‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’-এর ফজিলত


মো. আব রায়হান: এটি নিয়মতি পাঠ করলে জান্নাতের ধানাগার অর্জিত হয়। হাদিসে এসেছে-
হযরত আবু মুসা আল আশআরী (রা) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা (বর্ণনাকারী বলেন) একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এর উপর ওঠে জোরে জোরে বলল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’হযরত আবু মুসা বলেন, তখন রাসুল (সা) তাঁর খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন রাসুল (সা)  বললেন, তোমরা তো কোনো বধির ‍কিংবা কোনো অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেন-‘হে আবু মুসা! বা হে আবদুল্লাহ!“তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা বলে দেব না কি?” আমি বললাম, ‘অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)  (বুখারী ও মুসলিম)।
‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’-এর পাঠে জান্নাতে ধনাগার লাভ হয়। যাতে রয়েছে বান্দার যাবতীয় কল্যাণ।আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা)  আমাকে বললেন- আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের একটির সন্ধান দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’।হাযিম ইবনে হারমালা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেনঃ হে হাযিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন। সাফওয়ান ইবনু সুলাইম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ফেরেশতাই “লা- হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ না করে উর্ধ্বাকাশের দিকে গমন করেন না।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবির শেখানো গুরুত্বপূর্ণ আমলটি যথাযথ করার তাওফিক দান করুন। ‘লা হাওলা...’ পাঠের ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল