পোস্টগুলি

মুসলমানদের পিতা কয়জন ?

ছবি
হযরত আদম (আ.) হযরত আদম (আ.) একাধারে মানবজাতির পিতা, এ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত খলিফা (প্রতিনিধি) এবং প্রথম নবী। সমগ্র মানবজাতির আদি পিতা হলেন হযরত আদম (আ.) । মানবজাতির বিস্তার তাঁর মাধ্যমেই হয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম, বর্ণ ও মতে বিশ্বাসী লোকেরা তাঁর সন্তান। হযরত নুহ (আ.) মানবজাতির দ্বিতীয় আদি পিতা হলেন হযরত নুহ (আ.) । নুহ (আ.) কে আবুল বাশার সানী বা দ্বিতীয় আদম বলা হয়। আদম (আ) থেকে নুহ (আ) পর্যন্ত দশ শতাব্দির ব্যবধান ছিল। যার শেষ দিকে মানবকূল শিরক ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) কে তাদের মাঝে রাসুল রূপে প্রেরণ করেন। তিনি ৯৫০ বছরে দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে সুপথে আনার জন্য দাওয়াতি কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।কিন্তু তার স্ব-জাতি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গজব মহা প্লাবনে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।পরবরতীতে বেঁচে থাকা ঈমানদারদের মধ্য থেকে নতুন করে বংশ বিস্তার করে। এ জাতির ঘটনা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং কুরআনের মাধ্যমে জগতবাসী জানতে পেরেছে। তার চারটি পুত্র ছিল। হাম, সাম, ইয়াফিস ও

ভারত রৌমারী সীমান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটালো লাদাখে

ছবি
মো আবু রায়হানঃ বেশিদিন আগের কথা নয় । ২০০১ সালের ১৮ই এপ্রিল। বাংলাদেশ আর ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল ১৮ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছিল কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৪৫ কি.মি. দূরে রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ীতে।রৌমারী উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে ১০ কি.মি. দূরে বড়াইবাড়ী গ্রাম।আসাম সীমান্তের কাছাকাছি ২২৬ একর জমি নিয়ে বড়াইবাড়ী গ্রাম। যার আন্তর্জাতিক পিলার নম্বর ১০৬৭/৪ এস। তৎকালীন বিডিআর-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমানের জানতে পারেন যে ভারতীয় বিএসএফ নোম্যান্স ল্যান্ডের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে বাংলাদেশের এলাকা সিলেটের পদুয়াকে কানেক্ট করছে এবং পদুয়াতে অস্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করেছে। বিডি’আরের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিবাদ করার পরও ভারতীয় পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হলোনা এমনকি ফ্ল্যাগ মিটিং-এও রাজি হলো না তারা। বাংলাদেশের সার্বভৌম এলাকার উপরে এই রকম আচরণে এপ্রিলের ১৫-১৬ তারিখ রাতে মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানের নির্দেশে চার শ’র মতো ফোর্স পদুয়াতে মুভ করে পদুয়ায় ভারতীয় বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাও করে ফেলে। বিএসএফের

লাদাখ কেড়ে নিল ভারতের ঘুম

ছবি
পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ জওয়ানের মৃত্যুর খবর আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় সেনা।হাতাহাতি, পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে শুরু করে, রড, লাঠি, ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। মধ্যরাতের পর তা থেমে যায়।অনেক দেহ নদী থেকে টেনে তোলা হয়।অনেকে এতটাই আহত ছিল যে, সকালে মারা যায়। ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার রাতে গালওয়ান ভ্যালির লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সীমান্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় একটি নির্দিষ্ট সময় পর পিছিয়ে যাবে চিনের সেনা। এক ঘণ্টা পর ৫০-৬০ জন ভারতীয় সেনাকে নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বের হয় কর্নেল সন্তোষ বাবু। সেই সময় চিনা সেনার তৈরি করা তাবু ভাঙতে ভাঙতে এগোতে থাকে তাঁরা। ভাঙা পড়ে চিনা সেনার একটি নজরদারি পোস্টও।জানা যায়, এরপরই প্রায় ২৫০ চিনা সেনা ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায়। দু’পক্ষে শুরু হয়ে যায় তুমুল হাতাহাতি।এই সংঘর্ষে কর্নেল সন্তোষ বাবু সহ ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়।তার সঙ্গে আরও চার জওয়ান গুরুতর জখম হয় বলে সেনা সূত্রে জানা যায়। লাদাখের এই সংঘর্ষে চিনা বাহিনীর এক কমান্ডিং অফি

