পোস্টগুলি

মাদক নির্মূলে ইসলাম

ছবি
দেশের তরুণ-যুবকদের বেশ বড় একটা অংশ আত্মঘাতী মাদকাসক্তি র শিকার। তবে মাদকাসক্তি শুধু এই বয়সীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, পূর্ণবয়স্ক, এমনকি শিশু-কিশোরদের মধ্যেও মাদকাসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে।মাদকাসক্তের সংখ্যা নির্ধারণে দেশে প্রথমবারের মতো একটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এই সমীক্ষা পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, ১৮ বছর বা এর ঊর্ধ্বের বয়সী মানুষের মধ্যে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মাদকাসক্ত। অন্যদিকে, ৭ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এই হার শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।দেশে মাদকাসক্তের এই সংখ্যাকে উদ্বেগজনক বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এই সমীক্ষার আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ধারণা করত, দেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। সমীক্ষায় তা অর্ধেক বলা হলেও অধিদপ্তর এখন বলছে, এই সংখ্যাও আশঙ্কাজনক।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়। দেশের সাতটি বিভাগের সাত বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ হাজার ৬৬২ জনের ওপর বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের প্রকোপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের ওপর সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়। জাতীয় মানসি

নারী দিবস ও ইসলামে নারী

ছবি
#মো. আবু রায়হান আজ ৮ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে দিবসটি পালিত হতে লাগল। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করা হয়। অথচ বিশ্বমানবতার পরম বন্ধু হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ‘সভ্য পৃথিবীর’ও ১৪৫০ বছর আগে মরুভূমির প্রান্তে দাঁড়িয়ে নারীর অধিকার ও প্রাপ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। একবিংশ শতাব্দীতে নারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি তো পাচ্ছেই সেই সঙ্গে নারীরা অধিকারও হারা।ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত নেই বলেই আজ তারা বৈষম্য ও নিগ্রহের শিকার। রাসুলুল্লাহ (সা) এর আগমনের আগে আইয়ামে জাহেলী যুগে যেখানে কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত ক

আমরা মুসাফির

ছবি
আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাঁধ ধরে বললেন, “এ দুনিয়াতে তুমি (এমনভাবে) থাকো, যেন তুমি একজন অপরিচিত বা একজন মুসাফির।” ইবনে ‘উমার (রাঃ) বলতেন, “যদি তুমি সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে থাকো, তবে সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করো না। যদি তুমি সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকো, তবে সন্ধ্যার প্রত্যাশা করো না। সুস্থ থাকা অবস্থায় তুমি অসুস্থতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো, আর বেঁচে থাকা অবস্থায় নিজেকে প্রস্তুত করো মৃত্যুর জন্য।” (সাহিহ বুখারি – কিতাবুর রিকাক, হাদিস ৬৪১৬) হযরত ইমাম গাজ্জালি (রহ.) একটি উদাহরণ দিয়েছেন। একটি জাহাজ কোথাও যাচ্ছে। জাহাজের যাত্রীরা সবাই মুসাফির। পথিমধ্যে একটি দ্বীপের দেখা পেলে জাহাজের ক্যাপ্টেন দ্বীপে জাহাজটিকে নোঙ্গর করে, যাতে সফরের জন্য প্রয়োজনীয় রসদসামগ্রী ও জ্বালানী নেয়া যায়। জাহাজের ক্যাপ্টেন ঘোষণা করে, আমরা কয়েক ঘণ্টা এখানে যাত্রাবিরতি করব, যাত্রীদের কেউ চাইলে জাহাজ থেকে নেমে ঘুরেফিরে আসতে পারেন। ঘোষণার পর যাত্রীরা সবাই জাহাজ থেকে নেমে পড়ে এবং দ্বীপটিকে দেখার জন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দ্বীপটি ছিল দেখতে খুব সুন্দর,

বন্ধুত্ব

ছবি
বন্ধু নির্বাচনে ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে প্রিয়নবি (সা) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধু স্বভাবী হয়, তাই তাকে লক্ষ্য করা উচিত, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (তিরমিজি)রাসুলুল্লাহ (সা) বন্ধুত্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সৎ সঙ্গী এবং অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রয়কারী এবং কামারের হাপরের ন্যায়। আতর ওয়ালা তোমাকে নিরাশ করবে না; হয় তুমি তার কাছ থেকে ক্রয় করবে কিংবা তার কাছে সুঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাপর, হয় তোমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে, নচেৎ তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে আর না হলে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি) হযরত ইমাম জাফর আস-সাদিক (রহ) বলেন, ‘পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করা সমীচীন নয়। তারা হলো-মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, ভীরু, পাপাচারী ও কৃপণ ব্যক্তি।হাদিসে এসেছে-'জ্ঞানী শত্রু, নির্বোধ বন্ধু অপেক্ষা শ্রেয়।' (মিজানুল হিকমাহ : ১০২৬৮) বন্ধু মনোনয়নে হযরত আলী (রা.)-এর উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, 'নির্বোধের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। কারণ সে উপকার করতে চাইলেও তার দ্বারা তোমার ক্ষতি হয়ে যাবে।' (দিওয়ানে আলী) ’ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখ

কেয়ামতের আগে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

ছবি
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে, নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। এমনকি পঞ্চাশ জন নারীর দেখাশুনার জন্যে মাত্র একজন পুরুষ থাকবে।’ (বুখারি, অধ্যায় : কিতাবুল ইলম) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কেয়ামতের পূর্বে ফিতনার সময় ব্যাপক যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে যেহেতু কেবল পুরুষেরাই অংশগ্রহণ করে থাকে তাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পুরুষেরা অকাতরে নিহত হবে। ফলে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি (র.) এই মতটিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, হাদিসের প্রকাশ্য অর্থ হলো, কোনো কারণ ছাড়াই শুধু কিয়ামতের আলামত হিসেবে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তায়ালা আখেরি জামানায় পুরুষের তুলনায় বেশি নরী সৃষ্টি করবেন। বর্তমানে এ আলামতটি প্রকাশিত হতে দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো দেশে জরিপ করে দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। মোটকথা স্বভাবগত ও যুদ্ধ উভয় কারণে পুরুষের সংখ্যা কমতে পারে। বর্তমানে সারা বিশ্বের গড় অনুপাতের ১০০ নারী এবং ১০৫ পুরুষ। ২০১ দেশের আদমশুমারির ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৫ দেশে নারীর সংখ্যা বেশি।যে সব দেশে নারী বেশী

বিবর্তনবাদ ও আমাদের সিলেবাস

ছবি
  অন দ্য অরিজিন অফ স্পেশিস ( On the Origin of Species  ) নামে চার্লস ডারউইনের এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে। তার এই গ্রন্থে তিনি বিবর্তনবাদকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে কোনো প্রাণী ক্রমাগত অভিযোজনের ফলে আপন পরিবেশের জন্যে বিশেষায়িত হতে হতে এক সময় নতুন একটি প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়।অর্থাৎ টিকে থাকার জন্যে খাবার সংগ্রহের লড়াইয়ে প্রাণীদের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়৷ অন্যের খাবার হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং সন্তান জন্মদান করতেও তাদের সংগ্রাম করতে হয়৷ এসব কারণে তারা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে রূপান্তর ঘটাতে বাধ্য হয়৷ ইসলাম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহ হচ্ছেন মানুষ ও সকল প্রাণীর স্রষ্টা, এবং প্রথম মানব-মানবী হচ্ছেন আদম এবং তার পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি হাওয়া । ডারউইনের এই মতবাদ প্রথমেই বিজ্ঞানীদের সমালোচনার মুখে পড়ে কারণ সেসময়ে জীবের পরিবর্তন বা উৎপত্তির/ এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির উদ্ভবের ধারণা ('এসব পরীক্ষণীয় ছিল না') প্রচলিত ছিল। লন্ডনের গির্জাগুলো ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে নাকচ করে দেয়৷ কিন্তু তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে প্রশংসা

