পোস্টগুলি

কুরআন নাজিলের মাসে আজ এক কলঙ্কের দিন

ছবি
মো. আবু রায়হান আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন,সৃষ্টি করেই মানুষকে এমনি এমনি ছেড়ে দেননি বরং তাদের সঠিক পথের দিশা দিতে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন।তাদের দিয়েছেন আসমানি কিতাব।সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল কুরআন যা রাসুল (সা) এর ওপর নাযিল হয়, সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দিশারি হিসেবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আর আমি আপনার উপর এই কিতাব নাযিল করেছি শুধু এজন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্য আপনি স্পষ্ট করে দিবেন এবং (এটি) হিদায়াত ও রহমত সেই কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।"(সূরা আন নাহল আয়াত-৬৪)। পবিত্র কুরআনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা–ভাবনা করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।"(সূরা ছোয়াদ আয়াত-২৯)। কিন্তু কুরআনের মর্মার্থ বুঝতে অক্ষম হয়েছে এক শ্রেণির মানুষ ।যেকারণে কুরআনের বিরুদ্ধে যুগেযুগে হয়েছে অসংখ্য ষড়যন্ত্র । ভারতের দুইজন উগ্র সাম্প্রদায়িক নাগরিক পদ্মপল চোপরা ও শীতল

অস্তিত্ব রক্ষার প্রথম যুদ্ধ বদর দিবস আজ

ছবি
মো.আবু রায়হান আজ ঐতিহাসিক ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে ১৭ মার্চ আজকের দিনে দ্বিতীয় হিজরিতে সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধ বদরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল সত্য ও মিথ্যার, হক ও বাতিলের, মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যকার চূড়ান্ত মীমাংসাকারী ঐতিহাসিক যুদ্ধ।বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয় মদীনায় হিজরতের মাত্র ১ বছর ৬ মাস ২৭ দিন পরে।ঐতিহাসিক এ যুদ্ধ ছিল ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের।  বদর যুদ্ধে মুসলিমরা পরাজিত হলে বিশ্ব ইতিহাস হতে মুসলিমদের নাম নিশানা চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত । কেননা বদর যুদ্ধের দিন রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে কাতর কন্ঠে এই বলে প্রার্থনা করেন যে হে প্রভু! আপনি আমার সঙ্গে বিজয়ের যে অঙ্গীকার করেছেন, তা এখানে পূরণ করুন। আপনি যদি ইসলামের এই ক্ষুদ্র অনুসারী দলটিকে ধ্বংস করে দেন, তবে এই পৃথিবীতে আপনার ইবাদতকারী বলতে কেউ থাকবে না। চিরদিনের জন্য নির্মূল হয়ে যাবে । কয়েক দিক দিয়ে বদরে যুদ্ধ ছিল খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ-প্রথমতঃ এটি ছিল প্রথম যুদ্ধ। দ্বিতীয়তঃ পূর্বে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ছিল এই যুদ্ধ। সিরিয়া থেকে বাণিজ্য-সামগ্রী নিয়ে মক্কাগামী আবূ সুফিয়ানের কাফেলার পথ অবরোধ করার জন্য ম

হযরত ইদরীস (আ.) একজন প্রথম বিজ্ঞানী নবি

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ   ইদরীস (আ.) যিনি ইসলামের ইতিহাস অনুসারে মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত দ্বিতীয় নবি। পৃথিবীর প্রাথমিকপর্যায়ের মানুষ হিসেবে তিনিই ছিলেন ইতিহাসের প্রথম শিক্ষিত ব্যক্তি।মুসলমানদের বিশ্বাস অনুসারে তিনি ইসলামের প্রথম নবি আদম -এর পর নবয়ুত লাভ করেন।রাসুল (সা) মিরাজের রাতে চতুর্থ আসমানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “যখন আমাকে আকাশে উঠানো হয়েছিল মিরাজের রাত্ৰিতে আমি ইদরীসকে চতুর্থ আসমানে দেখেছি।’ (তিরমিযী- ৩১৫৭)। তাঁর জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কার ো মতে তিনি ইরাকের বাবেলে জন্মগ্রহণ করেন। আবার কারো মতে তিনি মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, বাইবেলে উল্লেখিত 'ইনোখ' (Enoch) ব্যক্তিটি হযরত ইদরীস (আ.)।হযরত ইদরীস (আ.) হযরত নুহ (আ.)-এর পূর্বের নবি ছিলেন,না পরের নবি ছিলেন এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইতিহাসবিদ এবং তাফসিরকার তাকে ইসলামের তৃতীয় নবি এবং হযরত আদম (আ.)এর তৃতীয় প্রজন্ম বলে মত প্রকাশ করেছেন।কারো মতে তিনি ছিলেন হযরত আদম (আ.)’র সপ্তম অধস্তন পুরুষ ও হযরত নুহ (আ.)’র পরদাদা।ইবনে ইসহাকের মতে, হযরত ইদরীস (আ.) হলেন ইসলামের নবী নূহ এর দাদা।

দারুল আরকাম ইসলামের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি
রাসুল (সা) এর ওপর প্রথম ওহি নাজিল হয় , পড় তোমার প্রভুর নামে । মানব জাতির উদ্দেশে আল্লাহ তায়ালার প্রথম আদেশ পড়,এই নির্দেশের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শিক্ষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল।ইসলামে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা উপরিউক্ত বাণীতে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মহানবী (সা.) এর বাণী “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর নারীর উপর ফরয” একথা দ্বারাও জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বের প্রতি আরো জোর দেয়া হয়েছে। মূলত ইসলামী শিক্ষার প্রথম সূচনাগার হল মক্কা। ইসলাম প্রচারের সূচনা থেকেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির মহান শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই আমি মু'আল্লিম (শিক্ষক) হিসেবে (দুনিয়ায়) প্রেরিত হয়েছি'।(দারিমী)।হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলামী শিক্ষার নিয়মনীতি প্রবর্তন করেন। তিনি নবুয়ত লাভের পর কাবাকে প্রথম শিক্ষায়তন হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি।রাসুল (সা.) মক্কায় আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিলে কুরাইশ কাফের পৌত্তলিকদের অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে।ফলে মুসলমানেরা শান্তিতে দ্বীনের প্রচার ও ইসলামের শিক্ষ

উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র সোনারগাঁয়

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ   একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য আসত দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা। তারা আসত হাদিসশাস্ত্রের উচ্চতর জ্ঞানার্জনের জন্য।কারণ, বঙ্গ ভুখন্ডে প্রথম স্থাপিত হয় উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র। উপমহাদেশের হাদিস চর্চার সেই পাদপীঠ ছিল সোনারগাঁয়ে। প্রাচীন এই শিক্ষাকেন্দ্রটি গড়ে তুলেছিলেন শায়খ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা বুখারি আদ-দেহলভি আল হানাফিভ(রহ.)। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর থেকে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে যে সকল অলি-আউলিয়া, পীর-দরবেশ, সুফি-সাধক, ধর্ম-প্রচারক ও আধ্যাত্মিক সাধক এসেছেন তাদের মধ্যে শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা ছিলেন অন্যতম।শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা একজন বিশিষ্ট আলেম, সূফী সাধক এবং ইসলামি আইনবিদ। সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামা খানকাহ ও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় শিক্ষাদান করা হতো।ধারণা করা হয়, এটাই উপমহাদেশের সর্বপ্রথম হাদিস শিক্ষাদানের কেন্দ্র। শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা হাদিস এবং ইসলামি আইনশাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি ভেষজশাস্ত্র, গণিত, ভূগোল শাস্ত্র এবং রসায়ন শাস্ত্রেও একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। আবু তাওয়ামা বাংলায়

