সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

চেঙ্গিস খান মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা

চেঙ্গিস খান মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা ইতিহাসের বৃহত্তম সংলগ্ন স্থল সাম্রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত। চেঙ্গিস খানের আক্রমণের সময় অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। জন ম্যান লিখেছেন, "মোঙ্গলদের মতো ধ্বংসাত্মক শক্তি আগে আর কোনও সংস্কৃতির ছিল না; মুসলিম বিশ্ব যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছিল, তেমন কোনও সংস্কৃতিরও হয়নি।" মোঙ্গলদের আক্রমণে মুসলিম বিশ্ব ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিকশিত শহর, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির কেন্দ্রগুলি ছাই হয়ে গিয়েছিল। ১২৫৮ সালে বাগদাদের ধ্বংস বিশেষভাবে বিধ্বংসী ছিল। আব্বাসীয় খিলাফত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সঞ্চিত গ্রন্থাগার এবংবই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। বই টাইগ্রিস নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ওয়েন ল্যাটিমোর, মোঙ্গল জার্নিস থেকে গৃহীত একটি মোঙ্গল লোককাহিনী অনুসারে:চেঙ্গিস খান কোথায়? তিনি মারা যাননি। যা ঘটেছিল তা হল: একটি দূর দেশে এক রাজা ছিলেন যার একটি কন্যা ছিল সূর্যের মতো সুন্দরী। চেঙ্গিস খান কুমারীকে চেয়েছিলেন। রাজা গোপনে তার মেয়েকে বললেন: এই যে একটা ছুর...

শাহ মসজিদ ইসফাহান, ইরান

১৮৪১ খ্রিস্টাব্দ মসজিদটি সাফাভিদ রাজবংশের শাহ আব্বাস প্রথম ১৬২৯ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৪১ সালে পারস্য সফরকারী ফরাসি স্থপতি পাস্কাল কস্টের আঁকা ছবি।

মক্কা মদিনার প্রথম ছবি

পবিত্র মদিনা নগরী এবং মসজিদে নববীর মনোরম দৃশ্য, ১২৯৭ হিজরি বা ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ।সুলতান আব্দুল হামিদ দ্বিতীয়ের রাজত্বকালে মিশরে জন্মগ্রহণকারী একজন আলোকচিত্রী মুহাম্মদ সাদিক বে ১২৯৭ হিজরি বা ১৮৮০ সালে এটির ছবি তোলেন।সাদিক বে ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মক্কা, মদিনা এবং হজের ছবি তোলেন। একজন মিশরীয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী এবং জরিপকারী হিসেবে তিনি মিশরীয় হজ কাফেলার কোষাধ্যক্ষও ছিলেন, বহুবার হিজাজে ভ্রমণ করেছিলেন। 

বিশ্বের প্রাচীনতম সমাধিস্থলগুলির মধ্যে একটি

  নতুন রাস্তাঘাট এবং আধুনিক অবকাঠামো প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করার জন্য মিশর কায়রোর ১,২০০ বছরের পুরনো আল-কারাফা কবরস্থানের কিছু অংশ ভেঙে ফেলছে - যা বিশ্বের প্রাচীনতম সমাধিস্থলগুলির মধ্যে একটি।

আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল

১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল, বিখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ, দার্শনিক এবং বিখ্যাত উর্দু ও ফার্সি কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। তার কর্মজীবন জুড়ে, ইকবাল বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পুনরুজ্জীবনের উপর লেখেন এবং বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯২৮-২৯ সালে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই), হায়দ্রাবাদ এবং আলীগড়ে তিনি যে ছয়টি বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা ১৯৩৪ সালে The Reconstruction of Religious Thought in Islam (দ্য রিকনস্ট্রাকশন অফ রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম) নামে প্রকাশিত হয়েছিল। ইকবালের ইসলামিক স্টাডিজে, বিশেষ করে তাসাউফ (সুফিবাদ) -এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাঁর থিসিস, The Development of Metaphysics in Persia, (দ্য ডেভেলপমেন্ট অফ মেটাফিজিক্স ইন পারস্য) ইউরোপে পূর্বে অজানা ইসলামি রহস্যবাদের (তাসাউফ) কিছু দিক প্রকাশ করে।

মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া বাগদাদ

  বাগদাদের  মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা  মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া হলো বাগদাদের অবস্থিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মাদ্রাসা । আব্বাসি খলিফা আল মুস্তানসির ১২২৭ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন। বাগদাদ শহরে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রতি খিলাফতের অঙ্গীকারের প্রতীক ছিল এটি। এটি দজলা নদীর বাম তীরে অবস্থিত। মোঙ্গলদের বাগদাদ অবরোধের সময় মাদ্রাসাটি টিকে যায়। এর অন্তর্ভুক্ত দালানের মধ্যে আছে সরাই সুক, বাগদাদের জাদুঘর, মুসতানাব্বি স্ট্রিট, আব্বাসীয় প্রাসাদ এবং খলিফার সড়ক। মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া র গ্রন্থাগারে প্রাথমিকভাবে ৮০,০০০ গ্রন্থ ছিল। খলিফা এগুলো দান করেন। বলা হয় যে সংগ্রহের পরিমাণ ৪,০০,০০০ এ পৌছায়। মোঙ্গল আক্রমণের সময় গ্রন্থাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ১৩৯৩ সালে এটি নিজামিয়া মাদ্রাসার সাথে একীভূত হয়। ১৫৩৪ সালে উসমানীয়রা বাগদাদ দখল করলে প্রাসাদ ও গ্রন্থাগারের বইগুলো যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে নিয়ে যায়। এগুলো ইস্তানবুলের রাজকীয় গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠে এবং মুসতানসিরিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১২৩৫ সালে পানির শক্তি ব্যবহার করে দিনে ও রাতে নামাজের সময় জানানোর জন্...

মসজিদ থেকে মন্দির

  ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের একজন সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৯ সালে ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরি করেন। ১৮২২ সালে প্রথমবারের মত ফৈজাবাদ আদালতের এক চাকরিজীবী দাবি করেন যে, মসজিদটি যে মন্দিরের জমির উপরে অবস্থিত। নির্মোহী আখড়া সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঐ জমির উপরে তাদের দাবি জানায়। ১৮৫৫ সালে ঐ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন সংঘর্ষ এড়াতে দেয়াল দিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের প্রার্থনার জায়গা আলাদা করে দেয়। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল।ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক বছর দুয়েকের মাথায় ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ একদিন সকালে রহস্যময়ভাবে ‘রামলালা’র (শিশু রামচন্দ্র) মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। তারিখটা ছিল ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৪৯ মধ্যরাতের পর। হিন্দু মহাসভার সদস্যদের মসজিদের অভ্যন্তরে রাম মূর্তি স্থাপন করার অভিযোগে দুই পক্ষের মাঝে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তারা আইনের আশ্রয় নেয়। স্থানীয় মুসলিমরা অবশ্য অভিযোগ করেন রাতের অন্ধকারে গোপনে মসজিদের ভেতরে ওই মূর্তিটি রেখে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু রামলালার ‘আবির্ভাবে’র খবর ততক্ষণে দিকে দি...

রামমন্দির হলেও মসজিদের কাজ শুরু হয়নি

  ২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা বেআইনি ছিল। তবে আদালতে যেসব প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে মসজিদের জায়গায় একটি অ-ইসলামিক স্থাপনা ছিল। তাই মসজিদের জায়গাটিকে একটি ট্রাস্টকে দেওয়া যেতে পারে এবং সেখানে একটি রাম মন্দির তৈরি করা যেতে পারে।আর উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকপ বোর্ডকে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য তাদের পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। যেখানে তারা নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে পারবেন। মসজিদ নির্মাণ কাজের দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনকে (আইআইসিএফ)। সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যায়।মন্দির নির্মাণের জন্য আনুমানিক ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর প্রাঙ্গনটি ৭০ একর জুড়ে বিস্তৃত, মূল মন্দির রয়েছে ৭.২ একর জায়গা জুড়ে। তিন তলা মন্দির গড়া হয়েছে গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে, নিচের দিকে রয়েছে কালো গ্রানাইট পাথর। প্রায় ৭০ হাজার স্কোয়ার ফুট জুড়ে ধবধবে সাদা মার্বেল পাথর পাতা হয়েছে। মার্বেল পাথরের বেদিতে বসানো হবে ৫...

একদিন ইতিহাস লিখবে

 একদিন ইতিহাস লিখবে মিশরে নীল নদ ছিল। কিন্তু গাজার জনগণ পিপাসার্ত হয়ে মারা গিয়েছিল... ইতিহাস লিখবে যে, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল সমুদ্র রয়েছে। কিন্তু গাজায় অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জ্বালানী নেই... ইতিহাস লিখবে যে, আরবদের ৪ মিলিয়ন সৈন্য রয়েছে। কিন্তু গাজার জনগণকে রক্ষায় একজন সৈন্যকেও প্রবেশ করাতে পারেনি। ইতিহাস লিখবে যে, সৌদি আরব বিনোদন এবং পার্টির জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। কিন্তু গাজায় রুটি ও খাবার পানি ছিল না... এবং ইতিহাস লিখবে যে পাকিস্তান ইসলামের নামে তৈরি হয়েছিল এবং তারা গাজায় তাদের ভাইদের সাহায্য করার জন্য কিছুই করেনি... নীরব থাকার জন্য জবাবদিহিতা থাকবে...এই পৃথিবীতে এবং চূড়ান্ত বিচারের দিনে!