দিল্লি দাঙ্গা বিশ্লেষণ

ছবি
  দিল্লি দাঙ্গার এক বছর পূর্তি হলো গতকাল। এটি দিল্লি দাঙ্গা বলতে আমি নারাজ বরং সুপরিকল্পিতভাবে মুসলিম নিধনের প্রক্রিয়া ছিল এটি। বিশ্লেষক আলী রীয়াজ বলেন, " দিল্লিতে যা ঘটছে তা ‘দাঙ্গা’ নয়, একে যারা দাঙ্গা বলছেন তাঁরা ইচ্ছায় বা অজ্ঞতাবশত ভারতের গেরুয়া বাহিনীর ভাষ্যকার হচ্ছেন। একে ‘সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ’ বলতে আমি নারাজ। যা ঘটছে তা হচ্ছে রাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট গেরুয়া সন্ত্রাসী আক্রমণ— মুসলিম জনগোষ্ঠী তার প্রথম লক্ষ্যবস্তু কিন্তু একমাত্র লক্ষ্যবস্তু নয়। আগামীতে অন্যরাও আক্রান্ত হবেন। লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বহুত্ববাদী ভারত।"ফেব্রুয়ারিতে ভারতে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন জায়গার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই শহরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে তা পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়।প্রায় টানা পাঁচদিন ধরে চলে এই সহিংসতা - আর দিল্লির বিস্তীর্ণ একটা অংশ কার্যত মৃত্যুপুরীর চেহারা নেয়। দাঙ্গায় অন্তত ৪০জন মুসলিম ও ১৩ জন হিন্দু নিহত হয়েছিলেন। যে অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে মুসলিমের সংখ্যাই

মাতৃভাষা চর্চায় ইসলাম

ছবি
#মো. আবু রায়হান মা মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি মানুষের অতি আবেগের তিনটি অনুসঙ্গ। ভাষা সদা প্রবাহমান ও পরিবর্তনশীল। সেহিসেবে ভাষা বৈচিত্র মহান আল্লাহর অনুপম নিদর্শন। বর্তমানে ভাষা বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীতে ছয় থেকে সাত হাজার ভাষা রয়েছে। শুধু এশিয়ায় প্রচলন আছে দুই হাজার ২০০ ভাষার। অবশ্য অধিকাংশ ভাষায়ই খুব অল্প সংখ্যক লোক কথা বলে। দশ লক্ষ বা ততোধিক লোক কথা বলে এমন ভাষার সংখ্যা প্রায় ২০০। আবার পাঁচ কোটি বা ততোধিক লোক কথা বলে এমন ভাষার সংখ্যা মাত্র ২৩টি। তবে দশ কোটি বা ততোধিক লোক কথা বলে এমন ভাষার সংখ্যা মাত্র বারোটি। লোক সংখ্যা বিচারে এই বারোটি ভাষা হচ্ছে (১) মান্ডারিন চীনা (২) ইংরেজি (৩) স্পেনীয় (৪) হিন্দি (৫) আরবি (৬) বাংলা (৭) রুশ (৮) পুর্তগীজ (৯) জাপানী (১০) জার্মান (১১) মালয়-ইন্দোনেশীয় ও (১২) ফরাসী। প্রথমে বহু ভাষা গড়ে উঠলেও বিভিন্ন কার্যকারণে ও প্রক্রিয়ায় বর্তমানে মাত্র স্বল্পসংখ্যক ভাষায়ই পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ কথা বলে। পবিত্র কোরআনে কারিমে এরশাদ হয়েছে, ‘তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলী

একজন সংবাদকর্মী কেমন হবেন?

ছবি
একজন সাংবাদিককে হতে হবে সত্য প্রকাশে নির্ভীক এবং নিঃসঙ্কোচে তা প্রকাশ করার প্রবল ইচ্ছা।সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎ সাহস। কলম চলবে নির্যাতিত ও অসহায়দের পক্ষে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হবেন আপোষহীন। দলবাজি চাটুকারিতা ও সত্য ঘটনাকে আড়াল করা, অন্যায়ভাবে ভাবে কাউকে ফাঁসানো সাংবাদিকদের কাজ নয়। ঘটনার গভীরে গিয়ে সত্য উন্মোচন ও তা জনগণের কাছে উপস্থাপন করা সাংবাদিকের অন্যতম কাজ। সত্য গোপন করে মিথ্যা ও গোঁজামিল সংবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা সাংবাদিকতার এথিকসের পরিপন্থি । অসত্য সংবাদ সমাজে শুধু নৈরাজ্যই সৃষ্টি করে না বরং এর ক্ষত ও প্রভাব থেকে যায় বহুদিন। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতে এরশাদ করেন, ‘এবং তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিও না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।’ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কবিরা গুনাহ।’ বুখারি, মুসলিম।কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য কথা সোজাভাবে বল। (সূরা আল আহজাব, আয়াত ৭০) সূরা সাবা’তে হুদহুদ পাখির সংবাদ প্রচারের ধরন বড় চমৎকারভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সংবাদ কেমন

আল্লাহর ক্ষমা

ছবি
দুনিয়ায় অপরাধীদের ধরার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার পাপী, অপরাধী বান্দাদের ক্ষমা করতে খুঁজতে থাকেন। আল্লাহ তায়ালার হাজারো গুণের একটি গুণ হলো ক্ষমা। ক্ষমার গুণে তিনি গুণান্বিত।আল্লাহ সেই গুণের কথা কোরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন। যে শব্দে তিনি তাঁর ক্ষমার গুণ উল্লেখ করেছেন তা হলো গফুর আরবি গফুর শব্দের অর্থ হলো- অধিক পরিমাণে ক্ষমা প্রদর্শন করা, বান্দার দোষ গোপন করা । এই গফুর শব্দটি স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ৪৮টি আয়াতে। এছাড়াও আরো বহুস্থানে ভিন্ন শব্দে অন্য বয়ানে আল্লাহর ক্ষমাশীলতা বর্ণনা করা হয়েছে।। আল্লাহ বলেন : ‘হে নবী লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।’ (আল ইমরান : ৩১) কারা ক্ষমা পাবেন - আল্লাহ বান্দার এমন ১০টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন, যা তাঁর ক্ষমা ও পুরস্কার লাভে সহায়ক। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী

অন্যায়ের প্রতিবাদ

ছবি
শুক্রবারে জুমার নামাজে মসজিদে মুসল্লির জায়গা সংকুলান হয় না। নিজেদের মুসলিম দাবি করি অথচ সামনে পেছনে অন্যায় অপকর্ম হলেও না দেখার ভান করি। নীরব থাকি। একজন মুসলিম হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। সেই ঈমানকে আমরা কোথায় রেখেছি।মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণে তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০) সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে। যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি) কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ) সময় মতো যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে এর ফল গোটা জাতিকে ভোগ করতে হয়। তাই সমাজে কোনো অন্যায়-অনাচার দেখ

