পোস্টগুলি

পেঁয়াজে আগুন ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ইসলামের বিধান

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এদেশের কাঁচাবাজারে  সাধারণ দৃশ্য। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী অধিকাংশ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। বাংলাদেশ বোধহয় বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। সেসময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়।রমজান মাস ছাড়াও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হয় আকাশচুম্বী আর পেঁয়াজের ঝাঁজে ভোক্তারা হন  আক্রান্ত । এ বছর পেঁয়াজের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্বিকার, জনগণ ক্ষুব্ধ। তারপরও যেন দেখার  কেউ নেই। স্মরণকালে এই প্রথম বাংলাদেশে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে।গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে।ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।  এরপর ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি

শহিদ নূর হোসেন তুমি কার?

ছবি
‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।' আজকের দিনে ১৯৮৭ সালে বিরোধী দলের  অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি মিছিলে নূর হোসেন অংশ নেন এবং প্রতিবাদ হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন উপরের স্লোগানটি। মিছিলটি ঢাকার গুলিস্তানের জিপিও-র সামনে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আসলে স্বৈরশাসকের মদদপুষ্ট পুলিশবাহিনীর গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। মোট তিনজন আন্দোলনকারী সেদিন নিহত হন। এসময় বহু আন্দোলনকারীও আহত হন। নিহত অপর দুই ব্যক্তি হলেন যুবলীগ নেতা নুরুল হূদা বাবুল এবং আমিনুল হূদা টিটু। নূর হোসেনরা সব সময় জন্ম গ্রহণ করেন না। জাতির দুর্দিনে প্রয়োজনে দুঃসময়ে তারা অবতারের মতো অবতীর্ণ হন  জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনে যেমন দুজন বাংলার দামাল ছেলে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনদে জেকে বসা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনে দুজন সূর্য সন্তানের শাহাদাত এরশাদের পতন ত্বরান্বিত করেছিল।আমরা ইতিহাস থেকে জানি পাকিস্তান আমলে শহিদ আসাদ তিনি আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের

মুসলিম নাম নিশানা মুছে ভারত হতে চায় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র।

ভারতে চলছে চরম হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের উত্থানের যুগ। বিশেষ করে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতা আসার পর সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর আক্রমণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে।দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে  পাক ভারত বিভক্ত হয়ে  যায়।এরপর ভারত সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য  ধারণ করে।কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে ভারত  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। এ হত্যাযজ্ঞের যাত্রা এখনো চলমান।বর্তমান ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম।ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের বাস ভারতে। সেহিসেবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সংখ্যালঘু-মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র। ভারতের হিন্দু ধর্মের পর দ্বিতীয় বহুল-প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের অনুসারীরা হচ্ছেন মুসলমানেরা।তাই জনসংখ্যার বিচারে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ঠিক হিন্দুদের পরেই। ভারতের জনসংখ্যার মোট ১৩.৪ শতাংশ মুসলমান। দেশের মুসলমান জনসংখ্যা ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১৩৮,০০০,০০০ এবং ২০০৯ সালের প্রাককলন অনুসারে ১৬০,৯৪৫,০০০। এখন ভারত রাষ্ট্র  চূড়ান্তভাব

বাবরি মসজিদ মামলার রায় মুসলমানদের রক্তক্ষরণ বাড়িয়েছে

ছবি
  আজ ৯ নভেম্বর বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। আজকের দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে খুশি করতে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট প্রায় পাঁচশ বছরের পুরনো মসজিদ বাবরি মসজিদ নিয়ে এক বিতর্কিত রায় দিল। এই রায় ভারতের ২০ কোটি মুসলমানসহ বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানকে চরমভাবে মর্মাহত করেছে। ঘটিয়েছে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ।আমার ধারণা এই রায় যতটা না সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে, তার চেয়েও বেশি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চরম হিন্দুত্ববাদীদের খুশি করতে কোর্ট এই রায় দিয়েছে। রায়টা দেখে অন্তত সে রকমই মনে হয়েছে।এমনিতেই ভারতে  মুসলমানরা তীব্র চাপের মধ্যে বসবাস করছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভারতে বাস করা মুসলমানদের আরও চাপের মধ্যে ফেলবে। ভারতের অন্য মসজিদের ওপর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দৃষ্টি পড়বে এবং তারা আরো উৎসাহিত হবে।একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন,  সেদিন যদি হিন্দুরা বাবরি মসজিদকে ধবংস না করতো তাহলে আজ এই সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট এমন আবেগী রায় দিতে  না। রায়টি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।সুপ্রিমকোর্টের রায়টি একটি মানুষকে হাড় হাড্ডি ভেঙ্গে আহত করে তার নামে উলটো মামলা দিয়ে তাকেই শাস্তি ভোগ করানোর মতো । এই রায়ে দে