মুহাম্মদ আলি পাশা ও প্রথম সৌদি-আরব ওহাবি রাষ্ট্র দিরিয়া

উসমানীয় সেনাপতি মুহাম্মদ আলি পাশা আল-মাসউদ ইবনে আগা প্রথম সৌদি-আরব ওহাবি রাষ্ট্র, দিরিয়া আমিরাতকে ধ্বংস করেছিলেন । মুহাম্মদ আলি পাশা ছিলেন উসমানীয় সেনাবাহিনীর একজন উসমানীয় আলবেনীয় কমান্ডার। তিনি পাশা পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন এবং নিজেকে মিশর ও সুদানের খেদিভ ঘোষণা করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি জাতীয়তাবাদি না হলেও সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার সংস্কারের ফলে তাকে আধুনিক মিশরের স্থপতি বিবেচনা করা হয়। মিশরের বাইরে তিনি লেভান্টও শাসন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত মুহাম্মদ আলি রাজবংশ ১৯৫২ সালের বিপ্লবের আগ পর্যন্ত মিশর শাসন করেছে। ১৮০১ সালে আব্দুল্লাহ ইবনে সা'উদের সেনাবাহিনী কারবালায় হজরত হুসাইন ইবনে আলী (রাসূলের প্রিয় নাতি) এর সমাধি ধ্বংস করেছিল । যা মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। এই জঘন্য অপরাধের পর ওহাবীরা পবিত্র শহর মক্কা ও মদীনার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদ মসজিদ -ই- নববি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক মুসলমানকে হত্যা করা হয়।উসমানীয় কাফেলাকে 'আব্দুল্লাহ ইবনে সা'ঊদ ও তার সেনাবাহিনী আক্রমণ করে। মক্কা ও মদিনা দখল ...

সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি

  আমেরিকান মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট এবং সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মিশিগানের গ্র্যান্ড র ‍ ্যাপিডসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ডেট্রয়েটে বেড়ে ওঠেন।কেভিন লি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সম্প্রতি তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। একইসাথে জানিয়েছেন, একজন মুসলিম হিসেবে জীবনে তিনি দারুণ তৃপ্তি অনুভব করছেন।৩০ বছর বয়সী কিভেন লি ২০২১ সালে ইসলাম গ্রহণ করলেও গত ১০ জানুয়ারির আগে তিনি তা প্রকাশ করেননি।কেভিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লেখেন, মুসলিম হওয়ার পর থেকে আমি অনেকের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। মোবাইল বার্তা ও টেলিফোন কলে তারা তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। তাদের এ আন্তরিকতায় আমি দারুণ মুগ্ধ।কেভিন বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। আমি গর্বিত যে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।’অপর এক টুইটবার্তায় কেভিন বলেন, যেহেতু আমি কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি, তাই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য জানাচ্ছি যে আমি ২০২১ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। কিন্তু এতদিন তা প্রকাশ্যে বলা হয়নি।তিনি বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই একটি পডকাস্ট শুরু করতে চাই, যাতে আমি সেখানে আরো গভীরভাবে কথাগুলো বলতে পারি।’...

ইউটিউবার দাউদ কিম

সত্যের সন্ধানে দাউদ কিমের মতো হাজারো যুবক ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে মুসলিম যুবকেরা হচ্ছে ইসলাম বিমুখ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্লগার জে কিম ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দাউদ কিম নাম ধারণ করেন। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত। নানা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তার ইসলাম গ্রহণের ভিডিও প্রায় অর্ধকোটি বার ভিউ হয়। সর্বশেষ ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ইউটিউবার দাউদ কিম। গত শনিবার ইসলাম গ্রহণের পর দ্বিতীয়বার তিনি ইসলামের প্রধান সম্মানিত এই স্থানে যান। এর আগে ডিসেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্দান্ত ভ্রমণের কথা জানান। পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি পোস্ট করে দাউদ কিম বলেন, ‘পবিত্র এই স্থান আমার ঠিকানার মতো। এই স্থান খুবই পবিত্র ও সম্মানিত। এখানে এসে সবার মধ্যে জিজ্ঞাসা তৈরি হয় যে আমরা কেন জন্ম নিয়েছি? আমরা কেন বেঁচে আছি? আমরা কোথায় যাব?’ আল্লাহর অনুগ্রহে সুপথপ্রাপ্তির কথা জানিয়ে দাউদ কিম বলেন, ‘আমার জীবন ছিল খুবই এলোমেলো। আমি ভেবেছিলাম সবচেয়ে অসু...

