পোস্টগুলি

ককেসাস অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ ককেসাস ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত একটি অঞ্চল। মূলত কৃষ্ণ সাগর এবং কাস্পিয়ান সাগরের মাঝে এর অবস্থান। ককেসাস অঞ্চলটি উত্তর ও দক্ষিণভাগে বিভক্ত – উত্তর ককেশাস অঞ্চলটি মূলত সিসককেসাস নামে পরিচিত। অপরদিকে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চল ট্রান্সককেসাস নামে পরিচিত।সিসককেসাসের মধ্যে মূলত বৃহত্তর ককেসাসের পার্বত্য অঞ্চলগুলো অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ককেসীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র সমূহসহ রাশিয়ার দক্ষিণাংশ, জর্জিয়ার উত্তরাংশ এবং আজারবাইজান। সিসককেসাসের পশ্চিমে কৃষ্ণ সাগর, পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর এবং উত্তর সীমানায় রাশিয়ার দক্ষিণের ফেডারেল জেলাসমূহ অবস্থিত। উত্তর প্রান্তে রাশিয়ার এই ফেডারেল জেলা দুটি সম্মিলিতভাবে দক্ষিণ রাশিয়া নামে পরিচিত।ট্রান্সককেসাস বৃহত্তর ককেশীয়ার সীমানাকে চিহ্নিত করে। এর উত্তর সীমান্তে রয়েছে রাশিয়ার দক্ষিণাংশ, পশ্চিমে রয়েছে কৃষ্ণসাগর ও তুরস্ক, পূর্বে কাস্পিয়ানসাগর এবং দক্ষিণে ইরান। লেসার ককেসীয় পর্বতশ্রেণী এবং তাকে ঘিরে থাকা নিম্নভূমিসমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। সম্পূর্ণ আর্মেনিয়া, আজারবাইজান (সর্ব উত্তরের অংশ বাদে) এবং জর্জিয়া (স

হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসা

ছবি
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসা জয়পুরহাট জেলা সদরে অবস্থিত। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার দু'রকম ইতিহাস পাওয়া যায়। ১৯১৭ সনের শেষের দিকে হাজী এনায়েতুল্লাহ সাহেব হানাইল ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে এক পরামর্শ সভা করলেন। কীভাবে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা যায়। পরামর্শ সভায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে হানাইল গ্রামের এনায়েতুল্লাহ মন্ডল. তাঁর ছেলে ইসাহাক আলী মন্ডল, হেলকুন্ডা গ্রামের হেদায়েতুল্লাহ,হানাইল গ্রামের মোঃ আজিম উদ্দীন ফকির, আলেফ উদ্দীন খান হাড়াইল গ্রামের মোনছের আলী সরদার, হিচমী গ্রামের ইজ্জতুল্লাহ মন্ডল, মুরারীপুর গ্রামের নেগার উদ্দীন মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। অন্যভাবে জানা যায়, ১৯১৮ খ্রি: পূর্ব বাংলার নোয়াখালী জেলা থেকে জনৈক শিক্ষাবিদ হযরত মাওলানা আব্দুর রহমান হানাইল গ্রামে পদার্পন করেন। তিনি এলাকার ধর্মানুরাগী ও বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিদের নিয়ে ১৯১৮ইং সনে মক্তবকে কেন্দ্র করে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী হানাইল নো’মানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।৩৩ শতাংশ জমির উপর মাটির ঘর

অপরাধীকে লেবাস দিয়ে নয় অপরাধ দিয়ে বিবেচনা করুন

ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালকজ (ডিজি) ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক মালেককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মালেকের ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিলাসবহুল ৭ তলা ও ১০তলা তিনটি বাড়ি আছে। এছাড়াও ছেলের নামে তুরাগে ডেইরি ফার্ম করেছেন কোটি টাকা দিয়ে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ৭ জন আত্মীয়কে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন তিনি। কেউ অপরাধ করলে প্রথমেই তার লেবাস, দাড়ি, টুপি নিয়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। আপনিও এমন লেবাসধারী বক ধার্মিক হতে পারবেন। গুলিস্তান থেকে ১০০ টাকার পাঞ্জাবি ও দুই সপ্তাহ সেভ না করে। সুতরাং ধর্মের বেশভূষায় কাউকে অপরাধ করতে দেখলে আপনার চুলকানি হওয়াটা অমূলক। ধর্ম ও লেবাসকে ব্যবহার করে অনেকেই ফায়দা লুটছে সেজন্য নেককার ধর্মভীরু ব্যক্তিত্ব সমালোচনার টার্গেট হতে পারে না। আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যে পুরুষ পরকীয়া করছে এজন্য যেমন সব পুরুষ খারাপ না, তেমনই! অপরাধীর একটাই পরিচয় সে অপরাধী। দাড়ি টুপি জাস্ট অবলম্বন। ঢালাও ভাবে ধর্মকে নিয়ে প্রশ্ন করা, কটাক্ষ করা অর্বাচীনের বহিঃপ্রকাশ।ধর্ম কখনো এসব অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ ও অনুমোদন দেয় না। এটা নতুন কিছু নয়। বোরকা পরিহিত মাকে সন্তানের জন্য খেল

উড়ে এসে জুড়ে বসা ইসরায়েলের সাম্রাজ্য বিস্তার

ছবি
মো আবু রায়হানঃ দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল এখন একটি স্বীকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র যদিও এর স্বীকৃত কোন সীমানা নেই। ১৯৪৭ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদিবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। ১৯৪৯ সালে ইসরাইল, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী আয়তন ২০ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটার হলেও ইসরাইলের আয়তন এখন ২৭ হাজার ৭৯৯ বর্গকিলোমিটার। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নম্বর প্রস্তাবে জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও বাইতুল মোকাদ্দাস তথা জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে অভিহিত করা হলেও ইসরাইল জবরদখল করে রেখেছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে ফিলিস্তিন ভূখন্ড (গাজা ভূখন্ড ও ওয়েস্ট ব্যাংক) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধীন অঞ্চলও ছিল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্টের রাজধানী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।বর্তমানে ফিলিস্তিনের মোট আয়তন ৬,০২০ বর্গকিলোমিটার। পশ্চিম তীরের আয়তন ৫,৬৫৫ বর্গকিলোমিটার এবং গাজা ভূখণ্ড ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। ফিলিস্তিন এখন অবর

মীর জাফরের মীর পদবি বিবর্তনে মির্জা পদবির উদ্ভব

ছবি
#মো.আবু রায়হান মুঘল সাম্রাজ্যে বিভিন্ন সামরিক শাখার প্রধানদেরকে মীর পদবী দেওয়া হতো।মূলত মীর একটি রাজকীয় পদবী বা রাজদত্ত পদবী যা পাক-ভারত উপমহাদেশের অনেক অঞ্চলে বা রাজ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।ইসলামিক প্রভাবের বিভিন্ন দেশ বা রাজ্যে এই পদবী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। হায়দারাবাদের নিজামদের পদবী ছিল মীর। মীর শব্দটিকে ফার্সি শব্দ। পীর এর আরবি পরিভাষা হিসেবে অনুমান করা হয়ে থাকে। অনেকেই মীর শব্দটি আরবি আমীর শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করেন। এছাড়া মুর্শিদাবাদের নবাব সৈয়দ মীর জাফর আলী খান এর ক্ষেত্রে রাজকীয় পদবী হিসেবে মীর পদবী ব্যবহার হতে দেখা যায়। মীর জাফরের পরবর্তী বংশধরগণ মীর পদবী ব্যবহারের পরিবর্তে মীর জাদা বা সংক্ষেপে মির্জা পদবী ব্যবহার করতো নামের। মীর্জা শব্দটির উৎপত্তি ফার্সী আমীরজাদা হতে, যার অর্থ আমীর-পুত্র। তবে এটি শুধু তৈমুর লং এর পরবর্তী বংশধরদের ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। মির্জা বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের পদবি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় সামরিক বাহিনীর অবৈধ ভূমিকার কুশীলব হিসেবে ভাবা হয় মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জাকে। ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজদের পা-চাটা

ওসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একজন আরব গাদ্দার

ছবি
  হুসাইন বিন আলী ছিলেন হাশেমীয় নেতা। যুব তুর্কি আন্দোলনের পর ১৯০৮ সালে অটোমান সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ তাকে মক্কার আমির হিসেবে নিযুক্ত করেন।১৯০৮ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত মক্কার শরীফ ও আমির ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে মক্কার বাদশাহ ঘোষণা করার পর তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন পান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯১৬ সালে তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সূচনা করেন। আরব বিদ্রোহের সূচনা-১৯১৬ সালের আগে হুসাইন বিন আলী আরব জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া না গেলেও উসমানীয় সাম্রাজ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদ যা ১৯০৮ সালের তরুণ তুর্কি বিপ্লবের সময় সর্বোচ্চ সীমায় পৌছায়, তা হাশিমীদেরকে অসন্তুষ্ট করে এবং ফলশ্রুতিতে উসমানীয় বিপ্লবীদের সাথে তাদের দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে হুসাইন উসমানীয়দের সাথে মিত্রতা বজায় রাখলেও তার পুত্র আবদুল্লাহর পরামর্শে গোপনে ব্রিটিশদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যান। আবদুল্লাহ ১৯১৪ সালে উসমানীয় সংসদে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিশ্বাস করতেন যে ক্রমান্বয়ে জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠা উসমানীয় প্রশাসন থেকে আলাদা হওয়া উচিত। উসমানীয় সরকার যুদ্

বাংলাদেশ কী ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে ?