গণঅভ্যুত্থানের ভিসি কি পদত্যাগ করবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অরাজকতা চলছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনে  শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ এখন ভিসি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কেটে হল নির্মাণের প্রতিবাদে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে শাখা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে ভিসি ঈদ সেলামি দিয়েছেন বলে পত্রিকায় খবর বেরুলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। অভিযোগটি ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা।ভিসিও তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো।তার কয়েকদিন পরই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এসব খবর প্রকাশের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে প্রায় দুমাস ধরে আন্দোলন করে আসছে। গত মঙ্গবার এ আন্দোলন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।যখন ছাত্রলীগের হামলায় আন্দোলনকারী ৩৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন।এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী চরম নিগ্রহের শিকার হন। এ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের আরও চারটি বিশ্ববি

স্যার, আমরা সবাই ধর্ষিত, আমরা ধর্ষকের বিচার চাই।

ছবি
শুনতে মনে হবে কোন নাটক কিংবা উপন্যাসের সংলাপের অংশবিশেষ।তবে এটি একটি সত্য সংলাপ বটে। সত্য সংলাপে একঝাঁক   ভিকটিমের সরল স্বীকার উক্তির মাঝে অপরাধীর বিচারের দাবিতে বুলন্দ কণ্ঠে প্রতিবাদী উচ্চারণ।ঘটনাটি ১৯৯৮ সালের। দিনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক অধ্যায়। তৎকালীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা জসীম উদ্দীন মানিক এ ঘটনার মূল হোতা। এই মানিক প্রায় ১০০ জন ছাত্রীর ইজ্জত নষ্ট করে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত হলের কমন রুমে নির্ভয়ে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে তা উদযাপন করা শুরু করে। এ খবর ক্যাম্পাসে  ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা চলে আসে প্রশাসনিক ভবনে। স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত বিক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে এগিয়ে আসেন তৎকালীন ভিসি। তিনি বলেন, আমি তোমাদের কথা মতো ব্যবস্থা নেব তবে তার আগে তোমাদের কাছে একটা জিনিস জানতে চাই? আমাদের কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে অভিযোগকারীর নাম আছে কিন্তু সে ভিকটিমের নাম ন

৩৫ এর বাস্তবায়ন হোক, যুব দিবসের হোক অঙ্গিকার

ছবি
আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস। এই দিবসের প্রাক্কালে এদেশের যুবারা অবস্থান নিয়ে আছে রাজপথে। তাদের একটিই দাবি সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে।জোরালোভাবে এ দাবী তারা কয়েক বছর ধরে জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বয়স বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। দাবিটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক হবার পরও বাস্তবায়ন না করাটা সত্যিই দুঃখজনক। এ নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি লেখা ইতোমধ্যে পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।  লেখাগুলোয় ৩৫ কেন প্রয়োজন?  তা বিভিন্ন যুক্তির নিরিখে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপাত: দৃষ্টিতে ৩৫ এর মতো যৌক্তিক আন্দোলনে দাবি পূরণ না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ বিদ্যমান। প্রথমত : ৩৫ আন্দোলনকারীরা এ দাবীর যথার্থতা ও যৌক্তিক কারণ সরকারের উপর মহলে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন।  দ্বিতীয়ত : সবাই ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩৫ চাই বলে সরব কিন্তু রাজপথে তাদের শারীরিক অনুপস্থিতি।  তৃতীয়ত :জোরালো কর্মসূচি  জনসংযোগের অভাব এবং সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সাথে সম্পর্কেের যথেষ্ট ঘাটতি। চতুর্থত: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এ আন্দ

সাম্প্রতিককালে ইসকন বিতর্ক এবং কিছু কথা

ছবি
হাজার বছর ধরে হিন্দু মুসলমানদের সহাবস্থানের তীর্থস্থান এ বাংলাদেশ। ইদানিং শকুনের দৃষ্টি পড়েছে  এদেশের ওপর।আজ হিন্দু মুসলমান সদ্ভাব রুখতে ও সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিনষ্টে  দেশি বিদেশী কিছু কুচক্রীমহল সক্রিয়। যারা সুযোগ পেলেই বিষাক্ত সর্প দংশনের মতো ছোবলে দেশটাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতেও চেষ্টা করবে । এদেশের হিন্দু -মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন কারো কারো কাছে  ঈর্ষার জন্ম দিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে বিভেদের উসকানি দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভোলায় মহানবী (সা.) কে অবমাননা করে  ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট তৎপরবর্তীতে পাঁচ মানুষের শহীদ হবার ঘটনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে কে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে নতুন করে ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে চট্রগ্রামে  মুসলমানদের কাছে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে নেতিবাচক ধারণা জন্ম দিয়েছে।  ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফের খাবার বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখানো হয়েছে শিশুদের খাওয়ানোর পূর্বে হরে কৃষ্ণ, হরে রাম বলা হচ্ছে।এ ঘটনা শুধু

অমুসলিমদের প্রতি মুসলমানদের সহনশীল আচরণ

ছবি
   বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের মধ্যে যে সম্প্রীতির বন্ধন তা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন গুজব ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়  ফিকে হয়ে আসছে? আমরা কি পারি না ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে? গাইতে কি পারি না? জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি 'মোরা একই বৃন্তে দু'টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান।' মানুষের মধ্যকার বিরোধ অবধারিত হলেও সব ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে এবং কোনো উপাসনালয়ে হামলা যেকোনো আইনের চোখে অপরাধ। কয়েক বছর আগে রামুর ঘটনা, বি-বাড়ীয়ার নাসির নগরের ঘটনা, রংপুরের ঘটনা এবং সর্বশেষ ভোলায় মহানবী (সা.) কে অবমাননা পরবর্তী ঘটনা সবাইকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে।এসব ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম ও হিন্দুর সহাবস্থান ও বিশ্বাসের ভিতকে দুর্বল করে ফেলছে। এ বিষয়ে শান্তির ধর্ম ইসলাম সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন, 'আল্লাহ যদি মানবজাতির এক দলকে অন্য দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রিস্টান স

তনু থেকে নুসরাত বাংলাদেশের মামলার পোস্টমর্টেম

ছবি
  এ বছরের এপ্রিল মাসে ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা,অবশেষে তার মৃত্যু, গোটা বাংলাদেশকে যেভাবে আন্দোলিত করেছিল। এমনিভাবে আন্দোলনের ঢেউয়ে ২০১৬ সালেও প্রকম্পিত করেছিল গোটা বাংলাদেশকে। সেটি ছিল কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী  ১৯ বছর বয়সী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকান্ড।  সেসময় আমি কিছুদিনের জন্য ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলাম।সেইদিন গুলোতে কাছ থেকে তনু হত্যার প্রতিবাদে তার সহপাঠী বন্ধু  ও সচেতন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ, মানবন্ধন ও প্রতিবাদ দেখেছি।তনু হত্যাকাণ্ড সমগ্র বাংলাদেশে আলোড়ন তোলে এবং সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রচন্ড আলোচনা হয়।সমগ্র বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসে বিচারের দাবীতে আন্দোলন করে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও প্রতিবাদ মিছিল করে।স্বভাবিক কারণেই আমার মতো অনেকে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্তত তনু হত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তনু  হত্যার কোনো কূলকিনারা হয়নি। নুসরাত হত্যার রায়ের পর  তনু হত্যার বিচারের বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যা

মুসলিম বিশ্বের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ জাতিসংঘ

ছবি
  মো আব রায়হানঃ আজ ২৪ অক্টোবর। আজকের দিনে বিশ্ববাসীকে যুদ্ধ এবং অশান্তি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ  প্রতিষ্ঠা করা হয়।জাতিসংঘে সনদের মূল কথা সকল রাষ্ট্রের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি, সকল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। কেউ অন্য রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। কোন রাষ্ট্রের সাথে অপর কোন রাষ্ট্রের বিরোধ দেখা দিলে তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমাধান হবে এবং জাতিসংঘের সেই সিদ্ধান্তের বাইরে কোন রাষ্ট্র কাজ করবে না। কিন্তু কাগজে-কলমে সবাই জাতিসংঘের মূল সনদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করলে ও বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে বৃহৎ শক্তিসমূহ বরাবরই পালন করেছে উল্টো ভূমিকা। বিশেষ করে মুসলিমববিশ্বের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।যদিও বিশ্বের অনেক সংকটের সমাধানে জাতিসংঘ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু মুসলিমবিশ্বের কঠিন মুহুর্তে জাতিসংঘ থেকেছে নীরব ও নিরুদ্বেগ । সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের কার্যকলাপ মুসলমানদের মনে সংশয়ের বীজ বপন করেছে। অবশ্য এর পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এজন্য বারবার মুসলিমদেশগুলো থেকে মুসলমানদের স্বার্থ  রক্ষা