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের আসমানী

  আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়, সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার। এভাবেই আসমানীর দুর্ভোগ দুর্দশা নিয়ে কবিতার মাধ্যমে পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তুলে ধরেছিলেন জীবন ধারা।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের এই ‘আসমানী’ কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তাঁর ‘এক পয়সার বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই কবিতা মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্য বইয়েও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।কবির সেই আসমানী অনেকটা অযত্ন অবহেলায় বাধ্যক্যজনিত রোগে মারা গেছেন গত দশ বছর আগে। ১৯১৩ সালে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আসমানীর জন্ম। আরমান মল্লিকের মেয়ে আসমানীর মাত্র ৯ বছর বয়সে বিয়ে হয় পাশের রসুলপুর গ্রামের হাসাম মন্ডলের (রহিমদ্দির) সঙ্গে। তিনি দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের জননী ছিলেন। ৯৯ বছরের বয়সের বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালে তিনি মারা যান। এ সময় তিনি দুই ছেলেসহ চার মেয়ে রেখে যান।বর্তমানে আসমানীর পর...

সুইডেনে ইসলাম

সুইডেন ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র।রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বদিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিমদিকে নরওয়ে ও দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে ওরেসুন্দ সেতু যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়। সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশেগুলোর বৃহত্তম রাষ্ট্র।ঊনবিংশ শতক থেকেই সুইডেন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে এবং কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থেকেছে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হল স্টকহোম।'ভেনিস অব দ্য নর্থ' বলা হয় সুইডেনের স্টকহোমকে। ইউরোপের স'মিল বলা হয় সুইডেনকে। পৃথিবীর প্রথম কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সুইডেন। সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ অঞ্চল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরসমূহে বসবাস করে।সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বহুদিন ধরেই রাজার ক্ষমতা কেবল আনুষ্ঠানিক কাজ-কর্মেই সীমাবদ্ধ।ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তাদের গণতন্ত্র...

যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

ইংল্যান্ড ১৮৬৩ সালে লন্ডনে মেট্রোরেল, যেটাকে তারা টিউব বলে চালু করেছিল। আমেরিকার মেট্রোরেল বা সাবওয়ে চালু হয়েছিল ১৯০৪ সালে নিউইয়র্কে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মেট্রোরেলে নাম লেখায় জাপান। ১৯২৭ সালে সাবওয়ে লাইন প্রতিষ্ঠিত হয় টোকিওতে।চীনের যাত্রা দেরিতেই বলতে হবে। দেশটির প্রথম মেট্রো বেইজিং সাবওয়ে যাত্রা করে ১৯৭১ সালে। আফ্রিকার দেশ হিসেবে মেট্রোয় প্রথম নাম লেখায় মিসর। ১৯৮৭ সালে কায়রোয় চালু হয় মেট্রোরেল। কলিকাতায় মেট্রো রেল চালু হয়েছিল আজ থেকে ৩৮ বছর আগে ১৯৮৪ সালে। দেরীতে হলেও আমরাও পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হোক আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। রোনালদো পাঁচটি ব্যালন ডি’অর এবং চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু অর্জন করেছেন, যা কোন ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক জয়। কর্মজীবনে তিনি ৩২টি প্রধান সারির শিরোপা জয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাতটি লিগ শিরোপা, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, এবং একটি উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বাধিক ১৩৪টি গোল এবং ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক ১২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজন যিনি ১,১০০টির উপর পেশাদার খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ৭৯০টির বেশি গোল করেছেন। তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করা দ্বিতীয় পুরুষ ফুটবলার এবং প্রথম ইউরোপীয়। ব্যক্তিগত জীবনে রোনালদো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়। রোনালদো তার দানশীলতা এবং বিশ্বব্যাপী অসহায় মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য বহুল প্রশংসিত। সম্প্রতি এক জরিপে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দানশীল খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ফিলিস্তিনের একটি সংস্থা তাকে পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০১৬ প্রদান করে।রোনালদো ২০১১ সালে জ...

