পোস্টগুলি

মরক্কোর ফুটবলার আশরাফ হাকিমি

ছবি
  "আমার মা ঘর পরিষ্কার করতেন এবং আমার বাবা একজন ফুটপাতের দোকানী ছিলেন। আমরা একটি নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি যারা জীবিকা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করেছিল। আজ আমি প্রতিদিন তাদের জন্য লড়াই করি। তারা আমার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।" উহিব্বুকে উম্মি’ (মা আমি তোমায় ভালোবাসি)। সঙ্গে লাল রঙের ভালোবাসার একটি চিহ্ন। কোলাজ করা দুটি ছবির সঙ্গে আরবিতে দেওয়া এক লাইনের এই টুইট বার্তাকে এ সময়ে ভাইরাল বলাই যায়। টুইটটি করেছেন মরক্কোর ফুটবলার আশরাফ হাকিমি। কেন তাঁর এই টুইট এতটা আলোচনায়? তিনি পিএসজির একজন তারকা ফুটবলার বলে, নাকি আরও গল্প আছে? নিশ্চয়ই গল্প আছে। কারণ, আশরাফ হাকিমির জীবন যে বড় সংগ্রামের। আর এই সংগ্রামের অন্যতম সারথি তাঁর মা সাইদা মু। যে মা তাঁর সন্তানদের মানুষ করতে করেছেন পাহাড়সমান কষ্ট। পরিবার সামলাতে স্পেনে করেছেন বাসাবাড়ি পরিষ্কারের কাজ। তাঁর বাবা হাসান হাকিমিও কষ্ট করেছেন স্পেনের রাস্তায় রাস্তায়। ফেরি করে বিক্রি করেছেন মালামাল। আশরাফ হাকিমি আরবিতে ওই টুইটটি করেছেন ২৭ নভেম্বর বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে মরক্কোর জয়ের পর। এর আগেই কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামের ওই ছবি ও ভিডিও জয় ক

দিস টাইম ফর আফ্রিকা

  পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মরক্কো। এরপরই শুরু হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া। এক টুইটবার্তায় ওজিল লেখেন, ‘আমি গর্বিত। কী দারুণ দল ‘মরক্কো’, আফ্রিকা ও মুসলিম বিশ্বের জন্য কী দারুণ অর্জন।’ তিনি আরো লেখেন, ‘আধুনিক ফুটবলে এমন রূপকথার ঘটনা দেখতে পাওয়া দারুণ। এটি অনেককে আশা ও শক্তি জোগাবে।’ মরক্কোর জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।এরদোগান অভিনন্দন জানিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় আমি অন্তরের গভীর থেকে মরক্কো জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে এই অর্জনে আমাদের মরক্কান সকল ভাইদের প্রতিও শুভেচ্ছা।’ বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা এটিকে ‘দুর্দান্ত এক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক অর্জন’ উল্লেখ করে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মেদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এ উপলক্ষে মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদ ষষ্ঠকে ফোন করেন এবং কাতারে চলমান বিশ্বকাপে তার দেশ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় তাকে বিশেষ অভিনন্দন জানান। শাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস দেবি টুইটারে লিখেছেন, ‘ঐতিহাস

যে মসজিদে আশ্রয় নিয়ে ই*হু*দিরা জীবন বাঁচিয়েছেন

ছবি
  ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান সদস্য। ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-দেশের একটি এবং এর ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে।৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০১ বর্গকিলোমিটা্র আয়তনের ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই এর স্থান এবং পৃথিবীর মধ্যে ৪৮ তম দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র।২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৯ লাখেরও অধিক।সংবিধান অনুযায়ী একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ফ্রান্স। ২০১৬ সালের এক হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে, দেশটির ৫১ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করে। মুসলমান ও অন্যান্য আরও কিছু ধর্ম পালন করে ৯ শতাংশ মানুষ। এছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার ধর্ম পালন করে না।মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে ৬মিলিয়নের ও বেশি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷পিউ রিসার্চ সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ হবে। এই মুসলমানরা বেশির ভাগই আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এসে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে

মরক্কো - স্পেন ফুটবল ও ভূখন্ড বিবাদ

প্রতিবেশী দুই দেশ স্পেন ও মরক্কো। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলে দুই দেশের পার্থক্য চোখে পড়ার মতোই। বিশ্বকাপ, ইউরো—সবই জিতেছে স্পেন। আর মরক্কোর সেরা সাফল্য ১৯৭৬ সালের আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট। স্পেন আছে ৭ নম্বরে, মরক্কোর অবস্থান ২২-এ। দুই দলের আগের তিনবারের সাক্ষাতে পাল্লাটা স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকে আছে স্পেনের দিকে। মুখোমুখি ৩ ম্যাচের ২টিতেই জিতেছে স্পেন, অন্য ম্যাচটি হয়েছে ড্র। কিন্তু মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপের, পরিসংখ্যান আর র‌্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য অনেক সময় শুধুই মায়াবী বিভ্রম। আর এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সেটা দেখা গেছে অনেকবার।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে মরক্কো! তাও আবার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে। এরপর পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে মরক্কো। মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এর চেয়ে বড় দিন আর আসেনি। উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের দুই সার্বভৌম ভূখণ্ড সুটা এবং মেলিল্লা। কিন্তু মরক্কোর কাছে ‘সুটা এবং মেলিল্লা তাদের জায়গা যা স্পেন কয়েকশ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছে।তবে আফ্রিকায় মরক্কোর লাগোয়া স্পেনের এই দুই শহরের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের

মরক্কোর বিজয়ে ধর্মীয় তাৎপর্য না থাকলেও রাজনৈতিক তাৎপর্য অনস্বীকার্য।

ছবি
আফ্রিকার সবচেয়ে পশ্চিমের দেশ মরক্কো। মরক্কো কেবলই প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে নয়, প্রথম আরব দেশ হিসেবেও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে বিস্ময় মরক্কো। এখন অবশ্য অনেকেই মরক্কোর জয়কে অঘটন বলতে নারাজ। যে দল বেলজিয়ামকে হারিয়েছে,ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করেছে, স্পেনকে হারিয়েছে, পর্তুগালকে ৯০ মিনিটের খেলায় হারিয়েছে, তাদের জয়কে অঘটন বলার উপায় নেই। ১৯৫৭ সালের ১৯শে অক্টোবর তারিখে, মরক্কো প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে; লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত মরক্কো এবং ইরাকের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ৩–৩ গোলের ড্র হয়। মরক্কো এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা পশ্চিম জার্মানির কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে মরক্কো অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (১৯৭৬) শিরোপা অর্জন করে। এছাড়াও, মরক্কো ২০১৮ আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লাভ করে।ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে মরক্কো তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১

ইউরোপের খলনায়ক সার্বিয়া

ছবি
মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ সার্বিয়া। বলকান উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থান। এটি পানোনীয় সমভূমির দক্ষিণাংশে, বলকান উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থিত। দেশটির উত্তরে হাঙ্গেরি, পূর্বে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, দক্ষিণে আলবেনিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়া, এবং পশ্চিমে মন্টিনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। এর রাজধানীর নাম বেলগ্রেড। সার্বিয়ার আয়তন ৭৭ হাজার ৪৭৪ বর্গকিলোমিটার (কসোভো বাদ দিয়ে)।। ২০১৮ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যা ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৩২২ (কসোভো বাদ দিয়ে)।জাতিগোষ্ঠীর সার্ব ৮৩.৩ শতাংশ, হাঙ্গেরিয়ান ৩.৫ শতাংশ, রোমা ২.১ শতাংশ, বসনিয়াক ২ শতাংশ, অন্যান্য ৯.১ শতাংশ। সংবিধান অনুযায়ী সার্বিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে বসবাসকারীরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারে। তবে দেশটির ৮৪ শতাংশ মানুষ ‍খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী। এছাড়া রোমান ক্যাথলিকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশ এবং মুসলিম ৩ শতাংশ। অন্যান্য ধর্মালম্বী রয়েছে আরও ৭ শতাংশ। সার্বিয়ার অফিসিয়াল ভাষা সার্বিয়ান। দেশটির ৮০ শতাংশের অধিক মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। এছাড়া দেশটির প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হাঙ্

তিউনিসিয়া

ছবি
  তিউনিসিয়া আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্র। এর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে আলজেরিয়া , দক্ষিণ-পূর্বে লিবিয়া এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। মাউন্ট অ্যাটলাসের পূর্ব পাশে দেশটির অবস্থান। এর উত্তর প্রান্তে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।দেশটির বাকি অংশের জমি উর্বর। এর উপকূলরেখা ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। রাজধানীতিউনিস সবচেয়ে বড় শহর আয়তন : এক লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ৯১ তম। জনসংখ্যা : এক কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার ৪৮২ জন। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ৭৯ তম বৃহত্তম দেশ। জাতিগোষ্ঠী : আরব , বারবার , ইউরোপীয় , তুর্কি , ইহুদি। রাষ্ট্রধর্ম : ইসলাম।শতকরা ৯১ জন মুসলমান । বাকিরা ইহুদি অ খ্রিস্টান । ভাষা : রাষ্ট্রআরবি ও সরকারি ভাষা ফরাসি মুদ্রা : তিউনিসীয় দিনার। জাতিসংঘে যোগদান : ১৯৫৬ সালে। ইতিহাস খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকে বারবারদের আগমন ঘটে। তখন তিউনিসিয়া বারবার জাতির আবাসস্থল ছিল। খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে অঞ্চলটিতে ফিনিসিয়ানদেরঅভিবাসন শুরু হয়। একপর্যায়ে অঞ্চলটি তারাই শাসন করতে শুরু করে। ৪১৪ খ্রিষ্টপূর্বেকার্থেজ

বিশ্বকাপ ফুটবলে ৬ মুসলিম দেশ

ছবি
সৌদি আরব ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আঙিনায় পা  রাখে। সেবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। এরপর ১৯৯৮ ,  ২০০২ ,  ২০০৬ ও ২০১৮ তে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় সৌদি আরব। https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_36.html সেনেগাল ফুটবলে জায়ান্ট কিলার হিসেবে বেশ খ্যাতিমান পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। সাদিও মানের দেশ সেনেগালের এটা তৃতীয় বিশ্বকাপ ফুটবল। তারা প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে ২০০২ সালে। প্রথমবারেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। এবার বিশ্বকাপে নামার আগেই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে দলটি। দলের সেরা তারকা সাদিও মানেকে পাচ্ছে না সেনেগাল। হঠাৎ চোটের কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_3.html কাতার ১৯৭০ সালে বাহরাইনের মাটিতে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচ খেলা কাতার ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। আয়োজক দেশ হিসেবে এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামছে মধ্যপ্র