বিশ্বকাপ ফুটবলে ৬ মুসলিম দেশ
সৌদি আরব
১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আঙিনায় পা রাখে। সেবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। এরপর ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৮ তে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় সৌদি আরব।
https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_36.html
সেনেগাল
ফুটবলে জায়ান্ট কিলার হিসেবে বেশ খ্যাতিমান পশ্চিম আফ্রিকার দেশ
সেনেগাল। সাদিও মানের দেশ সেনেগালের এটা তৃতীয় বিশ্বকাপ ফুটবল। তারা প্রথম
বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে ২০০২ সালে। প্রথমবারেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল। দ্বিতীয়
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। এবার বিশ্বকাপে নামার আগেই বড়
দুঃসংবাদ পেয়েছে দলটি। দলের সেরা তারকা সাদিও মানেকে পাচ্ছে না সেনেগাল। হঠাৎ
চোটের কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন।
https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_3.html
কাতার
১৯৭০ সালে বাহরাইনের মাটিতে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক
ফুটবল ম্যাচ খেলা কাতার ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু
বিশেষ কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। আয়োজক দেশ হিসেবে এবারই
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। বিশ্বকাপ না খেললেও
এশিয়ান কাপে কাতার একটি বড় নাম। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নও তারা।
https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_72.html
মরক্কো
এর আগেও পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলেছে মুসলিম এই দেশটি। ১৯৭০
সালে মরক্কো প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলে। সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা।
১৯৮৬ সালে মরক্কো উঠেছিল শেষ ষোলোতে। পরে ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে মরক্কোকে দেখা গেলেও
প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি।
ইরান
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় উত্তাল ইরান অংশ নিচ্ছে
কাতার বিশ্বকাপেও। ফুটবলে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে তাদেরকে গণ্য করা হয়।
এ পর্যন্ত তিনবার এশিয়ান কাপ এবং চারবার এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বর্ণপদক পেয়েছে।
ছয়টি বিশ্বকাপে খেলা ইরান ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ খেলে।
এরপর আরো পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশ নিলেও কোনোবারই গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি আলি
দাইয়ের ইরান।
https://harkarabd.blogspot.com/2021/10/blog-post_53.html
তিউনিশিয়া
আফ্রিকান দেশ তিউনিশিয়া ষষ্ঠবারের মতো অংশ নিচ্ছে বিশ্বকাপে। নেশন্স কাপের অন্যতম সেরা নাম হলেও বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ইরানের মতো তিউনিশিয়াতেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। শুধু ফুটবলে ভালোবাসার কারণে এবারও বিশ্বকাপে আছে দেশটি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন