পোস্টগুলি

ভাস্কো দা গামার জলপথে ভারতে আসার পথ প্রদর্শক ছিলেন একজন মুসলিম

ছবি
মো.আবু রায়হান : ১৪৯৮ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত। কেননা এই বছর ইউরোপীয়দের মধ্যে নাবিক ভাস্কো দা গামা জলপথে প্রথম ভারতে আসেন।গামা  একজন পর্তুগীজ অনুসন্ধানকারী, পর্যটক ও  প্ৰথম ইউরোপীয় ব্যক্তি যিনি সম্পূৰ্ণ সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসে উপস্থিত হন। ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করে ইউরোপের বেনিয়াদের যেমন দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আসার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন তেমনি এ অঞ্চলে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের যাত্রাও শুরু হয়েছিল এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ইউরোপীয় জাতিসমুহ প্রধানত, পর্তুগিজ, ডাচ, বৃটিশ ও স্প্যানিশ এ অঞ্চল সমুহে এসে বানিজ্য করেছে, ধর্ম প্রচার করেছে, দস্যুতা করেছে, হত্যা করেছে, সাম্রাজ্য স্থাপন করেছে অতঃপর, বিশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায় তারা বিতাড়িত হয়েছে৷  ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ৪টি জাহাজ এবং ১৭০জনের এক নাবিকদল নিয়ে ভাস্কো দা গামা লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন। আফ্রিকা থেকে ভারত এবং আবার ফিরে আসার দূরত্ব বিষুবরেখার চারপাশের দূরত্ব থেকে ও বেশি ছিল। নাবিক হিসেবে তার সাথে ছিল পর্তুগালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেরো দি আলেনকুয়ের,পেড্ৰো ইস...

আকাশে প্রথম উড়ার কৃতিত্ব ও বিমানের স্বপ্নদ্রষ্টা একজন মুসলিম

ছবি
মো.আবু রায়হান : আকাশে পাখি উড়তে দেখে মানুষেরও ইচ্ছে করেছিল আকাশে উড়তে। একদিন তা সম্ভবও হলো। গ্রিক উপকথায় ইকারাসের আকাশে ওড়ার কাহিনী হয়তো কম-বেশি অনেকের জানা। আমরা বিমান আবিষ্কারের এক্কেবারে গোড়ার ইতিহাসের দিকে ফিরে যাব। মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই যে মানুষের আকাশে উড়াল দেবার স্বপ্নের বীজ মনোজগতে অঙ্কুরিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেটির যে রূপায়ণ ঘটেছে তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না তারপরও যেহেতু এই ইতিহাস অনেকেরই অজানা তাই তা আলোকপাত করা উচিত বলে মনে করি। কুরআনে বলা হয়েছে, "আর তোমাদের আরোহনের জন্য এবং শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন অনেক কিছু, যা তোমরা জান না।"( সুরা নাহল আয়াত -৮)।এই আয়াতের তাফসীরে বলা যায় ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে মহান আল্লাহ অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়, যা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তাঁরই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরী করেছে। যেমন বাস, ট্টেন, রেলগাড়ি, জলজাহাজ ও বিমানসহ অসংখ্য ...

আবাবিল কোনো পাখির নাম নয় বরং এক ঝাঁক পাখি

ছবি
মো.আবু রায়হান : মহানবি (সা.)'র জন্ম বৎসরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাসে একটি বিখ্যাত ঘটনা সংঘটিত হয়।ঘটনাটি ইতিহাসে হস্তী বর্ষ বা হস্তিবর্ষ , আরবিতে আমুল ফিল, ইংরেজিতে  The Year of the Elephant নামে পরিচিত।ইয়েমেনের শাসক আবরাহা কাবা ঘর ধবংস করতে মক্কায় আসে। যে ঘটনাটি কুরআনের সুরা ফিলে বর্ণিত হয়েছে। আবরাহার কাবা ঘর আক্রমণের প্রাক্কালে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল নামে পাখি এসে তার দলের ওপর কংকর নিক্ষেপ করে ফলে আবরাহা র কাবা ধ্বংসের অভিলাষ নসাৎ হয়ে যায়। এ ঘটনাটি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু যাকে আমরা আবাবিল পাখি বলে অভিহিত করি সেটি কি আসলেই পাখির নাম? চলুন আগে ঘটনাটি আরেকবার জেনে নিই।তারপর না হয়....  হাবশার বাদশাহর পক্ষ থেকে ইয়ামেনে আবরাহা গভর্নর ছিল। সানায় আল কালীস বা আল কুলীস অথবা আল কুল্লাইস নামে একটি বিশাল গীর্জা নির্মাণ করল। আর চেষ্টা করল, যাতে লোকেরা কা’বাগৃহ ত্যাগ করে ইবাদত ও হজ্জ-উমরাহর জন্য এখানে আসে। এ কাজ মক্কাবাসী তথা অন্যান্য আরব গোত্রের জন্য অপছন্দনীয় ছিল। অতএব তাদের মধ্যে একজন আবরাহার নির্মাণকৃত উপাসনালয়ে পায়খানা করে নোংরা করে দিল। আবরাহার নিকট খবর পৌঁছল যে, গির্জাকে কেউ নোংরা ও...

বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন অনুবাদক আমির উদ্দীন বসুনিয়া

ছবি
মো.আবু রায়হান : বিশ্ব মানবতার হেদায়েতের উৎস আল কুরআন। কুরআন আরবি ভাষায় নাযিলকৃত।আল্লাহ তায়ালা বলেন, "নিশ্চয়ই আমি এটিকে কোরআন রূপে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা হুদ, আয়াত - ২)।কিন্তু  বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের মাতৃভাষায় বোঝার সুবিধার্থে কুরআন তাদের নিজস্ব ভাষা অনুবাদ করা হয়েছে।কুরআন এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ভাষা অনূদিত হয়েছে। ইংরেজী ভাষায় পবিত্র আল কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন আলেকজান্ডার বস ১৬৪৮ সালে। ইটালিয়ান ভাষায় প্রথম অনুবাদ করেন আন্দ্রে এ্যারি ত্যারিনি ১৫৪৭ সালে। জার্মানি ভাষায়  প্রথম অনুবাদ করেন সলেমন স্কেইজারী ১৫৪৭ সালে। আন্দ্রে ডুরিৎয়ার ফরাসী ভাষায় কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন ১৬৪৭ সালে। পিত্তটর ডি পোষ্টানিকড ১৭১৬ সালে রাশিয়ান ভাষায়  কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন। উর্দু ভাষায় কুরআন প্রথম অনুবাদ করেন  আব্দুস সালাম মোহাম্মদ ১৮২৮ সালে। বিশ্ব নবীর জীবদ্দশায় কুরআন বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত না হলেও তাঁর ওফাতের পর কুরআন প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ভাষা অনূদিত হয়েছে।মক্কায় ইসলাম প্রচারে যখন রাসূল (দ.) তীব্র বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিলেন, ত...

রোজ কিয়ামত কত দূর ?

ছবি
মো.আবু রায়হান : কুরআনে বিভিন্ন সুরাতে কিয়ামত কথা আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে কিয়ামতের আলোচনা করা হয়েছে। আজকাল কথায় কথায় কেয়ামত সন্নিকটে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়। এই দলে বক্তা থেকে কিছু ইউটিউবার পর্যন্ত যুক্ত আছেন। দাজ্জাল কখন আসবে, ইয়াজুজ মাজুজ কখন গেট ভেঙ্গে আসবে, ইমাম মাহদী নাকি ইতোমধ্যে এসেছেন ইত্যাদি সস্তা কথা বলে জমজমাট ব্যবসা করছে ইউটিউবাররা। এসব শোনে কিছু জাহেল মুসলমান জড়োসড়ো হয়ে হাত পা ছেড়ে দিয়ে কিয়ামতের দুশ্চিন্তায় অস্থির। অথচ কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সন তারিখ কুরআন ও হাদিসের কোথাও নেই।এই প্রসঙ্গে কোরআন-হাদিসে নির্দিষ্ট কোন তারিখ উল্লেখ না থাকলেও কিয়ামতের  আলামত বা নিদর্শন সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘তারা কি শুধু এই অপেক্ষায় রয়েছে যে কিয়ামত তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুত কিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই পড়েছে। সুতরাং এসে পড়লে তারা কীভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত - ১৮)। অপর আয়াতে বলা হয়েছে, তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত কখন হবে? আপনি বলে দিন, এর খবর তো আপনার পা...

জগদীশচন্দ্র বসুর ১৩৫০ বছর আগে আল কুরআনে গাছের প্রাণের স্বীকৃতি

ছবি
মো.আবু রায়হান : আজ থেকে ১০০ বছর আগের মানুষেরা গাছের যে প্রাণ আছে তা জানতো না। বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু গাছের যে প্রাণ আছে তা আবিষ্কার করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দেন। সর্বপ্রথম তার উদ্ভিদের প্রাণ থাকার ঘোষণায় বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। জগদীশ চন্দ্র বসু তিনি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের কাছে জে. সি. বোস নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সমকালীন বাঙালী বিজ্ঞানীদের মধ্যে পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চায় ছিলেন অগ্রগণ্য। বিজ্ঞানে তার অবদানের মধ্যে এক বিরাট অংশ জুড়ে আছে জৈবপদার্থবিদ্যা বা বায়োফিজিক্স।বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র ১৯০২ সালে রচনা করলেন ‘Responses in the living and non living’| ১৯০৬ সালে প্রকাশিত তার দুটি গ্রন্থের মধ্যে তিনি প্রমাণ করলেন উদ্ভিদ বা প্রাণীকে কোনভাবে উত্তেজিত করলে তা থেকে একইরকম সাড়া মেলে। তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন যে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মানব জীবনের ন্যায় উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি আছে। গাছের বৃদ্ধি মাপার জন্য তিনি একটি সূক্ষ্ম যন্ত্র তৈরি করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল  এটির বাংলা নাম দেবেন ‘বৃদ্ধিমান’, কিন্তু ইংরেজ সাহেবদের বিক...

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

ছবি
মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে। ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে গোপন কর...