সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুরিনামে ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থা



মো.আবু রায়হানঃসুরিনাম আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। সুরিনামের উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্বে ফরাসি গায়ানা, দক্ষিণে ব্রাজিল, ও পশ্চিমে গায়ানা। এটি দক্ষিণ আমেরিকার ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র। সুরিনামের একমাত্র নগর এলাকা ও রাজধানীর নাম প্যারামারিবো।১৬শ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় প্রথম ইংরেজ, ফরাসি ও ওলন্দাজ বেনিয়াদের আগমন ঘটে।১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত সুরিনাম নেদারল্যান্ড্‌সের একটি উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল ওলন্দাজ গায়ানা।

সুরিনামের আয়তন ১,৬৩,২৬৫ বর্গ কিমি। বর্তমানে এর লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।২০১২ সালের আদমশুমারি অনুসারে সুরিনামে ৭৫,০৫৩ জন মুসলমান রয়েছে। এই সংখ্যা ২০০৪ সালে, ৬৬,৩০৭ জন মুসলমানের চেয়ে বেশি। the Muslim population there represents nearly 20% (114,821) of the population (Chitwood 2016), making Suriname the country with the highest proportion of Muslims in the Americas.তবে, গত অর্ধ শতাব্দীতে মুসলমানদের অংশ ১৯.৬% থেকে ১৩.৯% এ নেমেছে। সুরিনামে মুসলমানদের অংশীদারিত্ব হ্রাসের মূল কারণ হল জাভানিজ বংশোদ্ভূত আহমাদী মুসলমানদের বিগত বছরগুলিতে খ্রিস্টধর্মে ব্যাপক রূপান্তর। ১৯৭১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জাভানীয় জাতির জনগণের মধ্যে খ্রিস্টধর্মের রূপান্তর ৯% থেকে ২১% দাঁড়িয়েছে, আর জাভানি মুসলমানদের ৮৫% থেকে হ্রাস পেয়ে ৬৭% হয়েছে। একই সময়ে ইন্দো-সুরিনামিজ বংশোদ্ভূত মুসলমানদের অংশীদারত্ব ১৭ থেকে কমেছে ১৩% ।মূলত নেদারল্যান্ডসে অভিবাসন এবং উর্বরতার হার হ্রাসের কারণ। মারুন জনগণের মধ্যে মুসলমানদ০.১% থেকে দ্বিগুণ হয়ে ০.২% হয়েছে।সুরিনামের বেশিরভাগ মুসলমান হল অধার্মিক। অধার্মিক মুসলমান ৫৩%, তারপরে সুন্নী ২৮% এবং আহমদিয়া ১৯%।কমেউইজনে জেলাতে মুসলমানদের সর্বাধিক (বেশিরভাগ জাভানি সুরিনামিজ) বাস।, তারপরে নিকেরি জেলা এবং ওয়ানিকা জেলা (বেশিরভাগ ইন্দো-সুরিনামিজ)রয়েছে।সুরিনাম ১৯৯৬ এবং গায়ানা ১৯৯৮ সাল থেকে আমেরিকা মহাদেশের একমাত্র দেশ যা ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র।
অনুমান করা হয় যে মুসলমানরা প্রথমে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে দাস হয়ে সুরিনামে এসেছিল এবং পরে সময়ের সাথে সাথে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। যদিও এটি জল্পনা ও অনুমানের উপর নির্ভরশীল । However, in 1863, the Netherlands abolished slavery, which led the colonizers in Suriname to look for a new source of labor to work their plantations. As slaves left the plantations in search of other work, the colonial government decided to look to other Dutch colonial areas for new workers. Recruiting workers with very low pay and high risk, they drew their labor pool from Indonesia, principally Central Java. Swathes of Indonesian indentured laborers arrived in the late nineteenth century to work the plantations for a period of 5 years (according to their contract). After that, many laborers chose to stay in Suriname rather than return to Java. As time went on, they established social, economic, political, and religious organizations to support the Javanese community in Suriname.
এখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরা দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া (জাভা) থেকে আগত ।যারা শ্রমিক হিসাবে সুরিনামে এসেছিলেন। আজ সুরিনামের বেশিরভাগ মুসলমান তাদের বংশোদ্ভূত। Other Muslims also came from what is today India, Pakistan, and Bangladesh. The population also contains a number of converts and a number of Afghan Muslims as well. However, the Javanese influence on Islam in Suriname is paramount. Seeing as the majority of Muslims in Suriname speak the same language and draw from the same culture of heritage, their diaspora experience largely shapes Islam in the country.এছাড়া ইসলাম দক্ষিণ এশিয়া ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীদের সাথে সুরিনামে এসেছিল। যারা তাদের স্থানীয় রূপকে সুরিনাম এনেছিল।সুরিনাম তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি দ্বারা এটি প্রভাবিত হয়। বংশোদ্ভূত মুসলিম ছাড়াও, বেশিরভাগ সুরিনামী মুসলমানও একই সংস্কৃতি ভাগ করে এবং একই ভাষায় কথা বলে। সুরিনামে অল্প সংখ্যক আফগান মুসলমান এবং তাদের জন্মগত শিশু রয়েছে।কেইজারট্র্যাট মসজিদ পারমারিবো মুসলিম সম্প্রদায়টি ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিনারসহ কাঠের আয়তক্ষেত্রের এটির প্রথম মসজিদটি ১৯৩২ সালে শেষ হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে বক্সিং কিংবদন্তি মুহাম্মদ আলী মসজিদটি পরিদর্শন করেছিলেন। বর্তমান মসজিদটি ১৯৮৪ সালে শেষ হয়েছিল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...