ছবি
মো.আবু রায়হানঃইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বে একটা নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দেখা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি আরব দেশ যেন ইসরায়েলের ব্যাপারে তাদের বৈরি অবস্থান নমনীয় করছে।সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার আলোকে সাংবাদিক-বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবিলা করতে বেশ কিছু মধ্যপন্থী সুন্নি আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠছে।ইরানের উত্থান, উপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পুরো অঞ্চল জুড়ে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি, এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসুচিতে বিশেষ করে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে সৌদি আরব, মিশর এবং জর্ডন।এ পরিস্থিতির চাপে মধ্যপন্থী সুন্নি আরব কিছু দেশ ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে।ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কয়েক মাস আগেই লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'ইরানের আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য' তারা মধ্যপন্থী সুন্নি দেশগুলোর সাথে একটা 'কার্যকর জোট' গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।তার মতে, আরব দেশগুলোর ইসরায়েলের প্রতি মনোভাবও নরম হচ্ছে। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এগুলোর মধ্যে আমেরিকা, চীন

বলকান উপদ্বীপের ছোট্ট মুসলিম দেশ কসোভো

ছবি
মো.আবু রায়হানঃবলকান উপদ্বীপের ছোট্ট একটি স্বাধীন মুসলিম দেশ কসোভো। ১৯৯০-এর দশকের বলকান যুদ্ধের মাধ্যমে সাবেক ইউগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর কসোভো ছিল সার্বিয়ারই একটি প্রদেশ। কসোভোর দক্ষিণ-পশ্চিমে আলবেনিয়া, দক্ষিণ-পূর্বে মেসিডোনিয়া, পশ্চিমে ক্রোয়েশিয়া ও উত্তরে সার্বিয়া অবস্থিত। কসোভোর আয়তন ১০ হাজার ৯০৮ বর্গকিলোমিটার। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানীর নাম প্রিস্টিনা।কসোভোর জনসংখ্যা ১৯ লাখ সাত হাজার ৫৯২ জন। যার মধ্যে মুসলমান রয়েছে ৯৬ শতাংশ, রোমান ক্যাথলিক ২.২, অর্থডক্স ১.৫ ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ রয়েছে ১ শতাংশেরও কম।কসোভো সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র। ইউরোপের বুকে ইসলামের স্মারক বুকে নিয়ে টিকে আছে। কসোভোর ইতিহাস পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর মতো। বাইজান্টাইন ও সার্বিয়ানরা দীর্ঘদিন দেশটি শাসন করেছে। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের সময় সার্বিয়ানদের বিরুদ্ধে বিখ্যাত কসোভো যুদ্ধ হয়। কসোভো সমভুমির এই যুদ্ধ ইতিহাসে ঐতিহাসিক যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত। ১৪৫৫ সালে এই অঞ্চলটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। এখানকার আলবেনীয় জনগোষ্টীর ওপর ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা এতটাই করারোপ করেছিলো যে মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে

মুসলিমবিশ্ব ও ইসরায়েল সম্পর্ক

ছবি
  মো.আবু রায়হানঃইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বে একটা নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দেখা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি আরব দেশ যেন ইসরায়েলের ব্যাপারে তাদের বৈরি অবস্থান নমনীয় করছে।সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার আলোকে সাংবাদিক-বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবিলা করতে বেশ কিছু মধ্যপন্থী সুন্নি আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠছে।ইরানের উত্থান, উপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পুরো অঞ্চল জুড়ে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি, এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসুচিতে বিশেষ করে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে সৌদি আরব, মিশর এবং জর্ডন।এ পরিস্থিতির চাপে মধ্যপন্থী সুন্নি আরব কিছু দেশ ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে।ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কয়েক মাস আগেই লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'ইরানের আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য' তারা মধ্যপন্থী সুন্নি দেশগুলোর সাথে একটা 'কার্যকর জোট' গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।তার মতে, আরব দেশগুলোর ইসরায়েলের প্রতি মনোভাবও নরম হচ্ছে। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এগুলোর মধ্যে আমেরিকা, চ

অনৈক্যের বেড়াজালে মুসলিম বিশ্বের রাজনীতি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু হয় ৬১০ সালে। ৬২২সালে মদীনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ৬৩২ সালের মধ্যে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) আরবের অধিকাংশ ভূখণ্ড নিজের অধিকারে আনেন।তারপর খুলাফায়ে রাশেদা সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর মুসলিমবিশ্ব শাসন করেন। এই সময় দেখা দেয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এরপর উমাইয়া বংশের শাসন শুরু হয়। তারপর আব্বাসীয় বংশ আসে। এরমধ্যে ইসলাম স্পেন থেকে চিন সীমান্ত অবধি ছড়িয়ে যায়। এরপর আফগান শাসকরা ভারত আক্রমণ করেন ও পরে উপমহাদেশেও মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর তুর্কিশক্তির উত্থান হয়। ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ বাধে। স্পেনে পুনরায় খ্রিষ্টীয় শাসন হয়। এরমধ্যে উসমানীয় তুর্কিদের হাতে পুর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়।পৃথিবীর মানচিত্রের একটা বিরাট অংশজুড়ে অর্ধশতাধিক মুসলিম রাষ্ট্র শোভা পাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ৩৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে বসবাস করছে ১৮০ কোটি মুসলিম ।বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ২৪.১% মুসলিম।বিশ্বে ৬০টি মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে ।বিশ্বের মোট রাষ্ট্রের ২৬% মুসলিম রাষ্ট্র। ধর্মীয় সংগঠন বা ধর্ম বিশ্বাস হিসেবে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে ২৬টি রাষ্ট্র । যেখানে সরকারের কার্য