পোস্টগুলি

সুইজারল্যান্ডে ইসলামের আগমন ও বিকাশ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ  সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। স্থানীয় ভাষায় দেশটি সুয়াতিনি নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড একটি ছোট স্থলবেষ্টিত দেশ, যার চারপাশে রয়েছে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া।দেশটির পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি, পূর্বে অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণে ইতালি অবস্থিত। সুইজারল্যান্ড বহুভাষী রাষ্ট্র এবং এখানকার চারটি রাষ্ট্র ভাষা রয়েছে- জার্মান, ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমানীয়। বাকিরা স্পেনীয়, পর্তুগিজ আর তুর্কীয় ভাষায় কথা বলে।জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই জার্মানির অধিবাসী। এরা জার্মান ভাষায় কথা বলে। ২০ শতাংশ লোকের ভাষা ফ্রান্স, আর ৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ইতালি। সুইজারল্যান্ড ১৬৪৮ সালে রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৯১ সালে। সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ার পাশাপাশি এটি ন্যাটোর সদস্য নয়।সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, ২০১২ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্য ছিল না। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে সুইস ব্যাংকসমূহ পৃথিবীর সক

সুরিনামে ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃসুরিনাম আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। সুরিনামের উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্বে ফরাসি গায়ানা, দক্ষিণে ব্রাজিল, ও পশ্চিমে গায়ানা। এটি দক্ষিণ আমেরিকার ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র। সুরিনামের একমাত্র নগর এলাকা ও রাজধানীর নাম প্যারামারিবো।১৬শ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় প্রথম ইংরেজ, ফরাসি ও ওলন্দাজ বেনিয়াদের আগমন ঘটে।১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত সুরিনাম নেদারল্যান্ড্‌সের একটি উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল ওলন্দাজ গায়ানা। সুরিনামের আয়তন ১,৬৩,২৬৫ বর্গ কিমি। বর্তমানে এর লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।২০১২ সালের আদমশুমারি অনুসারে সুরিনামে ৭৫,০৫৩ জন মুসলমান রয়েছে। এই সংখ্যা ২০০৪ সালে, ৬৬,৩০৭ জন মুসলমানের চেয়ে বেশি। the Muslim population there represents nearly 20% (114,821) of the population (Chitwood 2016), making Suriname the country with the highest proportion of Muslims in the Americas.তবে, গত অর্ধ শতাব্দীতে মুসলমানদের অংশ ১৯.৬% থেকে ১৩.৯% এ নেমেছে। সুরিনামে মুসলমানদের অংশীদারিত্ব হ্রাসের মূল কারণ হল জাভানিজ বংশোদ্ভূত আহমাদী মুসলমানদ

গায়ানায় ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ গায়ানা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির পূর্ণ সরকারি নাম গায়ানা সহযোগিতামূলক প্রজাতন্ত্র (Cooperative Republic of Guyana)। গায়ানা একটি আদিবাসী আমেরিকান শব্দ, যার অর্থ পানির দেশ। নামটা ব্রিটিশ গায়ানা হলেও এটা একটি স্বাধীন দেশ। এর অল্প দুরত্বের মধ্যেই আরেকটি গায়ানা রয়েছে বলে এটা ব্রিটিশ গায়ানা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অন্যটি ফ্রেঞ্চ গায়ানা। গায়ানা বিষুবরেখার উত্তরে, আটলান্টীক মহাসাগরের উপকূলে ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমে ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ব্রাজিল এবং পূর্বে সুরিনাম। পূর্ব ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলির মত গায়ানাতেও স্পেনীয় ও পর্তুগিজেরা বসতি স্থাপন করেনি। গায়ানা প্রথমে একটি ওলন্দাজ উপনিবেশ ছিল। পরবর্তীতে ১৮শ শতকের শেষ দিকে এটি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে আসেএবং তখন এর নাম ছিল ব্রিটিশ গায়ানা। ২৬ মে ১৯৬৬ সালে ১৫০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন শেষে ব্রিটিশ গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে এবং গায়ানা নাম নেয় ।গায়ানা ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে কমনওয়েলথের সদস্য অবশিষ্ট একটি প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ইংরেজি ভা

বিশ্বজয়ে বাংলা ভাষা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃমা মাতৃভাষা আর মাতৃভূমি অতি আবেগ ও অস্তিত্বের তিনটি অবলম্বন । তিনটি বিষয়ে মানুষের ভালোবাসা চিরন্তন ও অশেষ। এরমধ্যে মাতৃভাষা হলো শিশুকাল থেকে বার্ধক্য এমনকি বংশ পরম্পরায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভাবের বাহন।দৈনন্দিন জীবনে ভাব আদান প্রদানে মাতৃভাষা্র গুরুত্ব অনন্য।এদেশের আলো বাতাসে জন্মগ্রহণ করায় বিদ্যমান বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস প্রায় ১৩০০ বছরের পুরনো। চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। অষ্টম শতক থেকে বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডারের মধ্য দিয়ে অষ্টাদশ শতকের শেষে বাংলা ভাষা পূর্ণতা পেয়ে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে।পৃথিবীর একমাত্র জাতি হিসেবে বাঙালিরাই মায়ের ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলা ভাষার ওপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ সালে ভাষা ভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের ভূখন্ডের বাইরেও বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিরাই জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।৫২ 'র ভাষা আন্দোলনের এক দশক না পেরুতেই ১৯৬১ সালে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার হরণের বিরুদ্ধে ভারতের আসামের বরাক উপত্যকার জনতা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে

রাশিয়ায় ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
  মো. আবু রায়হানঃ রাশিয়া সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত যেটা পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত।রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র।বর্তমান আয়তন ১,৭১,২৫,১৯১ বর্গ কি.মি., যা বিশ্বের মোট ভূমির এক–অষ্টমাংশ। ইউরেশিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে ইউরোপ, ওশেনিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ তিনটির চেয়ে বড় এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের চেয়ে সামান্য ছোট! আয়তনের দিক থেকে ইউরোপ ও এশিয়া উভয় মহাদেশের বৃহত্তম এই রাষ্ট্রটিকে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে বলা যায়, বাংলাদেশের সমান ১১৬টি ভূখণ্ডকে একত্রিত করলে সেই সম্মিলিত ভূখণ্ডটি রাশিয়ার সমান হবে! রাশিয়ার রাজধানী মস্কো দেশটির প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রাশিয়া বর্তমানে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত।রাশিয়ার বিশাল ভূখণ্ড পশ্চিমে বাল্টিক সাগর থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর ও ককেশাস পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত।রাশিয়ার সঙ্গে ১৬টি রাষ্ট্রের স্থল সীমান্ত রয়েছে।রাশিয়ার

কানাডায় ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
মসজিদ আল রাশিদ মো.আবু রায়হানঃ বহুকৃষ্টির দেশ কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির দশটি প্রদেশ (আলবার্তা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, মনিটোবা, নিউ ব্রুনসউইক, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডার, নোভা স্কশিয়া, অন্টারিও, প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপ, কুইবেক, এবং সাসকাচুয়ান) ও তিনটি অধীন অঞ্চল(উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নুনাভাট এবং য়ুকন) আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, যা এটিকে মোট আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর দেশে পরিণত করেছে।কানাডার অধিকৃত ভূমি প্রথম বসবাসের জন্য চেষ্টা চালায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহ। পঞ্চদশ শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কানাডায় ফরাসি উপনিবেশকে নব্য ফ্রান্স বলা হত, যার বিস্তৃতি ছিল সেন্ট লরেন্স নদী থেকে গ্রেইট লেইকসের উত্তর উপকূল পর্যন্ত।ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলস্বরূপ ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবেশ ইংরেজদের কাছে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে, ১৮৪১ সাল পর্যন্ত, এটি যথাক্রমে "উচ্চ কানাডা" এবং &qu

তানজানিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাঞ্জিবার

ছবি
Malindi Mosque মো.আবু রায়হানঃভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতন্ত্র তানজানিয়া ।১৯৬৪ সালে তাঙ্গানিকা ও জাঞ্জিবার দেশ দুইটির একটি মিলিত ফেডারেশন হিসেবে তানজানিয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাঙ্গানিকার তান এবং জাঞ্জিবারের জান শব্দাংশ দুইটি থেকে দেশটির নাম তানজানিয়া রাখা হয়েছে।তানজানিয়ার উত্তরে কেনিয়া ও উগান্ডা, পূর্বে ভারত মহাসাগর, দক্ষিণে মোজাম্বিক, মালাউই ও জাম্বিয়া এবং পশ্চিমে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা। ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবার ও পেম্বা দ্বীপ এবং আরও কিছু ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত। তানজানিয়ার মোট আয়তন ৯৪৫,১০০ বর্গকিলোমিটার।তানজানিয়া আফ্রিকার ১৩ তম বৃহত্তম দেশ এবং পৃথিবীর ৩১ তম বৃহত্তম। ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জনসংখ্যার ৬১.৪ শতাংশ খ্রিস্টান, ৩৫.২ শতাংশ মুসলমান, ১.৮ শতাংশ ঐতিহ্যগত আফ্রিকান ধর্ম পালন করে, ১.৪ শতাংশ কোন ধর্মের সাথে বিচ্ছিন্ন এবং ০.২ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। জাঞ্জিবার, সমস্ত মুসলমানের প্রায় ৯০% সুন্নি এবং সাধারণত শাফী মাজহাব অনুসরণ করে।তানজানিয়ার বেশিরভাগ মুসলিমের জাঞ্জিবারে বসবাস । জাঞ্জিবার ভার

অস্ট্রেলিয়ায় ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
মো.আবু রায়হানঃঅস্ট্রেলিয়া একটি দ্বীপ-মহাদেশ।এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ, কিন্তু ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। কাছের তাসমানিয়া দ্বীপ নিয়ে এটি কমনওয়েল্‌থ অফ অস্ট্রেলিয়া গঠন করেছে। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর, ও টরেস প্রণালী, পূর্বে প্রবাল সাগর এবং তাসমান সাগর; দক্ষিণে ব্যাস প্রণালী ও ভারত মহাসাগর; পশ্চিমে ভারত মহাসাগর। অস্ট্রেলিয়া ৬টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত - নিউ সাউথ ওয়েল্স, কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া, ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও আছে দুইটি টেরিটরি — অস্ট্রেলীয় রাজধানী টেরিটরি এবং উত্তর টেরিটরি। বহিঃস্থ নির্ভরশীল অঞ্চলের মধ্যে আছে অ্যাশমোর ও কার্টিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলীয় অ্যান্টার্কটিকা, ক্রিসমাস দ্বীপ, কোকোস দ্বীপপুঞ্জ, কোরাল সি দ্বীপপুঞ্জ, হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ, এবং নরফোক দ্বীপ। সিডনী বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। সিডনী বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্