পোস্টগুলি

জেদে একজন বিসিএস ক্যাডার অন্য জন লাশ

ছবি
সবাই বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। কেউ হতে পারে কেউবা পারে না । এই নিয়ে ঘটে কত ঘটনা। এখানে বিপরীত দুটো ঘটনা তুলে ধরলাম- এক ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া।সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করে বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে বাঁধা দেয়। তারা সুমাইয়ার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে চায় এবং বাড়িতে ঘর-গৃহস্থালির কাজে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সুমাইয়া স্বপ্ন সে বিসিএস ক্যাডার হবে। তাই সে থেমে না থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের পরিচয় সূত্রে সুমাইয়ার বিয়ে হয়।গত সোমবার (২২ জুন সকালে তাকে খুন করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এ শিক্ষার্থী মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। সুমাইয়ার বাবার বাড়ির লোকজন জানান, সোমবার সকালে সুমাইয়ার শ্বশুর জাকির হোসেন ফোন করে সুমাইয়ার মা নুজহাতকে বলেন, তাঁর মেয়ে অসুস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এসে দেখে যেতে। ত...

একজন মুসলিমের নামে লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকা

ছবি
ভারত চীনের সংঘাতের পর লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকার নাম বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে সারা দুনিয়ায়।এটাই এখন ভারত ও চীন এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘাতের সর্বশেষ ফ্ল্যাশপয়েন্ট।স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গালওয়ান উপত্যাকা দুদেশের কাছেই অতিব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই লাদাখে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। লাদাখের রয়্যাল নামগাল বংশের রাজাদের হারিয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন কাশ্মীরের রাজা গুলাব সিং। পরবর্তীকালে সেই সাম্রাজ্যও বিকিয়ে যায় ব্রিটিশ শক্তির হাতে। পাশাপাশি চিন এবং রাশিয়াও হাত বাড়ায় লাদাখের দিকে। যদিও লাদাখের অধিকাংশ অংশই তখনো অনাবিষ্কৃত। ফলে শুরু হল দুর্গম অঞ্চল গুলোতে অভিযান, নতুন পথের সন্ধান এবং আধিপত্য স্থাপনের কাজ। শ্রমিক হিসাবে কাজে লাগানো হত লাদাখের অধিবাসীদের। চলত লাদাখের বরফে মোড়া ধূসর গ্রামগুলোতে লুঠতরাজ-ও। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, প্রায় ১২৫ বছর আগে এর নামকরণ করা হয়েছিল লাদাখেরই এক কিংবদন্তী পর্বতারোহী ও মুসলিম অভিযাত্রী গুলাম রসুল গালওয়ানের নামে। গুলাম রসুল গালওয়ানের জন্ম লাদাখের রাজধানী লেহতে, সম্ভবত ১৮৭৮ সালে।লাদাখের ব্রিটিশ অধিকৃত অঞ্চলে তখন ছড়িয়ে ...

করোনা কেড়ে নিচ্ছে বেকারদের স্বপ্ন

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্ষতবিক্ষত মানববতা। মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ,পারমাণবিক বোমা,চন্দ্র অভিযান, মঙ্গলগ্রহ জয় সবই এখন অসার প্রয়োজনবিহীন মনে হচ্ছে।যেখানে মানবতা রাস্তা ঘাটে, ঘরে দম বন্ধ হয়ে মরছে সেখানে এসব প্রযুক্তি ও অভিযান কি কাজে লাগবে?সামান্য একটি ভাইরাস মানুষকে নাস্তানাবুদ করে চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।কপালে ফেলেছে বিস্তর চিন্তার ছাপ। সারা বিশ্বে করোনায় শুধু প্রাণহানি ঘটছে তা নয়।আজ অনেকে বেঁচে থেকেও যেন মৃত।যারা বেকার তারা ভুগছেন সীমাহীন কষ্টে ও হতাশায়।বাড়ছে গরীব মানুষদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ট।নভেল করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ মহামারি হিসেবে ছড়িয়েছে বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশে।সারাবিশ্বে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬,৮১,১৯১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৫,৭৬,৮৫৯ জন।মৃত্যুবরণ করেছেন ৪,৫৮,৯২৫ জন। বিশ্বের আকাশে বাতাসে দম বন্ধ আর্তনাদ, প্রকৃতি যেন নীরবে সিরিয়াল কিলার হয়ে মানুষ খুন করছে। পৃথিবী নামক গ্রহে বসবাসে যেমন আমাদের অন্য দেশসমূহের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগী হয়ে চলতে হয় তেমনি দুর্যোগ দুর্ঘটনা সবাইকে স্পর্শ করে। বৈশ্বিক এই পরিবর্তনের ঢেউ আম...

মুসলমানদের পিতা কয়জন ?