আখেরি চাহার শোম্বা পালন ও ভ্রান্তি অপনোদন

ছবি
আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। হিজরি সফর মাসের শেষ বুধবার বা ২৭শে সফর মাসে আখেরী চাহার শোম্বা হিসাবে মুসলমানেরা খুশির দিন হিসাবে পালন করে থাকে।ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং ইরান, ইরাকে শুধু এই দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। যদিও কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধানের আলোকে 'আখেরি চাহার শোম্বা' পালন করা হয়,যেখানে  ধর্ম-তত্ত্ববিদগণের মধ্যে এই দিবসটি পালন করা নিয়ে কিছুটা মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। দিবসটি মূলতঃ শুকরিয়া দিবস হিসাবে পালিত হয়,  যাতে সাধারণত গোসল করে দু’রাকাত শোকরানা-নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত করা হয়।  বিভিন্ন মসজিদ,খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, মাদরাসা, দরবার,  দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এই দিনটি পালন উপলক্ষে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ রাখার পাশাপাশি অফিস-আদালতে ঐচ্ছিকভাবে ছুটির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  আখেরী চাহার শোম্বা শব্দগুলো আরবি ও ফার্সি ভাষায় সংমিশ্রিত শব্দ। আখেরী অর্থ শেষ। চাহার শোম্বা ফার্সী শব্দ এর অর্থ বুধবার। আখেরী চাহার সো

ভন্ডামীর গল্প

ছবি
  ভন্ডামী নিয়ে দুকলম লেখার ইচ্ছে দীর্ঘদিনের। আমাদের চারপাশে ভন্ড, ভালোর মুখোশ পরা ভন্ড মানুষের অভাব নেই। এসব ভন্ড মানুষের মুখেই যখন ভন্ডামীর গালি শুনতে হয়, তখন বিষয়টি কেমন দাঁড়ায়? এযেন চোরের মায়ের বড় গলা। অভিধানে ভন্ডামীর কিছু সমার্থক শব্দ খুঁজে পেলাম যেমন - ছল, প্রবঞ্চনা, চাতুরী, চালাকি, ভাণ, ভাঁড়ামি ইত্যাদি। ভন্ডামীর স্থান ভেদে প্রকারভেদ আছে, ভন্ড রাজনীতিবীদের ভন্ডামী,কিছু দয়াল বাবা, কেবলা বাবার ভন্ডামীর কারণে এরা ভন্ড বাবা হিসেবে অভিহিত। এমনিভাবে নারী পুরুষের প্রণয়ের সুসম্পর্ক যখন অবিশ্বাস কিংবা ভুল বোঝাবুঝির কারণে অবসান হয়। তখন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা হয়ে যায় ভন্ড। তবে ভন্ড শব্দটি আমার কাছে পুরুষ বাচক শব্দ বলে মনে হয়। কেননা কোনো নারীকে আজ অবধি ভন্ড বলে গালি দিতে শোনা যায়নি। নির্দোষ দোষী পুরুষ নীরবে ভন্ড শব্দটি গলাধঃকরণ করে চলছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।কারণ নারীরা বুঝি ভন্ডামী জানে না। পারলে একটু ছলনা করে এ আর এমন কি। কেউ নিরেট নিখাদ নয়। ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। তবুও যত দোষ ঐ পুরুষ নামের নন্দ ঘোষের। আজ ভন্ডামী নিয়ে পুরোনো একটি গল্প শোনায়  এক ভন্ড বাবা বাড়ী বাড়ী খয়রাতি করছিল। এমতা

দেশের প্রয়োজনে তরুণরা বারুদের মতো জ্বলে উঠে

ছবি
   ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা কেড়ে নিচ্ছে আমাদের সুন্দর সময় সুযোগ ও ভবিষ্যৎ। বিজ্ঞানের অভিশাপ আশির্বাদ দুটোই রয়েছে। আজ বিজ্ঞান দিয়েছে গতি কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ, অনুভূতি, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা।স্মার্টফোনে গেইম,গান, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা ইত্যাদি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। ফলে আধুনিক আবিষ্কার তথ্য প্রযুক্তি এখন অনেকাংশেই মানুষকে করেছে মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ ও সেলফিশ।মোবাইল ফোনকে স্বাস্থ্যের জন্য ‘টাইম বোমা’র সঙ্গে তুলনা করছে বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতিককালে প্রায় ২০০টি গবেষণায় মোবাইল ফোনকে মস্তিষ্কের টিউমার ও ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামাজিক দায়িত্ববোধ ভুলে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে কৃত্রিম লোক দেখানো সামাজিকতা নিয়ে ব্যস্ত।আজ তরুণদের যেন নেই কোনো সুনির্দিষ্ট আদর্শ কিংবা সঠিক দিকনির্দেশনা। হাতের স্মার্ট ফোন ও ল্যাপটপটি হয়ে গেছে তরুণদের ঘরকুনো রোবোটিক্স জীবনযাপনের হাতিয়ার। তারুণ্যের চিন্তাধারাতে ভ্রান্ত মতবাদ স্থান করে নিচ্ছে। তারা দিনদিন শক্তিহীন, কর্মহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাদের আড্ডা খেলাধূলা নেই বললেই চলে। মোবাই