একজন মুসলিম নারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারাউইন পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি
মো আবু রায়হানঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় যে মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়, তা নিয়ে এখন আর কোনো বিতর্ক নেই। কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে পৃথিবীতে আরো একাধিক উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, মধ্যযুগীয় প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অস্তিত্ব ছিল। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার যে অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা সবই ছিল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আধুনিক বিশ্বের নামকরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যথাক্রমে ১০৯৬ এবং ১২০৯ সালে। তবে পুরো বিশ্বের তো বটেই, এগুলোর কোনোটিই ইউরোপেরও প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০৮৮ সালে। তারও প্রায় একশ বছর আগে ৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আল-আজহারেরও প্রায় একশ বছর আগে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে এগারোশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়।

বায়তুল হিকমাহ মধ্যযুগে জ্ঞান বিজ্ঞানের বাতিঘর

ছবি
মো. আবু রায়হান: বায়তুল হিকমাহ (House of Wisdom) ছিল আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার, শিক্ষায়তন ও অনুবাদ কার্যালয়। Baytul Hikma consisted of a library, translation bureau, observatories, reading rooms, living quarters for scientists & administration buildings. মূলত বায়তুল হিকমাহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। De Lacy O’Leary বলেন:“The caliph Al-Mamūn has founded a school he named Bayt al-Hikmah, and he made it an institution that embraces the translation of the Greek books”(Islam at the crossroads )।বায়তুল হিকমাহ এটিকে ইসলামি স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।৭৫০ সালে যাবের যুদ্ধে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয় দ্বিতীয় খলিফা আল মানসুর (৭৫৮-৭৭৫) জ্ঞান চর্চা, বুদ্ধিবৃত্তি, কৃষ্টি ও সভ্যতার যে বীজ বপন করেন, তা তাঁর উত্তরসূরী হারুনুর রশিদের (৭৮৬-৮০৯) সযত্নে অঙ্কুরিত হয়ে বৃদ্ধি পায় এবং পরিশেষে আল মামুনের আমলে সুস্বাদু ও সুবৃহৎ ফলভারে নত মহীরুহে পরিণত হয়। আব্বাসীয় শাসনামলে তাদের রাজধানী শহর বাগদাদ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।বায়ত

তাহলে শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণের কাহিনি ভিত্তিহীন ?

ছবি
শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণ নিয়ে নানান মুখরোচক গল্প কাহিনি প্রচলিত আছে। শাদ্দাদের কাহিনী আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা অর্থাৎ আরব্য রজনী গ্রন্থের ২৭৭ থেকে ২৭৯ তম রাতে বলা হয়। কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থেও কাহিনি উল্লেখ আছে। কিন্তু কুরআন ও হাদিসের বর্ণনায় শাদ্দাদের বেহেশত নির্মানের কাহিনি উল্লেখ নেই। ইসলামি চিন্তাবিদদের জিজ্ঞেস করলে, তারা বলে থাকেন শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনী স্বীকার বা অস্বীকার করবার মতো উপাত্ত হাতে নেই, তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।বলা হয়, শাদ্দাদ এবং তার ভাই শাদ্দিদ পালা করে এক হাজার আদ গোত্রের ওপর রাজত্ব করে। পুরো আরব আর ইরাকের রাজা ছিল শাদ্দাদ। উপকথা অনুযায়ী, হুদ (আ) শাদ্দাদকে পরকালের বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু শাদ্দাদ বলল সে নিজে বেহেশত বানাবে দুনিয়াতেই, লাগবে না তার পরকালের বেহেশত। এরপর ইয়েমেনের আদানের কাছে এক বিশাল এলাকা জুড়ে শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণ শুরু হয়। প্রাচীর দেয়ালগুলো ৭৫০ ফুট উঁচু ছিল, আর প্রস্থে ৩০ ফুট। চারদিকে চারটি ফটক। ভেতরে তিন লক্ষ প্রাসাদবাড়ির কথা বর্ণিত আছে, উপকথা অনুযায়ী জানা যায় যার নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৩০০ /৫০০ বছরে। ফটক দিয়ে ঢুক