করিম বেনজেমা

করিম বেনজেমা বলেন, আমার এখনও ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের কথা মনে আছে। খেলাটি রমজান মাসে ছিল। আমি বসেছিলাম এবং ভেবেছিলাম যে এটি লিভারপুলের বিপক্ষে একটি শক্তি পরীক্ষার ম্যাচ এবং আমাকে অবশ্যই ১০০% প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই আমি রোজা না রাখার সিদ্ধান্ত নেই। আমি হোটেলে ছিলাম। রোনালদো আমার রুমের দরজায় এসে টোকা দিল। দরজা খুলে আমি রোনালদোর হাতে খাবারের প্লেট এবং পানির বোতল দেখতে পেলাম। সে আমাকে বলল এটা তোমার সাহরি।তুমি রোজা ভাঙ্গবে না। আমি ম্যাচে মনোযোগ দেব আর তুমি তোমার রোজা রাখবে। এই সেই রোনালদো যিনি এখন রাজনীতির শিকার।

পশ্চিমা যুক্তি

  "If it not from west, it is not the best" কাতার বিশ্বকাপের অনেক কিছুই আগের আয়োজনের তুলনায় ভিন্ন রকম। চ্যাম্পিয়ন মেসিদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার পর দেশটির আমির মেসিকে পরিয়ে দেন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক পোশাক যা বিশত নামে পরিচিত।আরব বিশ্বের পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এটি। বিশেষ আয়োজন এবং বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এটি পরেন তারা। কারও গায়ে তা চরিয়ে দেয়ার মানে হলো ওই ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া। মেসিকে বিশত পরানো নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তিও। কেউ বলছেন, এটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, যা বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণের সঙ্গে বেমানান, কেউ চেষ্টা করছেন বিষয়টি সম্পর্কে জানার। বিশ্বকাপ ফাইনালে আয়োজক দেশের দেয়া স্মারক পরে উদযাপন নতুন কিছু নয়। ১৯৭০ সালের ফাইনালে ফুটবল সম্রাট পেলে ব্রাজিলের জয়ের পর মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী সমব্রেরো টুপি মাথায় উদযাপন করেছিলেন। মেসিকে পরানো সেই ‘বিশত’ কেনার জন্য ১০ কোটি টাকা প্রস্তাব করেছেন আহমেদ আল বারওয়ানি নামে ওমানের এক সরকারি কর্মকর্তা।ওমানের শুরা কাউন্সিলের সদস্য আল-বারওয়ানি এক টুইটে এই প্রস্তাব জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেসিকে আরব ‘বিশত’ পরিয়ে ক...

স্বাধীনতার পর রেলপথ

উনিশ শতকে প্রবর্তিত হয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লবের সূচনা করে। জর্জ স্টিফেনসনের যুগান্তকারী প্রচেষ্টায় ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের প্রথম রেলওয়ে ইংল্যান্ডের স্টকটন থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরবর্তী ডার্লিংটন পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করা হয়।১৮৫০ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে নামক কোম্পানি মুম্বাই থেকে থানা পর্যন্ত ৩৩ কিমি দীর্ঘ রেললাইন স্থাপন করতে থাকে। লাইনটি উদ্বোধন করা হয় ১৬ এপ্রিল ১৮৫৩ সালে। এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতে রেলওয়ের প্রথম যাত্রা। ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধন হয় ১৮৫৪ সালে এবং এর মাধ্যমে চালু হয় বাংলার প্রথম রেললাইন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর বেঙ্গল-আসাম রেলওয়ে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। পূর্ববাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকারসূত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কিলোমিটার রেললাইন এবং তা ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) নামে পরিচিত হয়। ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এর নতুন নামকরণ হয় পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশের পর ...

ফেরাউন ২য় রামেসিস

  ফেরাউন ২য় রামেসিসের মমি থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় ডানের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। বেঁচে থাকলে তাকে নাকি এমনই দেখাত! ১৮৮১ সালে মিসরের নিলের উপত্যকায় ফেরাউনের লাশ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ অবিকৃত ওই লাশ তখনো মমি হয়নি। ১৮৮১, মতান্তরে ১৮৯৮ সালে মমি করে ফেরাউনের লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়। সাগরে ডুবে মরার কারণে ফেরাউনের শরীরে স্পষ্ট লবণাক্ততা। তিন হাজার ১১৬ বছরের অধিককাল ফেরাউনের লাশ সংরক্ষিত থাকার মধ্যে পবিত্র কোরআনের বাণীর নিত্যতা প্রমাণিত হয়—‘আজ আমি তোর দেহ সংরক্ষণ করব, যাতে তুই তোর পরবর্তীকালের মানুষের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকিস...। ’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)