করোনার সময়ে মুসাফা বা করমর্দন

ছবি
দেখা হলে মুসাফা বা করমর্দন করা একটি ইসলামী রীতি নীতি। এটি মুসাফাকারী ব্যক্তিদ্বয়ের মাঝে ভালবাসা ও হৃদ্যতার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে এটি মুসলমানদের পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও কলহ দূর করে দেয়। কিন্তু করোনা এসে অনেক কিছু পালটে দিয়েছে। পালটে দিয়েছে হাত করমর্দনের দীর্ঘ ইতিহাস ঐতিহ্যের। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে করমর্দন শুরু হয়েছিল শান্তি স্থাপনের সংকেত হিসেবে—এর মাধ্যমে বোঝানো হতো, দুজনের কারও হাতেই কোনো অস্ত্র নেই। রোমান সভ্যতায় হাত মেলানোর পরিসর ছিল আরেকটু বড়। পরস্পরের সঙ্গে বাহু মিলিয়ে সম্ভাষণ করত তারা। উদ্দেশ্য একই—জামার আস্তিনের নিচে কোনো অস্ত্র লুকানো নেই, তা জানান দেওয়া। করমর্দনের রীতি বহুল প্রচলিত হলেও সব দেশে যে একই নিয়ম, তা নয়। নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনগোষ্ঠী যেমন নাকে নাক ছুঁইয়ে পরস্পরকে সম্ভাষণ জানান। ইথিওপিয়ার মানুষ কাঁধে কাঁধ ছোঁয়ান। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পুরুষেরা একে অপরের কপালে কপাল ছুঁয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তবে জাপানের মতো এশিয়ার কিছু কিছু দেশের সম্ভাষণরীতি আগে থেকেই বেশ ‘স্বাস্থ্যসম্মত’—হালকা মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানান তাঁরা। ইউরোপের কিছু কিছু দেশে গালে চুমু খাওয়াও

কতটুকু জমি দরকার ?

ছবি
#মো.আবু রায়হান বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও টলস্টয় রচনা করেন গল্প ‘হাউ মাচ ল্যান্ড ডাজ এ ম্যান নীড?’ বা ‘কতটুকু জমি দরকার?’ গল্পটি ১৮৮৬ সালে রচনা করেন তিনি। গল্পটি রাশিয়ার এক লোভী লোক পাহমকে নিয়ে। যার জমি কেনার দিকে ঝোঁক বেশি। কারো কাছে জমির কথা শুনলেই তার চোখ চকচক করে উঠে। কম দামে জমি বিক্রি হলে তিনি তা কিনতে মরিয়া হয়ে পড়েন। পাশের দেশে অনেক কম দামে জমি পাওয়া যায় । এটা জেনেই ছুটলেন সেখানে জমি কিনতে ।তিনি টাকা জমা দেন এবং জমা দেওয়া টাকার বিনিময়ে কি পরিমাণ জমি তিনি পেতে পারেন - তা জানতে চান । তারা জানান, জমির পরিমাণ ঠিক হয় সূর্যের অবস্থানের সময় ধরে হাঁটার পরিমাণ অনুযায়ী । তাঁর ক্ষেত্রে সূর্যোদয়ের পূর্ব মুহূর্ত থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত হেঁটে তিনি যে পরিমাণ জমির সীমানা নির্ধারণ করতে পারবেন – সেই পরিমাণ পুরো জমির মালিক হবেন তিনি । এ কথা শুনে ভদ্রলোকের অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা । তিনি অনেক দ্রুত হাঁটতে পারেন । ফলে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া এখন তাঁর একদিনের ব্যাপার মাত্র । এসব চিন্তায় রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না তাঁর । ভোরে বলা যায়, একেবারে না খেয়েই তিনি তাঁর সীমানা নির্ধারণী স্থ

কুরআনের সুরের পাখি নূরীন মুহাম্মদ সিদ্দিক

ছবি
#মো. আবু রায়হান আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, ব্যস, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০; মুসলিম, হাদিস : ১৯০৩) বিশ্বের একেক অঞ্চলে একেক ধরনে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। তার মধ্যে আফ্রিকান ধরন অনন্য।মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও এই বিশাল মুসলিম বিশ্বের ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা অনুসারে এই তেলাওয়াতের ভিন্নতা থাকে। সেই ভিন্নতা স্বরে, সুরে ও ধরনে। নূরীন মুহাম্মদসিদ্দিক গত শতাব্দীতে ৯০-এর দশকে আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদানের খার্তুমের পশ্চিমে আল-ফারাজাব গ্রামের একটি মাদ্রাসায় কুরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।পরে যখন রাজধানী খার্তুমে চলে আসেন, শহরের কয়েকটি বড় বড় মসজিদের নামাজে তিনি ইমামতি করেছেন এবং সেসময় তিনি মানু