ছবি
হযরত আদম (আ.) হযরত আদম (আ.) একাধারে মানবজাতির পিতা, এ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত খলিফা (প্রতিনিধি) এবং প্রথম নবী। সমগ্র মানবজাতির আদি পিতা হলেন হযরত আদম (আ.) । মানবজাতির বিস্তার তাঁর মাধ্যমেই হয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম, বর্ণ ও মতে বিশ্বাসী লোকেরা তাঁর সন্তান। হযরত নুহ (আ.) মানবজাতির দ্বিতীয় আদি পিতা হলেন হযরত নুহ (আ.) । নুহ (আ.) কে আবুল বাশার সানী বা দ্বিতীয় আদম বলা হয়। আদম (আ) থেকে নুহ (আ) পর্যন্ত দশ শতাব্দির ব্যবধান ছিল। যার শেষ দিকে মানবকূল শিরক ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) কে তাদের মাঝে রাসুল রূপে প্রেরণ করেন। তিনি ৯৫০ বছরে দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে সুপথে আনার জন্য দাওয়াতি কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।কিন্তু তার স্ব-জাতি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গজব মহা প্লাবনে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।পরবরতীতে বেঁচে থাকা ঈমানদারদের মধ্য থেকে নতুন করে বংশ বিস্তার করে। এ জাতির ঘটনা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং কুরআনের মাধ্যমে জগতবাসী জানতে পেরেছে। তার চারটি পুত্র ছিল। হাম, সাম, ইয়াফিস ও...

ভারত রৌমারী সীমান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটালো লাদাখে

ছবি
মো আবু রায়হানঃ বেশিদিন আগের কথা নয় । ২০০১ সালের ১৮ই এপ্রিল। বাংলাদেশ আর ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল ১৮ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছিল কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৪৫ কি.মি. দূরে রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ীতে।রৌমারী উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে ১০ কি.মি. দূরে বড়াইবাড়ী গ্রাম।আসাম সীমান্তের কাছাকাছি ২২৬ একর জমি নিয়ে বড়াইবাড়ী গ্রাম। যার আন্তর্জাতিক পিলার নম্বর ১০৬৭/৪ এস। তৎকালীন বিডিআর-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমানের জানতে পারেন যে ভারতীয় বিএসএফ নোম্যান্স ল্যান্ডের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে বাংলাদেশের এলাকা সিলেটের পদুয়াকে কানেক্ট করছে এবং পদুয়াতে অস্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করেছে। বিডি’আরের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিবাদ করার পরও ভারতীয় পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হলোনা এমনকি ফ্ল্যাগ মিটিং-এও রাজি হলো না তারা। বাংলাদেশের সার্বভৌম এলাকার উপরে এই রকম আচরণে এপ্রিলের ১৫-১৬ তারিখ রাতে মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানের নির্দেশে চার শ’র মতো ফোর্স পদুয়াতে মুভ করে পদুয়ায় ভারতীয় বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাও করে ফেলে। বিএসএফের...

লাদাখ কেড়ে নিল ভারতের ঘুম

ছবি
পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ জওয়ানের মৃত্যুর খবর আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় সেনা।হাতাহাতি, পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে শুরু করে, রড, লাঠি, ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। মধ্যরাতের পর তা থেমে যায়।অনেক দেহ নদী থেকে টেনে তোলা হয়।অনেকে এতটাই আহত ছিল যে, সকালে মারা যায়। ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার রাতে গালওয়ান ভ্যালির লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সীমান্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় একটি নির্দিষ্ট সময় পর পিছিয়ে যাবে চিনের সেনা। এক ঘণ্টা পর ৫০-৬০ জন ভারতীয় সেনাকে নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বের হয় কর্নেল সন্তোষ বাবু। সেই সময় চিনা সেনার তৈরি করা তাবু ভাঙতে ভাঙতে এগোতে থাকে তাঁরা। ভাঙা পড়ে চিনা সেনার একটি নজরদারি পোস্টও।জানা যায়, এরপরই প্রায় ২৫০ চিনা সেনা ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায়। দু’পক্ষে শুরু হয়ে যায় তুমুল হাতাহাতি।এই সংঘর্ষে কর্নেল সন্তোষ বাবু সহ ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়।তার সঙ্গে আরও চার জওয়ান গুরুতর জখম হয় বলে সেনা সূত্রে জানা যায়। লাদাখের এই সংঘর্ষে চিনা বাহিনীর এক কমান্ডিং অফি...

অক্সিজেনের জন্য হাহাকার দম বন্ধের আগে গুরুত্ব বুঝি না

ছবি
প্রতিমূহুর্তে নিজেদের অজান্তেই শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছি। আমরা প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার ৯২০ বার শ্বাস নিই। একদিনের নিঃশ্বাসে কতটা অক্সিজেন নিই আমরা? জানা যায় একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ৭-৮ লিটার বাতাস গ্রহন করে থাকে। তাহলে আপনি ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ একদিনে প্রায় ১১৫০০ লিটার বাতাস গ্রহন করছেন। আর আপনি শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে পরিমান বাতাস নিচ্ছেন তাতে ২০ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। আবার প্রশ্বাসের মাধমে যে পরিমান বাতাস বের করছেন তাতে প্রায় ১৫ শতাংশ অক্সিজেন থাকে। তাহলে এর মানে দাড়ালো আমরা নিশ্বাসের মাধ্যমে ৫ শতাংশ অক্সিজেন শরীরে গ্রহন করে থাকে। আর সেই ৫ শতাংশ অক্সিজেনই শরীর বৃত্তিয় কাজ শেষে কার্বন-ডাই-অক্সাইড হিসাবে বের হয়।একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহন করে। আর এটা তো যারা স্বাভাবিক কাজ কর্ম করে তারা গ্রহন করে থাকে। তবে যারা বেশী পরিশ্রম করে বা ব্যায়াম করে তারা ৭৫০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন গ্রহন করে থাকে।হাসপাতালের বিছানায় শোয়া একজন মানুষের প্রতি ঘন্টার অক্সিজেনের বিল আসে ২০০ টাকা। সারাদিনের বিল ৪৮০০ টাকা। আমাদের বয়স কত? আজ...