিক এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং পণ্যের দোষ গোপন করে, তাহলে তাদের এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত শ

তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা, জামাতে আদায় ও ফজিলত প্রসঙ্গে

ছবি
#মো. আবু রায়হান রমযানে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। তারাবীহ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদাহ, আদায় না করলে অবশ্যই গুনাহ হবে।সুন্নত ভেবে গড়িমসি করে তারাবীর নামাজ ত্যাগ করা উচিত নয়। অনেক আলেম ওলামা তারাবীকে ওয়াজিবের কাছাকাছি বলার চেষ্টা করেছেন।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনো আট রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণবশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না। কেননা, তিনি কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা উম্মতের জন্য ওয়াজিব তথা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ করুণা দৃষ্টির কারণে তিনি তাঁর আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবিহ জামাত হতে দেননি। যার দরুন সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়; তবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত।  তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে।তারাবীর নামাজের রাকাত সংখ্যা ২০ বলেন ইমাম  হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ।মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবীহ পড়েন। ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ হওয়ার সপক্ষে দল

তারাবিহ নামাজের নিয়ত দোয়া ও মুনাজাত

ছবি
রমজান মাসে মুসলিমরা এশার নামাজের পর অতিরিক্ত ২ রাকাত করে যে নামাজ আদায় করে থাকেন তা তারাবীর নামাজ নামে পরিচিত।অর্থাৎ দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।তারাবিহ আরবি শব্দ এর একবচন 'তারবীহাতুন। তারাবি নামাজের নিয়ত نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر. উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ: আমি ক্বিবলামুখি হয়ে দু’রাকাআত তারাবিহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। দুই রাকাত/ চার রাকাত পর দোয়া প্রত্যেক ২ রাকাত পর সালাম ফিরানোর পর ইসতেগফার পড়তে হয়, দুরুদ পড়তে হয়, আল্লাহর স্মরণে জিকির করতে হয়। তারপর চার রাকাত হলেও কুরআন হাদিসের দুআ’গুলো পড়া হয়; যে দোয়াগুলো ৫ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয়। কিন্তু তারাবির যে দোয়াটি বর্তমানে জারি আছে, এই দোয়াটি