অক্সিজেনের জন্য হাহাকার দম বন্ধের আগে গুরুত্ব বুঝি না

ছবি
প্রতিমূহুর্তে নিজেদের অজান্তেই শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছি। আমরা প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার ৯২০ বার শ্বাস নিই। একদিনের নিঃশ্বাসে কতটা অক্সিজেন নিই আমরা? জানা যায় একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ৭-৮ লিটার বাতাস গ্রহন করে থাকে। তাহলে আপনি ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ একদিনে প্রায় ১১৫০০ লিটার বাতাস গ্রহন করছেন। আর আপনি শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে পরিমান বাতাস নিচ্ছেন তাতে ২০ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। আবার প্রশ্বাসের মাধমে যে পরিমান বাতাস বের করছেন তাতে প্রায় ১৫ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। তাহলে এর মানে দাড়ালো আমরা নিশ্বাসের মাধ্যমে ৫ শতাংশ অক্সিজেন শরীরে গ্রহন করে থাকে। আর সেই ৫ শতাংশ অক্সিজেনই শরীর বৃত্তিয় কাজ শেষে কার্বন-ডাই-অক্সাইড হিসাবে বের হয়।একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহন করে। আর এটা তো যারা স্বাভাবিক কাজ কর্ম করে তারা গ্রহন করে থাকে। তবে যারা বেশী পরিশ্রম করে বা ব্যায়াম করে তারা ৭৫০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন গ্রহন করে থাকে।হাসপাতালের বিছানায় শোয়া একজন মানুষের প্রতি ঘন্টার অক্সিজেনের বিল আসে ২০০ টাকা। সারাদিনের বিল ৪৮০০ টাকা। আমাদের বয়স কত? আজ

নফস ও কুরআনের দৃষ্টিতে নফসের তিনটি রূপ

ছবি
নফস আরবি শব্দ।তবে নফস শব্দের অর্থ এককথায় প্রকাশ করা যায় না।যদিও নফস অর্থ আত্না বলা হয়। বহুবচনে আনফুস শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আল কুরআনে নফস আত্না অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে- "এবং ফিরিশতাগণ হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ (আনফুস) বের কর। আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি দেয়া হবে, কারণ তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তার আয়াতসমূহ সম্পর্কে অহংকার করতে।" (সুরা আনাম আয়াত-৯৩)।প্রধানত মানুষের নিজস্বতা, ব্যক্তির সত্তা, আমিত্ব, প্রবৃত্তি প্রভৃতি অর্থেও নফস শব্দ ব্যবহৃত হয়। নফস (জীবাত্মা, মন, ইগো, জীবনীশক্তি)।অবশ্যই সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে নিজেকে (নফস বা আত্মা) পরিশুদ্ধ করেছে; আর বিফল কাম হয়েছে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে পাপাচারে কুলষিত করেছে। (সুরা আল শামস ৯-১০)। পরিশুদ্ধির অর্থ করতে গিয়ে ‘দি নোবল কোরআনে’ ড. মুহাম্মাদ তাকিউদ্দীন আল হিলালী ও ড. মুহাম্মাদ মুহ্সীন খান লিখেছেন- Indeed he succeeds who purifies his ownself (i.e obeys and performs all that Allah ordered, by following the true Faith of Islamic Monotheism and by doing righteous good deeds.)।নফস বা আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন

একাত্তরের হীরামণি ও স্বাধীন দেশের হীরামণিরা

ছবি
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানে শ্রমিকরা তিরন্দাজ বাহিনী গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। হীরামণি সাঁওতাল আর সাবিত্রী নায়েকের মত বীরাঙ্গনার ঋণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারব না। এতদিন জেনে আসছি একাত্তরের যুদ্ধে দুই লাখ নারী সম্ভ্রমহানির শিকার হন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরপরই তৎকালীন সরকার যুদ্ধে দুই লাখ নারী এবং মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানায়। তবে এ সংখ্যা নিয়ে তখনই প্রশ্ন ওঠে। এ সংখ্যা আরও বেশি বলে একাধিক উৎস থেকে দাবি করা হয়।উইমেন আন্ডার সিজ প্রজেক্ট জানায়-মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখ নন, অন্তত চার লাখ নারী সম্ভ্রমহানির শিকার হন —নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত ‘হোয়াই ইজ দ্য মাস সেক্সুয়ালাইজড ভায়োলেন্স অব বাংলাদেশেশ লিবারেশন ওয়ার বিইং ইগনরড’নিবন্ধে সাংবাদিক আনুশেহ হোসেন লিখেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা বহুলভাবে প্রশংসিত হলেও প্রায় চার লাখ নারী ও মেয়েশিশুর ধর্ষণ এবং নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের কাছে প্রায় অজানা থেকে গেছে। উইমেন আন্ডার সিজ প্রজেক্ট প্রতিবেদনে গবেষক সুসান ব্রাউন মিলারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়,একাত্তরে হাজার হাজার বাঙালি নারীকে ধ

কবর থেকে হাশর মুমিনের প্রশ্ন ব্যাংক

ছবি
প্রতিটি প্রাণীর জন্য মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যু থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। মহান আল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন যা-ইকাতুল মাওত’ অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে)। (সুরা আল ইমরান আয়াত- ১৮৫ )। মৃত্যুর পরে আমাদের পরবর্তী ঠিকানা কবর । কবর হলো তৃতীয় জগৎ। আখেরাতের প্রথম মনজিল। কবরকে আমরা ওয়েটিং রুম হিসেবে বুঝে নিতে পারি। ওয়েটিং রুমে যেমন মানুষ তার পরবর্তী অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে, আরামের হবে কিংবা কষ্টের হবে। আরামের হলে হেসেখেলে সময় পার করে। কষ্টের হলে এক ঘণ্টা এক বছরের মতো মনে হয় তারপরও সময় যেতে চায় না। অনুরূপ প্রত্যেকের কবরে কবরবাসীকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে সে জান্নাতি না জাহান্নামি। জান্নাতি হলে সে বড় আরামে সময় পার করবে। আর জাহান্নামি হলে বড় কষ্টে সময় অতিবাহিত করবে। এ কবর এমন এক ঘাঁটি যেখানে সাহায্যের বা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন বলতে কেউই থাকবে না। শুধুই নেক আমল হবে তার সাথী। দুনিয়ার হায়াতে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, কুরআন তেলাওয়াতসহ ইত্যাদি নেক আমল তাকে আজাব থেকে রক্ষা করবে। নবী করিম (সা) বলেন, বান্দাকে যখন কবরে রেখে তার সঙ্গীরা বিদায় নিয়ে চলে যায়, সে তাদের পায়ের জুতা বা

সাদা কালো বৈষম্যে আমেরিকা, ইসলাম বলে সমানাধিকার

ছবি
মো.আবু রায়হানঃআমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাষ্ট্রের পুলিশ প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েড নামে রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী এক কৃষ্ণাঙ্গের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ফ্লয়েড বারবার বলছে, 'আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।' তার মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে আসছে। মৃত্যুর আগে পানি চেয়ে অনুরোধ জানায় পুলিশকে। পথচারীরাও অনুরোধ করে ফ্লয়েডকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পাশে আরও পুলিশ ছিল একজন মানুষকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টায় করেনি। মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর ফ্লয়েডের অনুরোধ পুলিশ অফিসারের কানে যায়নি। মৃত্যুযন্ত্রণা তাকে এতটুকু টলাতে পারেনি। রীতিমতো হাঁটু দিয়ে মাটিতে পিষতে থাকে পুলিশ । ওই অবস্থায় কয়েক মিনিট ছটফট করতে করতে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।এই হল তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার দাবিদার আমেরিকার সাম্প্রতিককালের বর্ণবাদের ভয়ঙ্কর চিত্র। ইংরেজি রেস থেকে রেসিজম তথা বর্ণবাদ কথাটির উদ্ভব। এক্ষেত্রে মানুষের গাত্রবর্ণ, সামাজিক শ্রেণি, বংশ পরিচয় ও জন্মস্থানের উপর ভিত্তি করে মানুষে মানুষে বিভক্ত করে কোন জাতি বা গোষ্ঠী তাদের উপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করলে তাকে বর্ণবাদ বলে। উইলিয়াম জে. `Races &